নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অণুষ

অণুষ

কখনো নিজেকে মানুষ মনে হয়, আবার কখনো ক্ষুদ্র অণুজীবের চেয়ে নিকৃষ্ট মনে হয়। তাই আমি অণুষ

অণুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-৩)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৭

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে টাইগারদের গল্প শিরোনামে ৬ পর্বের ধারাবাহিক পোস্টের তৃতীয় পর্ব। বিশ্বকাপে টাইগারদের সম্পর্কে জানা অজানা অনেক তথ্য নিয়ে আলোচনা করব। বাংলাদেশ দলের ১৯৯৯ বিশ্বকাপ থেকে ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিশ্বকাপ নিয়ে থাকবে ধারাবাহিক আলোচনা।

এই সিরিজের অন্যান্য পর্বগুলোঃ

বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-১)

বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-২)

বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-৪)

বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-৫)

আগের পর্বগুলোতে আমরা বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপে অভিযান এবং ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজ থাকছে ২০০৩ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গল্প।





২০০৩ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ স্কোয়াড।






৮ম বিশ্বকাপ : দ. আফ্রিকা ২০০৩


বাংলাদেশ দলঃ

১ খালেদ মাসুদ পাইলট (উইকেট কিপার + অধিনায়ক)

২ আল শাহরিয়ার

৩ অলোক কাপালি

৪ আকরাম খান

৫ হাবিবুল বাশার সুমন

৬ হান্নান সরকার

৭ এহসানুল হক

৮ সানোয়ার হোসেন

৯ খালেদ মাহমুদ সুজন

১০ মাঞ্জারুল ইসলাম

১১ মাশরাফি বিন মর্তুজা

১২ মোহাম্মদ আশরাফুল

১৩ মোহাম্মদ রফিক

১৪ তালহা জুবায়ের

১৫ তাপস বৈশ্য

কোচঃ মহসিন কামাল এবং আলী জিয়া



অষ্টম বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজনের দায়িত্ব পায় দীর্ঘদিন নির্বাসনে থাকা দ. আফিকা। আফ্রিকার সাথে সহআয়োজনের দায়িত্ব পায় জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া। ক্রিকেটকে বিশ্বায়ন করার লক্ষ্যে আইসিসি এ উদ্যোগ নেয়। এ বিশ্বকাপে ১৪টি দল অংশ নেয়। টেস্টভুক্ত ১০ দলের সাথে আইসিসি ট্রফির শীর্ষ ৪ দল কেনিয়া, হল্যান্ড, কানাডা ও নামিবিয়া অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারী ১৪ দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করা হয়। গ্রুপ এ-তে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, হল্যান্ড ও নামিবিয়া এবং গ্রুপ-বিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দ. আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ, কেনিয়া ও কানাডা অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন খালেদ মাসুদ পাইলট।



বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে কানাডার মোকাবিলা করে। টস হারা বাংলাদেশ অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল কানাডার বিপক্ষে জিততে পারেনি। কানাডার ১৮০ রানের জবাব দিতে গিয়ে ১২০ রানেই মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। কানাডার কাছে এই পরাজয় এদেশের ১৫ কোটি মানুষের কাছে ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত।



কানাডার কাছে বাংলাদেশের হার।

ম্যাচের ফলাফল দেখতে এখানে ক্লিক করুন।



এর পরের ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের জন্য আরো লজ্জার। পিটার মরিসবার্গে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার কাছে ১০ উইকেটের লজ্জাজনক পরাজয়ের গ্লানী নিয়ে মাঠ ছাড়ে। এবারো টসে হেরে ব্যাট করে ১২৪ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার চামিন্দা ভাস নেন হ্যাট্রিকসহ ২৫ রানে ৬ উইকেট। শ্রীলঙ্কার মারভান আতাপাত্তু (অপ: ৬৯) এবং সনৎ জয়সুরিয়ার (অপ: ৫৫) এ রান টপকাতে কোন বেগই পেতে হয়নি।



প্রথম ওভারেই চামিন্দা ভাসের হ্যাট্রিক।

ম্যাচের ফলাফলের জন্য এখানে ক্লিক করুন।



বেনোনিতে বড় বাঁচা বেঁচে গেল বাংলাদেশ। আরো একটি পরাজয়ের গ্লানি থেকে রক্ষা পেল বৃষ্টির কল্যাণে। টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাট করতে পাঠালে ক্যারিবিয়ানরা ৯ উইকেটে ২৪৪ রান করে। জবাবে ৮.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩২ রান করার পর বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে বৃষ্টি। ফল ম্যাচ পরিত্যক্ত। নিদেন ১ পয়েন্ট পেয়ে যায় বাংলাদেশ। এই ১ পযেন্টই বাংলাদেশের ৮ম বিশ্বকাপের অর্জন।



