নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাতভর বৃষ্টি

দিনভর গান

মাহবুব মোর্শেদ

মাহবুব মোর্শেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড. ইউনুস বিষয়ে আমি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি

০৩ রা মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:৫৮

ঘটনা কিছুই না। শেখ হাসিনা ড. ইউনুসের নোবেল পুরস্কার কাইড়া নেন নাই। গ্রামীণ ব্যাংক বন্ধ কইরা দেন নাই। ইউনুসকে ক্ষমতা থিকা নামায়ে দেশ ছাড়া করেন নাই। ওনারে গ্রেফতার কইরা সাবজেলেও ভরেন নাই। নতুন একটা ব্যাংক তৈরি কইরা ইউনুসের ব্যাবসা লাটে উঠান নাই। শুধু দশকের পর দশক ধইরা ড. ইউনুস যেমনে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদটা আকড়ে ধইরা আছেন সেই পদটায় এতবছর ধইরা থাকা যে অবৈধ ও অনৈতিক সেইটা মনে করায়ে দিছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শেখ হাসিনা সরাসারি ঘটনাটা ঘটানও নাই। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসাবে এইখানকার সব ব্যাংকের ওপর আইনগত এক্তিয়ার বাংলাদেশ ব্যাংকের আছে। সেই আইন অনুসারে তারা সেইটা করতে পারে। এখন প্রশ্ন হইলো, এমডি পদ ছাড়াটাকে ড. ইউনুস এত সিরিয়াসলি নিতেছেন কেন?

ড. ইউনুস শান্তিতে নোবেল বিজয়ী একমাত্র বাংলাদেশী, প্রফেসর অব মাইক্রোক্রেডিট, ব্যাংকার টু দ্য পুউর। এমন তো না যে, উনি যদি গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি না থাকেন তাইলে কেউ তারে পাত্তা দিবো না। ওনার ক্রেডিবিলিটি ও পারসোনালিটি হারায়ে যাবে। তার চাইতে বড় কথা, এত বড় প্রতিষ্ঠান উনি গড়ছেন, এত সমৃদ্ধি পাইছেন, এত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাইছেন- তারপরও কী কারণে ওনার এমডি পদ দখলে রাখা জরুরি হয়া পড়লো? এত উপরে উঠার পর বড় ব্যক্তিদের তো এমনেই ছোট পদ ছাইড়া বিতর্কের উর্ধ্বে উঠা লাগে। কিন্তু সেইটা যথাসময়ে না কইরা তিনি যে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশ পর্যন্ত ওয়েট করলেন, এইটা বিশাল সংকীর্ণতার পরিচায়ক।

তদুপরি, ঘটনা অতো বড়ও না। গুরুত্বের দিক থিকা একটা ব্যাংকের এমডিকে অপসারণ করা হইছে এই খবর সামান্য। এমডি পদে যিনি বইসা রইছেন তিনি ড. ইউনুস বা মো. জব্বার সেইটা বিষয় না। কিন্তু সরকারের, অর্থমন্ত্রণালয়ের এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎপরতা শুরু হওনের পর ড. ইউনুস এবং তার সমর্থক আন্তর্জাতিক মিডিয়া তিলরে তাল বানায়ে ফেলছে। ঘটনা এমন যেন, ড. ইউনুসকে গ্রেফতার করে অন্তরীণ করা হইছে কিংবা দুনিয়া থিকা সরায়ে দেওনের উদ্যোগ নেওয়া হইছে। যেন শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর উপর এই আঘাত বিশ্বশান্তিতে আঘাত হানছে। ফলে, আন্তর্জাতিক মিডিয়া ত্রাহি ত্রাহি রব শুরু করছে। প্রথম আলো পইড়া একেবারে টাসকি খায়া গেলাম। ইউনুসের এই অপমান সইতে না পাইরা হিলারি নাকি বাংলাদেশ সফর বাতিল করছেন। ওবামার লগে হাসিনা সাক্ষাৎ হুমকির মধ্যে পড়ছে। ফ্রেন্ডস অব ইউনুস/ গ্রামীণ ব্যাংক সরকারকে জেরা করতেছে।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হইতেছে, পুরা বাংলাদেশ একদিকে আর ইউনুস একদিকে। বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সরকার ও মানুষের চাইতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইউনুস বড়। একজন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রের অধিক গুরুত্ব দিয়া রাষ্ট্রের অধিক ক্ষমতায়ন কইরা যুক্তরাষ্ট্র যে নীতিগত ভুল করতেছে সেইটা শোধরানোর জন্য হইলেও মানুষের উচিত ইউনুসের বিপক্ষে দাঁড়ানো।

