![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমিই....... আকাশজুড়ে চাঁদের আলো রূপার জলে আঁকা অন্ধকারের ঠোঁটের কোনায় নীলচে হাসি বাঁকা! তারা-আলোর রথ ছুটানো একটি ডজন ঘোড়া সমস্বরে বল্লো, এ নাও গোলাপ, মাহী ফ্লোরা। ......... মহাবিশ্বের শুভেচ্ছা পেয়েছি এভাবে!
ফুল তবু ফুটবেই....(চতুর্থ অংশটুকু)
*******
আয়না বিবির ঘর থেকে বেরিয়ে সালমা কিছুক্ষন বাগানে হাঁটলো। একা একা পাতার ওপর হাঁটতে গিয়ে তার অন্যরকম লাগতে থাকে। সে মনে মনে শেষ চিঠিটা লিখে ফেলে।
'' আপা,
আমার দেখা দুজন ভালমানুষের মধ্যে তুই একজন। আরেকজনের নাম আমি বলবোনা। নাকি বলবো? তুই বাবার মত ভাল হয়েছিস আপা। আমাকে ছোটবেলায় পাশ বালিশ বানিয়ে ঘুমুতি। বিছানার একপাশে ঘুমুতে দিতিনা, একবার মশারী দিয়ে ঝুলছিলাম দেখে কতদিন এই নিয়ে খেপিয়েছিস আপা। তবু তুই ভাল ভীষন রকম ভাল। একটা কথা বলি আপা? তোকে অনেক ভালবাসি আপা, অনেক ভালবাসি।
ধ্যাৎ এভাবে লেখা যায় নাকি? ভালবাসার কথা গোপন রাখতে হয়। খুব গোপন। প্রকাশ যত হবে সুগন্ধ কমতে থাকবে।
দুপুরে তৃপ্তি করে খেল সালমা। অনেকদিন পর।
পরিশিষ্ট:
আকাশে রূপার বলের মত বিশাল একটা চাঁদ। এমন চাঁদনি বহুকাল দেখেনি সালমা। এক টুকরো মেঘ নেই আকাশের কোনো কোনায়।
জানালা দিয়ে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল সে।
হাসান সাহেব মদীনার ঘরে। বাইরে দরজায় টোকা পড়ছে। পুলিশ দ্রুত দরজা ঝাঁকাচ্ছে সাথে কুৎসিত গালি। এমনটা হবার কথা নয়। পুলিশ তার কেনা । তারমানে উল্টোদিক থেকে জালটা ফেলেছে জলিল হারামীটা। মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে,এভাবে ধরা পড়া যাবেনা,কিছুতেই যাবেনা। কিছু একটা করতে হবে। মুহূর্তের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কি করা যায়!
হাসিনা খাতুন বড় একটা শীতল পাটি বিছিয়ে আঙিনার এক ধারে বসে রয়েছেন। একটু আগে জমিলা কে দিয়ে ডাকতে পাঠিয়েছিলেন ছোটকে। সালমা ভেতর থেকে কোন জবাব দেয়নি। কিছুক্ষন দরজা ঝাঁকিয়ে ফিরে এসেছে জমিলা। কেমন অদ্ভুত লাগছে। কিছু ঘটছে। কিছু একটা ঘটছে। কোথায় কি হচ্ছে বুঝতে পারছেন না বলেই তার অস্থিরতা বাড়ছে। হাসিনা খাতুন ভেতরে ভেতরে ছটফট করছেন।
জমিলা হাসান সাহেবের একমাত্র পুত্রকে গল্প শোনাচ্ছে। শীতল পাটির উপর মায়ের পায়ে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে হাসান সাহেবের পুত্র। গল্প একটি পাখির । পাখিটা রোজ আকাশে তার পাখা মেলে দেয়। তারপর দুটো ডিম পাড়ে। একটা রুপার একটা সোনার। এখন আকাশে রূপার ডিম। বালকের চোখ চকচক করে। মৃত বাড়ির উপর মাঝে মাঝে শকুন ওড়ে। এত আলোতে কোন পাখি ভুল করে বেরিয়ে পড়তেই পারে। কোন কোন রাতকে দিনের মত লাগে। আজ এমন একটা রাত। এমন জোছনা।
ঘর ত্যাগী জোছনা! কাছেই কোথাও জুঁইয়ের তীব্র সুবাস ভেসে আসতে থাকে। জগৎটাকে অপার্থিব অন্যরকম মনে হয়!
শেষ....
অ:ট: জীবনে প্রথম এত দীর্ঘ একটা গল্প লিখেছি। শেষ করতে পেরে ভাল লাগছে। অন্য রকম ভাল। জীবন টা খুব অদ্ভুত। সব ঘটনার ভেতরে ঢোকা হয়না আমাদের। আবার কিছুটা কল্পনার জন্য রেখে দিয়েছি। পাঠকের উপর এই ভার ছেড়ে দেয়ার অধিকার আমার আছে। এক সাথে গল্পটা পড়তে পারলে সম্ভবত অসঙ্গতি খুব একটা চোখে পড়বেনা।
তারপরও ভাল না লাগলে আমার অক্ষমতা বিবেচনা করে ক্ষমা করবেন। এই বিশ্বাস আমার আছে। এত পরিশ্রমের প্রাপ্তি। যাঁরা প্রথম থেকে পাশে ছিলেন সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:০০
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: হু। এখন এট্টু কল্পনা কর দেখি।
২| ৩১ শে মে, ২০১১ দুপুর ২:৫৩
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: আপনার প্রচেষ্টা প্রশংসার যোগ্য।এ পর্ব,ভাল লেগেছে।বাকি পর্বগুলোও পড়ব।
৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:০৬
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: পড়ে জানাবেন কেমন লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:০৪
রাজকুমারী বলেছেন: ফুল ফুটুক......... অপেক্ষায় রইলাম।
৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:০৯
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: অপেক্ষার শেষ হোক...
৪| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:১৩
বোকা ছেলে বলেছেন: ঘর ত্যাগী জোছনা! কাছেই কোথাও জুঁইয়ের তীব্র সুবাস ভেসে আসতে থাকে। জগৎটাকে অপার্থিব অন্যরকম মনে হয়!
ভাল সমাপ্তি। ভাল থাকুন।
৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:১৯
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
৫| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:১৮
বহুলুল পাগল বলেছেন: পইড়া আসি সবগুলা তারপর কমুনে ক্যামুন হইছে
৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:২২
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩৩
ফাইরুজ বলেছেন: শেষপর্বটা ভালো লাগলো আপু।
অন্য যেগুলো পড়া হয়নি পড়ে ফেলব।
৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪৮
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: পড়ে জানাবেন আপু কেমন হয়েছে।অনেক ধন্যবাদ।
৭| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩৯
বহুলুল পাগল বলেছেন: শেষটা পুরাই হুমায়ুনীয় ।
ভালা পাইলাম ।
৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪৯
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: সব পর্ব পড়েছেন ভাইয়া?ধন্যবাদ
৮| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: ঐ ব্যাটা বদের বদ হাসান্যারে আচ্ছা মতো ডলা না দিয়া শেষ করনটা ঠিক হয় নাই মাহী বিবি।
তয় গল্প তুমার মচৎকার হইছে।
৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫১
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আপু রাগ করবেন না। ডলা দিতে পারলাম না। পুলিশরে ধরাই দিব একবার ভাবসিলাম। সেইটাও করতে পারলাম না। খালি মায়া লাগে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু প্রথম থেকে উৎসাহ দেবার জন্য।
৯| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬
খন্ডকাব্য বলেছেন: আমার মন্তব্য কই গেল
৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:০৩
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আমি কিছু জানিনা।
কি লিখেছিলেন?
