![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হেফাজতে ইসলামের যে ১৩ দফা দাবী তা অবশ্যই বাংলাদেশ এবং মুক্তিযোদ্ধের সাথে সাংঘর্ষীক নয়।হেফাজতে ইসলামের যে ১৩ দফা দাবী তা সারসংক্ষেপ করলে সরকারের মেনে নেওয়া খুব কঠিন বলে আমি মনে করি না। হেফাজতের দাবীগুলো রাষ্ট্র মেনে নিলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র আফগান বা পাকিস্তান হয়ে যাবে বলে যে বুদ্ধিজীবীরা টাক মাথার চুল ফেলে দিচ্ছেন ।এটা করে তারা তাদের চিন্তা শক্তির দুর্বলতার প্রকাশ করচেন ।কারন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র সসস্ত্র যোদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে।জন্মের ৪২ বৎসর পরে এই দেশ অন্য দেশ বা অন্য দেশের আদলে চলবে এটা মনে করা নেহাৎ একটা বোকামী । দেশের একটা বৃহৎ অংশ যে দাবী করছে, বুদ্ধিজীবীদের উচিৎ ছিল তাদের দাবীর কোন অংশ যৌক্তিক ছিল তা আলোচনা করা কোন অংশ রাষ্ট্রের মেনে নেওয়া কষ্টকর তা আলোচনা করা বা রাষ্ট্রের কি করনীয় তা আলোচনা করা।তা না করা এ বুদ্ধিজীবীরা দেশের এই আংশ কে রাষ্ট্রবিরোধী বলে মনে করেন।
হেফাজতের ১৩ দফা দাবী গুলো এবং আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধির আলোচনা ।
১. সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল করা।
২. আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুত্সা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস।
৩. কথিত শাহবাগি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর শানে জঘন্য কুত্সা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।
৪. ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
৫. ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।
৬. সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতত্পরতা বন্ধ করা।
৭. মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।
৮. জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধাবিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করা।
৯. রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামি কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসিঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা।
১০. পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিষ্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তকরণসহ সব অপতত্পরতা বন্ধ করা।
১১. রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদি জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করা।
১২. সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধমকি, ভয়ভীতি দানসহ তাঁদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করা।
১৩. অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদ্রাসাছাত্র ও তৌহিদি জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
দাবি ১,
যখন বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়ে সংবিধান পড়া সবাই শুরু করতে পারেন তখন অবশ্যই সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’রাখতে কারোর সমস্যা হওয়া উচিৎ না। সংবিধানে আন্যান্য ধর্মানুসারীর জন্য সৃষ্টিকর্তার উপর ওপর আস্তা ও বিশ্বাস লেখলে সমাস্যা সমাধান।শুধু সমস্যা নাস্তিকদের জন্য ।আর মুসলমানের জন্য কেন কোরআন-সুন্নাহবিরোধী থাকবে । অন্যান্য ধর্মানুসারীর জন্য তাদের ধর্মীয় আইন থাকতে পারে।
দাবি২
শুধু ইসলাম না যে কোন ধর্মের বিশ্বাসে আঘাত হানলে শাস্তির বিধান
থাকা উচিত,তবে মৃত্যুদন্ডের পক্ষপাতী আমি নই।কোরআন বা সুন্নায় এই অপরাধের শাস্তি মৃত্যু দন্ড নয় বলে আমার মনে হয়।দাবি ২ মানলে দাবি ৩ এর সমাদান হয়ে যায়।
দাবি ৪
ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, এগুলু কোন সৎ চিন্তাশীল মানুষ আমাদের বাঙালী সমাজে মানে না, তবে হেফাজতের এ দাবি গুলো কে অযৌক্তিক বলা হচ্চে কেন,আর তারা বলছে প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ বন্ধ করতে তার মানে নয় মেয়ে দের কাজ বন্ধ করে দেয়া ।অবাধ বিচরণ বলতে কি বোঝায় তা বিবিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়,লেক বা পার্কে গেলে বুজা যায়।আর সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন টিভি প্রোগামে তো আজকের সাংষ্কৃতিক জোটের নেতাদের কে বলতে দেখেছি ।সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েচে সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করার জন্য।তো ইসলামিক সাংষ্কৃতি রক্ষায় হেফাজতে ইসলাম বললে দোষ।
দবি ৫
উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্ষন্ত ধর্মশিক্ষা সব ধর্মের মানুষের জন্য বাধ্যতামুলক করলে তো হয়ে যায়।
দাবি ৬
এটা একটা অযৌক্তিক দাবি যা মানা যায় না কারন তারা ত মুসলামান
দাবি ৭
একজন মুসলমান হিসবে কিভাবে মূর্তি রাখাকে সমর্থন করি।আর ওরাতো হিন্দু ভাই দের প্রতিমা নিয়ে কিছু বলে নাই,হিন্দু ভাই দের প্রতিমার প্রতি অস্মান করে নি।
দাবি ৮
আবশ্যই ধর্মীয় আচার পালনে বাধদান করা উচিত নয়।
দাবি ৯
আচ্চা বলুন তো ১৯৭১ সালে সব রাজাকার কি দাড়িওলা ছিল।
সব রাজাকার কি শুধু মুসলমান ছিল।চাকমা রাজা দেবাসীষ এর বাবা এবং
চাকমা রা তো মুক্তিযোদ্ধের বিরোধীতা করছে পাকিদের দোষর ছিল কই কখনো কোন ফিল্ম বা ডুকুমেন্টারী দেখি নাই তি ওদের বিরোদ্ধে।এ গুলো বন্ধ করা উচিত।বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা হোক।
দাবি ১০
ব্রিটিশ আমলে থেকে ব্রিটিশরা খ্রিষ্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তকরণসহ সব অপতত্পরতা শুরু করেচিল তা এখনো বর্তমান।এগুলো সবাই জানে আমাদের বুদ্ধিজীবিদের বিভিন্ন বই পড়লে আরো পরিষ্কার হওয়া যাবে।যদি এগুলো এখন চলে থাকে এ অপতৎতপরতা বন্ধের দাবি কি অগ্রহনযৌগ্য।
দাবি ১১ ১২ ও ১৩
যে কোন আন্দোলনের সময় যে কোন সরাকার আন্দোলন কে স্তিমিত করার জন্য করে থাকে আর আন্দোলন কারি এগুলো বন্ধর জন্য শেষের দিকে এগুলোকে দাবিতে যোগ করে। এটা সবাই বুজে ।
এখন আমি এ ক্ষুদ্রবুদ্ধির আদম টা কেন বুজি না এগুলো মানলে বাংলা আফগান পাকি ইরান ইরাক ফিলিস্তিন হয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০
ওছামা বলেছেন: আমার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করোনা, আমার ধর্মবিশ্বাস বেচে দিওনা। আমাকে শ্বাস নিতে দাও।আমি ক্লান্ত, বিধ্বস্ত, বিভ্রান্ত।