![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে টাইগারদের গল্প শিরোনামে ৬ পর্বের ধারাবাহিক পোস্টের পঞ্চম পর্ব। বিশ্বকাপে টাইগারদের সম্পর্কে জানা অজানা অনেক তথ্য নিয়ে আলোচনা করব। বাংলাদেশ দলের ১৯৯৯ বিশ্বকাপ থেকে ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিশ্বকাপ নিয়ে থাকবে ধারাবাহিক আলোচনা।
এই সিরিজের অন্যান্য পর্বগুলোঃ
বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-১)
বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-২)
বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-৩)
বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-৪)
বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-৫)
আগের পর্বগুলোতে আমরা বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপে অভিযান, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭,২০১১ বিশ্বকাপে টাইগারদের গল্প নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজ থাকছে টাইগারদের বিশ্বকাপ ২০১৫।
২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ স্কোয়াড
১১তম বিশ্বকাপঃ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ২০১৫
বাংলাদেশ দলঃ
১ মাশরাফি বিন মর্তুজা (অ)। জার্সি নংঃ ০২
৭৫ সাকিব আল হাসান (সঃঅঃ)। জার্সি নংঃ ৭৫
২৯ তামিম ইকবাল। জার্সি নংঃ ২৯
৬৬ এনামুল হক বিজয়। জার্সি নংঃ ৬৬
১১ সৌম্য সরকার। জার্সি নংঃ ১১
৬৮ মমিনুল হক। জার্সি নংঃ ৬৮
১৫ মুশফিকুর রহিম (উই)। জার্সি নংঃ ১৫
৩০ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। জার্সি নংঃ ৩০
৬৯ নাসির হোসেন। জার্সি নংঃ ৬৯
১ সাব্বির রহমান। জার্সি নংঃ ০১
৩ তাসকিন আহমেদ। জার্সি নংঃ ০৩
৪ আল-আমিন হোসেন। জার্সি নংঃ ০৪
৩৪ রুবেল হোসেন। জার্সি নংঃ ৩৪
৬ আরাফাত সানি। জার্সি নংঃ ০৬
১২ তাইজুল ইসলাম। জার্সি নংঃ ১২
কোচ: চণ্ডিকা হাতুরুসিংহা
ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যেমন সাফল্যের গল্প রয়েছে, তেমনি রয়েছে ব্যার্থতার করুন কাহিনী। কখনো লাল-সবুজের পতাকা কখনো উড়েছে স্ব-দর্পে। কখনো বা মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লাল-সবুজের পতাকাধারীদের। তাই আসন্ন ২০১৫ বিশ্বকাপে পুঁজি বাড়াতে চাইবে বাংলাদেশ। একাদশতম বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে নাম লেখাতে ধারাবাহিকতার সাথে অন্তত বড় একটি জয় চাইবে মাশরাফি বিন মুর্তজা বাহিনী। খোঁজ করবে অধরা সেঞ্চুরিরও।
ক্রিকেট বিশ্বকাপে ২৫টি ম্যাচ খেলে ১৭টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। আর জয় নয়টিতে। মহাযজ্ঞে সাফল্যের হার বিবেচনায় যা নবম সর্বোচ্চ। ৫৫ জয় নিয়ে সবার সামনে আছে অস্ট্রেলিয়া। ৩০ জয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৯ জয়ে তৃতীয় স্থানে ইংল্যান্ড। ৩৮ জয়ে চতুর্থ স্থানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৯ জয়ে পঞ্চম স্থানে ভারত। ৩৬ জয়ে ষষ্ঠ স্থানে পাকিস্তান। ৪০ জয়ে সপ্তম স্থানে নিউজিল্যান্ড। ৩১ জয়ে অস্টম স্থানে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের ঠিক পরে দশম স্থানে আয়ারল্যান্ড। একাদশতম স্থানে কেনিয়া। আর ১২তম স্থানে জিম্বাবুয়ে।
২০১৪ সালে ব্যার্থতার করুন তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে বছরের শেষ দিকে জিম্বাবুয়েকে ৫-০ হোয়াইট ওয়াস বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাসের পালেও হাওয়া লাগায়।