আরেকবার করুন প্লিজ!
১০| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:১৪
সায়েম মুন বলেছেন: যাক শেষ করতে পেরেছেন তাহলে। সব মিলিয়ে সুন্দর একটা গপ হয়েছে। আর গপটা কিন্তু তেমন বড় না কবি। গপটা খুব ভাল লাগছে। প্রথম পার্টে জুই ফুলের মত ঝরঝরে ভাত বলেছেন। শেষে এসেও জুঁই ফুলকে নিয়ে এসেছেন। জুঁই ফুল আপনার প্রিয় নাকি?
একা একা পাতার ওপর হাঁটতে হাঁটতে তার অন্যরকম লাগতে থাকে।
---------এই লাইনটা এভাবে লেখা যায় না
একা পাতার উপর হাঁটতে হাঁটতে তার অন্যরকম লাগে।
হাসিনা খাতুন ভেতরে ভতরে ছটফট করছেন।> টাইপো
৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:২১
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মেলা বড় গফ কইতেসি! লিখতে গিয়া জান ত্যানা হয়া গেছে।
জুঁই ফুলের গন্ধ যে কি চমৎকার! :!>
ভাল লাগায় আনন্দ পেলাম। প্রথম থেকে সাথে আছেন কৃতজ্ঞতা রইলো।
টাইপো ঠিক করছি। আর লাইন টা এডিট করছি। অনেক ধন্যবাদ।
১১| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:২০
শুকনা মরিচ বলেছেন: সাবাশ মাহী !!! ঝড়ের বেগে পাঁচটা পর্ব পড়ে ফেললাম । দম বন্ধ হয়ে আসছিলো - শেষে কি হবে জানার জন্য ।
কিন্তু হাসান কে এমনে ছেড়ে দিলা ? আর হাসিনা খাতুন এর মতো এমন নিরীহ মানুষটার কি হবে ?
আরেকটু পড়তে ইচ্ছা করছিলো । খুব খুব ভালো লেগেছে লেখাটা !!!
৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:২৫
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: হাসানের মত মানুষ দের কি বেশি কিছু হয় আপু বল?
হাসিনা খাতুন আজীবন ভালমানুষীর মূল্য দিতে থাকবে আপু।
নরম্যালী যা হয়!
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
আজ শরীর কেমন আপু?
শেষ পর্যন্ত শেষ করতে পারার আনন্দে আজ একটা পার্টি দিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে বুঝলা আপু?
১২| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:৩১
ফারা তন্বী বলেছেন: বিছ্রি হইছে , ছ্যা ছ্যা
মরিচ আপুর বেশি ভাল্লাগছে নিজের নামখান দেইখা, এইটা কি আমি বুঝিনা?
৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:৪১
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: বিছ্রি গফ শেষ মেষ পইড়া ফেলসিস। কি মজ্জা!
আরে তাইতো! এইটা তো খেয়াল করি নাই। এই জন্যই এত ভাল হাসিনা খাতুন তাইনারে?
১৩| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:৩৪
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: জুই ফুল আমারো প্রিয়।
৬ষ্ঠ ভালোলাগা। ++++
হুমায়ূনীয় বলবোনা। গল্পটা খুব ভালো লিখেছো। এরকম আরো চাই।
৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:৪৬
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: এরম আরেকটা লিখতে বললে কিন্তু কাইন্দা দিমু।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
১৪| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:৫৬
ফারা তন্বী বলেছেন: তুই আমার নামে নেক্সট টাইম লিক্খা ফেল। আমিও কমু "ইশ মাহী কি সুন্দর লিখেছোওওওওওও, পড়ে যে কি ভালো লাগছে না, কি বলবো তোমায়। আমি ভাষায় প্রাকশ করতে পারছিনা (ইমো অব সুপার ন্যাকা)" সত্যি কইতাছি এই কমেন্ট খান দিমু। জানা আপুর মাথার কসম ।
৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:০৩
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: দেখ কান্ড এই কমেন্টের জবাব নিচে দিয়া বইসা রইসি। :!>
১৫| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:৫৮
ফারা তন্বী বলেছেন: অই তুই হাসাইন্যারে ডলা দিবার পারলি না তো আমারে ডাক দিলি না ক্যান?
৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:০২
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: দোস্ত মাথা ঠান্ডা কর। সামনের গফে যদি তোরে ছ্যাঁকা না দিসি তো দেখিস।কমেন্ট কপি কইরা রাখ। জানা আপার কসম লাগে!
১৬| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:১০
anisa বলেছেন: আরে যে এ তো মাহী ফ্লোরার লেখা কি সুন্দর !!!
মাহী কোনো হুমায়ুনি ছায়া পরেনি এমন টা লিখতে পারা
চাট্টি খানি কথা নয়
খুব সুন্দর হয়েছে মাহী
ভালো লাগলো খুব খুব
শুভেচ্ছা
৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:২২
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আপু কি যে বলেন না। লজ্জার ইমো!
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা আপনার জন্য।
১৭| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:১৫
শুকনা মরিচ বলেছেন: ওই ওই - তোমাদের দুইডারে ধইরা পিটান লাগামু । ক্যান - তোমার আগের গল্প গুলাতে যখন আমার নাম ছিলোনা - তখন ভালো বলি নাই ?
আর তন্বী - তোমারে ধইরা ডলা দেওনের দরকার । আমার মতো ন্যাংড়া মানুষ ডারে নিয়া টানাটানি না করলে ভালো লাগেনা তাইনা ?
বদের হাড্ডি দুইখান
৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:২০
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: তুমি যে আমারে ভালবাসো এইটা তো ঐ হিংসুইট্ট্যা সহ্য করতে পারেনা আপু।
খবরদার নিজেরে ন্যাংড়া বলবাতো আরেকটা পা ভাইঙ্গা দিমু।এহ..
আমি কিন্তু ভাল আপু। বদ তো ফারা। :!>
১৮| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:২২
ফারা তন্বী বলেছেন: মরিচ আপু আমারে ডলা দিলি ভালো হবিনানে বইলে দিলাম। দুলাভাইরে কয়া দিবানি, বুঝবানি মজা। আমার দলে আর্দি আব্বুটাও রইছে কলাম।
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:২৭
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: লাভ নাই। আমরা দু বইন যেখানে বিপদ নাই সেখানে।
১৯| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:২৭
ফারা তন্বী বলেছেন: ঐ তুই পল্টি খাইলি ক্যান। আমি বদ?? তোর চুল ছিড়া আমি যদি ত্যানা না বানাইছি আমার নামে বিলাই পুষিস
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৩৬
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: তর নামে গফ লিখুম এখন এট্টু শান্ত হ বইন।
২০| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:৪০
রেজোওয়ানা বলেছেন: Hasan battomij tare r aktu dola daoner kam chilo jak sob kichu mila puro golpo ta bes valo lagache.
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৩৬
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: হা হা অনেক ধন্যবাদ আপু।শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।
২১| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:৪৭
কি নাম দিব বলেছেন: আপু, বদটারে ডলা দিলানা কেন?
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৩৮
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মন খারাপ করিস না আপু।ওরে পুলিশে ধরতে পারলে ভাল মত ডলা দিবে।
২২| ৩১ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১০
নিরক্ষর পোলা বলেছেন: সব গুলো পর্বই একসাথে পড়লাম. গল্প যখন জমে উঠছিল শেষে হঠাত পরিশিষ্ট টানলেন মনে হলো.