ড. ইউনুসের অনেক অবদান আছে। ক্ষুদ্রঋণ আইডিয়া হিসাবে অনেকের কাছেই ভাল। শুধু ভাল না, অনেকেই মনে করেন দারিদ্র কমাইতে এইটার ভূমিকা আছে। অনেক দেশ এই মডেল নিছে। এর জন্য ইউনুস সম্মানিত হইছেন। নোবেল সহ বহু পুরস্কার পাইছেন, পৃথিবীর নিয়ন্ত্রকদের সান্নিধ্য পাইছেন। এই সান্নিধ্য সম্মানের অর্থ এই না যে, উনি এ দেশের আইন-কানুনের উর্ধ্বে উইঠা গেছেন। এদেশের এক রকম নিয়ন্ত্রণ বনে গেছেন। উনি অনেক কাজ করছেন, সেই কাজের মধ্যে ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে, না থাকাটাই অস্বাভাবিক। অনিয়ম হইতে পারে। সেই অনিয়মের প্রতিবিধানও দরকার। সেই প্রতিবিধানের জন্য ওনাকে দেশের প্রচলিত আইন ও কানুন মানতে হবে। যদি যদি মনে করেন, ফ্রেন্ডস অব ইউনুসরা তাকে আইনের উপরে স্থাপন করবে। তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা মানে সরকারের বা বাংলাদেশের বিপদে পড়া তাইলে, আমি বলবো, শুধু এমডি পদ থিকা অপসারণ নয়, ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি তদন্ত পরিচালিত হওয়া উচিত।

ড. ইউনুস আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং সেই ধারণা বেশ কল্কে পাইছে যে, শেখ হাসিনা তাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মনে করে। কথাটা একদিক দিয়া সত্য। আবার মিথ্যাও। ব্যক্তি হিসাবে ড. ইউনুস শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দূরের কথা জনসমর্থনের রেসে দৌড়ানোর যোগ্যতাও তার নাই। ইউনুস নিজে রাজনৈতিক দল করা চেষ্টা কইরা বুঝছেন, এইটা বড় কঠিন জিনিশ। ফলে তিনি পিছায়ে গেছেন। পিছায়ে গিয়া যে তিনি আবার কইতেছেন, হাসিনা তারে প্রতিপক্ষ মনে করে সেইটার কারণ কী?

আমার মতে, তিনি বাইরে একটা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজেরে হাজির করতে চান। তার রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করার জটিল পথে এই দাবি একটা সুড়সুড়ি দিতে পারে। কিন্তু এইটা সত্য ইউনুস না, ইউনুস যে সিস্টেমের অংশ সেই সিস্টেমটা শেখ হাসিনার প্রতিপক্ষ। শুধু শেখ হাসিনা না- খালেদা জিয়া সহ বাংলাদেশের পুরো রাজনৈতিক প্রক্রিয়ারই প্রতিপক্ষ এরা।

