নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ পরিবর্তন উন্নয়ন পরিবর্ধনের তরে আমি নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই সর্বোপরি সমাজ ও মানুষের কল্যাণের তরেই আমি বাঁচতে চাই সবার মাঝে এবং সকল গোঁড়ামিকে ভেঙ্গে তছনছ করার প্রত্তয়ে আমার চেতনা উজ্জবিত।

আল মাহফুজ এভিন

আমি একজন সামাজিক লেখক

আল মাহফুজ এভিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনৈক প্রধানমন্ত্রী

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

জনৈক প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হইল আপনি উদারতা কাহার নিকট শিখিয়াছেন ? প্রধানমন্ত্রী বলিলেন, আমি আমার রাষ্ট্রপ্রধানের কাছ থেকে উদারতা শিখিয়াছি।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করিলেন, রাষ্ট্রপ্রধানের উদারতা সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন। প্রধানমন্ত্রী বলিলেন,
একদিন রাষ্ট্রপ্রধান তার নিজের ভবনে বসা ছিলেন, এই সময় তাহার এক কর্মচারী(দাসী) গরম তরকারীর পাত্র হাতে নিয়া কক্ষে প্রবেশ করিতেছিল। এই সময় দুর্ঘটনাক্রমে দাসীর হাত ফসকাইয়া ঐ গরম তরকারী রাষ্ট্রপ্রধানের ক্রীড়ারত শিশু সন্তানের গায়ের উপর পতিত হয়।সঙ্গে সঙ্গে শিশুটির গায়ের চামড়া ঝলসাইয়া ঘটনাস্থলেই তাহার মৃত্যু ঘটে।
এই আকস্মিক ঘটনায় কর্মচারী (দাসীটি) ভয় ও আশঙ্কায় থর থর করিয়া কাঁপিতে লাগিল।রাষ্ট্রপতি কর্মচারীকে অভয় দিয়া বলিলেন, ভয়ের কোন কারণ নাই। তুমি ইচ্ছা করিয়া আমার সন্তানকে হত্যা কর নাই।
কিন্তু তবুও তোমার কারণে যেহেতু আমার সন্তান হত্যা হয়েছে, সেহেতু আমার সম্মুখে আসিতে তোমার সংকোচবোধ হইবে এবং আমার সন্তান হত্যার উপলক্ষ তুমি এই কথা আমারও স্মরণ হইবে সুতরাং আমি তোমাকে চাকুরী হইতে অবসর দিয়া দিলাম।
অতঃপর রাষ্ট্রপতি ঐ কর্মচারীর চাকুরীকালীন সময়ের বেতন ও যতদিন তার চাকুরীর মেয়াদ সেইটা হিসাব করে সমুদয় টাকা একসাথে দিয়ে দিলেন , এবং তার পেনশনের ব্যবস্থা ও করে দিয়ে তার পর তাকে বিদায় করে দিলেন।
রাষ্ট্রপতির অনুপম উদারতার কথা প্রধানমন্ত্রী যখন বর্ণনা করছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রীর দুচোখ জলে ছল ছল করছিল।
আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী উদারতা হচ্ছে একটি লাশের বদলে দশটি লাশ ফেলে দাও ! আর রাষ্ট্রপতির উদারতা হচ্ছে নির্দোষ মানুষ জেনেও যাদের সাথে দীর্ঘ জীবনের রাজনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল তাদেরকে এক এক করে ফাসিতে ঝুলিয়ে মারা হচ্ছে দেখেও তিনি নিরব।
আমাদের দেশে অন্যায় করে মহান হওয়া যায়, ন্যায় ইনসাফের কথা বললে রাষ্ট্রদ্রোহী , জঙ্গি , রাজাকার খেতাব নিয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হতে হয়।স্বাধীনভাবে কথা বলতে দেওয়া হয় না।স্বাধীনভাবে চলতে দেওয়া হয় না।
গুম খুন হত্যা ধর্ষণ লুটপাট এগুলো নিয়মে পরিণত হয়েছে।ন্যায় ইনসাফ নির্বাসিত হয়ে গিয়েছে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

কল্লোল আবেদীন বলেছেন: আমাদের এভিন নাকি!
চমৎকার লিখেছো।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

আল মাহফুজ এভিন বলেছেন: হুম আপনাদের এভিন তয় আপনাকে যে চিনলাম না ভাই

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

মির্জা বাড়ির বউড়া বলেছেন: আসেন দেখেন ব্লগের সবচেয়ে পুরান নাটকের পুন:প্রচার। শরণার্থী নিকে ব্যাপক ল্যাদানির পরও মনমত সাড়া না পাওয়ায় অগ্নিসারথি গতকালকে নিজেই খুলেন বেলের শরবত নামে এক ইচিং ব্লগিং ক্যারেক্টার, তারপর সারাব্লগ ভাসিয়ে দেন নিজেই নিজেকে গালি দিয়ে কমেন্ট করে যেন মানুষের সহানুভূতি আদায় করে ভোট পাওয়া যায়। নিজের গোমর নিজেই গভীর রাতে ভুলে ফাঁস করে ফেলেন পোস্ট দিয়ে যে তিনি ববস.কমে জিতে চাকরি ছেড়ে রেসিডেন্ট ব্লগার হতে চান এই ব্লগের। মারহাবা।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

আল মাহফুজ এভিন বলেছেন: মারহাবা।

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১১

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: চমৎকার, বলেছেন.... আসলেই আমরা ও যদি এরকম উদার প্রধানমন্ত্রী পাইতাম।। :-)

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

আল মাহফুজ এভিন বলেছেন: পাবোই বা কবে !

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮

কলাবাগান১ বলেছেন: আমাদের দরকার এমন প্রধানমন্ত্রী যিনি হবেন ১৯৭১ সনে আমাদের রাজাকার ভাইয়েরা ঠিক যেমন নিজের দেশের লোকের সাথে আচরন করত তেমন আচরন করার ক্ষমতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.