তারপর ও ভালো লাগলো.
ব্লগের এই মরুভুমিময় সময়ে যে কয়জন ফুল ফুটানোর চেস্টা চালিয়ে যাচ্চেন তার সামনের সারিতেই আচেন আপনি,
তাই পাঠক এরকম গল্প, আরো আশা করতেই পারে.
ভালো থাকবেন.
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৪০
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: এত প্রশংসা প্রাপ্য না আমার। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩| ৩১ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৩
জারনো বলেছেন:
যখন তোমার কেউ ছিলোনা
তখন ছিলাম আমি,
এখন তোমার সব হেয়েছে
পর হয়েছি আমি।
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৪০
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: গফ পড়েছিস?
২৪| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৪৩
অপূর্ণ রুবেল বলেছেন: অদ্ভূত সুন্দর। এমন লেখা আরও চাই।
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:১৫
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: শেষ টা ভাল লেগেছে?
২৫| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:১৩
স্বপ্নবাজী বলেছেন: মনে হচ্ছে শেষদিকে একটু তাড়াহুড়ো করেছেন। যাই হোক। এখন বলেণ সাহিত্যের কোন শাখায় একে ফেলা হবে?
শুভকামনা অবিরাম।
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:২১
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: সাহিত্যের নতুন কোন শাখা ওপেন করা যায়না ভাইয়া?
ঠিক তাড়াহুড়ো না। আরো বেশি বলা আমার কাছে প্রগলভতা মনে হচ্ছিল। কাহিনীতো এটুকুই। একে ফেনায়া বড় করাটাকে বোকামী মনে হচ্ছিল। সত্যি বলতে কি এই গল্পে কাহিনী খোঁজায় বোকামি।
২৬| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৩৩
জুন বলেছেন:
অনেক ভালোলাগলো মাহী, সবগুলো পর্বই পড়েছি।
কিন্ত সামুর জ্বালায় কিছু বলতে পারিনি।
আমিও সুরন্জনার মত বলতে চেয়েছি হাসানকে এত সহজে ছেড়ে দিলে !
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৪১
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আপনি পড়েছেন খুব খুশি লাগছে আপু।
২৭| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৪৭
সকাল রয় বলেছেন:
বড় গল্প লেখা অনেক ধৈর্য্যের ব্যপার
আপনি সেটা পেরেছেন
খূব ভালো লাগলো
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৫০
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২৮| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১০:০৫
সায়েম মুন বলেছেন:
কিছু কথা:
প্রত্যেকে তার নিজের মত করে লিখবে এটাই স্বাভাবিক। যখন লেখায় কারো ছায়া পড়ে তখন তা অশুদ্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হিসেবে মৌলিকতার বিকল্প নেই। কি লিখছি নিজেই জানিনা। ক'দিন অত্যাধিক হুমায়ুন পড়ে মাথা আউলা হয়ে গেছে। সেই ভার সহনীয় করতেই কলম টেনে নিয়েছিলাম । তার ফল হল এই যে লেখার মধ্যে ছায়া পড়ে গেল।
কুছ পরোয়া নেহি টাইপ ভাব নিয়ে তাই ব্লগে শেয়ার করলাম। বিনয় করেই বলছি বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত!
নাম নিয়ে কিছু বলার নেই। কারন নাম টা ভেবে চিন্তে দেয়া না। একটা দিতে হয় বলেই দিলাম। নিয়তির হাতে ছেড়ে দিলাম নিজেকে!
*******
শোবার ঘরে জলচৌকির উপর শীতল পাটি বিছিয়ে দুপুরের খানা খেতে বসেছেন শেখ হাসানুর রহমান। খাবার জন্য তার আয়োজন দেখার মত। বড় কাঁসার গোল থালায় ছোট ছোট বাটিতে তরকারি সাজানো। জুঁই ফুলের মত ঝরঝরে ভাত। খাওয়া শেষে ঘরে পাতা দই খান তিনি। আজ তার যে কোনো কারনে মন বিক্ষিপ্ত। তাঁর স্ত্রী হাসিনা খাতুন কিছু একটা বলতে চাচ্ছেন অনেকক্ষন ধরেই। স্বামীর মেজাজের উপর ভরসা করতে পারছেন না দেখেই বলতে পারছেন না। তিনি মুখ খুলতেই হাসান সাহেব ধমকে উঠলেন।
- তুমি কথা বেশি বল। এখন থেকে কথা কম বলবা। মুখ নাড়ানো বন্ধ করো। খবরদার মুখ নাড়াবানা। আমার সামনে যখন থাকবা তোমারে যেন পান খাইতে না দেখি। কথা কওনের সময় যে পানের টুকরা ছিটকা বাইরায়া আসতেসে সে খেয়াল আছে? ভাতের নলার সাথে কি তোমার পানের টুকরা চাবামু? তাইলে ভাত মিষ্টি হইবো? হুঁশ কম তো তোমার পান খাওনের কি কাম!
আবার পাখা বন করলা কেন? হাওয়া দাও। কথা বলতেসি মন লাগায়া শুনবা। দেইখা তো মনে হয় হাত দিয়া কথা গিলতেসো।তোমার মত মেয়ে মানুষরে ঘরের বান্দী বানানোর কাম ছিল। বৌ বানায়া হইছে এক জ্বালা। খাওন শেষ হইলে কি বলবা গুছায়া রাখো!
- জি আচ্ছা!
- তোমারে যে বলছিলাম করল্লা মোটা মোটা করে কাইটা ডুবা তেলে ভাইজা দিতে। কথা কি কানের মধ্যে ঢুকে নাই? থাবড়ায়া কইলে ঢুকতো? ঢুকব আর কেমনে কানে তো সোনা বোঝাই কইরা রাখছো।
সপ্তাহে একদিন তিতা খাওনের দরকার! তাইলে শরীরের কলকব্জা ঠিক থাকে।
- করল্লা ভাজা করসিলাম। তিতা বেশি তাই আপনেরে দেই নাই।জমিলা করল্লা কাটার পরে ভুল করে ধুয়ে ফেলেছে।
- তাতো ভুল করবোই। স্বামীর জন্য এক পদ নিজের হাতে রানবা তাও তোমার বান্দি লাগে। আরে করল্লাতো খামু তিতার লাইগাই। যাও নিয়া আসো যাও!
আচ্ছা থাউক। আইজ আর খাওনের ইচ্ছা নাই। তিতা খাইতে হয় খাওন শুরুর আগে।
তোমার পুত্রধন কই? খাওনের সময় তারে সামনে না দেখলে আমার মেজাজ ঠিক থাকেনা।
- সে এখনো ফেরে নাই।
- কি বলছো? মিনমিন কইরা কথা বলবানা।স্পষ্ট কইরা বল। কথায় আছে,
'' মিনমিনে নারী
তাহার মুখে জুতার বাড়ি ''
যা বলবা স্পষ্ট কইরা বলবা। পান খাইয়া খাইয়া তোমার জিব মোটা হয়া গেছে। কথা কইতে গেলে নড়েনা। শরীর তো মাশাল্লাহ চর্বির গুদাম বানাইসো।
কি হইলো? কথা কওনা কেন?
