![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই জন্মে এবং এরপরের জন্মেও (যদি সত্যি নতুনকরে আবার জন্মানোর সুযোগ দেন করুণাময় আমাকে,) আমি কেবল একজন কবি-ই হতে চাইব
ইনসিডিআস ও গণতন্ত্র
শৈশবের প্রথম স্বরভাঙাঘুম থেকে
আমি তোমাকে চেয়েছি,
তোমার প্রতিটি নাড়াচাড়ার সাথে আমার
শৈশবের মুহূর্তগুলো উন্মুখর প্রতিদিন,
দারূণ প্রত্যাশায় ক্লান্ত, বিকাল
টুংটাং আওয়াজে তোমার সাইকেলের শব্দ,
আমার বুকে হারমোনিয়ামের আঘাত করে
প্রেমের অগ্নি জাগিয়ে তোলে।
তোমার স্মৃতি হাতড়ে আমি আজো
চিরতরূণ হয়ে থাকি-
প্রথম প্রেমের উন্মাদনায়।
এরপর ধীর অতিবাহিত গরম-শীত,
বৃষ্টি-বসন্তের-
প্রিয় মুহূর্তগুলোয় চেয়েছি তোমাকে পাশে
কল্পনার চোখে তোমাকে দিয়েছি উষ্ণতা
বাড়ন্ত চূর্ণকুন্তলে তোমার সমস্ত রূপ, প্রদীপের মাখনআলোয়
তোমার দেহাবরণ, আমি এর চাইতেও ভালো তোমাকে তখন
আঁকতে পারি, তুমি যদি হতে আমার
ভালোবাসার সারথি।
চিত্রকলা শিখতে গিয়ে বারবার তোমার কথা মনে পড়েছে।
আমি তোমার একটা ছবি করবো,
তোমাকে জীবন্ত করে তুলব রংতুলিতে
নাকি তুমি চিত্রকর হতে চেয়েছিলে বলে আমিও,
তুমি চিত্রকর হওনি শেষে।
নিজের সাথে বেঈমানি করে তুমি কি
আসলে ভুল করোনি তো?
আমি আজ বাংলাদদেশের প্রথম শ্রেণির চিত্রকর।
যখন যা খুশি আঁকতের পারি,
মৃতকে জীবন দিতে পারি,
ঘটনাকে ছবি বানিয়ে ভাসিয়ে দিতে পারি তরঙ্গে
অকাট সত্যকে ধ্বসিয়ে দিতে পারি রানাপ্লাজার মত নিরঙ্কুশে,
বিরোধিদলীয় নেতাদের হাওয়াই মিঠাইয়ের মত
উড়িয়ে দিই বাতাসের গায়ে।
কিন্তু আমি শুধু এখনো পারি না
একটু ছুৃঁতে।
শরীরের গরম স্পর্শে চিরকালের মত জেগে উঠতে
শৈশবের সেই স্বরভাঙ্গা ঘুম থেকে।
ইনসিডিআসের মত এক গোপন অশরীর
বেড়ে উঠে আমার মধ্যে,
আমি প্রকৃত মিররের মধ্যে বন্দি-
শৈশবের সেই ঘুমের মধ্যেই। আমি জেগে উঠতে চাই।
তোমার একটু হাতের উষ্ণ স্পর্শ ছড়িয়ে দিবে
আমার শরীরময়?
হে গণতন্ত্র! তুমি কি আসলে প্রেমের ছলনায়
বাকশালেরই ফাঁদে পড়োনি?
তুমি সরে যেয়ো ঘুমের মত করে,
স্বপ্নের দূরত্বে-জনগণ ও সেবা থেকে।
শোষকের আবিল হাতে তুমি আবার রেঙে
উঠো না সূর্যদীঘল ভোর হয়ে।
০২.২৭রাত
১৩/০২/১৪, মালিবাগ
©somewhere in net ltd.