সমস্যাটা অবশ্য অন্যখানে। চার বছর ধরে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ভ্রমণ করেনি বাংলাদেশ। অথচ আসন্ন ২০১৫ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেই দুই স্বাগতিক দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ছাড়াও ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মতো দলের মোকাবেলা করতে হবে মাশরাফি মুর্তজা বাহিনীকে। বিশ্বকাপের দুই আয়োজক দেশই এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার। শ্রীলঙ্কাকেও ফেলে দেয়া যাচ্ছে না। চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ইংল্যান্ডকে ভাবা হচ্ছে ‘অবিস্ফোরিত শক্তি’ হিসেবে। সুতরাং এই বিগফোরকে পেছনে ফেলে সুপার এইটে ওঠা বাংলাদেশের জন্য এক প্রকার অসম্ভবকে তাড়া করাই! যদিও আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডকে প্রত্যাশিতভাবে হারায় টাইগাররা।
শঙ্কার বিষয় আছে আরও। আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ড প্রত্যেকেই এক মাসের বেশি সময় ধরে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করছে। আর স্থানীয়দের সহায়তায় বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নিচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের পেস বোলাররা বিশেষ সাহায্য পেতে পারে এই কন্ডিশনিং ক্যাম্প থেকে। উপরন্তু শাপুর জর্দান ও মোহাম্মদ নবীদের জন্য বাড়তি পাওয়া গেল এশিয়া কাপেই বাংলাদেশের মাটিতে মুশফিক বাহিনীকে হারিয়েছে তারা। তারপরও অবশ্য সব শেষ হয়ে যায় না। কিছু আশা থাকেই। বাংলাদেশেরও আছে। সেটা হলো ৫০ ওভারি ক্রিকেটে টাইগাররা সবসময় সমীহ জাগানিয়া দল। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রমাণের জন্য মরিয়া থাকবে বাংলাদেশের এক ঝাঁক তরুণ। বড় মঞ্চে একটা ম্যাচই ভাগ্য বদলাতে পারে তাদের। আর বড় চার দলের একটি হারালেই জাগতে পারে তাদের সুপার এইট সম্ভাবনা।
অতীতে বাংলাদেশ যতো বারই ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে ততো বারই নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা বের করে এনেছে। গেল বছর জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে ভক্ত ও মিডিয়ার কাছে ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। এটা যদি সাকিব-তামিমদের ক্ষুধার্ত করে তোলে তবে বড় কোনো শক্তি টাইগারদের কাছে পদানত হতেই পারে। এক্ষেত্রে টেস্ট ক্রিকেটের নবীন দেশটির মূলধন ত্রিশঙ্কু সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। এর মধ্যে সাকিবকে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন ভাবা হয়। নিকট অতীতে যিনি দেশের হয়ে সবচেয়ে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেছেন। তামিমও খারাপ সময় পেছনে ফেলার আভাস দিচ্ছে। আর মুশফিক গেল বছরে দেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান ছিলেন। এবার নিয়ে টানা তৃতীয় বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছেন সাকিব, তামিম ও মুশফিক। তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলবেন মাশরাফিও, ২০০৩ ও ২০০৭-এর পর এবার। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপে সাকিব, মুশফিক ও তামিম প্রত্যেকেই গেছেন ১৫ টি করে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে। মাশরাফির থাকছে ১১ টি, মাহমুদউল্লাহর ৪ টি এবং রুবেল হোসেনের ঝুলিতে থাকছে বিশ্বকাপ ম্যাচের অভিজ্ঞতা।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৮৭ রান। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে গায়ানায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মোহাম্মদ আশরাফুল এই কীর্তি গড়েছিলেন। অর্থাৎ বিশ্বকাপে এখনো কোনো সেঞ্চুরি উপহার দিতে পারেনি টাইগার ব্যাটসম্যান। এবার সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমদের সামনে সেই আক্ষেপ মোচনের সুযোগ থাকছে। মহাযজ্ঞে তামিমের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৭০, সাকিবের অপরাজিত ৫৭, মুশফিকের অপরাজিত ৫৬।
