চোরাই মার্কেট থেকে কেনাকাটা═ ইসলাম কী বলে?

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

কম দামে ভালো মাল পাওয়া যায় চোরাই মার্কেটে! মোবাইল, পিসি, ঘড়ি, জুতোসহ অনেক কিছুই পাওয়া যায় এখানে। প্রত্যেক এলাকাতেই আছে একটা করে চোরাই মার্কেট। কম দামে ভালো মাল পেতে অনেকেই আসেন এ মার্কেটে। না বন্ধুগণ, চোরাই মার্কেটের ফজিলত বয়ান করা আমার উদ্দেশ্য নয়, একটি মাসআলা বলব।

একটি পণ্যের ক্রয় বিক্রয় শুদ্ধ হওয়ার জন্য প্রথম শর্ত বিক্রেতা সেই পণ্যের মালিক হওয়া বা মালিকের প্রতিনিধি হওয়া।

১ম বিক্রি] চোর চুরি করার পর মার্কেটে তার পরিচিত দোকানির কাছে বিক্রি করে। এ বিক্রিটা স্থগিত থাকবে মালিকের অনুমতির উপর যদি সে মেনে নেয় তাহলে তো হল অন্যথায় তা অশুদ্ধ অবস্থায় থেকে যাবে।

২য় বিক্রি] একজন ক্রেতা এসে দোকানির কাছ থেকে এমন পণ্য কিনে যে পণ্যটি বিক্রেতা 'বাইয়ে মাওকুফের মাধ্যমে হস্তগত করেছে। বিধায় এখনকার বিক্রয়টা মাওকূফ আলাল মাওকূফ বা স্থগিত পণ্যের লেনদেন হল যা একেবারেই অবৈধ! এ পণ্যের ব্যবহার ক্রেতার জন্যে হারাম হবে। এ কথা বলার সুযোগ তার নেই যে, আমি টাকা দিয়ে কিনেছি এটার মালিক আমি, কেনো হারাম হবে? কারণ, আপনার কেনাবেচা শুদ্ধ হয় নি। পণ্য ফেরত দিয়ে মূল্য নিয়ে নেওয়া ওয়াজিব। মনে রাখতে হবে, যিনি পণ্যের আসল মালিক তিনি যদি খোঁজ পান যে, জিনিসটা আপনার কাছে আছে তাহলে তাঁর পূর্ণ অধিকার আছে যে, সে আপনার কাছ থেকে তা কেড়ে নিতে পারবেন═ বাধা দেয়ার কোনো অধিকার আপনার নেই। তবে হ্যাঁ, আপনি দোকানি থেকে টাকা ফেরত নিতে পারবেন।



আমরা যদি চোরাই মার্কেটে লেনদেন বন্ধ করি তাহলে দেখবেন সমাজে চুরি ছিনতাই আস্তে আস্তে কমে আসছে; যা আমরা সবাই চাই।

আসুন চোরাই মার্কেট বয়কট করি চোরমুক্ত সমাজ গড়ি।

০ টি +০/-০