এরা কখনো ফ্রেন্ডস অব ইউনুস, কখনো ফ্রেন্ডস অব সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার, কখনো জাতিসংঘের কর্তা, কখনো দাতাগোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীটাকে যারা চিনেন নাই, তারা ওয়ান ইলেভেনের শিক্ষা মিস করছেন। বস্তুত, এই গোষ্ঠীটাকে সহজ ভাষায় বলা যায়, ফ্রেন্ডস অব ওয়ান ইলেভেন। এদের কারণেই, এদেশের মানুষকে দুই বছরব্যাপী জরুরি অবস্থার কষ্ট সহ্য করে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হইছে। ফ্রেন্ডস অব ওয়ান ইলেভেনের কারণে হাসিনাকে গ্রেফতার হইতে হইছে, দেশ ত্যাগ করতে হইছে, জেল খাটতে হইছে, এমনকি দলীয় নিয়ন্ত্রণও হারানোর সংকটে পড়তে হইছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিতি, মার্কিন ক্ষমতাধরদের সঙ্গে বন্ধুত্ব, জাতিসংঘে অবস্থান ইত্যাদি কারণে ড. ইউনুস ফ্রেন্ডস অব ওয়ান ইলেভেনর নেতা। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্মানের জন্য যেমন তিনি সম্মানিত তেমনি আমাদের আন্তর্জাতিক বিপত্তির জন্য তিনি দায়ী। তিনি আমাদের জন্য সুপ্ত আহমেদ চালাবি বা এলবারাদি। ফলে, তার বিষয়ে সাবধান থাকা জরুরি।

ইউনুস এখন বিপদে পড়ায় কারা বেশি তড়পাইতেছে এইটা একটু খেয়াল করা দরকার। একটু চোখ বোলাইলেই দেখবেন, এই গোষ্ঠীটাকে আমরা সবাই চিনি। এরাই ফ্রেন্ডস অব ওয়ান ইলেভেন।

আমি শেখ হাসিনার রাজনীতিকে সমর্থন করি না। শেখ হাসিনার কর্মসূচির প্রতিও আমার আস্থা নাই। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই হউক আর ওয়ান ইলেভেনের অপমানের জন্যই হউক, শেখ হাসিনা যেমনে ফ্রেন্ডস অব ওয়ান ইলেভেনের মৌচাকে ঢিল মারছেন সেইটারে আমি সমর্থন করি। রাজনীতিক হিসাবে শেখ হাসিনা জানেন, এই মৌচাকের মৌমাছি কত বিষধর। তাদের হুল ফোটানোর ক্ষমতা কত বেশি। তবু যে তিনি একেবারে রাণী মৌমাছির গায়ে হাত দিছেন, সেইটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি নিশ্চয়ই জানেন কত আন্তর্জাতিক ও জাতীয় হুল তাকে মোকাবেলা করতে হবে। কিন্তু সেইগুলারে কেয়ার না কইরা তিনি ছোট হইলেও ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নিছেন তাতে সমর্থন দেওয়াটা নাগরিক হিসাবে আমাদের দায়িত্ব। এই বিষয়ে বিএনপি যে নীতি নিছে সেইটা বুইঝা নিছে বইলা আমার মনে হইতেছে না। তাদের মনে রাখা উচিত আওয়ামী লীগের বিপক্ষে গেলেই সেইটা তাদের পক্ষে না। এমন কিছু দেশে আছে যা বিএনপির যেমন আওয়ামী লীগের জন্যও তেমন বিপদের কারণ।

কারণ ফ্রেন্ডস অব ওয়ান ইলেভেন একদা আমাদের দেশে অগণতান্ত্রিক শাসন ঘটাইছিল। আগামীতেও ঘটানোর ক্ষমতা তাদের হবে না সেটা মনে করা ঠিক হবে না।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:০৫

আকাশের তারাগুলি বলেছেন:
ডঃ ইউনুস কে যাদুঘরে পাঠানো দরকার।
নোবেল প্রাপ্তির জন্য ডঃ ইউনুসে বিশাল ছবি বা পোট্টেট জাতীয় যাদুঘরে উনি জীবিত অবস্থায় পাঠিয়ে সম্মানিত করা হোক। নোবেল প্রাপ্তিতে উনি যে সম্মান বয়ে এনেছেন উনাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভুষিত করা হোক।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:০৮