ব্রায়ান লারার একটি শট।

ম্যাচের ফলাফল জানতে এখানে ক্লিক করুন।



ব্লমফন্টেনে আবারো লজ্জার গ্লানি মাথায় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। স্বাগতিক দঃ আফ্রিকার কাছেও ১০ উইকেটের লজ্জাজনক পরাজয় এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১০৮ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। দ. আফ্রিকার মাখায়া এনটিনি নেন ২৪ রানে ৪ উইকেট। জবাবে দ. আফ্রিকার হার্শেল গিবস (অপ. ৫০) এবং গ্যারি কারস্টেন (অপ: ৫২) ১০ উইকেটের জয় তুলে নেন বিনা বাধায়।



দঃ আফ্রিকার বিপক্ষে সানোয়ার হোসেনের একটি শট।





দঃ আফ্রিকার বিপক্ষে খালেদ মাহমুদের একটি শট।

ম্যাচের ফলাফল জানতে ক্লিক করুন।



কির্ম্বালিতে আবারো নিউজিল্যান্ডের কাছে ৭ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। এবারে পাইলট টস জিতলেও ম্যাচ জিততে পারেনি। প্রথমে ব্যাট করে ১৯৮ রান করে ৭ উইকেটে। আশরাফুল করেন ৫৬ এবং রফিক অপরাজিত ৪১ রান। তবে জয়ের জন্য তা ছিল নিতান্তই অপ্রতুল। কিউইদের ১৯৯ রান করে জয় তুলে নিতে খুব একটা কষ্ট পেতে হয়নি।



নিউজিল্যান্ডের স্টাইরিসের সাথে আকরাম খানের করমর্দন।



পাইলটের একটি শট।

ম্যাচের ফলাফল জানতে ক্লিক করুন।



৮ম বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে কেনিয়াকেও হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। জোহানেসবার্গে টস জেতা কেনিয়ার আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২১৭ রানের সমুচিত জবাব দিতে ব্যর্থ হয় পাইলট বাহিনী। লড়াই করতে হেরে যায়। ১৮৫ রানে বাংলাদেশ ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। তুষার ইমরান ৪৮ ও আকরাম খান ৪৪ রান করলেও তা কোন কাজেই আসেনি।



বাংলাদেশের বিপক্ষে কেনিয়ার হিতেশ মোডির একটি শট।

ম্যাচের ফলাফল জানতে এখানে ক্লিক করুন।



৮ম বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খালেদ মাসুদ পাইলট ৬ ম্যাচে সর্বাধিক ৯৯ রান করেন এবং খালেদ মাহমুদ সুজন সর্বাধিক ৬টি উইকেট নেন।



৮ম বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করে দেশে ফেরে। বৃষ্টির কল্যাণে ১ পয়েন্ট পায়। কেনিয়া, কানাডার বিপক্ষেও জিততে পারেনি। ১০ উইকেটে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে শ্রীলঙ্কা ও দ. আফ্রিকার কাছে। এই ব্যর্থতা আগের বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বিজয়ের স্বাদকে তেতো করে দিয়েছে।





আজ এ পর্যন্তই আগামী পর্বে বাংলাদেশের ২০০৭ বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা করব। প্রতিদিন রাত ১০ টার পর পর্ব গুলো ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করা হবে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪০

অণুষ বলেছেন: ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোন ভিডিও কোথাও খুঁজে পাইনি। যদি কারো কাছে ম্যাচগুলোর ভিডিও লিঙ্ক থাকে তাহলে কমেন্ট করার অনুরোধ রইল। আমি সেগুল সংযোজন করে দেব।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০২

সুমাইয়া আলো বলেছেন: অসাধারণ সব পোস্ট গুলো হয়েছে আপনার।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

অণুষ বলেছেন: ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করুম না :P

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

সুমন কর বলেছেন: চলুক.............

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৮

অণুষ বলেছেন: অভিনন্দন আমার ব্লগে। পাশে থাকুন।

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আগামি পর্বের অপেক্ষায়।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১১

অণুষ বলেছেন: আন্তরিক স্বাগতম। :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.