নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুফান মেইল

বসন্তে মাতাল আমি এক অপূর্ণতা ...

মাহতাব সমুদ্র

আমি কে...আসলেই নিজেকে খুঁজতে গিয়ে নিজেই হারিয়ে যাই। আমি আসলে কে আমি জানিনা ফেসবুকে- facebook.com/mahatab.hossain2

মাহতাব সমুদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

'এক কাপ চা' চা খোরদের জন্য দরকারি পোস্‌ট

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫





আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায়ে দৈনন্দিন জীবনে রোগমুক্ত থাকতে চান, তাহলে আপনার জন্য রয়েছে কিছু চমকপ্রদ 'চা'। এ গুলো আপনি পান করতে পারেন ওষুধের বিকল্প হিসেবে। শত শত বছর ধরে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতিতে রোগ নিরাময়ের জন্য 'ভেষজ' পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যদিও বিজ্ঞানে এর জোরালো সমর্থন না থাকলেও চিকিৎসাবিদ্যার বিধি মেনেই ভেষজ চিকিৎসকেরা এই উদ্ভিদতাত্ত্বিক চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। নিচে বিশ্বের বিখ্যাত কয়েকটি চায়ের উদাহরণ দেয়া হলো। এগুলো প্যাকেটজাত চা হিসেবে সুপুরিচিত। এগুলো ওষুধের বিকল্প হিসেবে স্বাচ্ছন্দে গ্রহণ করতে পারেন।

১. 'অর্গানিক নেটল' চা

এই ধরনের চা সামান্য তেতো হলেও চুমুকেই সারা শরীর চাঙা হয়ে উঠবে। নিমিষেই শরীরে সতেজ ভাব লক্ষ্য করতে পারবেন। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এবং মিনারেল থাকায় গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটা বেশি উপকারী। কোনো কোনো দেশে এই চা পাতা সবজী হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। নেটল চা পানে প্রস্রাবের প্রণালীগুলো সবসময় স্বাভাবিক থাকে, ফলে কিডনিও অনেক ভালো থাকে। এটা সর্দিকাশি, এলার্জির জন্যও বেশ উপকারী। এ অসাধারণ চা আপনারা অবশ্যই ওষুধের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

২. 'ইয়োগি' ঘুমানোর সময়ের চা

একটুখানি রিল্যাক্স সবার প্রয়োজন! রিল্যাক্সের জন্য এ চা আপনার প্রিয় পানীয়তে পরিনত হতে পারে। এতে ভ্যালেরিয়ানের শেকড় ও ক্যামোমাইল মেশানো থাকে ফলে আরামের সময়টায় আপনাকে অভাবনীয় শান্তিতে আচ্ছন্ন করে রাখবে। খ্যাতনামা কলাইয়ের শেকড়, দারুচিনি, এলাচ এর মিশ্রন থাকায় এর স্বাদ এতটাই মধুর হবে যে বেশ কিছুক্ষণ জিভে স্বাদ থেকে যাবে। গলাব্যথা কিংবা গলা বসে গেলে এই চা পান করতে পারেন। গলা ঠিক হয়ে যাবে । সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে 'ইয়োগি' চায়ে ভ্যালেরিয়ানের শেকড় থাকায় প্রাকৃতিক উপায়েই এতো চমৎকার মিষ্টি স্বাদ হয় যে এতে আলাদা করে চিনি মেশানোর প্রয়োজন হয় না। ঘুমানোর আগে এই চায়ে চুমুক দিতে পারেন।