- আপনার পোলা স্কুল থাইকা এখনো ফিরে নাই। স্কুল সকাল দশটা হইতে বৈকাল চার ঘটিকা পর্যন্ত। দুপুরের খানা সবুরের হাতে কইরা দিয়া পাঠাইসি। সামনে বসায়া খাওয়াইয়া তারপর বাটি নিয়া ফিরবে।
- এইতো ঠিকমত শোনা যায়। এখন তো বলতে শুরু করলা, শেষ করতে আর চাইবানা। কথার ডালপালা মেলতে থাকবা। দইয়ের মালসা আগায়া দাও।
রাইতে এই মাছ আমি খামুনা। মবিন রে বলবা ছোট তেলাপিয়া ছিপ ফেইলা ধরতে। রাইতে কড়া কইরা ভাইজা দিবা।
হাত ঠিকমত না ধুইয়া দই পাততে দিসো কেন? দইয়ের মধ্যে তোমার গায়ের রসুনের গন্ধ। থু.. এই দই মানুষ কেমনে খাইবো?
এক্ষুনি এসব নিয়া আমার সামনে থাইকা দূর হও।
রাগ করে উঠতে গিয়ে হাসান সাহেব জলচৌকির পায়ায় পা বাধিয়ে ফেললেন। তিনি তাল সামলাতে পারলেন না। মালসা ভর্তি দইয়ের উপর চোখ বন্ধ করে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন।
- তাকায়া হা কইরা কি দেখিস বান্দীর বাচ্চা। আমারে ওঠা। খবরদার মানুষ জন ডাকবিনা। মূর্খ মাইয়া, তর স্বামীর ইজ্জতের দাম লাখ টাকা।
হাসিনা খাতুন দীর্ঘশ্বাস ফেলে তাঁকে ধরতে গেলেন। দুদিন থেকে মানুষটার মাথা প্রায় খারাপের দিকে। সুযোগ পাইলেই উল্টাপাল্টা বকছে।
কি হয়েছে তা তিনি বলার প্রয়োজন বোধ করছেন না। হাসিনা খাতুন কোন একটা সমস্যা বুঝছেন কিন্তু জানার কোনো উপায় নেই।
গায়ে রসুনের গন্ধের কথা এ কদিন ধরে শুরু করেছেন হাসান সাহেব। একটু আগে গোসল সেরে গোলাপ রঙের পাটভাঙা শাড়ি পরেছেন তিনি। ন্যাপথলিনের গন্ধ থাকতে পারে তার গায়ে কিন্তু রসুন হতেই পারেনা! তার মন দ্রুত খারাপ হয়ে যাচ্ছে। চোখে পানি এসে পড়ছে। একবার তিনি ভাবলেন কিছুটা তোলার পর ছেড়ে দেবেন,বলবেন হাত ফস্কে গেছে ! রসুন দইয়ের সাথে মাখামাখি যখন হয়েছে ভালমত হোক।
*******
মানুষটার একটা গুন ভাল ,বাইরের কারো সামনে বকাঝকা করেনা। এমনকি বাড়ির দাসি বান্দীর সামনেও না। একলা হইলেই কেন জানি মাথায় বিকার ওঠে।
হাসিনা খাতুনের বৃদ্ধা মা কিছুদিন হল মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছেন। এতসব কান্ডের কিছুই তিনি ঘুনাক্ষরেও জানেন না। তার কাছে জামাই হইল সাক্ষাৎ চান্দের টুকরা।
প্রতি রাতের খাবারের পর হাসান সাহেব এই মহিলার সাথে ফিসফিস করে কোন গোপন আলাপ করছেন এমন ভাব নিয়ে গল্প করেন।
হাসিনা খাতুন তখন সে স্থানে উপস্থিত থাকতে পারেন না। এটাই নিয়ম। হাসান সাহেব বেশ গলা উচিয়ে বলেন মা ছেলের আলাপের মধ্যে বাইরের কারো প্রবেশ নিষিদ্ধ।
এ ধরনের কথায় বৃদ্ধা স্বর্গীয় সুখ পান। তার নিজের পুত্র কন্যারা কথায় কথায় মায়ের ভুল ধরতে পছন্দ করে।
বাড়িটা হাসান সাহেবের দাদার আমলের। হাসিনা বেগম তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবত অর্ধমৃত অবস্থায় দোতলার ছোট একটা ঘরে পড়ে আছে। হাসান প্রথম দু এক বছর নিয়ম করে স্ত্রীর ঘরে যেতেন। খোঁজখবর করতেন।
স্ত্রীকে দেখতে যাওয়ার সময় তার এক হাতে থাকতো আতরের শিশি, আরেক হাতে সিজিনাল ফল। দূর্লভ ফলমূল ছিল তাঁর পছন্দের তালিকায় প্রথম।
তিনি আতরের শিশি থেকে একটু আতর স্ত্রীর হাতে মাখিয়ে দিতেন। এতে করে রোগের গন্ধ ঢাকা পড়ত। তখন তিনি স্ত্রীর হাত ধরে কিছুক্ষন বসে থাকতেন।
এরপর একে একে কেটে গেছে প্রায় সাড়ে নয় বছর। অনেক দীর্ঘ সময়। মাইয়া লোকের জান গুচি মাছের মতন। আয়না বিবির এত দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকার কোনো মানে হয়না। অযথা মাটি কামড়ে পড়ে আছেন। আয়না বিবি হাসান সাহেবের প্রথম স্ত্রীর নাম।
আগে আয়না বিবি প্রায়ই মিহি করুন সুরে কাঁদতেন। তাঁর কান্নার আওয়াজ বেশিদূর না গেলেও হাসান সাহেবের কানে ঠিকই পৌঁছাতো। একদিন তিনি হুকুম দিলেন কান্নার শব্দ যেন দরজার বাইরে না যায়!
কান্নর সুর বুকের মধ্য দিয়া কানে যায়। তার দৈনন্দিন কর্মে ব্যাঘাত ঘটে।
সবচেয়ে বড় কথা ঐ সুর তার কাছে পেত্নীর ডাকের মত লাগে। হঠাৎ কানে গেলে বুক ধ্বক করে ওঠে। এমনিতেই হাসান সাহেবের হার্ট বেশ দূর্বল। হার্ট দূর্বল লোকদের হম্বি তম্বি হয় দেখার মত। দূর্বলতা ঢাকতেই কিনা কে জানে!
