নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অণুষ

অণুষ

কখনো নিজেকে মানুষ মনে হয়, আবার কখনো ক্ষুদ্র অণুজীবের চেয়ে নিকৃষ্ট মনে হয়। তাই আমি অণুষ

অণুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প। (পর্ব-৫)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০০

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে টাইগারদের গল্প শিরোনামে ৬ পর্বের ধারাবাহিক পোস্টের পঞ্চম পর্ব। বিশ্বকাপে টাইগারদের সম্পর্কে জানা অজানা অনেক তথ্য নিয়ে আলোচনা করব। বাংলাদেশ দলের ১৯৯৯ বিশ্বকাপ থেকে ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিশ্বকাপ নিয়ে থাকবে ধারাবাহিক আলোচনা।

এই সিরিজের অন্যান্য পর্বগুলোঃ
বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-১)
বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-২)
বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-৩)
বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-৪)

আগের পর্বগুলোতে আমরা বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপে অভিযান, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ বিশ্বকাপে টাইগারদের গল্প নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজ থাকছে টাইগারদের বিশ্বকাপ ২০১১।


২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ স্কোয়াড

১০ম বিশ্বকাপঃ যৌথ আয়োজক বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা ২০১১
বাংলাদেশ দলঃ

১ সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক)
২ তামিম ইকবাল
৩ ইমরুল কায়েস
৪ জুনায়েদ সিদ্দিকী
৫ শাহরিয়ার নাফীস আহমেদ
৬ রকিবুল হাসান
৭ মোহাম্মদ আশরাফুল
৮ মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক)
৯ নাঈম ইসলাম
১০ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ
১১ আব্দুর রাজ্জাক
১২ রুবেল হোসেন
১৩ শফিউল ইসলাম
১৪ নাজমুল হোসেন
১৫ সোহরাওয়ার্দী শুভ
কোচ: জেমি সিডন্স

২০১১ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ, ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১০ম আসর। ভারত, শ্রীলঙ্কার সাথে প্রথমবারের মত আয়োজক হিসেবে গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বর্নিল উদ্ভোদনী অনুষ্ঠান প্রশংসা কুড়ায় বিশ্ববাসীর।

২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

বিশ্বকাপের মাস্কটটি ২ এপ্রিল ২০১০ কলম্বোতে উন্মোচন করা হয়, যার নাম 'স্টাম্পি'। একটি প্রতিযোগিতা করে ২ আগস্ট ২০১০ এর নাম চূড়ান্ত করা হয়, যাতে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটামোদিরা। স্টাম্পি হচ্ছে ১০ বছর বয়সী তরুণ উদ্যমী হাতি।

'স্টাম্পি' ২০১১ বিশ্বকাপের মাসকট

১৪টি দল ও ৪৯ম্যাচের টুর্নামেন্টের ৮টি ম্যাচ হয় বাংলাদেশে। বাংলাদেশের অর্জন তেমন না হলেও একেবারে খারাপও হয়নি। কিন্তু আমাদের মত ক্রিকেট প্রেমী কিছু সমর্থকের মনের খোরাক মেটাতে পারেনি। আমাদের প্রত্যাশা ছিল আরো অনেক বেশি। তারপরও বাংলাদেশ অসাধারণ নৈপুন্য দেখিয়েছে। উদ্ধোধনী খেলায় ভারতের কাছে ৮৭ রানে হারলেও বাংলাদেশ সে ম্যাচে করেছিল ২৮৩ রান। আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও নেদার‌্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি। তাইতো সমান সংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের জায়গা দখল করে। বাংলাদেশ কিছুটা আশার আলো দেখালেও দক্ষিন আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাদের কাছে এতো বিশাল ব্যবধানে না হারলে এই ছয় পয়েন্ট নিয়েই হয়তো কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ খেলতে পারতো। এমনটা কেউই আশা করেনি যে, দক্ষিন আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে এত বাজে খেলবে।

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১, দিনটি ছিল শনিবার। বাংলাদেশ বনাম ভারতের দিবারাত্রি ম্যাচটি দিয়ে মাঠে গড়ায় ২০১১ বিশ্বকাপ ক্রিকেট। এটি ছিল ওয়ানডে ক্রিকেটের ৩১০০ তম ম্যাচ। টস জিতে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে ব্যাট তুলে দেন সাকিব আল হাসান। ২৮ রানে শচীন টেন্ডুলকারকে রান আউটের শিকার করে ফিরিয়ে দিতে পারলেও অপরপ্রান্তে রীতিমত বিভীষিকা হয়ে দেখা দিয়েছিল শেভাগ সাকিবের বলে বোল্ড হবার আগে ১৪ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কার সাহায্যে শেভাগের ব্যাক্তিগত রান ১৭৫, ভারত চলে গেছে রানের পাহাড়ের চুড়ায় স্কোর তখন ৩৫৫। ভিরাট কোহলির ৮৩ বলে অপরাজিত ১০০ রানের পুঁজিতে ভারতের সংগ্রহ গিয়ে দাড়ায় ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৭০।

