![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।
লেখাটা কে কিভাবে নেবেন আমি জানিনা তবে আমার লেখার উদ্দেশ্য মানবিক। আমি লিখছি আমার পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে। আজ পর্যন্ত লেখালেখি করে অনেক আজেবাজে ট্যাগ পেয়েছি তবে এখন পর্যন্ত কেউ বিএনপি বা আওয়ামীলীগের দালাল আমাকে বলেনি আর আমার পরিচিত জনেরা, বন্ধু-বান্ধবেরাও ভালো করেই জানে আমি এই দুই রাজনৈতক সংগঠনের সাথে কোনোকালে কোনোভাবেই জড়িত ছিলাম না এবং এখনো নেই। বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি নিয়ে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া বা রাজনৈতিক আবহ দেখে বহুদিন থেকে বলবো বলবো করে যে কথাগুলো বলা হয়নি তাই বলার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার লেখা রাজনীতির সাথে অনেকটা সম্পর্কযুক্ত হলেও আমি আসলে কোন উদ্দেশ্যে লিখছি তা আশাকরি লেখাটা পড়লে বুঝা যাবে।
আমার মনে হয় বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বা তাকে সামনে রেখে আবার বিএনপির সরকার গঠন অথবা সরকারের বিরুদ্ধে কোনো শক্তি গঠন করার চিন্তাভাবনাটা এই বয়োবৃদ্ধ মহিলাকে নির্যাতন করার সামিল।
তাই রাজনীতির মারপ্যাঁচ আর নোংরামি থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ দিয়ে শান্তিতে ও নির্বিঘ্নে সময় কাটাতে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। যতো যাই হোক উনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রেসিডেন্টের স্ত্রী। উনার এমন মানবেতর জীবন কাটানো কোনোভাবেই মানবিক হতে পারেনা। এখনো তো তার সন্তান জীবিত।
তার এখন যে মানসিক, শারীরিক অবস্থা তাতে রাজনীতির মাঠে নিজেকে মেলে ধরার অবস্থা নেই। উনার এখন অবসাদগ্রস্ত শরীর মন নিয়ে শান্তির বিশ্রাম প্রয়োজন।
আমি যদি আজ তারেক রহমানের জায়গায় থাকতাম তাহলে উনি আর কোনোদিন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হবেননা এই মর্মে প্রয়োজনে সরকারকে বন্ড দিয়ে হলেও সবকিছু থেকে মুক্ত করে দেশের বাইরে নিয়ে যেতাম। মায়ের চাইতে মূল্যবান পৃথিবীর আর কিছুই হতে পারেনা। কিসের দেশ আর কিসের রাজনীতি? একজন মা যদি মরার আগে শান্তিতে ছেলেপুলে, নাতিনাতনি থাকতেও তাদের সাথে সময় কাটাতে না পারেন তাহলে তার মতো দুর্ভাগা কেউ হয়না। একটা দেশের বিনিময়েও আমি মা হারাতে রাজি নই আর দেশ, কিসের দেশ? দেশের জন্য রাজনীতি করছে কারা? কোন রাজনীতিবিদ? কোন সংগঠন?
আমার কথায় অনেকের গা জ্বালা করবে তবুও বলি বেগম খালেদা জিয়াও এখন একটি নামে পরিণত হয়েছেন বা ব্রান্ডে। দেশের অনেক সাধারণ মানুষ তাকে ভালোবাসে তা অস্বীকার করার উপায় নেই তবে সেই ভালোবাসা তো তার কোনো কাজে লাগছেনা। উল্টো তিনি এখনো জীবিত আছেন এই সুযোগে উনার একমাত্র সন্তান কমিটি আর নির্বাচনি নমিশেন বাণিজ্যে হাজার কোটি টাকা ঠিকই কামাই করছেন। সংগঠনের প্রবীণদের তো তিনি আগেই শেষ করে দিয়েছেন। তিনি শুধু সংগঠনেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেননি একটা দেশ থেকে বিরোধী শক্তি বিলীনেও ভূমিকা রেখেছেন। তাছাড়া নিজের মায়ের জন্যই কী উদ্যোগ নিলেন তিনি এতোকাল ধরে নাকি কোনো একটি সংগঠিত আন্দোলনের রূপ দিতে পেরেছেন বিলেতে বসে বক্তৃতা দেয়া ছাড়া? না দেশ না মা কারো কোনো কাজে অন্তত তিনি আসেননি বিগত বহুবছর ধরে। এই অবস্থায় এখনো তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির আন্তরিক নেতাকর্মী যারা আছেন তারা যদি ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা করেন এবং বেগম খালেদা জিয়া আবার সরকার গঠন করবেন এমনটা ভাবেন সেটা হবে তাদের আন্তরিকতা থেকে সৃষ্টি আবেগি ভাবনা। সংগঠনের উপরমহলের অধিকাংশই বিএনপির নামটা মুছে ফেলেনি সুযোগের লোভে কিন্তু সরকারের ছায়াতেই আছে জীবন ও জীবিকার তাগিদে। তরুন প্রজন্মের উটতি সাংগঠনিক নেতাকর্মীরাও বুঝে গেছে কিভাবে টিকে থাকা লাগে? তাছাড়া এইদেশে আন্দোলন সংগ্রাম করাটাও চাট্টিখানি কথা নয় তা তো জানা কথাই।