বিশেষ করে মাঝরাতে পেছনের বাঁশঝাড় থেকে শো শো আওয়াজ হয় শুকনা পাতার। হঠাৎ করে কানে আসলে মনে হয় যেন কেউ হাঁটছে। হয়ত চোর টোর হবে। হাসান সাহেবের ঘুম ভেঙে গেলে তিনি স্ত্রীর আঁচলের তলা খোঁজেন। ভয়ের সাথে তার শরীরের বিশেষ অঙ্গ জেগে ওঠে।
এমন মুহূর্তে যদি চিকন স্বরে কারো সুর করে কান্নার আওয়াজ কানে আসে তো বিরক্তি আপনা থেকেই এসে যায়।
আয়না বিবির পিতৃপ্রদত্ত নাম ছিল পার্বতী রানী। বয়স কালে তার সৌন্দর্য্যে আটকা পড়েছিলেন হাসান সাহেব। নিম্ন বর্নের হিন্দু ঘরে জন্ম তার। জাত নিয়া সমস্যা তখন রূপের কাছে চোখে পড়ে নায় হাসান সাহেবের। হাসানের ধারনা গরীব ঘরে জন্মাইলে চোখে থাকে চুরনী ভাব। এই মেয়েটির মধ্যে ছিল দূর্গা ভাব। গোবর থেকে পদ্মের গাছ তুইলা তিনি টলমলা জলে লাগাইলেন। মুসলমান বানায়া ঘরে তুললেন। নাম বদলায়া রাখলেন আয়না বিবি। গ্রাম ছাড়া করলেন শশুরের গুষ্টি কে।
আয়না বিবি সন্তান ধারন করতে পারলেন না। ফল যা হবার তাই হল। হাসান সাহেবের প্রাথমিক মোহ কেটে যাবার পর রূপ কে বিষ্ঠা মনে হতে লাগলো। কিছুদিন বাজারে নটী বাড়ি যাওয়া আসা করলেন, মনের দুঃখ মিটাইতে। শেষ মেষ বিবাহ করে ঘরে আনলেন হাসিনা খাতুন কে।
হাসিনা খাতুন কথা এমনিতেই কম বলতেন, হাসান সাহেবের বাড়িতে ঢোকার পর জবান প্রায় বন্ধের পথে।
ছেলে বড় হচ্ছে হাসান সাহেবের। দ্বিতীয় স্ত্রী আনার পরও দীর্ঘদিন তিনি সন্তানের বাবা হইতে পারেন নাই। মধ্য বয়স পেরিয়ে যাওয়া হাসান সাহেবের সাথে তাই পুত্রকে একটু বেমানান লাগে বৈকি। পুত্রের বয়স কেবল নয়। গ্রামের মানুষ আড়ালে মুখ টিপাটিপি করে। পুত্র হাসান সাহেবের কিনা! এই নিয়াও কানাঘুষা চলে।
চৌধুরী সাহেব এখনো বাজারের নটীর ঘরে যান। মদিনা তার টাকায় ঘর তুলেছে বাজারে। মদিনার ঘরে অন্য পুরুষ ঢোকা নিষেধ।
*******
হাসিনা খাতুন কথা গুছায়ে রেখেছিলেন। সকাল থেকে বেশ কয়েকবার নিজেই নিজেরে শুনায়েছেন। তবে বলতে গিয়া গড়বড় হইলে এক বেইজ্জত। হাসিনা খাতুনের ছোট বোন সালমা স্বামীর বাড়ি থেকে এক কাপড়ে চলে এসেছে। হাসান সাহেব কে এখনো জানানো হয়নি। হাসিনা বেগমের মাকেও জানানো হয়নি। সালমা খাতুন অতিথ ঘরে মুখ গুঁজে পড়ে আছে। মেয়ের পেটে লাত্থি দিলেও যদি কোনো কথা বের হয়!
হাসিনা খাতুন কিছুক্ষন চেষ্টা নিয়েছেন কথা বের করার।
তারপর হাল ছেড়ে দিয়েছেন।
সালমার মুখে এক কথা, আমাকে কিচ্ছু জিজ্ঞেস করিস না আপা। তবে ঐ বাড়িতে ফিরে যাইতে বললে আমি বিষ খাব। বিষের একটা শিশি সে সাথে করেই এনেছে।
যেন ঝামেলা হওয়া মাত্র বিষের যোগান নিয়া সমস্যা না হয়।
এই কথা বলার সময় নীল ছিপি ওয়ালা বোতলটা সে বের করেও দেখিয়েছে। যেন বিষ নিয়ে কোনো রকম সন্দেহ না থাকে হাসিনা খাতুনের।
কি মুসিবত! হাসিনা খাতুন প্রানপনে মাথা ঠান্ডা করার চেষ্টা করছেন। এরকম বিপদের মুহূর্তে দোয়া ইউনুস হইল কোরামিন ইনজেকশন। এর আগেও তিনি পরীক্ষার ফল হাতে নাতে পেয়েছেন।
আজ খুব গরম পড়েছে। গরম এত বেশি যে মনে হচ্ছে তিনি মাছের পেটের মধ্যেই ঢুকে পড়েছেন। সমানে ঘামছেন তিনি।
ঘাম হচ্ছে কিন্তু শরীর ঠান্ডা হচ্ছেনা। আজব ব্যাপার! এত কান্ডের মধ্যে সালমার কথাটা আর বলা হলনা। স্বামীকে ধরে তুলতে গিয়ে ভাবলেন বিকেলে আর একবার চেষ্টা নিবেন।
- এই মূর্খ মেয়েলোক বগলের নিচে ধর। কব্জি ধইরা টানাটানি কর কি জন্যি? আবার একলা একলা কি বিড়বিড় করতেসো? আমারে বিছানায় শোয়ায় দাও। খাইতো খাইতে হাতি হইসে একটা। বাড়ির মধ্যে হাত্তি পুষনের মামলা অখন টের পাইতেসি।
ঠিকমত ধর কইলাম।
অনেক কষ্টে হাসিনা খাতুন তিনারে বিছানার মধ্যে তুলে শোয়াতে পারলেন। এটুকু করতে গিয়ে ঘাম ছুটে গেল।
- ত্যানা ভিজায়া আমার হাত মুখ মুছায়া দাও। খবরদার এ ঘরে যেন কোন বান্দীর বাচ্চা না ঢোকে। সব খাবার দাবার তুমি উঠায়া নিয়া যাইবা। গর্ধব মেয়েছেলে যাও ত্যানা ভিজায়া নিয়া আসো।
আজ যোহরের ওয়াক্তে নামাজের সময় থেকেই হাসান সাহেবের মন এলোমেলো। মদিনাকে নিয়ে কদিন ধরে সমস্যা যাচ্ছে। এসব যদিও ব্যাপার না। টাকা পয়সা খরচ করতে হবে, কদিন চোখ কান খোলা রাখতে হবে। বাজারে দুটো দল। জলিল সাহেবের দল কদিন ধরেই তাঁর পেছনে লেগেছে। গুচি ব্যাইমের বাচ্চাগুলা! নামাযের মধ্যে কিছুতেই সুরা ঠিকমত মনে করতে পারছিলেননা। অভ্যাসবশত মুখ নড়ে,আর চোখের সামনে ওই মাগীর মুখ ভাসে। যা তা অবস্থা! অবশ্য আল্লাহপাক রহমানুর রাহীম। সব কিছুর পর ক্ষমা চাইয়া নিলেই হইব। আল্লাহ নিজে বলসেন তোমরা শুধু আমার কাছে ক্ষমা চাও।
নাহ মাথা ঠান্ডা কইরা আগাইতে হইব।গরম হইয়া গেলেই সমস্যা!
*******
ওদিকের এত কান্ড সালমার জানার কথা না। সে অতিথঘর থেকে একটা মিনিটের জন্য বের হয় নাই। সত্যি বলতে কি হাসান সাহেবের চোখে রেডিয়ামের মত বাত্তি জ্বলে। গ্রাম বাংলায় এধরনের চোখ কেই বোধহয় বিড়াল চক্ষু বলে। হাসান সাহেবের চোখ সালমার পছন্দ না। তাকালেই মনে হয় চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে সারা শরীর।
এ বাড়িতে আসলে এই একটা লোককেই সে এড়িয়ে চলে যতদূর পারা যায়। বড় আপার যে বুদ্ধি কম সে আর না বললেও হয়।
তোরে তর দুলাভাই ডাকতেছে। যেন দুলাভাই শালীরে ডাকছে এর থেকে আনন্দময় আর কিছু হতে পারেনা। কেন ডাকে এইটা যদি আপার মাথায় ঢুকতো।
ইয়া মাবুদ!