মোঃ সুজন বলেছেন: ভাদা গিরি আর কত করবা ছাগুর দল কোথাকার। ইউনুছ থাকলে তোদের আব্বা-আম্মাদের সমস্যা কি? এতদিন ধইরা তিলে তিলে যে প্রতিষ্ঠানকে ইউনুছ গড়ে তুলেছে তোরা কোন অধিকারে তার প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সরাই দিবি? এখনও সময় আছে ভাল হইয়া যা, নয়ত তোদের জন্য রয়েছে দুঃখজনক ভবিষ্যত।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:০৯

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: ভাই ব্যাতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠানটা তাঁর নিজের হাতে তৈরি এবং তিনি আজীবন এর দায়িত্বে থাকুন এই কথাটা সরকার বললে সুন্দর হইত। আবুল মালে নিজেও স্বীকার করছে বয়সের ব্যাপারটা অনেক গতানুগতিক ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেও অবস্য মানা হয় নাই! অথচ তার তিল তিল করে গড়ে তোলা সন্তান তুল্য প্রতিষ্ঠানের বেলা এটা ফরযে আইন হয়ে গেল???!!!!! আসল ঘটনা কি জনগনে বুঝে না???

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:১০

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: মোঃ সুজন@

তোদের জন্য রয়েছে দুঃখজনক ভবিষ্যত।

-ভয় পাইছি

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:১৪

তোমোদাচি বলেছেন: ফ্রেন্ডস অব ওয়ান ইলেভেন কে শাস্তি দিতে চাইলে অতি সহজেই তিনি ফকরুদ্দিন বা মইন উ আহম্মেদ কে শাস্তি দিতে পারতেন; এত রিক্স নিয়ে ডঃ ইউনুসের পিছনে লাগতেন না।
আসল কারন গুলো এখানে পেতে পারেনঃ

Click This Link

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:১৫

জালাল আহেম্মদ বলেছেন: ওনি ঐ প্রতিষ্টানের এমডি থাকলে সরকারের কি ক্ষতি হবে। গ্রামীন ব্যাংক যদি তাকে চায় তাহলে আমাদের/সরকারের সমস্যা কোথায়। দেশ পরিচালনা করে আসছে বুড়া বুড়া লোকেরা। তাদের মধ্যে ৭০/৮০ বছর বয়স হয়েছে এমন অনেক আছে। আমার মতে বয়স দেখিয়ে এটা করা ঠিক বলে মনে হয়না। এসব রুলস পরিবর্ত করা দরকার।

তাছাড়া ঐ প্রতিষ্ঠান সে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন। কিভাবে এতো সহজেই তিনি পালিয়ে যাবেন।

৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:২০

পারভেজ বলেছেন: ৮০ বছর বয়সের অর্থমন্ত্রী যদি থাকতে পারে, তাহলে ৬০ এর পরেও এমডি থাকতে পারা উচিত।
শেখ হাসিনা বরাবরই তার সংকীর্ণ মনের পরিচয় দিয়ে চলছে।

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:২২

কাপালিক বলেছেন: ওয়ান ইলেভেন এই দেশে আসছে বইলা মানুষ দেখতে পাইছে এই দেশের মানুষগুলারে যারা বেইচা খায় প্রতিনিয়ত, তাগোরেও লোহার গারদের মধ্যে ঢুকানো যায়। সবচেয়ে ভালো হইতো যদি মাইনাস-টু পলিসিটা শেষ পর্যন্ত কার্যকর হইতো। তাইলে পরিবারতন্ত্রের কলঙ্ক এই জাতির উপর আর চাইপা বসার সুযোগ পাইতো না। সুস্থ গনতন্ত্রের বিকাশ ঘটতো।