খালেদা জিয়া গ্রেফতারের দিন যে সাংগঠনিকরা বাসাবাড়ির ছাদে উঠে মিছিল দিয়েছে তারা আবার যখন তাকে গণতন্ত্রের মা, রাজনৈতিক মা বলে সম্বোধন করে তখন আমার হাসি পায়। মায়ের প্রতি আন্তরিকতার লেশ তো দেখিনা শুধু সোশ্যাল সাইটে আবেগি ছবি, পোস্টার আর বক্তৃতাবাজি ছাড়া। শুধু শুধু এই বয়োবৃদ্ধ মহিলাকে নিজ দেশে নির্বাসনে ফেলে রাখাটা অন্তত আমার কাছে অমানবিক তাই কথাগুলো না লিখে পারলামনা। আমার কাছে পুরো বিষয়টাই তার সন্তান তারেক রহমানের স্বার্থপর মনোভাব মনে হচ্ছে। তিনি তার মায়ের অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতিতে নিজেকে টিকিয়ে রাখার জঘন্য মানসিকতা লালন করছেন। এখানে না দেশ না মা কোনোকিছুর প্রতিই তিনি আন্তরিক নন। সবই পয়সা কামানোর ধান্দা। নমিনেশন বাণিজ্য আর দলীয় ফান্ড যোগাড়ের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা কামানোর নীল নকশা সবকিছু।
(সৈয়দ মাহফুজ আহমেদ)
২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩২
মাহফুজ বলেছেন: তারপরেও অসংখ্য মানুষ তাকে আদর্শ ভাবে। তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে রাজনৈতিক বিপ্লবের। আসলে রাজনীতির খেলায় একদল বোকা নিবেদিত প্রাণ আর আরেকদল স্বার্থান্বেষী দুধের মাছি চিরকালই থাকে।
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও বিশ্বাস করি দেশ ও জাতীয়তাবাদের দোহাই হোল ধুর্ত রাজনৈতিকবিদদের তাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এক ধরনের ইলিউশান আব ধোকা। সেই ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ কোটি আবেগী মানুষ তাদের মহামুল্যবান জীবন হারিয়েছে ও হারাচ্ছে।
কে কিভাবে নিবে জানিনা-তবে আপনার লেখার সাথে আমি সহমত পোষন করছি।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩২
মাহফুজ বলেছেন: পারফেক্ট, ইলিউশনস অব ধোকা।
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:০৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বেগম জিয়া আপোষহীন নেত্রী এটা মরে গিয়ে প্রমান করবেন হয়তো সে আশাই আছে তারেক রহমান!
২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩
মাহফুজ বলেছেন: ঠিক তাই। এই সংলাপটা সভা,সেমিনারে বলে বলে তখন সিম্পেথি লুটবে।
৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৯
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: তারেক দেশে আসলে মায়ের কাছে যেতো দূরের কথা গো টু গুম--------
৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পোলার কথা বাদ দেন।
মা নিজেই তো ছিলেন এক 'মাছের মা'।
যিনি পোলা অসুস্থ হয়ে লন্ডন যাওয়ার পর প্রথম ৬ বছরে একবারো দেখা করেন নাই।
৬ বছরে ৬ বার ফালুকে সাথে নিয়ে ওমরা করতে গেলেও বহু সুযোগ পাওয়ার পর ও লন্ডনে কথিত অসুস্থ পুত্রকে দেখতে যান নি, তারেকও আসেনি জেদ্দায় মার সাথে দেখা করতে।
খালেদা তারেক কোকো এদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে অনেক মামলা থাকলেও বিদেশ ভ্রমনে কোন বাধা ছিল না। এরপর অনেক বছর সুযোগ পেলেও যান নি। সুধু একবার দেখা হয়েছিল আগুনসন্ত্রাস সুরু করার কিছু আগে। ২০১৪ তে খালেদার পুর্বনির্ধারিত লন্ডন সফর শেষে দায়সারা কিচ্ছুক্ষনের (ঘন্টাখানেক) 'একটি দেখা' হয়েছিল। লন্ডনের একটি হোটেলে।
আর ছোট ছেলে কোকোর সাথে একবারও দেখা করেন নি, 'মাছের মা'।
লন্ডনে বিলাসি জীবনজাপন করা বড় ভাই তারেক একবারও দেখেন নি, বা দেখতে যান নি ছোট ভাইকে।