সালমা হাত পা ছড়িয়ে খেতে বসেছে। হঠাৎ তাকে দেখলে উদভ্রান্ত মনে হবে। সারাপিঠময় চুল ছড়ানো। চোখ ফোলা। তবে তাঁর ভেতরে আত্মবিশ্বাস অন্যরকম। সে জানে তার সৌন্দর্য্যের কাছে এসব অতি তুচ্ছ।
জমিলা সামনে বসে রয়েছে। তার ভাষায় ' আফামনি ' আসলে তার মনে খুব আনন্দ হয়। যে কয়দিন থাকে সে সারাক্ষন চেষ্টার মধ্যে থাকে আফামনির পাশে পাশে থাকার। রূপসী মাইয়াদের দেমাক বেশি থাকে । আফামনি দেমাকের ধারে কাছেও নাই।
মাশাল্লাহ যেরাম রূপ সেরাম জ্ঞিয়ানী। আল্লাহর রহমত! একবার তো জমিলা অতি অদ্ভুত কথা শুনলো আফামনির মুখে।
তখন পরথম পরথম আফার বিয়া হইল। তাদের কথাবার্তা ছিল নিম্নরূপ,
- কি খবর জমিলা বেগম? সব ভাল তো?
- কি যে কন না আফা! আমগো আবার ভাল আর মন্দ! পরের বাড়ি বান্দীগিরি কইরা কুল পাইনা। হারাদিনে একবার আয়নাতে যে মুখ দেখুম তার উপায় নাই। 'টাইম' পাইনা। আমরা কি আর মানুষ! আমগো তো কেউ গনতির মইদ্যেই ধরেনা। আপনে ভাল মানুষ আফা। কি সুন্দর কইরা কতা কন, ভাল মন্দের কতা জিগান।
- হা হা। কি যে বল না তুমি! তোমার বাচ্চা কাচ্চা হয় নাই জমিলা বেগম?
- জি আফা? বিয়া কইরাই তো জামাই দেশান্তরী হইয়া গেল। আমরারে তার পসন হয় নাই আফা। সেই যে গেল,শুনছি ভাটি অঞ্চলে গিয়া বিয়া কইরা ঘর বানসে। বাচ্চা পামু কই। জগতের একখান নিয়ম আফা,পুরুষ ছাড়া বংশ নাই। আমার পুরুষ নাই। গফ এইখানেই শেষ।
- এক ধরনের গিরগিটি আছে পৃথিবীতে। তার বংশ বাড়াতে পুরুষ গিরগিটিকে লাগেনা। বুঝেছো জমিলা বেগম?
বলেই মিষ্টি হাসি দিল সালমা।
- কি কন আফা? আপনের কি মাথা খারাপ হইসে? পুরুষ ছাড়া বংশ! কেমনে কি?
- যখন কোন টাইফুনের মত ঝড় টড় হয়। অগ্ন্যুৎপাত হয়। সব প্রানী ধ্বংশ হয়ে যায়। শুধু একটা গিরগিটি যদি কোন খাঁজের মধ্যে বেঁচে যায়, সে হাজার খানেক ডিম পেড়ে আবার বংশ বাড়িয়ে দিতে পারে। অদ্ভুত না জমিলা?
- আচানক কথা। আমার জবান বন হয়া গেছে আফা।
সালমা মুখ বন্ধ করে খাবার গিলতে থাকে আজ। সামনে জমিলা আছে তা যেন খাওয়ার থেকে গুরুত্বপূর্ন না। জমিলার মন খারাপ হইতে থাকে। এত সুন্দর আফাটার চক্ষের নিচে কেমনে কালি জমসে! আহারে!
মায়া লাগে জমিলার। বুকের মধ্যে তার মায়ের মত মায়া লাগে।
হাসান সাহেব শালীর আসার খবর জানলেন পরদিন ভোর বেলায়। এ নিয়ে কিছুক্ষন হইচই করলেন। ভোর বেলায় সালমা বাড়ির পেছনের বাগানটাতে হাঁটছিল। এখন সে অনেকটাই স্বাভাবিক। দূর থেকে হাসান সাহেব দেখলেন। কাঁচা হলুদ রঙের শাড়ি পরা এক মহিলা বাগানের ভেতরে হাঁটছে। খুব দ্রুত তিনি বাড়ির মধ্যে ঢুকে গেলেন। একটু পরই আবার বেরিয়ে এলেন। দেখলেন আবার ঢুকে গেলেন। ভাবলেন সালমা এসেছে এই খবরটা তাকে যথা সময়ে না দেবার জন্য হাসিনা খাতুন কে কঠিন শাস্তি দেবেন।
সাতসকালেই হাসিনা খাতুন রান্নাঘরে। তাকে ঘরে ডেকে এনে হইচই টা শুরু করলেন তিনি। সব শোনার পর ঠিক করলেন নাস্তা খেয়ে কথা বলবেন সালমার সাথে।
*******
সালমার ভেতরটা ছটফট করছে। ভেতরের এত কথা! বলার মত কেউ নেই। আজ এই প্রথম নিজেকে নিঃস্বঙ্গ মনে হচ্ছে সালমার। দরজার ছিটকিনি ভেতর থেকে টেনে দিয়ে সে চিঠি লিখতে বসলো। এখন তার নিজেকে হালকা করা খুব জরুরি।
সিদ্ধান্ত নিতে হবে। খুব গুরুত্বপূর্ন একটা সিদ্ধান্ত!
*******
সালমা ঠিক করলো প্রথম চিঠিটা সে রাশেদ কেই লিখবে। সম্বোধন কি হবে এ নিয়ে কিছুক্ষন ভাবলো । তারপর চিন্তা ঝেড়ে লিখতে শুরু করলো। শেষ বারের মত লেখা চিঠির সম্বোধন নিয়ে ভাবতে নেই।
প্রান প্রিয় স্বামী,
সম্বোধন দেখে নিজেরই খুব হাসি পাচ্ছে। দু'বছর আগে হলে এর চেয়ে আবেগী কোনো সম্বোধন হতে পারে বিশ্বাস করতাম না আমি। তোমাকে দীর্ঘ একটা চিঠি লিখবো ভেবে বসেছি।
ধর আমরা দু'জন মুখোমুখি ঠিক রবীবাবুর কবিতার মত।
''দুজনে মুখোমুখি
গভীর দুখে দুখী
আঁধারে ঢাকিয়া গেছে আর সব।''
লাইনগুলো সম্ভবত ঠিক নেই। আমি এলোমেলো হয়ে আছি বলেই হয়ত সবকিছু এলোমেলো হচ্ছে। দুজন মুখোমুখি বসে আছি। আমার দু'চোখ আর তোমার মুখ ,বাঁধা রয়েছে কালো কাপড়ে। ব্যাপারটা মজার তাইনা? আমি শুধু বলব,তুমি কিছু বলতে পারবেনা।
এমনটা ই হচ্ছে এখন।
তুমি প্রথম যেদিন কলেজে আমাদের ক্লাস নিতে ঢুকলে, আমরা সব মিলিয়ে পাঁচ জন মেয়ে ছিলাম, তোমার হয়ত মনে নেই। বলছি এ কারনে, তুমি কিন্তু একবারের জন্য ও মেয়েদের দিকে তাকাওনি। একপাশ থেকে পাপড়ির ঝোপ দেখলাম আমরা। তোমার ঘন পাপড়ি ,বড় বড় টলটলে চোখ,চোখের ভেতরটা দেখার জন্য অস্থিরতা শুরু আমার সে দিন থেকে।
মানুষ এত সুন্দর হয়! এত সুন্দর! মেয়েলি সুন্দর একটা দেবশিশুর মত মায়াময়। অবশ্য দেবশিশু দেখিনি আমি ,শোনা কথা শোনা উপমা বললাম আর কি! সব বান্ধবীরাই তোমার প্রেমে পড়লাম, অথচ অলিখিত কারনে তারা স্বত্ত্ব ত্যাগ করে তোমাকে দিয়ে দিল।
তোমার ক্লাস মিস করার কোনো মানে হয়না। অথচ তীব্র উপেক্ষা পাবার অভ্যেস আমার ছিলনা। ভালবাসা তাই বাড়তে থাকলো। ঠিক প্রথম দিন যেমন ছিল. একমাস পরেও তেমনি, মাসের পর মাসেও তেমনি, তুমি মেয়েদের বেঞ্চের দিকে ভুল করেও তাকাওনা। যেন ওখানে কেউ বসে নেই। ক্লাস শেষে বিষাদে মন ভরে যেত আমার, আজও তোমার চোখের ভেতর দেখা হলনা ভেবে।
প্রেম কস্তুরীনাভী। সুগন্ধ লুকিয়ে রাখা ঢের মুশকিল।
আমাদের বিয়ে হয়ে গেল। প্রথম দিন কি অদ্ভুত যে লাগছিল। তুমি এত কাছে আমার,চাইলেই ছোঁয়া যায়, দু হাতের পাতায় মুখ ধরে চোখের দিকে তাকিয়ে থাকা যায়।
প্রথম দিনের কথা মনে আছে তোমার?