ড. ইউনুস রাজনীতিতে আসলে আপনের জ্বলে কেন? এই দেশে যদি শক্ত একটি তৃতীয় রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব হয়, তা ওয়ান-ইলেভেনের পক্ষের সাপোর্টেই হোক বা যারই হোক, তাতে এদেশের জনগত মুক্তি পাবে। আফসোস কিছু কুলাঙ্গার বুদ্ধিজীবীর মরাকান্নায় সেই বোঝা জনগনের উপর আরো শক্ত হয়ে চেপে বসেছে।

৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:৪৩

স্বপ্নরাজ বলেছেন:
ভাল বিশ্লেষণ মাহবুব ভাই। ড: ইউনুসকে নিয়ে অনেক প্রশ্নই আছে যেটার সদুত্তর থাকা প্রয়োজন। নোবেল বিজয় নি:সন্দেহে দেশের জন্য গৌরবের, তবে সেটার ভিত্তিতে উনি সমালোচনার উর্ধে উঠি যান না। গ্রামীন ব্যাংকের কার্যক্রম নিয়ে বহু প্রশ্ন আছে, দেশের উন্নতিতে গ্রামীন ব্যাংকের অবদান কতটা তাত্ত্বিক আর কতটা বাস্তব সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এমডি পদের স্বচ্ছতা নিয়েতো ঘোলাটে ভাবটা আছেই। তাই সুশীল শ্রেনীর একজন আদর্শ হিসাবে ড: ইউনুসকে এইসব ব্যপারগুলোও পরিস্কার করার ভাবনা থাকা উচিৎ, যদিও আশ্চর্যজনক ভাবে সেটা উনি এড়িয়ে যান নানা ভাবে।

তবে আপনার এই বিশ্লযেণে ব্লগের ছাপমারা আওয়ামিলীগের চামচারা সাধুবাদ জানায় যাচ্চে , সরকার ড: ইউনুসকে নিয়ে ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে গেলে এরাও আবার ঘুরে যাবে সেইভাবে। সেই সংগে সরকার বিরোধীরাও একই ভাবে ড: ইউনুসকে সবকিছুর উর্ধ্বে তুলে ধরায় ব্যস্ত , পরিস্থিতে ঘুরলে এরাও ঘুরবে। ইগনর বোথ ।

পোস্টে প্লাস।

১০| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:৫১

সুব্রত কুমার চন্দ বলেছেন: এরশাদের মতামত দেখুণ এখানে

১১| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:৫২

কাঠুরিয়া. বলেছেন: ক্ষমতার শীর্ষে যারা থাকে, সবই কিন্তু একই রকম। ক্ষমতা ছাড়তে চায়না।
আচ্ছা? সরকারকি এইরকম একটা আদেশ দিতে পারতো না?
"আপনি দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন, 'বাংলাদেশ' কে বিশ্বে পরিচিত করেছেন, গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছেন - তিল তিল করে এতদুর গড়ে তুলেছেন, এর প্রতিদানে বাংলাদেশ সরকার আপনাকে আজীবন গ্রামীণ ব্যাংকের সন্মান সূচক প্রধান পদটি দিয়ে রাখলো। কিন্তু স্যার আপনার বয়স হয়েছে, আপনি বিশ্রাম নেন র্..... গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা 'এরা' করুক।"
আমাদের প্রেসিডেন্টের মতন আরকি...... বিষয়টা কি অসম্ভব ছিল।

১২| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৪

রুয়াসা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।এর সাথে সাথে ক্ষুদ্র ঋনের স্বরুপ উন্মোচন একটু হলেও জরুরী ছিল,তাহলে অর্থনৈতিক লাভালাভের বিষয়গুলোও সামনে চলে আসত।

১৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৩

ওসমান ঢালী তুষার বলেছেন: অবস্থাদৃষ্টে মনে হইতেছে, পুরা বাংলাদেশ একদিকে আর ইউনুস একদিকে।

