নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাতভর বৃষ্টি

দিনভর গান

মাহবুব মোর্শেদ

মাহবুব মোর্শেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তন শেখভের থ্রি সিস্টারর্স

১৩ ই জুলাই, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

গত ৭ তারিখে হঠাত করেই নাটমণ্ডলে নাটক দেখতে যাওয়ার সুযোগ হলো। ঢাকা ইউনিভার্সিটির নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের অনার্স কোর্সের পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে তারা মঞ্চস্থ করলেন শেখভের এ নাটকটি। শিক্ষার্থীদের কাজের মধ্যে প্রচণ্ড একটা প্যাশন থাকে। নাটকের বিষয়টি বোঝার ও অনুভব করার আগ্রহ থাকে। আবার অনেক সময় দেখা যায় স্রেফ পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার ফাঁকে নির্দেশনা, অভিনয় বা কারিগরি কাজ স্রেফ যাচ্ছেতাই ভাবে সেরে ফেলা হয়। এরকম আশঙ্কা ও আশাবাদ নিয়ে দেখতে বসেছিলাম। নাটক শুরুর আগে নুসরাত মমতাজ রূপসী ভায়োলিন বাজাচ্ছিলেন। আবহ তৈরির কাজটা ভালভাবেই হচ্ছিল। ফাঁকে দেখে নিচ্ছিলাম মঞ্চ। বনপাংশুলে নাসিরুদ্দিন ইউসুফ মঞ্চকে ভাঙচুর করে যেভাবে অডিয়েন্সের জায়গায় নিয়ে এসেছিলেন তাতে প্রচলিত মঞ্চের ধারণাটা প্রায়োগিকভাবে একটু বেশি স্পেস খুঁজে পেয়েছিল। থ্রি সিস্টারর্স-এর মঞ্চও সে রকম, মঞ্চ থেকে নেমে দর্শকের কাতারে পৌছেছে। তবে পাশ্চাত্যের প্রসেনিয়াম ধারণাকে সর্বাগ্রে বিবচেনায় রেখে একটা আলো আঁধারির পরিস্থিতি মানে কনভেনশনাল মঞ্চও হাজির আছে।

নাটক শুরু হলো। তিন বোনের কাহিনী। অভাব অভিযোগ, আনন্দ-বেদনার সাধারণ জীবন। তিনজন তিন রকম। তিনভাবে জীবনকে দেখে। ভাবে একটি এই ছোট শহর থেকে মস্কো যাবে। সেখানে তাদের স্বপ্ন পূরণ হবে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণ হয় না। বছরের পর বছর স্বপ্নভঙ্গের ঘটনা ঘটতেই থাকে শুধু। পরিবারের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়। কিন্তু তিন বোন এক থাকে। শেখভের নাটক যেমন, এ নাটকও তেমনই। নাটকের চেয়ে জীবনের ভাগটাই বেশি। দেখছিলাম কিভাবে চরিত্ররা মানে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা নাটকটার সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছেন। এতটা একাত্ম হওয়াটা হয়তো নাট্যকলার বিদ্যা সমর্থন করে না। কিন্তু তারা যে শেখভকে চিন্তায় ধারণ করতে পেরেছেন তা স্পষ্ট।

নাটকের শেষ দিকে ইরিনা যখন বলছিল, ‌ মানুষ একদিন ঠিকই বুঝতে পারবে মানুষ কেন কষ্ট পায়' তখন তীব্র একটা কষ্টবোধ হচ্ছিল।

নাটক শেষে দেখলাম, ইরিনার চরিত্রে যিনি অভিনয় করছিলেন তার কান্না থামেনি। শেখভের প্রতি সত্যি খুব ঈর্ষা হয়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ৭:১৬

পদ্মা মেঘনা যমুনা বলেছেন: সত্যিই তাই।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ৭:৫৬

ঢালী! বলেছেন: চেখভ...আরো ভাল ভাবে চেহভ । আরো শুদ্ধভাবে চেহফ ।

কিন্তু বাপের জন্মেও শেখভ না ।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ১০:০১

ওপারের দাদা বলেছেন: নাটক করলেন ভাল কথা আপনার অভিনেত্রী ইরিনার কান্না থামান। আজকে আমার নাটকে ওকে শুটিং করতে হবে। কান্না না থামলে ও আমার নাটকে হাসবে কিভাবে?