-সারাদিন অনেক ধকল গেছে, শুয়ে পড়।
গম্ভীর মুখে বলে উল্টোদিকে ফিরে ঘুমিয়ে পড়লে তুমি।
একটা খাঁ খাঁ নিস্তব্ধ রাত কত দীর্ঘ সেদিন বুঝেছি আমি। আমার নতুন জীবন আর দশটা মেয়ের মত শুরু হয়নি বলেও শেষটাও দশজনের মত হবেনা, এমনটা কখনো ভাবিনি আমি। শহীদ তোমার আশ্রিত ছোটভাই। বিযের পর তোমার বাবা মা কি কেন কোথায়, কিছুই জানালেনা আমাকে, জিজ্ঞেস করলে এড়িয়ে যাও, নিজেই নিজের ভেতর কুঁকড়ে যাই। কিছু না জানাটাই অভ্যেস হয়ে গেল।
শহীদ বাজার,রান্না বাড়িঘর দেখাশোনা সব করে। সবকিছু এত অস্বাভাবিক আমি তখনো জানিনা।
সেদিন তোমার অসুস্থ্যতা প্রথম দেখলাম। তুমি বাড়ি ফিরতে দেরী করলে, বিদ্যুৎ গেল, উঠোনে মোড়া পেতে বসলাম জোৎস্না দেখতে ভাল লাগবে ভেবেই শহীদ হেরিকেন ধরাতে চাইলেও নিষেধ করেছিলাম। তুমি বাড়ি ঢুকলে। তোমার চোখ ধ্বকধ্বক করে জ্বলছিল। সন্দেহ শুরু হল তোমার! তোমার অক্ষমতা তোমাকে হিংস্র করেছিল। একটা সন্তানের ইচ্ছা আমার কখনো পূরন হবেনা। ততদিনে বুঝে গেছি আমি।
সত্যি বলতে কি তোমার সন্দেহ শুরুর পর থেকেই আমার মনে অন্য চিন্তা ঘুরপাক খাওয়া শুরু করলো। মনে হতে লাগলো শহীদ কে বলি আমাকে একটা বাচ্চা দিতে। খুব জঘন্য একটা চিন্তা। তুমি আমার স্বামী। বাচ্চা তোমার কাছে চাইবো। চাওয়া উচিৎ।
এটাই স্বাভাবিক। দেড়বছরে তুমি একবারের জন্য ও আমার সাথে মিলিত হও নাই। অস্বাভাবিকতাটা এখানেই।
বাড়ি ফিরে কিছু কুৎসিত কথা রোজ পাওনা হয়ে গেল। শহীদ কে জড়িয়ে এসব জঘন্য কথার আরেকটা মানে হতে পারে, আসলে তুমিই চাও শহীদ মিশুক আমার সাথে। তা না হলে শহীদ কে চলে যেতে বলতে পারতে তুমি। তার জন্য গায়ে হাত তুলতেনা অন্তত।
তোমার বাইরের সৌন্দর্য্য যতটা ভেতর কি ততটাই বিভৎস না?
একপেশে চিন্তা থেকে আমার মুক্তি নেই। তোমাকে কোনো প্রশ্ন করার মত রুচি আমার তৈরি হচ্ছেনা, হবেওনা কখনো।
চিঠি শেষ করতে ইচ্ছে করছেনা সালমার। এ চিঠিতো কখনো পাঠানো হবেনা। কাগজটা হাতে নিয়ে টুকরো টুকরো করে ছিড়ে ফেলছে সে। একেকটা লাইনে অশুচি কিছু, হাতে লাগলেও ঘেন্ন। টুকরো গুলো গ্লাস ভর্তি পানির ভেতর নিয়ে অনেকক্ষন তাকিয়ে থাকলো সালমা। পানির ভেতর টুকরো কাগজ ফুলে উঠছে মৃত মানুষের মত। কালি ছড়িয়ে যাচ্ছে, মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে আছে সে।
এখন সালমা মার সাথে দেখা করবে, শেষ চিঠিটা লিখবে তারপর।
*******
হাসান সাহেবের মেজাজ তিতা। বাজারের গদিতে গাঁট হয়ে বসে আছেন তিনি । কর্মচারীরা তটস্থ। সামনে রাখা চায়ের কাপে সাদাসাদা সর আর একপাশে একটা কালো পিঁপড়া ঠ্যাং উপরে তুলে ভাসছে। হাতের ইশারায় সবুর কে ডাক দিলেন তিনি।
- সবুর মিয়া, তোমার ঘটি বাটি যা আছে, চুরি চামারি করে যা মারতে পারিসো সব একখানে জড়ো করো। এক কইরা বস্তার মধ্যি বাঁধবা। তারপর দুপুরের খানা খাইবা আমার বাড়িতে, গিন্নীর কাছে গিয়া বলবা, মা জননী আমারে বিদায় দেন, গিরাম টানতেসে, পুলাপাইন রে বহুদিন দেখিনাই। বাড়িত যাব।
- হুজুর আমারে মাফ কইরা দেন। কি অপরাধ কিছুই জানলাম না হুজুর। জানতে চাইয়োনা। গরীবের প্যাটে লাত্থি মাইরেন না হুজুর। আপনে এতিমের বাপ হুজুর। মাফ কইরা দেন হুজুর এইবারের মত। হুজুর...
- যা বলছি তাই করবি। তরে মাফ করসি বইলায় জীবন নিযা ফিরা যাবি গ্রামে। জলিল সাহেব রে আমার ঘরের তথ্য সাপ্লাই দেও তুমি। তোমার মুখে কথা বেশি হইছে। পাছা টিপ্যা দিলে হাগুর সাথে কথা বাইরাইবে। চাইলে জলিল সাহেবের বাড়িত কাম নিতে পারতা। তোমার মত ছুছুন্দররে কাম দিবেনা এইটাই যা সমস্যা।
মিরজাফরের জাইত অলটাইম লাথি খায়। তোমার দাদার বাড়ি মুর্শিদাবাদ না?
- হুজুর আপনার পায়ে পড়ি হুজুর। এবারের মত মাফ করে দেন হুজুর। আমারে পথে ফালাইয়েন না। পোলাপান নিয়া না খায়া মরবো হুজুর!