খালেদাও একই অবস্থা। একাধিকবার থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কুয়ালালাম্পুর সফর করলে একটি বারও দেখা করেন নি কোকোর সাথে। বহু সুযোগ পাওয়ার পরও অসুস্থ কোকোকে দেখতে জাননি।
এমনকি মৃত্যুর পর লাশও দেখতেও মালয়েশীয়া যায়নি তারেক।
এ নিয়ে একটি পোষ্ট লিখে ছিলাম ৫-৬ বছর আগে view this link
বর্তমানেও একই অবস্থা। খালেদা তো জেলে নেই, বাসায়। তারেকের বউ ইচ্ছে করলেই আসতে পারে, খালেদার পাশে থাকতে পারে, আগেও এসেছে কিন্তু এখন আর খবর নেই। টু-শইব্দও নেই। কোকোর বউ তো প্রায়ই আসতো ঢাকায়। এখন নিখোজ,
চুপচাপ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৯
মাহফুজ বলেছেন: জানা ছিলো না,এতোকিছু। ধন্যবাদ।
৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: বিএনপি এখন শেষ ভরসা খালেদা জিয়ার মৃত্যু। সব নেতারা নড়েচড়ে উঠবে। যদি আওয়ামীলীগকে ঘায়েল করা যায়। সেটা সম্ভব হবে না।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২১
মাহফুজ বলেছেন: সম্ভব হবে না, সেই অবস্থানে আর নেই নিএনপি।
৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩০
মেহেদি_হাসান. বলেছেন: বেগম জিয়ার মৃত্যু সামনে রেখে বিএনপি জনগনের সিম্পথি নিবে।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২২
মাহফুজ বলেছেন: সিম্পেথির গোডাউন খুলে ফেললেও সেটা দিয়ে কোনো ফলপ্রসূ আন্দোলন হবার সম্ভাবনা নেই।
৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪
স্প্যানকড বলেছেন: ইতিহাস হতে বাকি !
৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৩
মাহফুজ বলেছেন: আমার তো মনে হচ্ছে ইতিহাস বিলীন হয়ে যাচ্ছে বিএনপির।
৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:১৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনি কী জিয়ার পরিবারকে পছন্দ করেন
৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৬
মাহফুজ বলেছেন: রাজনীতি যেহেতু করিনা সেহেতু বিএনপি পরিবারের প্রতি আমার কোনো বিশেষ আবেগ নেই তবে তুলনামূলক ভাবে আমি আওয়ামির চেয়ে বিএনপিকে কম ঘৃণা করি।
১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৭
রানার ব্লগ বলেছেন: বিএনপির নেতারা ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক সবসময়ই খালেদা জিয়া কে ব্যাবহার করেছে ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:৫২
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: খালেদা জিয়ার যেভাবে এরশাদের মতো ধূর্ত স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অভিজ্ঞতা ছিল সেরকম আন্দোলনের কোনো অভিজ্ঞতা হয় নি তারেক জিয়ার। তার সেই ঘাটতি পুষিয়ে দেয়ার সুযোগ ছিল খালেদার ক্ষমতাকালে - সে সময় তারেক যদি দুর্নীতি ও অন্যান্য অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত না হয়ে ক্লিন ইমেজ রেখে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় থাকতেন তাহলে স্বভাবতভাবেই জনগণের নিকট তার গ্রহণযোগ্যতা হতো অনেক। সবাই তাকে তার পিতার মতোই আর্থিক সততার প্রতীক হিসাবে বিবেচনায় নিতো।
দুর্ভাগ্য বিএনপির - তারেক সেই পথে না গিয়ে দুর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত হয়ে পড়ে হাওয়া ভবন নামে এক দানবীয় প্রাসাদের মাধ্যমে। জনগণ তার পরিবারকে দুইটি বাড়ি সহ অনেক কিছুই দিয়েছিলো যাতে জিয়ার পরিবারকে আর্থিক সংকটে না পড়তে হয় - কিন্তু সেই প্রাপ্তিতে তার উদোর ভরে নি। একটা মানুষের জীবনে কত সম্পদের প্রয়োজন পড়ে ? হাওয়া ভবনের মাধ্যমে চাঁদাবাজি না করলে কি তারেকের পরিবার পথে বসে যেত ?
সেই সময় তারেক এসব অর্থ-বিত্তলিপ্সা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারলে ইতিহাস হয়তো অন্য রকম হতে পারতো !