![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে টাইগারদের গল্প শিরোনামে ৬ পর্বের ধারাবাহিক পোস্টের আজ দ্বিতীয় পর্ব। বিশ্বকাপে টাইগারদের সম্পর্কে জানা অজানা অনেক তথ্য নিয়ে আলোচনা করব। বাংলাদেশ দলের ১৯৯৯ বিশ্বকাপ থেকে ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিশ্বকাপ নিয়ে থাকবে ধারাবাহিক আলোচনা।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-১)
বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-৩)
বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-৪)
বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-৫)
আগের পর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম ক্রিকেট বিশ্বকাপের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং বিশ্বকাপের স্বপ্ন তরীতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের যাত্রা নিয়ে। আজ থাকছে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টাইগারদের কৃতিত্বের গল্প।
১৯৯৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ স্কোয়াড।
৭ম বিশ্বকাপ : ইংল্যান্ড ১৯৯৯
বাংলাদেশ দলঃ
১ আমিনুল ইসলাম বুলবুল (অধিনায়ক)
২ আকরাম খান
৩ ফারুক আহমেদ
৪ শাহরিয়ার হোসেন
৫ মেহরাব হোসেন
৬ এনামুল হক
৭ নিয়ামুর রশিদ
৮ নাইমুর রহমান
৯ খালেদ মাহমুদ
১০ খালেদ মাসুদ (উইঃ)
১১ মোহাম্মদ রফিক
১২ শফিউদ্দিন আহমেদ
১৩ হাসিবুল হোসেন
১৪ মানজারুল ইসলাম
১৫ মিনহাজুল আবেদীন
কোচঃ গর্ডন গ্রিনিজ (সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক)
৭ম বিশ্বকাপের আয়োজক প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিশ্বকাপের সফল আয়োজক ইংল্যান্ড। এ বিশ্বকাপের ১২টি দল অংশ নেয়। টেস্টভুক্ত ৯ দলের সাথে বাংলাদেশ, কেনিয়া ও স্কটল্যান্ড খেলে এ বিশ্বকাপে। অংশগ্রহণকারী ১২ দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করা হয়। এ গ্রুপে ইংল্যান্ড, দ.আফ্রিকা, ভারত, শ্রীলংকা, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া এবং বি গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ও.ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড ও প্রতিদ্বনিদ্বতা করে।
১৯৯৭ সালে আই সি সি ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হবার সুবাদে ১৯৯৯ ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ৭ম বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের ছাড়পত্র পায় বাংলাদেশ। ১৭মে ১৯৯৯ আসে সেই মহেন্দ্রক্ষণ। অভিষেক ঘটে বিশ্বকাপে। ইংল্যান্ডের সাথে আয়োজক ছিল স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ডের। কিন্তু অভিষেকটা সুখকর হয়নি বাংলাদেশের জন্য। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আমিনু ইসলাম বুলবুল চেমসফোর্ডে টসে হেরে ব্যাট করতে নামেন । বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১১৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ফলশ্রুতিতে অভিষেক ম্যাচে ৬ উইকেটে হার নিয়ে মাঠ ছাড়েন বুলবুল বাহিনী।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যাড।
ম্যাচের ফলাফল জানতে এখানে ক্লিক করুন।
দ্বিতীয় ম্যাচে সাবেক চ্যম্পিয়ন (৭৫ ও ৭৯) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নামে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের জার্লিনে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বুলবুল। যদিও এ ম্যাচে ১৮২ রানের কিছুটা সম্মানজনক রান করতে পেরেছিল বাংলাদেশ তবে জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। সুতরাং ৭ উইকেটে জয় তুলে নিতে এতটুকু বেগ পেতে হয়নি ক্যারিবিয়ানদের। বাংলাদেশের প্রাপ্তি বলতে মেহরাব হোসেন অপির অনবদ্য ৬৪ রানের অর্ধশতরান। বিশ্বকাপে এটিই বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি।
২য় ম্যাচঃ বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ম্যাচের ফলাফল জানতে এখানে ক্লিক করুন।