ঠিকই বলেছেন, ইউনুস একদিকে আর সারা বাংলাদেশ একদিকে। "গ্রামীণ ব্যাংক" একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, সাধারণ বাণিজ্যিক ব্যাংকের নীতিমালার সাথে এটাকে জড়ান কতখানি যুক্তিযুক্ত?
আর যেই ব্যক্তি এমন একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা নয়, জন্ম দিয়েছেন তাকে তো এম.ডি. পদ থেকে অপসারণ কোন ভাবেই কাম্য নয়। আর তাকে যদি অপসারণের প্রশ্ন আসে তাহলে সবার আগে অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নিজেদের বয়সের দিকে একবার লক্ষ্য রাখা উচিৎ।

মোঃ সুজন@ আকাশের তারাগুলি@

তোদের জন্য রয়েছে দুঃখজনক ভবিষ্যত।

১৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ রাত ৮:০৮

কাকভেজা বলেছেন: খেদাইয়া দিছে তো কি হইছে, আজীবন থাকব নাকি?
সারা জীবন তো সুদ খাইলি মানুষের রক্ত চুষে। অহন বোঝ।

১৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ রাত ৮:১৪

ওসমান ঢালী তুষার বলেছেন: কাকভেজা
আপনার থেকে কত টাকা সুদ খেয়েছে জানতে পারি?

১৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৩১

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: ডঃ ইউনুস কে ইনডেমনিটি দিয়ে আইন পাশ করা হোক

১৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৩৬

কাকভেজা বলেছেন: ওসমান ঢালীকে! আমি সুদ খাই না, দেই ও না।

১৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৫৬

অনিক আহসান বলেছেন: হাসিনা যে কতটা নীচ তা আবার প্রমান করলেন....

১৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৪৬

ওসমান ঢালী তুষার বলেছেন: কাকভেজা... খুবই ভালো কথা, সুদ খান ও না, সুদ দেন ও না। কিন্তু গরিব মানুষের জন্য পারলে জামানতবিহীন ঋণের ব্যাবস্থা করার পর মুহাম্মদ ইউনুসের মত মানুষের সম্পর্কে মন্তব্য করলে ভালো হয়।

২০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১১ রাত ২:১৪

রুয়াসা বলেছেন: @ওসমান ঢালী তুষার,কি জামানতবিহীন?সম্পদ! এর চেয়েও বড় বিষয় তারা কিন্তু জামানত হিসেবে রাখছে। বাংলাদেশে ক্ষূদ্র ঋনের সুদের হার কত জানা আছে?পি কে এস এফ কিংবা এম আর এ সম্পর্কে জানা আছে আপনার এবং কেনই এগুলো ব্যার্থ?কোন সে কারন,যাতে করে রাতারাতি ১২০০/১৫০০ ক্ষূদ্র ঋনদানকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে এবং একই সাথে পুরুষ সদস্যদের বাদ দিয়ে নারী অন্তর্ভুক্তকরন চলতে থাকে।
গ্রামীন ব্যাঙ্ক এর সিক্সটিন ডিসিসন গুলোর অন্যতম শর্ত কি জানেন?ঋন পরিশোধে ব্যার্থ হলে এই দরিদ্র লোক গুলোর কি হয় খবর রাখেন?

২১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১১ রাত ২:৩২

ওসমান ঢালী তুষার বলেছেন: রুয়াসা @ আপনিই বলেন জামানত হিসাবে কি রাখছে?

আর পি কে এস এফ কিংবা এম আর সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান না থাকলেও এদের সম্পাদিত কাজগুলো সম্পর্কে কিছুটা আইডিয়া আছে। আর এদের ব্যার্থ হবার কারন ভিন্ন।

গ্রামীণ ব্যাংকের16 decisions গুলোও জানা আছে। সেখানে আবার সমস্যা কোথায়, দয়া করে বলবেন কি?