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: পদ্মা মেঘনা যমুনা,
সেটাই।
ঢালী!,
আর ইউ ফ্রম রাশিয়া? আপনার প্রস্তাব ভীষণ ইন্টারেস্টিং।
ওপারের দাদা,
ওনার নাম কী?

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০০৭ রাত ৮:০২

ঢালী! বলেছেন: আমি যদি কুট্টি হই প্রবলেম কী?

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০০৭ রাত ৯:৩২

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ঢালী!,
আপনি কুট্টি হইলে আমার সমস্যা নাই। আপনার সমস্যা আছে মনে হইলো। রাশিয়ার প্রসঙ্গে রাগ করে উঠলেন কেন? সমস্যা কী?

৭| ১৪ ই জুলাই, ২০০৭ রাত ৯:৫৭

ঢালী! বলেছেন: আমার সমস্যাটা নাট্যকারের নাম ভুল করায় । সিএইচ দেখে ফরাসী কেতায় 'শ' বসিয়ে দেয়া গর্হিত কাজ । ফরাসীতে লিখলে টিসিএইচ দিয়ে লেখা রেওয়াজ ।

ইহা চ বর্গীয় শব্দ

৮| ১৪ ই জুলাই, ২০০৭ রাত ১০:১৪

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ঢালী!,
আপনি যেভাবে চেহভ আর চেহফ আওড়াইছেন তাতে ভড়কাইছি। বাপরে। এ জন্মে শেখভ শুনছি/পড়ছি, চেখভ পড়ছি/শুনছি। কিন্তু বাকীগুলা শুনি নাই। ফরাসি উচ্চারণ রীতি আমি জানি না। রাশিয়ানও না। আপনি যখন গর্হিত কাজ বলছেন তখন নিশ্চয় তা গর্হিত কাজ। ভুল যখন বলছেন তখন নিশ্চয় তা ভুল। কিন্তু সূত্রটা আপনাকে ক্লিয়ার করতে হবে।
সূত্রটা পরিষ্কার হওয়ার জন্য আপনে রাশিয়া ফেরত কি না জিগাইছিলাম।
চ কোন বর্গীয় শব্দ এইটা নিয়া আপনার সাথে আপাতত আলাপে রাজি না আমি।

৯| ১৫ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ৮:১৫

ঢালী! বলেছেন: সুত্র অতীব পরিষ্কার ।

রোমান হরফে চ, শ, কোনোটাই নাই । ইংরেজিতে 'সিএইচ' দিয়া লিখলে সেইটা 'চ' আর 'এসএইচ' দিয়া লিখলে 'শ' উচ্চারন হয় । ফরাসীতে 'সিএইচ' দিয়া লিখলে 'শ' হয় (শিরাক) । টিসিএইচে 'চ' হয় । জার্মানে 'এসসিএইচ' এ 'শ' উচ্চারন হয় আর 'টিএসসিএইচ' এ 'চ' ।

কিন্তুক রুশ ভাষায় 'চ' 'শ' উভয়েই পৃথক পৃথক হরফ দ্বারা নির্দেশিত । উপরে উল্টানো 'এইচ' মতন হরফটি 'চ' ।

যদি কোনো বংগ সন্তান Chekhov দেখে ফরাসী শব্দ ভেবে তা 'শেখভ' উচ্চারন করেন তা নিতান্ত ভুল বলিয়া পরিগনিত হইবে ।

। ফরাসীতে চেখভ লেখা হবে Tchekhov হিসেবে ।

১০| ১৫ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ৮:৩৬

আহমাদ মুজতবা বলেছেন: ভাষা বিশেষজ্ঞ

১১| ১৫ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ১০:০৩

বীথিলতা বলেছেন: জনাব মাহবুব মোর্শেদ,
সূত্র কি পরিষ্কার হল!

১২| ১৫ ই জুলাই, ২০০৭ দুপুর ১:০০

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: থ্যাংকস ঢালী!।
পরিষ্কার হলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.