২০১৫ সালের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে ‘এ’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের আয়োজক দুই দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডও রয়েছে একই গ্রুপে।
এছাড়া গ্রুপের অন্যান্য দেশগুলো হলো, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও বাছাই পর্বের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান লাভ করা দুই দেশ।
অন্যদিকে ‘বি’ গ্রুপে পড়েছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত ও পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও বাছাই পর্বের চতুর্থস্থান লাভকারী দেশ।
প্রথম পর্বে মোট ৪২টি খেলার মধ্যে বাংলাদেশের ম্যাচ আছে ৬টি। এর মধ্যে ১৮ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের সাথে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৫ আসরের টাইগারদের নিয়ে নানান রকম বিশ্লেষণ হয়েছে এপর্যন্ত। সেকারনে প্রত্যকেকে নিয়ে লম্বা বিশ্লেষণে যাচ্ছিনা, ব্যাক্তিগতভাবে কিছু মন্তব্য করছি।
১. তামিম ইকবাল- দেশসেরা ওপেনার। অটোমেটিক চয়েজ। দলের ভালো স্কোর করতে হলে, তাকে জ্বলতে হবে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের এখনো কোনো সেঞ্চুরি নেই। তাই সেঞ্চুরি করার আশা প্রকাশ করেছেন। হয়তো তার ব্যাট থেকেই তা দেখা যাবে।
২. এনামুল হক বিজয়- অটোমেটিক চয়েজ। দেশের অন্যতম সেরা ওপেনার। তামিম ব্যার্থ হলে টপ অর্ডারে বিজয়্ই হতে পারেন দলের ভরসা। দেশের হয়ে তামিমের মত তিনিও প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হতে চান।
৩. মমিনুল হক- অটোমেটিক চয়েজ। ৩ নম্বরে তিনি হতে পারেন দলের অন্যতম প্রধান অস্ত্র। টেস্টে অসাধারন খেললেও ওয়ানডেতে খুব ভালো ইনিংস খেলতে পারেন নি। এবার হয়ত তাই দেখা যাবে।
৪. সৌম্য সরকার- মাত্র ১ ওডিআইতে সুযোগ হয়েছে তার। প্রিমিয়ার লিগের পারফরমেনসের জন্য তিনি রয়েছেন বিশ্বকাপ দলে। মূলত ওপেনিংয়ে তাকে ব্যাটিং করতে দেখা যায়। তবে দলের জন্য তিনি অন্য জায়গায়্ও ব্যাট করতে পারবেন তিনি। সেক্ষেত্রে তিনি হতে পারেন তামিম, বিজয় ও মমিনুলের ব্যাক আপ। অভিজ্ঞ ইমরুলের সাথে লড়াই করে দলে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তার পেস বোলিঙ্গটাও হতে পারে দলের জন্য বোনাস।
৫. মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ- অটোমেটিক চয়েজ। মিডল অর্ডারে অন্যতম প্রধান ভরসা। দলে বড় স্কোর গড়তে তার ফর্মে থাকা আবশ্যক। তিনি হতে পারেন দলের অন্যতম প্রধান অস্ত্র।
৬. সাকিব আল হাসান- সাকিব ভাইকে নিয়ে বিশ্লেষনের দরকার নাই। নাম শুনলেই বিপক্ষের দল ভয় পেয়ে যায় আরকি।
৭. মুশফিকুর রহিম- অটোমেটিক চয়েজ। দলে আপাতত তার কোনো বিকল্প নাই। হতে পারেন দলের
অন্যতম প্রধান কান্ডারি। দলের প্রয়োজনে তিনিই হতে পারেন ব্যাটিং স্তম্ভের ভরসার এক নাম।
৮. সাব্বির রহমান- দলের নতুন এক ফিনিশার। দারুণ খেলেছেন জিম্বাবুয়ে সিরিজে। ফর্ম দেখিয়েছেন প্রিমিয়ার লিগেও। বল হাতেও তিনি বের করতে পারেন বেশকিছু উইকেট্ও। তাই তিনি হতে পারেন বিশ্বকাপের সারপ্রাইজ।
৯. নাসির হোসেন- আমার মনে হয় নাসিরকে দলে নেয়ার সিদ্ধান্তটা নির্বাচকদের নেয়া একটা সেরা সিদ্ধান্ত। নাসিরকে জাতীয় দলে এখনো প্রয়োজন রয়েছে। নাসির হয়তো তার ফিনিশিং দিয়ে দলকে বেশকিছু জয় উপহার দিতে পারবেন।
১০. তাইজুল ইসলাম- রেকর্ডম্যান। হতে চান বিশ্বকাপের সেরা দশ বোলারের একজন। হয়তো তিনি হতে পারেন দলের জন্য এক তুরুপের তাস।
১১. আরাফাত সানি- অসাধারন একজন বোলার। দলের প্রয়োজনে হতে পারেন দলের অন্যতম সেরা বোলার। হতে পারেন সফলদের একজন। তিনি মূলত হতে পারেন তাইজুলের ব্যাক আপ।
