![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্য ভাল। আমি ৭১ এর আগে জন্মাইনি, স্বাধীনতা যুদ্ধ দেখিনি ও আবার রাজনীতিও করিনি। কত ভাগ্য ভাল তাই না??
জীবন দেয়াতে তো তোমরা ওস্তাদ, কিছু হতে না হতেই জীবন দিয়ে দেব। জীবন দিলে কি জীবন আলাদা ভাবে কাজে লাগে, ব্যবহার করা যায়?
যায়, ইস্যু বানিয়ে ব্যবহার করা যায়। জীবন অমূল্য, পুরো পৃথিবী পাল্লার এক দিকে আর কেবল একটা জীবন পাল্লার এক দিকে দেয়া হলে জীবন কান্নাকাটি শুরু করবে, না হয় Defiantly হাসবে। হুম হাসবে! গোটা পৃথিবীর সব কিছু বানাতে ১০৯ টি মৌলিক পদার্থ লাগবে, কিন্তু জীবন বানানো যাবে না এই ১০৯ টি দিয়েও? পৃথিবীতে ৭০০ কোটি মানুষ ৭০০ কোটি জীবন, সব কয়টা আলাদা। কি দিয়া তৈরি এই জীবন? সৃষ্টি কর্তা কিছু Unique জিনিস নিজের হাতে রাখছে, জীবন তার মধ্যে একটা, আর সৃষ্টিকর্তার হাতের জিনিস তোমরা অকাতরে দেও।
দেও, স্রষ্টা তোমারে জীবন দিছে তোমার জীবন তুমিই সামলাও। তারপর ও একটু ভাবার ছিল, যার বা যাদের জন্য দিবা তারা তোমার জীবনের বিনিময়ে যা পাবে বা যে উপহার দেয়ার জন্য তোমরা তোমাদের জীবন দিবা তারা কি তা রক্ষা করতে পারবে? যদি না পারে জীবনও গেলো, তার সাথে যা দিতে চাইলা তাও গেলো। কি দিতে চাইলা, মুক্তি? মুক্তি তো এরা চিনেনা, ২০০ বছর গোলামি খাইটা অভ্যাস হইয়াগেছে, নিজেরা নিজেরা কামরা কামরি কইরা আবার গোলামি খাটা শুরু করবো। স্বাধীন গোলাম।
তোমাগো কথাও ঠিক, ২০০ বছর আন্দলন করে ১৯৪৭ আসলো, তার পরও যদি ৫২ আসে, আসে ৬৯ তাহলে ৭১ তো আসবেই।
একটু ভাইবা দেখ ৬৯ কে আসতে না দিলে ৭১ সৃষ্টি হতোনা, আর ৭১ না আসলে ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর কিভাবে হত। তখন ঠিক ই ২১ ফেব্রুয়ারী বুকে/পেটে নিয়া থাকতে হইত। তখন ক্ষুদিরাম এর মতো তোমরা ও কিংবদন্তি হইতা, কোন বিতর্কও থাকতনা। উদ্দেশ্য মূলক ভাবে ইস্যু হইতানা, অপমান হইতানা। এখন যে অবস্থা কিছু দিন পর তোমরা আর তোমাদের কর্ম হইব গালি। তখন আর কেউ কুত্তা, বিলাই, ব্যাস্যা, হারামি বলে গালি দিবেনা, তোমাদের নাম আর কর্মই গালি হয়ে যাবে।
যেমন মীরজাফর নামটা একটা গালি। এখনই তো দেয়া হচ্ছে মুজিবের কুত্তা, জিয়ার দালাল ইত্যাদি বলে। মীরজাফরের নামটাই সার্থক নিজের স্বার্থ হাসিল করতে গিয়েছিল। কিন্তু ঐ সব মহাপুরুষ যারা এই দেশ মাতার জন্য জীবন উৎসর্গ করলো তারা কি তোমাদের কাছে অপরাধী? কোন ক্ষণে তোমরা জন্মগ্রহন করলে তাদের নামে গালি দাও? নিজেকে তোমাদের মত মানুষ ভাবতেও ঘেন্না হয়।
আজকে তোমরা ৯০ কোটি খরচ করে নতুন রেকর্ড বানিয়েছ, লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গেয়ে গিনেজ বুক নামে একটা কাগজে নাম লিখিয়েছ (আমি এই প্রচেস্টা কে সধুবাদ জানাই)। আবার যেকোনো সময় যেকোন দেশ ঐ খাতা থেকে তোমাদের নামটা মুছে দিয়ে তাদের নাম লেখাতে পারে। আজ তোমরা বিশ্বের যে কোন প্রান্তে মাথা উচিয়ে সোনার বাংলা গাও। লম্বা একটা গর্বের নিঃশ্বাস নিয়ে জোড়ালো কণ্ঠে বলো আমি বাঙালি ।
