![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাই শুধু নিরবিচ্ছিন্ন নিরপত্তা নিজেকে বিকশিত করার জন্য।
মাহবুব মিঠু।।
বাঙলাদেশের রাজনীতিতে মাস্তানদের দৌরাত্ন নতুন কোন ঘটনা নয়। এর বাইরে গিয়ে আওয়ামিলীগ তুলনামূলক ক্লীন ইমেজের কিছু তরুন মুখকে মন্ত্রী সভায় স্থান দিয়ে বেশ চমক দেখিয়েছিল। শেষমেষ এটা করতে গিয়ে আমছালা দুটোই গিয়েছে। প্রশাসন চালাতে একেবারে অদক্ষ লোকদের এনে অনেক কিছুই লেজে গোবরে করে ফেলেছে। অত:পর আবুল সাহেবের কাজ শুরুর আগেই পদ্না সেতু নিয়ে দুর্নিতির অভিযোগ এবং আরো কিছু মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একই নালিশ আসাতে বুঝা গেল উনারা আসলে সুযোগের অভাবে সাধু ছিলেন। পাশাপাশি আশরাফ সাহেবের মতো সজ্জন ব্যক্তিকে দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আনায় মনে হয়েছিল আওয়ামিলীগ তার রাজণীতি থেকে মাস্তানদের বিদায় দিয়েছে। যদিও ইদানিং দেখা যাচ্ছে আশরাফ সাহেবের ভদ্র ইমেজ দ্বারা দল প্রভাবিত হয়নি বরং কিছু কথা বার্তায় মনে হয় দলের মারদাংগা চরিত্র তার কাধে ভর করেছে। সম্প্রতি নারায়নগঞ্জ নির্বাচনে শামীম ওসমানের মনোনায়ন নিয়ে লুকোচুরি খেলা দেখে বুঝা গেল, ‘চক চক করিলেই সোনা হয় না’। অবশেষে বোতলের ছিপি খুলে দেখা গেল ওখানে শামীম ওসমান। একজন ট্রেডমাক© সন্ত্রাসীকেই আখেরে দলীয় সমর্থন দেয়া হলো। সেই যদি মাল খসালি, তবে কেন লোক হাসালি।
রাজনীতিতে ফের সন্ত্রাসী
নারায়নগঞ্জের প্রার্থী নিয়ে অনেক নাটকীয়তার পরে সেদিন হানিফ সাহেব স্পষ্ট করে দিয়ে বললেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্বাচনী প্রচারনায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে দলীয় স্বিদ্ধান্ত কার দিকে যাচ্ছে। দুদিন আগে একই ব্যক্তি বলেছিলেন, যারা দলের পক্ষ থেকে শামীমের পক্ষে প্রচারনায় গিয়েছে সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যপার। এতে দলীয় সমর্থন নির্দেশ করে না। আরো বলেছিলেন, কর্পোরেশন নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে হচ্ছে না। তাই দলীয় সমর্থন নির্বাচনী আচরন ভংগের সমান। মাত্র কয়েকটা রাত হানিফ সাহেবের ভাবনায় অনেক পরিবর্তন এনেছে। শেষ পর্যন্ত তিনি একি বললেন! এরশাদের সংগে জোট বেধে তাকে এরশাদের বিরতিহীন কথা ভংগ রোগে ধরেছে। কথায় আছে সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে।
এই সেই শামীর ওসমান, যে দল এবং দলের কর্মীদের বিপদের মুখে রেখে নিজের অপকর্মের কারনে পালিয়েছিল দীর্ঘদিন। অসময়ের কাপুরুষ, সুসময়ে বীর সেজে আবারো ফিরে এসেছে স্বমহিমায়। এসেই পুরানো পেশা সেই সন্ত্রাস কর্মে নেমে পড়েছে। সেদিন সংবাদ সম্মেলন করে প্রথম আলো সম্পাদক সাহেবকে গণ পিটুনীর হুমকী দিয়েছেন। এতো বীর আপনি! ৯/১১ এর পরে মঈন সাহেবকে হঠাতে লাখ লাখ লোক নিয়ে কেন ঢাকা অভিমুখে রওয়ানা না দিয়ে একা রাতের আধারে পালালেন? নিজের আমলে নিজের সীমানায় নেড়ী কুকুরও ঘেউ ঘেউ করে বীরত্ব দেখায়। বিএনপির অনেক বীরও এখন চুপসে গেছে। মতিউর রহমান নানা কারনে এখন একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ত্ব। কিন্তু তাই বলে কোন আইনীবলে সে গণ ধোলাইয়ের মতো একটা বর্বর এবং বেআইনী কাজে মানুষকে উস্কানী দিলো? কথায় আছে, ‘কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না’।