৩. ঠাণ্ডার জন্য 'গুড আর্থ' চা

১৯৭০ সালে সর্বপ্রথম একক ভেষজ ব্র্যান্ড চা হিসেবে যাত্রা শুরু করে 'গুড আর্থ' চা। এই চা কোম্পানির শাখা বিশ্বের বহু দেশে ছড়িয়ে পড়লেও এটা এখন ভারতের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান টাটা বেভারেজের অংশ। 'গুড আর্থ' এর বহুজাতিক সদর দপ্তর দক্ষিণ আমেরিকায়। গুড আর্থ চা ঠাণ্ডা লাগলে সাময়িকভাবে নিরাময় প্রদান করে, কফ নিঃসারক হিসাবে কাজ করে। কারণ এর মধ্যে মেনথল, পিপারমিন্ট, মিডোসুইট ফুল ও নানারকম বুনো ভেষজ উদ্ভিদ দেয়া থাকে।

৪. স্বর্গীয় অনুভূতির জন্য 'ডেটক্স' চা

আমাদের শরীরে প্রতিদিন বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ প্রবেশ করে। এই ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ দৈনন্দিন খাবারের মাধ্যমে এবং বাইরের ধুলোবালি থেকেও প্রবেশ করতে পারে। ডেটক্স চা এর থেকে আপনাকে রক্ষা করে শরীরে শান্তির আমেজ ছড়িয়ে দিতে পারে। ডেটক্স চায়ে এক প্রকার কাঁটাযুক্ত উদ্ভিদের নির্যাস ও দুধের মিশ্রন থাকে যা লিভারের কার্যক্ষমতাকে স্বাভাবিক ও পরিষ্কার রাখে। যুগ যুগ ধরে এ ধরনের চা এভাবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে একাইনেসিয়া সহ বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ যেমন সিংহদন্তীর শেকড়, লাল ত্রিপত্র এবং সবুজ রুইবসের মতো উপাদান থাকে। এই ধরনের সৌরভযুক্ত চা শারীরিক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে একই সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।

৫. চয়েস অর্গানিক চা

সবুজ চায়ের অন্যতম উপাদান ক্যাফেইন। এতে ক্যাফেইন ছাড়া আর কিছু থাকে না। এই প্রকারের পানীয়তে শক্তিবর্ধক উপাদান থাকে যা শরীরের অভ্যন্তরে রোগ প্রতিরোধ কাঠামো তৈরি করে। সবুজ চা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াকে সচল রাখে। এটা দাঁতের সুরক্ষা ছাড়াও ত্বক ও পরিপাকতন্ত্রের যত্ন নেয়। সবুজ চায়ে সামান্য লেমনঘাস, হিবিস্কাস ফুল ও ইলিওথেরোর শেকড় করা হয়। ফলে চায়ের কাপে মনোমুগ্ধকর ঘ্রান ছড়িয়ে পড়ে। যদি মনে করেন আপনি একটা শক্ত কাজ করতে যাচ্ছেন, আপনার সামান্য শক্তি দরকার অথবা আপনি যদি ভাবেন আপনার শরীরকে নিরোগ রাখা প্রয়োজন তাহলে এই পানীয় আপনার জন্যই।

৬. ডক্টর স্টুয়ার্টের ত্বক পরিচর্যাকারী চা

এই বিশেষ ভেষজ চা যুক্তরাজ্যের একটি জনপ্রিয় পণ্য ৷ আমি অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে এই বিশেষ চা টি প্রদাহ এবং ব্রণ প্রশমিত করতে বেশ কার্যকরি ৷ অনেকেরই মাসে অন্তত দুবার হরমোন জনিত কারণে ব্রণ হয়, তাই সেই তরুণ-তরুণীরা এই বিশেষ চায়ের ব্যপারে বেশ আগ্রহী হয়৷ এই বিশেষ ভেষজ মিশ্রণটিতে রয়েছে লাল ত্রিপত্র, বিছুটি, ড্যনডিলিওন, বার্ডক গাছের শিকড়,ক্যমোমাইল, লেবুর সুগন্ধি নির্যাস এবং লেবুর খোসা ৷

