![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই জন্মে এবং এরপরের জন্মেও (যদি সত্যি নতুনকরে আবার জন্মানোর সুযোগ দেন করুণাময় আমাকে,) আমি কেবল একজন কবি-ই হতে চাইব
কবি না জল্লাদ বলো
(দ্বৈতকাব্য)
১
তোমরা আমাকে কবি বললে,
অথচ আমি নিজেকে ভাবি
দাগী পিশাচ ছাড়া কিছুই ভাবতে পারি না।
বিষব্যথার জন্ম দিয়ে,
মানবতার মুখোশে আমি কাব্যিকতা
করি, আসলে আমি কবি না।
কবি হিশেবেই তোমরা আমায়
মনে রেখো-
তোমাদের ভালোবাসা আর করুণা 'পরে
ছাদ বিহীন জীর্ণ কুঠিঘরে,
আমি জেগে থাকি,
বন্ধ দুচোখে তারার স্বপ্ন নিয়ে,
যদি কোনদিন তারা হই, মিটিমিটি
এক আকাশ আঁধার ঘিরে,
আমি তোমাদের প্রতিটি হাসিতে উচ্ছলি
মহাআনন্দে, জন্ম থেকে জন্মান্তরে গিয়ে।
২
কেউ না জানুক,
তোমরা জানো, ব্যাথার কবিতা কি?
কিকরে ব্যথারা মাঝে মাঝে অদ্ভুত
আচরণ করে, নিশিতে হুতোম স্বরে
কেন হঠাত হঠাত কেঁদে ওঠে?
কেন ব্যথারা দিবসের রোদে
অন্ধ হয়ে বন্ধ থাকে ভেজা ডালে,
খিড়কি বন্ধ রুমে এসে বাতাস
কাটা ঘুড়ির মত গোত্তা খেয়ে ছুটে?
কখন ব্যথারা মনের অলিন্দ পেড়িয়ে
সবুজ মাঠের স্বপ্নে পলাতক,
ঘন ছায়ার পাটিতে স্বপ্ন বুননে
নববধুর কাজলআঁকা চোখ
কিসের নেশায় ভিজে ওঠে কখন?
নোলক টপকে পাটিতে তিলক
আঁকে, যে ব্যথারা, তারা কি সন্তান
হয়ে জন্মায় কখনো খাতায়?
বসন্তের পর পাতায় যে পুলক
জাগে, তাতে কি শুধুই বিভা?
নাকি বিষাদের দাগ থাকে
পাতার শরীরে, শিরার মত যে!
নদীতে ভাঙ্গন(ভাটা)জাগে, ক্রোধে
কেন ছেপে ওঠে তীর,
ব্যথা ছাড়া বুঝি এমনি এমনি?
সবার কথা নিয়ে কবিতারা
হয়ে ওঠে ছবিশরীর।
ছায়ার গন্ধের মত অষ্ফুট, অঘ্রাণের
মত শাদা তুলোর মেঘেরা
ভেসে গেলে এক ঝাঁক
আমার জীর্ণ কুটিরে কবিতার
কোকিলেরা ফিরে আসে ঠিকঠাক।
লেখার কালি ধুয়ে বন্যার
অশুদ্ধ পানিতে, ভেসে চলে
কবিতা, যেগুলি এখনো লেখা হয়নি।
বন্যা নেমে গেলে,
গেরস্থের ভাঙ্গা ঘর আবার উঠলে,
নদীতে আবার জোয়ার এলে,
কিশোরের ভেজা খাতা শুকালে
সকালের খোলা রোদে,
ব্যথারা সব চলে এলে এপারে
ওপার শংকামুক্ত হলে,
তবে এপারে বসবে উৎসব কবিতার-
ব্যথা, ব্যথা, চিৎকার আর
মুহুর্মুহু হত্যার বিজেতার
ক্রন্দন ধ্বনি। কবিতা হবে তখনি।
তোমরা অামায় কবি বলো না
জল্লাদ বলো। জল্লাদ।
০৪.৩০ বিকাল
১২/০২/১৪, মালিবাগ
©somewhere in net ltd.