ঠিক তেমনি প্রবাদে আছে, ‘কচু কাট কাটতে কাটতে মানুষ ডাকাত হয়’। শামীম ওসমান বিরোধী কর্মীদের পেটাতে পেটাতে হাত পাকিয়ে, কিছুদিন আগে আঙুল উচিয়ে নিজ দলের এমপি এমনকি আত্নীয় কবরীকে প্রকাশ্য মিটিংএ মারতে গিয়েছিল । শামীম ওসমানের আবারো উত্থানে নারায়নগঞ্জে কবরীর নেতৃত্বে অপেক্ষকৃত ’কোমল সন্ত্রাসের’ বিপরীতে পুণরায় পুরানো ‘কঠিন সন্ত্রাস’ শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। আওয়ামিলীগ হয়তো মূল ধারার রাজনীতিতে আস্থা রাখতে না পেরে ধীরে ধীরে সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিরোধীদের ঠেকানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। খুলনায় রগ কাটা শিবির নেতা নুরু এবং টপ টেরর মুক্তা থেকে শুরু করে নারায়নগঞ্জের ইন্টারপুলের সমন পাওয়া আসামী শামীম ওসমানের উত্থান সে কথাই প্রমাণ করে।
গরীবের বিরুদ্ধে গরীব লেলানো সিস্টেম
বাঙলাদেশের পুজিবাজার বেশ কিছুকাল ধরে অস্থির হয়ে আছে। সে ব্যাপারে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই। গরীব মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারীরা পথে বসতে চলেছে। প্রতিবার আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতায় এলেই কেন জানি পুজিবাজারের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে। এর আগের বারেও তাই হয়েছিল। এবারকার অস্থিরতা দীর্ঘকাল ধরে জেকে বসে আছে। নিজেদের পুজির নিরাপত্তা রক্ষায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে কাজ না হওয়াতে আন্দোলনকারীরা কঠোর অনশনে নামতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু সেখানেও পুলিশ দিয়ে বাধা। অনশনে না খেয়ে মরা যাবে না। জীবনের সমস্ত টাকা বিলিয়ে দিয়ে ধুকে ধুকে মরতে হবে। পুজিবাদের কারিশমা হচ্ছে কাটা দিয়ে কাটা তোলা। যে পুলিশদের গরীব এবং মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে নামানো হয়েছে কিছু সংখ্যক অফিসার বাদ দিলে পুলিশ বাহিনীর বেশীরভাগ সাধারণ সদস্য সেই একই গরীব এবং মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছে। হয়তো তার ভাই চাকরী না পেয়ে শেয়ার বাজারে অল্প কিছু বিনিয়োগ করে পরিবার নিয়ে পেটে ভাতে বেচে আছে। কপট রাজনীতিবিদদের পক্ষ হয়ে তারাই লাথি মারলো ভাইয়ের পেটে। হরতালের সময় দেখুন টোকাইরা রিক্সার হাওয়া ছেড়ে কিংবা রিক্সা গাড়ী জ্জালিয়ে উ্ল্লাস করে। কে জানে, ওই রিক্সাটা হয়তো তার বাবাই চালাতো। কিংবা বাসে আগুন দিয়ে যে ড্রাইভারকে মেরে ফেলা হলো সে হয়তো তার সাথের কোন পিকেটারের বাবা না হয় অন্য কোন আত্নীয় হবে। এভাবেই ক্ষমতার ইশারায় নড়াচড়া করা গরীবেরা কখনো ক্ষমতাকে না দেখলেও নিজের হাতে পোড়ানো বাবার রিক্সা কিংবা পোড়া লাশ দেখছে নিত্যদিন। এটাই শোষনের দুষ্ট চক্র।
শোনা গেছে, বিএনপি মহাসচিব আসবে বলে তড়িঘড়ি করে সরকার পুলিশ পাঠিয়ে অনশনকারীদের উচ্ছেদ করেছে। এতোদিন পরে ফখরুল সাহেবদের সেখানে যাবার উদ্দেশ্য কি ছিল? বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনকে বেগবান করা নাকি রোড মার্চের সাথে সরকার বিরোধী আন্দোলনের নতুন আরেকটা ফ্রন্ট খোলা? বিনিয়োগকারীরা তো আজ বহুমাস ধরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মরছে। তখনতো কেউ এলো না সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে। আজ কেন?