কিন্তু একবারো কি পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখেছো যেসকল বাংলামায়ের সূর্যসন্তানরা তোমাদের অধিকার দিয়েছে এই লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গাওয়ার, মুখে বুলি ফুটিয়েছে আমি বাঙালি বলার। তারা কেমন আছে? তাদের অভিমানে সংসার কি দিয়ে চলে? তারা কি দুমুঠো পান্তা ভাত পিয়াজ আর কাচা মরিচ দিয়ে তিন বেলা খেতে পারছে কিনা?
এই কি তাদের আত্মত্যাগের প্রতিদান?
যারা লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গাওয়ার এই উদ্যোগ নিয়েছে তাদের সাদুবাদ জানাই আরো একবার। কিন্তু এমন উদ্যোগ কি নেয়া যেতনা, যে সকল মুক্তি যোদ্ধারা আজ মানবেতর জীবন যাপন করছে তাদের খুজে বের করে তাদের কল্যানে কিছু করার (কেন করবে সেখানে তো কর্পোরেট লাভ নেই)।
সবসময়তো লাভ ই করেন, একটি বার অলাভজনক ভাবে তাদের কল্যানে কিছু করেন। আমরা বেইমান প্রজন্ম হয়তো আপনাদের এই প্রচেস্টা কে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন নাইবা জানালাম, অন্তত আমাদের স্বাধীন বাংলা গড়ার কারিগররা তিন বেলা খেয়ে মরতে পারবে। রাতের বেলা বিছানায় শুয়ে চাদের সাথে অভিমানি গল্প করতে করতে বৃষ্টির পানিতে গোসল করতে না হয়।
বাংলামায়ের কারিগরেরা আমাদের ক্ষমা করো, তোমাদের যথার্থ মুল্য আমরা দিতে পারিনি। আমরা তোমাদের কাছে লজ্জিত।
২৭ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:২৩
অণুষ বলেছেন:
২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বেশ ভাল পোষ্ট।
২৭ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯
অণুষ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আজকে তোমরা ৯০ কোটি খরচ করে নতুন রেকর্ড বানিয়েছ, লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গেয়ে গিনেজ বুক নামে একটা কাগজে নাম লিখিয়েছ (আমি এই প্রচেস্টা কে সধুবাদ জানাই)। আবার যেকোনো সময় যেকোন দেশ ঐ খাতা থেকে তোমাদের নামটা মুছে দিয়ে তাদের নাম লেখাতে পারে। আজ তোমরা বিশ্বের যে কোন প্রান্তে মাথা উচিয়ে সোনার বাংলা গাও। লম্বা একটা গর্বের নিঃশ্বাস নিয়ে জোড়ালো কণ্ঠে বলো আমি বাঙালি ।
কিন্তু একবারো কি পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখেছো যেসকল বাংলামায়ের সূর্যসন্তানরা তোমাদের অধিকার দিয়েছে এই লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গাওয়ার, মুখে বুলি ফুটিয়েছে আমি বাঙালি বলার। তারা কেমন আছে? তাদের অভিমানে সংসার কি দিয়ে চলে? তারা কি দুমুঠো পান্তা ভাত পিয়াজ আর কাচা মরিচ দিয়ে তিন বেলা খেতে পারছে কিনা?