ঋণ পরিশোধে ব্যার্থ হলে এই দরিদ্র লোক গুলোর কি হয়, তাও জানা, টিনের চাল পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়। কিন্তু সেটা কি আদৌ গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মীরাই করে অথবা করলেও সুধু কি তারাই করে নাকি আরও অনেক অন্যান্য ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবসায়ীরাও করে থাকে?

২২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১১ রাত ২:৪৪

রুয়াসা বলেছেন: @ওসমান ঢালী তুষার,আপনি যদি না জানেন তবে তো জানাতেই হবে, আপনাকে প্রথমে বুঝতে হবে কেন এই সকল ক্ষুদ্র ঋনদানকারী প্রতিষ্ঠানের সদস্য নারী।এবং এদের দল গঠনের পুরো প্রক্রিয়া এবং ঋনের দায়িত্ব কারা কিভাবে নেয়?এইখানে একজন নারীর সম্মান বোধ কিভাবে সম্পদের চেয়েও অনেক বড় বিষয়ে পরিনত হয়।
পি কে এস এফ এবং এম আর এ(যেটাকে আপনি বলছেন এম আর,আমি জানিনা এটা আপনার অজ্ঞতা কিনা) এর ব্যার্থ হবার কারন ভিন্ন কিভাবে জানলে ধন্য হব?

আমি কিন্তু শুধু গ্রামীন ব্যাঙ্ককে দোষারোপ করছি না।আমি বলছি ক্ষুদ্র ঋন দানকারী প্রতিষ্ঠান।

২৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৩৭

জালাল আহেম্মদ বলেছেন: কম বেসী সবাই ক্ষুদ্র ঋনে জডিত আছে। আর ঋনের টাকা দিতে না পারলে ঘরের টিন খোলে নেওয়ার আইন নেই। কিছু অসাধু কর্মি এগুলা করে।

নারীরা সদস্য হইবার অনেক কারণ আছে। আর নারীরা সবই করে। আপনি যেকথা বলেছেন তা আসলেই কিছুইনা। সব কাজেই বর্তমানে নারীরা আছে সমান ভাবে।

আর পিকে এস পি যে ঋন দে তা ব্যাংকের থেকে কম আছে বলে আমি জানি। পি কে এস পি সাধারণ কাউকে কোন ঋন দেয়না। তারা অল্প সুদে ব্রাক/গ্রামীন ব্যাংক/আশা/প্রশিকা/সাজেদা সহ বড় বড় প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিতিমালার আওতায় এনে তার পর ঋন দেয়। এবং সেই ঋণ ১০০% বিনিয়োগ দেখেই তারা অনুমোধন দেয়।

যাই হোক। ঋন, নারী, বয়স এগুলা সবই অযুহাত মাত্র।

২৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:২৪

রুয়াসা বলেছেন: @জালাল আহেম্মদ,
জানি কখনো হয়তবা শুনেন নাই যে ক্ষুদ্র ঋনদানকারী প্রতিষ্ঠানের নারী সদস্যের দিয়ে তোতা পাখির মত বলানো হচ্ছে টিন বেচে ঋন পরিশোধের কথা।এক বছর এই গান শুনে আমার ঘুম ভাংতো।
নারীরা এখন সবকিছুই করছে এবং সবকিছুতেই আছে কিন্তু আমার কথা হল শুধু নারীরাই কেন?
আর কেনই বা গ্রামীন ব্যাঙ্ক,ব্র্যাক,আশা কিংবা অন্যান্য যাদের মোটামুটি ৯৫% পর্যন্ত পুরুষ সদস্য ছিল, রাতারাতি নারীদের প্রতি মনযোগ বাড়াল।আপনি নারীর ক্ষমতায়ন বলতে পারেন।
এখানে সকলেই জানে যে নারী ঋন গ্রহন করলেও টাকা কিন্তু শেষমেষ পুরুষের হাতেই চলে যায়। বিষয়গুলো কিন্তু এত সহজ নয়।ভাবেন।অনেক মজা পাবেন।সমাজ নীরিক্ষন পত্রিকায় ড.আইনুন নাহার এর একটা গবেষনা কাজ আছে 'বাজি গেছি' (ফেসে গেছি)।যেখানে তিনি ক্ষুদ্র ঋন গ্রহিতাদের কন্ঠস্বর তুলে এনেছেন।পড়ে দেখেন কাজে লাগবে।
পিকে এস পি কি?
যদি আপনি পি কে এস এফ সম্পর্কে জেনে থাকেন তবে তারা কি সুদে ঋন দেয় এবং এন জি ডি ও গুলোকে কত পরিমান সুদ নিতে (খরচ এবং লাভ সহ) নিয়ম করে দেয় তাও জানেন।