সরকারের আরো একটা উদ্বেগ ছিল, বিশ্বে যে আন্দোলন চলছে মুনাফাখোর আর বৈষম্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে, পুজিবাজারের আন্দোলন যাতে সেদিকে সংক্রামিত না হয়। সরকারের যতো উদ্বেগ আর উতকন্ঠা আন্দোলন যাতে বিস্ফোরণমুখ হয়ে সরকার পতনের দিকে না যায়। ক্ষমতাকে আকড়ে রাখার জন্য যতো চিন্তা। গরীবেরা যে স্বর্বশান্ত হয়েছে সে ব্যাপারে কোন উদ্বেগ নাই।
বিনিয়োগকারীদের দাবী ছিল প্রধানমন্ত্রী এসে যদি তাদের আশ্বাস দেন তবে তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন। ঢাকার ভিতরে গরীবের ডাক না শুনে তিনি টঙ্গী ব্রীজ পেড়িয়ে চলে গেলেন বড় লোকের ডাকে বড় লোকের সন্তানদের স্কুল উদ্বোধনের জন্য। বিরোধী নেত্রী গাড়ী বহর নিয়ে সিলেট গেলেন, ফিরে এসে যমুনা পাড়ি দিয়ে উত্তরবঙ্গে যেতে পারলেন। কিন্তু বাড়ীর কাছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পাশে গিয়ে দাড়ানোর একটু সুযোগ হলো না তার।
গরীবের কথা মুখে বলে ধনীর বাড়ীতে দাওয়াত
প্রধানমন্ত্রী শ্রীপুরের এক জনসভায় বিরোধী দলের রোডমার্চে এতো দামী গাড়ী এলো কোথা থেকে প্রশ্ন করেছেন। প্রশ্নটা আমাদেরও। এক সময় আরো প্রশ্ন আসবে, পদ্না সেতুর টাকা কাজ শুরুর আগেই কিভাবে লোপাট হলো এবং আরো অনেক কিছু। তবে তিনি রোড মার্চের গাড়ীর বহরের কথা যেভাবে এবং যখন বলেছেন সন্দেহটা সেখানেই। তিনি বলেছেন, গাড়ীগুলোর নাম্বার প্লেট দেখে গাড়ীর মালিকের অর্থের উতস খুজতে হবে। এখানে দুটো কথা আলোচনার দাবী রাখে। তিনি কেন নিজের ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ হলেই শুধুমাত্র তখন অপরের অপরাধগুলো দেখতে পান। যারা গাড়ীগুলোর মালিক তারাতো হঠাত করেই রোড মার্চের আগে সেগুলো কেনেনি। কিনেছে অনেক আগেই। এতোদিন কেন চুপ করে থাকা হলো। যখন সেগুলো সরকার বিরোধী আন্দোলনে নামানো হলো ওনার মনে প্রশ্ন জাগলো শুধু তখন। আওয়ামিলীগ রাজপথে লগি বৈঠা মিছিল থেকে শুরু করে হামলা মামলার মাধ্যমে সব সময়ই বিভিন্ন উপায়ে বিরোধী দলকে নির্মূল করতে চায় অভিযোগ আছে। দলের মাথা থেকে বাকশালের মৃত ভূত এখনো যায়নি। দ্বিতীয় উদ্বেগ হচ্ছে, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে থেকে দুর্নিতিরোধে এক পাক্ষিক ঘোসনা কেন? সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংক দুর্নিতির অভিযোগে পদ্না সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দিলেন। তার তদন্ত হবে কখন? বিরোধীদলের নেতাদের নতুন চকচকে গাড়ীর সাথে সাথে তিনি তার নেতাদেরও দামী গাড়ীগুলোও কি দেখতে পেয়েছেন? দুই দলের নেতাদের গাড়ীর মাঝখানে কোন সাধারণ নাগরিক পড়লে চাকচিক্যের ঝিলিকে চোখে ধা ধা লেগে যাবে। জনগণ দু্ই দলের নেতাদেরই দুর্নিতি খতিয়ে দেখতে চাই। শুধু বিরোধী দলের গাড়ীর টাকার উতস কেন? দুর্নিতি বিরোধী অভিযান শুরু হোক নিজ দল থেকে।
শেখ হাসিনা সম্প্রতি এক জনসভায় বলেছেন, বিএনপি চায় বাঙলাদেশ ভিক্ষুকের দেশ হয়ে থাকুক। এর পরক্ষণেই সত্যি কথাটা বলে ফেলেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘আমরা বিদেশ থেকে বেশী দামে চাল এনে কম দামে বিক্রী করি। গরীবদের মাঝে কম দামে চাল বিক্রী করা হয়।’ কি অদ্ভুদ রসিকতা! সব©শ্বান্ত না হলে একজন মানুষকে কেন বিনামূল্যে চাল সংগ্রহ করতে হবে। তার মানে কি দাড়াল? তাছাড়া সেই বিনামূল্যের চাল কি সত্যি গরীবের হাড়িতে উঠে নাকি দলীয় লোকের হাত ঘুরে আবার বাজারে চলে আসে বিক্রি হতে?