এই কি তাদের আত্মত্যাগের প্রতিদান?
যারা লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গাওয়ার এই উদ্যোগ নিয়েছে তাদের সাদুবাদ জানাই আরো একবার। কিন্তু এমন উদ্যোগ কি নেয়া যেতনা, যে সকল মুক্তি যোদ্ধারা আজ মানবেতর জীবন যাপন করছে তাদের খুজে বের করে তাদের কল্যানে কিছু করার (কেন করবে সেখানে তো কর্পোরেট লাভ নেই)
+++++++++++++++++++++++++++++++++++
২৮ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
অণুষ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০২
গরল বলেছেন: আমার কথা অন্যভাবে নিতে পারেন তাই আমি আগেই বলে নিচ্ছি যে আমার বাবা ইন্ডিয়াতে ট্রেইনিং নিয়ে সম্মুখ সমরে অংশ নেওয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের কিরকম ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে তা আমি খুব ভাল করে জানি। যেমন ধরুন ৭১ সালে রাজেন্দ্র কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পরিক্ষার্থীদের যে দুজনের ম্যাট্রিকে প্রথম শ্রেনী ছিল তার মধ্যে আমার বাবা ছিল এক জন অথচ তার পরীক্ষা দেওয়া হয় নাই যুদ্ধে যাওয়ার জন্য। এর পরে আর লেখা পড়ায় মননিবেশ করা কঠিন হয়ে পরে এবং কোন রকম ডিগ্রী পর্যন্ত কমপ্লিট করতে ১৯৭৮ সাল লেগে যায় এবং তার আগেই আমার জন্ম হয়। অতএব তাকে কোনরকম একটা কেরানীগিরী চাকুরী যোগার করেই সারা জীবন পার করতে হয় এবং গত বছর অবসরে যায়। অথচ তার অনেক ব্রাইট ফিউচার ছিল।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকার একেবারেই কিছু করে নাই এটা থিক না। যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু সরকার যোগ্যতা অনুসারে অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে চাকরী দিয়েছে, রক্ষীবাহিনীর সোবাই মূলত ছিল মুক্তিযোদ্ধা। আমার বাবার ইন্টারমিডিয়েট পাশ না থাকায় অফিসার হিসাবে যোগ দেওয়া সম্ভব না বিধায় যোগ দেয় নাই। তখন ৭২-৭৫ এ বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এমন কি সব ধরনের চাকরীতেই মুক্তিযোদ্ধারা প্রাধান্য পেত। এখনও সরকারী চাকরীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য কোটা আছে জা যথেষ্ট বলে আমি মনে করি। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণের জণ্য একটা কল্যান ট্রাস্ট আছে যে ট্রস্টকে তৎকালীন সরকার ৩৬টা শিল্প প্রতিষ্ঠান দিয়েছিল যদিও তা আজ রুগ্ন, সেটা অন্য কারণ তবে সরকারের উদ্যোগ ছিল যথেষ্ঠ।
যেহেতু দেশের ক্ষমতা ও আয়েয় সীমাবদ্ধতা আছে তাই বেশী কিছু আশা করাও ঠিক না। তবে এখনকার যুগে দেশের ইমেজ বাড়ানর জন্য অনেক কিছু করার আছে তার মধ্যে এধরনের উদ্যোগ দরকার। কারণ এখন ব্যান্ডিং এর যুগ এবং ব্রন্ডিং ইমেজ বৃদ্ধির জন্য এসব কাজ ফলপ্রসু।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৩৮
অণুষ বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে।
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫
ইফেল বলেছেন: ইমেজের আমসত্ব চুষছেন গড়ল সাহেব । ব্র্যান্ডিং নিয়ে বালিশের নিচে রাখেন - একদিন দেখবেন সেখান থেকে টাকার গাছ গজাচ্ছে । ক্ষমতা ও আয়ের সীমাবদ্ধতা ঘুচে যাবে একদিন ইনশাল্লাহ্ ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২৮
নিরীহ বালক বলেছেন: ++