১৭ মে ১৯৯৯ বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে বিশ্বকাপে অভিষেকের দিন হিসেবে যেমন মাইলফলক হিসেবে চির ভাস্বর হয়ে থাকবে তেমনি ২৪ মে ৯৯ আরেকটি মাইলস্টোন হিসেবে অভিহিত হবে। এ দিন বাংলাদেশ বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের স্বাদ পায়। স্বাগতিক স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এডিনবরায়। টস হারলেও ম্যাচ হারেনি বুলবুল। যদিও আগে ব্যাট করে ১৮৫ রানের মামুলি একটা স্কোরে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। বাংলাদেশ দলের পক্ষে অপরাজিত ৬৮ রান করে জয়ের পথ প্রসস্ত করেন সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। জবাবে ১৬৩ রানে শেষ হয় স্কটল্যান্ডের ইনিংস। বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যচেই ২২ রানের অবিস্বরণীয় জয়। ম্যান অব দ্য ম্যাচ স্বভাবতই মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
ম্যাচের ফলাফলঃ http://goo.gl/KDmX4H
পরের ম্যাচটা অবশ্য সুখকর হয়নি। বিজয়ের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই বিশ্ব চ্যম্পিয়ন (৪বার) অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭ উইকেটে হার নিয়ে মাঠ ছাড়াত হয় বুলবুল-নান্নুদের। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১৭৮ রান তোলে বাংলাদেশ। নান্নু আবারো অপরাজিত ৫৩ রান করলে এবার তাতে জয় পায়নি তার দল। অপি করেন ৪২ রান। ১৭৮ রান টপকে জয় পেতে এতটুকু বেগ পেতে হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। মাত্র ৩ উইকেট খরচায় তা পেয়ে যায়।
৪র্থ ম্যাচঃ বাংলাদেশ বানাম অস্ট্রেলিয়া।
ভিডিওটি না চললে এখানে ক্লিক করুন।
ম্যাচের ফলাফল জানতে এখানে ক্লিক করুন।
৩১মে ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনে আরেক সাবেক চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে খেলে বাংলাদেশ। আবারো টস হারেন বুলবুল। ফের আগে ব্যাট করে ২২৩ রান করে বাংলাদেশ। এত কম রান করে বাংলাদেশ জেতার আশাই করেনি। আকরাম খান ৪২ এবং বিদ্যুৎ ৩৯ রান করে কিছুটা দৃঢ়তা দেখান। অন্যরা গতানুগতিক ফ্লপ। তারপরও হাল ছাড়েনি বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা। ৪২ রানে পাকিস্তানের শীর্ষ ৪ ব্যাটসম্যান ড্রেসিংরুমে ফিরে গেলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ। অবশেষে সত্যি সত্যি বাংলাদেশের সে স্বপ্ন পূরণ হল। ১৬১ রানে পাকিস্তানকে অল আউট করে ৬২ রানের অবিস্মরণীয় আনন্দময় জয় পেয়ে গেল বাংলাদেশ। এ জয়ের পেছনে খালেদ মাহমুদ সুজনের ৩১ রানে ৩ উইকেট এবং ৩টি রান আউট বড় অবদান রাখে। ৭ম বিশ্বকাপে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেন এবং খালেদ মাহমুদ সুজন সর্বাধিক ৬টি উউকেট নেন বাংলাদেশের হয়ে।
৫ম ম্যাচঃ বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান।
ম্যাচের ফলাফল জানতে এখানে ক্লিক করুন।
অভিষেক বিশ্বকাপে ২টি স্মরণীয় জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য আশির্বাদ হয়ে আসে। বাংলাদেশের ক্রিকেট কয়েকধাপ এগিয়ে যায়। আই সি সি পূর্ণ সদস্যপদ প্রাপ্তির দাবি আরো জোরালো হয়। এবং পরের বছরই সে দাবি পূরণ হয়। বাংলাদেশের ক্রিকেটে যোগ হয় আরো একটি মাইল ফলক।
আজ এ পর্যন্তই আগামী পর্বে বাংলাদেশের ২০০৩ বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা করব। প্রতিদিন রাত ১০ টার পর পর্ব গুলো ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করা হবে।
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার। চালিয়ে যান।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৬
অণুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২২
সুমন কর বলেছেন: ভালই লাগছে, চলুক..........
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৩
অণুষ বলেছেন: সাথে থাকুন।
৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৮
কলমের কালি শেষ বলেছেন: অসাধারণ সিরিজ । চলুক......
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৩৮
অণুষ বলেছেন:
৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
শাকিল ১৭০৫ বলেছেন: চলুক
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
অণুষ বলেছেন:
৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০২
সুমাইয়া আলো বলেছেন: প্রশংসনীয় কাজ মাহাবুব। সামনে আরও অনেক ভাল ভাল পোস্ট পাব আশা করি।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৮
অণুষ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
অণুষ বলেছেন: এক্সপার্টরা একটু সাহায্য করুন, এই পোস্টে দেয়া বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের ভিডিও টি চলছেনা, কিন্তু লিঙ্কটি কপি করে নতুন ট্যাবে চালালে ঠিক ই চলছে, এর সমাধান কি?