মিটিংএ গরীবদের কথা বলেই প্রধানমন্ত্রী গেলেন ধনীর মালিকানায় বড় লোক এবং বিদেশীদের সন্তানদের জন্য প্রতিষ্ঠিত স্কুল উদ্ভোধনের জন্য। স্কুলটি কোন সরকারী প্রতিষ্ঠান কিংবা কোন দাতব্য প্রতিষ্ঠান নয়। গণ মানুষের জন্যও এটা তৈরী হয়নি। সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত। প্রায় এক হাজার কোটি টাকায় বানানো সেই স্কুলে সাধারন ঘরের ছেলেমেয়েরা পড়তে পারবে না। অসাধারন (!) ঘরের অসাধারন ছেলেমেয়েরা পড়বে এখানে। সরকারী টাকা খরচ করে তিনি গেলেন সেই স্কুল উদ্ধোধন করতে। কোন বিবেচনায় জনগণের অর্থ একজন ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানের পিছনে ব্যয় করলেন তিনি? প্রধান মন্ত্রী হয়ে বড় লোকের ‘শিক্ষা ব্যবসা’ প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞাপনের মডেল না হলে কি হতো? তিনি কি হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে যে এই স্কুলেটি প্রতিষ্ঠা করেছে এবং যারা এখানে লাখ লাখ টাকা খরচ করে সন্তানদের পাঠাবে, তাদের অর্থের উতসও খুজে দেখবেন?
আমাদের রাজনীতিবিদদের প্রকৃত চরিত্র দেখুন। গরীবদের জন্য উন্নয়ন বলতে উনারা বুঝেন বিনা মূল্যে এবং কম মূল্যে চাল সরবারহ, তাদের যোগ্য করা কিংবা সামর্থ্য বৃদ্ধি নয়। অন্যদিকে, বড় লোকের জন্য উন্নয়ন হলো তাদের জন্য ভালো মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী। ওনাদের জনসভায় আসে গরীবেরা আর উনারা যান বড় লোকের বাড়ীতে স্কুল উদ্ধোধনের দাওয়াত খেতে। ধান দিলেতো গরীবেরা বিনে পয়সায় দলের গান গাইবে। জনসভায় আকাশ বাতাস কাপিয়ে শ্লোগান দিবে। শিক্ষা দিলেতো ভিক্ষা দেওয়া যাবে না ভবিশ্যতে। কোথায় পাবে তারা এতো লোক। তাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী বুদ্ধিমানের মতো বিশ্বমানের (!) শিক্ষার ব্যবস্থা করে এলেন বড় লোকের সন্তানদের জন্য যাতে বড় হয়ে তারা একদিন বিনা মূল্যে গরীবের মাঝে চাল দিয়ে জনসেবা (!) করতে পারেন। বাহ! বেশ চমতকার আইডিয়া! সাবাশ!