৭. জিটি’র জৈব কমবুচা

কমবুচা আসলে ঠিক ভেষজ চা নয় বরং এটি একটি জৈব গাঁজন প্রক্রিয়ায় তৈরি পানীয় ৷ এতে রয়েছে জীবন্ত ব্যক্টেরিয়া যা প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে হজমে সহায়তা করে ৷ আমরা সকলেই জানি যে প্রোবায়োটিক পরিপাকতন্ত্রের ব্যকটেরিয়ার জন্য খুবই উপকারি৷ এগুলো সাধারণত আসে দই এবং পনির থেকে ৷ সুখবর হচ্ছে যে কমবুচা দই ও পনিরের একটি অভূতপূর্ব বিকল্প ৷ সর্বোপরি এটি স্বাদে ও গন্ধে একদমই আলাদা ৷ যদিও এতে কিছু পরিমান এলকোহল রয়েছে যা কখনো কখনো আপনাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে৷



রোগমুক্ত শরীর ও ফুরফুরে মেজাজের জন্য ৭ প্রকার ব্র্যান্ডেড চা

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০১

সুমন কর বলেছেন: আমার কিন্তু দিনে দুবার চা না খেলে চলে না। তা আপনার এই চাগুলো কোথায় পাওয়া যায়, বলবেন? প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম, পরে খুঁজবো

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ওকে। আামি জানাবো।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩২

লিংকন১১৫ বলেছেন: ওমোর আল্লাহ্‌ , এদেহি ৭ খানা চা ! :-B

হারা জীবন মামার দোকানে খাইলাম , এহন কম্মে যামু

অ মোর ভাই এ চা ফা কম্মে পামু ? কোন মামুর কাছে গেলে পামু ?
তাইলে মুই হাগতে মুত্তে গেলও চা খামু হা হা

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: হা হা হা হা

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১২

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: :) :) আমার সবচেয়ে প্রিয় ড্রিংক হচ্ছে পানি,তার পরে চা।পোস্ট প্রিয়তে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: আমার সবচেয়ে প্রিয় ড্রিংক হচ্ছে পানি,তার পরে চা।

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: :) :) আমার সবচেয়ে প্রিয় ড্রিংক হচ্ছে পানি,তার পরে চা।পোস্ট প্রিয়তে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার সবচেয়ে প্রিয় ড্রিংক হচ্ছে পানি,তার পরে চা।

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: আমি তেমন চা পান করি না । কেউ কিনে দিলে আর জ্বর হলে পান করি ! :P

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০১

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: কেউ কিনে দিলে আর জ্বর হলে পান করি ! :P

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

ধূর্ত উঁই বলেছেন: ২. 'ইয়োগি' ঘুমানোর সময়ের চা বেশি ভাল লাগলো। অন্য গুলো ও ভাল। তবে আড্ডার চা সেরা চা। :)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৮

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: আড্ডার চা সেরা চা

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

মদন বলেছেন: সব কয়টা চা ই আমার লাগবে।
দিনে ৩-৪ কাপ চা না খেলে ভালো লাগে না :(

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৯

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: দেয়া যাবে

৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: এই সময়ে আমার খুব বেশি দরকার, গুড আর্থ চা। বাট কোথায় পাওয়া যাবে?

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: জেনারেল স্টোর গুলোতে যোগাযোগ করেন।

৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

দেহঘড়ির মিস্তিরি বলেছেন: ভাল পোস্ট

ভাই,এই গুলো কই পাওয়া যাবে ??

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: জেনারেল স্টোরগুলোতে খোঁজ নিন।

১০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: উন্নত মানের পোষ্ট , চা খোর হিসেবে এই কথাগুলা আমিও বিশ্বাস করি !

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৬

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: উন্নত মানের পোষ্ট , চা খোর হিসেবে এই কথাগুলা আমিও বিশ্বাস করি !

১১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১২

নস্টালজিক বলেছেন: চা মাস্ট, দিনে একাধিক!

আপনার পোস্ট ভালো লাগলো!

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ

১২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

ডট কম ০০৯ বলেছেন: চা আর সিগারেট ই তো জীবন বাকী গুলান সময়।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: হ। ঘটনা তো তাই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.