জায়গায় বইসা অনেকে অনেক কিছু করতে পারে বাইজান।মাঠে নামেন,পড়েন,জানেন। জাইনা লেখেন কামে দিব।

২৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:৩৯

ওসমান ঢালী তুষার বলেছেন: রুয়াসা @ ভুলবশত (এম আর এ) এম আর হয়ে গিয়েছে। আর এই পোস্টে মুহাম্মদ ইঊনুস কে নিয়ে আলোচনা হছে। আপনি কেন পি কে এস এফ কিংবা এম আর এ কে নিয়ে আসছেন তা বোধগম্য নয়, আপনি এই ২ টি নিয়ে আলাদা পোস্ট দিলে সেখানে যেয়ে এই ব্যাপারে বিশদ আলোচনা করলে উপকৃত হই।
আর গ্রামীণ ব্যাংকের ১৬ ডিসিশন নিয়ে সমস্যা কোথায় তা এখনও জানা হোলনা।

২৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ২:৩০

রুয়াসা বলেছেন: @ওসমান ঢালী তুষার,
We shall follow and advance the four principles of Grameen Bank
Discipline, Unity, Courage and Hard work—in all walks of our lives

Discipline, Unity, Courage and Hard work এইগুলা কি জানেন? ভালা কইরা জানেন এইগুলাতে আসলে তারা কি বলে?কিভাবে গ্রামীন মহিলারা Disciplined,United ও অন্যান্য।পড়ছেন তো শুধু ১৬ সিদ্ধান্ত প্রয়োগ পড়েন নাই। আনু মুহাম্মদ কিংবা আসিফ দৌলা পড়তে পারেন।


পি কে এস এফ এবং এম আর এ কি এইটা জানলে কেন এই বিষয়গুলা সামনে নিয়ে আসছি তা বোধগম্য হত।আপনার বোধগম্যতার জন্য জানাচ্ছি যে এম আর এ হল মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলটরি অথরটি।গুগলে এম আর এ সার্চ দিয়া আসলে এইডা পাওয়া যায় না।এইবার সার্চ দেন পেয়ে যাবেন।অবশ্য পুরা নাম জেনে এর কাজ সম্পর্কে আশা করি বোধগম্য হয়েছেন।

২৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:৩৩

জালাল আহেম্মদ বলেছেন: দেখুন ভাই বেশা বাড়া বাড়ি করবনা। তবে আমিও মাঠে কাজ করেছি তা আমি জানি। আর এসব ব্যবস্থপনা সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি বা বুঝি তা বলেছি। আপননি মিডিয়াতে দেখেন ৭০% লোক এক দিকে কথা বলছে। আর ঋনের বোঝা সবার মাথায় পূর্বে থেকেই আছে। নতুন কিছুইনা।

২৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:০২

কাঙাল বলেছেন: একটি কমেন্টেরও জবাব নাই। কেন ভাইজান?

২৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:০৩

কাঙাল বলেছেন: অনেক মন্তব্যের বিরোধিতা করলেও আপনার লেখাটি কিন্তু জবাবছাড়া হইছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.