আমাদের চরিত্রে অদ্ভুদ বৈপরীত্য
শেখ হাসিনা জাতিসংঘে শান্তির বাণী দিয়ে দেশে এসে বিরোধীদের সাথে আলোচনা নয় বলে অশান্তির হুংকার দিলেন। অন্যদিকে, গরীবের কথা বলে লাখে লাখে গরীবদের জনসভায় টেনে এনে বড়লোকের সন্তানদের স্কুল উদ্ধোধনে গেলেন। তিনি কি তার উপজেলা টুংগীপাড়ায় গরীবের সন্তানদের জন্য প্রতিষ্ঠিত কোন ভাঙগা কুড়েঘরের স্কুল উদ্ভোধনে যাবেন? হয়তোবা না। কারন রাজনীতিতে সব কিছুই বিনিয়োগ। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি, কোথাও গিয়ে সময় ক্ষেপন সবই রাজনীতির বিনিয়োগ। গরীবের কুড়ে ঘর স্কুলের কোন নিউজ ভেলু নেই। তারা দলকে কোন অনুদানও দিতে পারবে না। বরং সেখানে গেলে উল্টো টাকা অনুদান চাইতে পারে। গরীব মানেই ঝামেলা। শুধু চাই, চাই, চাই। খাই খাই করা নেতাদের কি গরীবকে কিছু দেবার সময় আছে! গরীবদের পড়িয়ে বেশী শিক্ষিত বানানোও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। অন্যদিকে, বিরোধী নেত্রী কোটি টাকা মূল্যের গাড়ীর মালিকদের সাথে রোড মার্চ করে কি গরীবের কথা মনে রাখবেন?
এতো কিছুর পরেও বড় দুই দলের দুই পদ্ধতির শো ডাউনে লোক সমাগমের কমতি নাই। এক দল রোড মার্চের মাধ্যমে আরেক দল বড় বড় জনসভা করে শক্তির মহড়ায় ব্যস্ত। কম©হীন বেকার জীবন এবং আনন্দহীন মানুষেরা পিপড়ের যৌনকম© দেখেও সুখ পায়। তেমনি এরা সভায় এবং রোডমার্চে হেটেও সার্কাসের আনন্দ পায় হয়তো! নেতারা সেখানে জনগণের কথা বলছেও না শুনছেও না। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া ঝাটিতে ব্যস্ত। জনগণও বেশ খুশী কুতসা শুনে। ঘরে এসে উনুনে হাড়ি জ্বলবে কিনা তার খোজ নেই। সন্তান কাল বেতনের অভাবে স্কুলে যেতে পারবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। সারা বিশ্বের মানুষ যখন স্বার্থপর, মুনাফাখোর এবং তাদের লালনকারী সরকারের বিরুদ্ধে নির্দলীয়ভাবে আন্দোলনে নেমেছে, পুজিবাদের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে সেখানে আমাদের দেশের জনগন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুই পরিবারকেন্দ্রিক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে বাচানোর জন্য জিন্দাবাদ আর জয় বাঙলায় প্রকম্পিত করে রেখেছে টেকনাফ খেকে তেতুলিয়া। ওদিকে জীবন সংগ্রামে নিজেদের শেষ পুজিটুকু বাচাতে কিছু হতভাগ্য গরীব, মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারী রাস্তায় পুলিশের পিটুনী খাচ্ছে। তাদের পাশে দাড়ানোর কেউ নেই। না কোন রাজনৈতিক দল, না সেই একই গোত্রের জনগণ। ধিক আমাদের মানসিকতাকে, ধিক!
যে কথা বলতে হবে কেউ বলে না,
যে কথা শুনতে হবে কেউ শুনে না,
আমরা হয়েছি মূক বধির,
ওদের হয়েছে মোহ গদীর।
জনগণ আজ ক্ষত বিক্ষত
এভাবে চলবে আর কতো??????
পুনশ্চ: এই ধনী এবং সন্ত্রাসী তোষন পোষনের নগ্ন ধারা চলতে থাকবে আরো অনাদিকাল যতোদিন না জনগণ নিজের স্বার্থ বুঝতে পারবে। মূক বধির না হয়ে কথা বলতে হবে নিজের অধিকারের পক্ষে। আমরা আর বিনা মূল্যে চাল চাই না। সুশিক্ষিত হয়ে নিজের চাল নিজেই কিনতে চাই।
[email protected]
২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:২১
মাহবুব মিঠু বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৩৩
মিশুক - ঢাকা বলেছেন: ভাল কইসেন....................
২২ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৫৪
মাহবুব মিঠু বলেছেন: ভাল লাগায় আমারও ভাল লাগলো।
৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৩৬
প্রজন্ম বলেছেন: ভালো লাগল
২২ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৫৫
মাহবুব মিঠু বলেছেন: খুশী হলাম।
৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:৪২
ঈশান বলেছেন: এই ঘেরাটোপ থেকে আমাদের মুক্তি কি আসবে না? গত সাধারণ নির্বাচনে না ভোট দিয়েছিলাম। আগামি নির্বাচনেও কি তাই করতে হবে?
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:০৬
ও.জামান বলেছেন: অত্যন্ত সুন্দর বিশ্লেষণ।