রানের পাহাড়ে চাপা পড়া বাংলাদেশ শুরুটা ভালোই করেছিল। দলের ৫৬ রানের মাথায় আউট হন ইমরুল কায়েস(৩৩ বলে ৩৪)। জুনায়েদ কে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন তামিম। দলের ১২৯ রানে ৫২ বলে ৩৭ রান করে স্ট্যাম্পিং এর শিকার হন জুনায়েদ। এবার সাকিব কে নিয়ে হাল ধরেন তামিম। মুনাফ প্যাটেলের বলে যুবরাজের ক্যাচে পরিনত হবার আগে ৩ বাউন্ডারি আর ১ ছয়ের সাহায্যে তামিমের স্কোর তখন ৮৬ বলে ৭০। দল তখন ১৮৮ রানের টলমলে স্কোরের উপর। মুশফিক কে সঙ্গী করে দলের তরী চালাতে থাকেন সাকিব। দলীয় ২৩৪ আর নিজের ৫৫ রানের মাথায় সাজ ঘরে ফিরে যায় সাকিব। তারপর থেকে সেই চিরাচরিত নিয়মে ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়া। বাংলাদেশের রথ থেমে যায় ২৮৩ রানে।
প্রথম ম্যাচে ৮৭ রানের বিশাল হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।

৮৬ বলে ৭০ করার পথে তামিম
ম্যাচের ফলাফল জানতে এখানে ক্লিক করুন।

২০১১ বিশ্বকাপ আসরের নবম ম্যাচ, ওয়ানডে ইতিহাসের ৩১০০৮ তম। ২৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মিরপুরে দিবারাত্রির ম্যাচটিতে ঢল নামে টাইগার ভক্তদের। আগের ম্যাচে হারলেও এ ম্যাচে হতাশ করেন নি টাইগার রা।
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সাকিব। তামিম (৪৪), মুশফিক (৩৬) আর রকিবুলের (৩৮) এর উপর ভর করে বাংলাদেশ ৪৯.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে তুলে নেয় ২০৫ রানের স্কোর।

২০৬ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে সফিউলের তোপের মুখে পরে আইরিশরা। সফিউল তুলে নেন ২১ রানে ৪ উইকেট। সাকিব ও আশরাফুল পান ২ টি করে উইকেট। আয়ারল্যান্ড থেমে যায় ১৭৮ রানে। ২৭ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয় তামিম।

বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ
ম্যাচের ফলাফল জানতে এখানে ক্লিক করুন।

দিনটি ছিল শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০১১ বিশ্বকাপের ১৯ তম দিবারাত্রির ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য বিশাল লজ্জা অপেক্ষা করছে তা কেউ কল্পনা করতে পারেনি। গ্যালারি ভর্তি দর্শকের সামনে নাকানি চুবানি খায় টাইগাররা। লজ্জাজনক ১৮.৫ ওভারে ৫৮ রানে মাত্র ৯০ মিনিটে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
জুনায়েদ (২৫), আশরাফুল (১১) ছাড়া কেউই আর দুই অংকের ঘরে পৌঁছতে পারেনি। সুলেমান বেন একাই নেয় ৪ উইকেট। ক্রেমার রোচ, ড্যারেন সামি নেন ৩ টি করে উইকেট।
জয়ের জন্য ৫৯ রানের মামুলি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১২.২ ওভারে ৪৪ মিনিটেই জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয় ক্রেমার রোচ।

বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের হাইলাইট
ম্যাচের ফলাফল জানতে ক্লিক করুন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লজ্জাজনক হারের তিক্ততা হজম করে বিশ্বকাপের ২৮ তম ম্যাচে ১১ মার্চ শুক্রবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামে টাইগাররা।
দিবারাত্রির ম্যাচটিতে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানায় সাকিব আল হাসান। জোনাথন ট্রটের ৬৭, আর মরগানের ৬৩ রানে ভর করে ইংল্যান্ড ৪৯.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২২৫ রান।
ইমরুল কায়েসের ১০০ বলে ৬০ রানের উপর ভিত্তি করে ৪৯ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় তুলে নেয়। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ যথারিতি ইমরুল কায়েস।

বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ডের ম্যাচ।
ম্যাচের ফলাফল জানতে ক্লিক করুন।

চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৪ মার্চ সোমবার আগের ম্যাচের জয়ের আনন্দের সাথে আরো একটি জয়ের পালক যোগ করতে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ।
টস জিতে নেদারল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে দোয়েসচেতের ৭১ বলে ৫৩ রানে দাড়িয়ে তারা ৪৬.২ ওভারে সংগ্রহ করে ১৬০ রান। রাজ্জার ২ মেডেন সহ ২৯ রানে নেন ৩ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কায়েস ১৬৭ বলে ৭৩ রানের সাথে বাংলাদেশ ৪১.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।

বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ডের ম্যাচ।
ম্যাচের ফলাফল জানতে ক্লিক।

১৯ মার্চ মিরপুরে কেউ ভাবতেই পারেনি বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে আরো একটি লজ্জার। বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আফ্রিকা।
৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮৪ রান সংগ্রহ করে দ. আফ্রিকা। ক্যালিস ৬৯, আমলা ৫১ , ডু প্লেসিস ৫২ রান করে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপের মুখে পড়ে টাইগাররা। সাকিব আল হাসানের ৩০ রান ছাড়া আর কেউই দুয়ের ঘরে পৌঁছতে পারেনি।


ম্যাচের ফলাফল জানতে ক্লিক করুন।

প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির মাঝে বাংলাদেশের ২০১১ প্রাপ্তি, এই বিশ্বকাপে আয়োজকের সন্মান অর্জন করে বাংলাদেশ।

আজ এ পর্যন্তই আগামী পর্বে বাংলাদেশের ২০১৫ বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা করব। প্রতিদিন রাত ১০ টার পর পর্ব গুলো ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করা হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০০

সুমন কর বলেছেন: চলুক..............

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০২

অণুষ বলেছেন: আগামিকাল শেষ পর্ব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.