১২. মাশরাফি বিন মর্তুজা- দলপতি। অটোমেটিক চয়েজ। দলে তার বিকল্প নাই। পেস এটাকের প্রধান ভরসা। তাই তিনি হতে পারেন বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা বোলার।
১৩. তাসকিন আহমেদ- অটোমেটিক চয়েজ। তার মতো গতিসম্পন্ন বোলার পাওয়া সৌভাগ্যের। মাশরাফির সঙ্গে তার বিকল্প নাই। বিশ্বকাপে তিনি বিশ্বের কাছে পরিচিত হতে চান, হয়তো এবার তাতে সফল হবেন তিনি। তাই তিনি হতে পারেন দলের ট্রাম্প কার্ড।
১৪. আল আমিন হোসেন- স্লগ ওভারে দুর্দান্ত। গত এক বছরে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পারফর্মার। ছিলেন বেশ ধারাবাহিক। জিম্বাউয়ে সিরিজে ভালো করতে পারেন নি, তাই দল থেকে বাদ্ও পড়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপ দলে ঠিক্ই জায়গা করেছেন তিনি। বিশ্বকাপে মাশরাফি-তাসকিন-আল আমিন ত্রয়ী হতে পারে অন্যতম ভয়ংকর ত্রয়ী
১৫. বিশ্বকাপে দলে ডাক পাওয়ার আগে নানা সমালোচনায় সমালোচিত হতে হয়েছে দেশ সেরা এই পেসারকে। তারপরেও নিজের যোগ্যতার কারনে দলে যায়গা করে নিয়েছেন তিনি। সবার আশা বিশ্বকাপে নিজেকে মেলে ধরে নিজেকে আলোকিত করবেন।
বিশ্বকাপে টাইগাররা কখনো আমাদের আনন্দে নাচিয়েছে, কখনো চোখের কোণ জলে সিক্ত করিয়েছে। ব্যার্থতার ভারে মাথা নুয়ে পড়লেও ১৬ কোটি বাঙালি আকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে গেছে। সমর্থন দিয়ে গেছে সবসময়। যার যার জায়গা থেকে ভালোবাসার মাধ্যমে সমর্থন দিয়ে উৎসাহিত করেছে বাংলার জনগন। মাঠে, মাঠের বাইরে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে সাবাই।
বাংলাদেশের শিল্পীরা টাইগারদের উৎসাহ দিতে ২০১৫ বিশ্বকাপের জন্য থিম সং গেয়েছেন। ইন্টারনেট ঘেঁটে বাংলাদেশি শিল্পীদের গাওয়া ২০১৫ বিশ্বকাপের থিম সংগুলোর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি।
১৮ জানুয়ারি ২০১৫, বাংলানিউজ২৪.কম "বুকের ভিতর বাংলাদেশ" গানটি প্রকাশ করে। গানটিতে সুর করেছেন আরেফিন রুমি।
গ্রামীণফোনের সৌজন্যে ''চলো বাংলাদেশ" গানটিতে কম্পোজিশন করেছেন হাবিব ওয়াহিদ। গানের কথা লিখেছেন মো. আমিন।
"প্রিয় বাংলাদেশ" গানটি ফায়সাল রাব্বিকিন এর লেখায় রাফি মুহাম্মদের কম্পোজিশনে কাজি শুভ'র সুরে গেয়েছেন কাজী শুভ, রাফি মুহাম্মদ এবং সাজিদ।
ইলিয়াস হোসাইনের কম্পোজিশনে, শিশির আহমেদ শুভ'র ডিরেকশনে বাপ্পি আরনাফের সুরে "জিতবে ওরা জিতবে" গানটিও বেশ চমৎকার হয়েছে।
শাহেদ, আদনান, ফারাবি, তুষারের "মার ছক্কা" গানটি যে কারো মন কেড়ে নিবে।
এফ. এ. সুমনের কম্পোজিশন করা "বাংলাদেশ" গানটি হয়তো অনেককেই ছুয়ে দিবে।
শুনতে পারেন "সাবাস বাংলাদেশ"গানটি।
জয়-পরাজয় যাই হোক আমরা সবসময় তোমাদের পাশেই আছি। জানি, হারলে তোমারা আমাদের চেয়ে বেশি কষ্ট পাও। হয়তো আবেগে আমরা একটু অভদ্র আচরণ করি তোমাদের সাথে। রাগ করোনা, আমরা তোমাদের ভালোবাসি। আমাদের অনেক স্বপ্নই তোমরা পূরণ করেছো, বাঘা বাঘা দল গুলোকে ভু-লুণ্ঠিত করেছ। আমরাও তাই স্বপ্ন দেখা শুরু করেছি ক্রিকেট বিশ্বে রাজত্ব করবো আমরাই। বিশ্বকাপটাকে নিজেদের বলে দাবি করবো। বিশ্বাস করি ১৬ কোটি বাঙালীর এই স্বপ্ন তোমরা একদিন পূরণ করবেই। লালা-সবুজের পতাকা উড়বে সবার উপরে।
চলো বাংলাদেশ...... চলো বাংলাদেশ। আমরা ১৬ কোটি বাঙালি তোমাদের সাথেই আছি।
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: খেলোয়াড়দের চরিত্র বিশ্লেষণ পড়ে আপনাকে একটু বেশি আশাবাদী মনে হলো।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১১
সুমন কর বলেছেন: এবারের পোস্টটি বিশ্লেষণমূলক হওয়াতে ভাল লাগল।
চলো বাংলাদেশ...... চলো বাংলাদেশ। আমরা ১৬ কোটি বাঙালি তোমাদের সাথেই আছি।
১+।