- এই রসূল, মদীনারে খবর দে আইজ রাইতে আমি মদিনার ঘরে যাব। বলেই উঠলেন হাসান সাহেব। এ বিষয়ে আর বাহাসের কিছু নাই। ঘরের মইধ্যে কালসাপ যে সবুর সেটা বুঝতেই যা একটু টাইম লাগছে। এখন সব আন্ডার কন্ট্রোল।
স্বস্তি নিয়া বাড়ির পথে পা বাড়াইলেন হাসান সাহেব।
দুপুরে কাচকি মাছ পিঁয়াজ বেশি দিয়া রানতে বলেছেন তিনি। খেতে বসার আগে টাটকা লেবু গাছ থেকে পেড়ে নিতে হবে। ঘন মসুর ডালের সাথে লেবু। লেবু না থাকলে কচি লেবুর পাতা সালাদের সাথে দিয়ে খাওয়ার অভ্যেস হাসান সাহেবের।
সালমার ব্যাপারটা নিয়েও ভাবতে হবে। দুপুরে খাওয়ার পর ঘুম দিবেন একটা। রাতে মদিনার কাছে আসবেন। মাথা ঠান্ডা কইরা তারপর সালমারে নিয়া সিদ্ধান্ত নিবেন।
হারামজাদী ভাল ঝামেলা পাকায়া আসছে মনে হয়।
কথা হইসে কিন্তু কিছুই বাইর করতে পারেন নাই। কিছু জিগাইলে মুখ কঠিন কইরা রাখে। তাঁরে বেশ পছন্দ করেন দেখে কিছু বলেন নাই, হাসিনা খাতুন হইলে চোপা ভাইঙা হাতে ধরাই দিতেন হাসান সাহেব। মেয়ে মানুষের জেদ দেখলে রক্ত গরম হয়ে যায় তার।
*******
সালমা তাঁর মায়ের সাথে দেখা করার জন্য ঘরে ঢুকেছে। দরজা থেকে মুখ বাড়িয়ে সালমা জিজ্ঞেস করলো,
- কি করছো মা?
- তুই গত কাইল এই বাড়িত আসছিস, আর এতক্ষনে আসলি আমারে দেখতে? কি পোলাপান যে প্যাটে ধরসিলাম আল্লাহ। হাড়ে হাড়ে টের পাইতেসি এখন।
-কত মানুষের হাড্ডি চুইষা খাইসো। এখন হাড়ে হাড়ে ঠুকাঠুকি হইতেসে না মা? হি হি
- কুহুক করিস নাতো গেদি। কার হাড্ডি আবার চুষে খাইসি? যতসব মাথা পাকাইন্যা কতা।
- আমার আব্বারে সারাজীবন যে কষ্ট দিছো মা তাতে তার শরীরে তো কোনো হাড্ডি থাকারই কথা না।
- দেখ ফেনাইসনা সালমা। তর কি প্যাটে বাচ্চা নিকিরে? শরীর এত খারাপ হইসে কেন?
- হ্যাঁ মা।
লজ্জা কন্ঠে বলেই কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরে মাকে।
-উম মা কতদিন তোমার গায়ের গন্ধ শুঁকিনা। মা জানো তোমার গায়ে ঠিক বকুল ফুলের মত গন্ধ!
সালমার চোখ ভরে যাচ্ছে, কোথা থেকে যে এত জল আসে।
- মা উঠি। বমি লাগতেছে।
একছুটে বের হয়ে নিজেকে সামলে নিল সে। তারপর আয়নাবিবির ঘরে ঢুকলো
সালমা। এই মহিলাকে দেখলে এত মায়া লাগে। কত দীর্ঘদিন ধরে বাইরের আলো দেখেনা আয়না বিবি। হাত ধরে কিছুক্ষন বসে থাকে সে। আয়না বিবি মমতার স্পর্শ টের পায়। তার দু চোখ থেকে ক' ফোটা জল ঝরে পড়ে ধীরে।
*******
আয়না বিবির ঘর থেকে বেরিয়ে সালমা কিছুক্ষন বাগানে হাঁটলো। একা একা পাতার ওপর হাঁটতে গিয়ে তার অন্যরকম লাগতে থাকে। সে মনে মনে শেষ চিঠিটা লিখে ফেলে।
'' আপা,
আমার দেখা দুজন ভালমানুষের মধ্যে তুই একজন। আরেকজনের নাম আমি বলবোনা। নাকি বলবো? তুই বাবার মত ভাল হয়েছিস আপা। আমাকে ছোটবেলায় পাশ বালিশ বানিয়ে ঘুমুতি। বিছানার একপাশে ঘুমুতে দিতিনা, একবার মশারী দিয়ে ঝুলছিলাম দেখে কতদিন এই নিয়ে খেপিয়েছিস আপা। তবু তুই ভাল ভীষন রকম ভাল। একটা কথা বলি আপা? তোকে অনেক ভালবাসি আপা, অনেক ভালবাসি।
ধ্যাৎ এভাবে লেখা যায় নাকি? ভালবাসার কথা গোপন রাখতে হয়। খুব গোপন। প্রকাশ যত হবে সুগন্ধ কমতে থাকবে।
দুপুরে তৃপ্তি করে খেল সালমা। অনেকদিন পর।
পরিশিষ্ট:
আকাশে রূপার বলের মত বিশাল একটা চাঁদ। এমন চাঁদনি বহুকাল দেখেনি সালমা। এক টুকরো মেঘ নেই আকাশের কোনো কোনায়।
জানালা দিয়ে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল সে।
হাসান সাহেব মদীনার ঘরে। বাইরে দরজায় টোকা পড়ছে। পুলিশ দ্রুত দরজা ঝাঁকাচ্ছে সাথে কুৎসিত গালি। এমনটা হবার কথা নয়। পুলিশ তার কেনা । তারমানে উল্টোদিক থেকে জালটা ফেলেছে জলিল হারামীটা। মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে,এভাবে ধরা পড়া যাবেনা,কিছুতেই যাবেনা। কিছু একটা করতে হবে। মুহূর্তের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কি করা যায়!
হাসিনা খাতুন বড় একটা শীতল পাটি বিছিয়ে আঙিনার এক ধারে বসে রয়েছেন। একটু আগে জমিলা কে দিয়ে ডাকতে পাঠিয়েছিলেন ছোটকে। সালমা ভেতর থেকে কোন জবাব দেয়নি। কিছুক্ষন দরজা ঝাঁকিয়ে ফিরে এসেছে জমিলা। কেমন অদ্ভুত লাগছে। কিছু ঘটছে। কিছু একটা ঘটছে। কোথায় কি হচ্ছে বুঝতে পারছেন না বলেই তার অস্থিরতা বাড়ছে। হাসিনা খাতুন ভেতরে ভেতরে ছটফট করছেন।
জমিলা হাসান সাহেবের একমাত্র পুত্রকে গল্প শোনাচ্ছে। শীতল পাটির উপর মায়ের পায়ে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে হাসান সাহেবের পুত্র। গল্প একটি পাখির । পাখিটা রোজ আকাশে তার পাখা মেলে দেয়। তারপর দুটো ডিম পাড়ে। একটা রুপার একটা সোনার। এখন আকাশে রূপার ডিম। বালকের চোখ চকচক করে। মৃত বাড়ির উপর মাঝে মাঝে শকুন ওড়ে। এত আলোতে কোন পাখি ভুল করে বেরিয়ে পড়তেই পারে। কোন কোন রাতকে দিনের মত লাগে। আজ এমন একটা রাত। এমন জোছনা।
ঘর ত্যাগী জোছনা! কাছেই কোথাও জুঁইয়ের তীব্র সুবাস ভেসে আসতে থাকে। জগৎটাকে অপার্থিব অন্যরকম মনে হয়!
শেষ....
অ:ট: জীবনে প্রথম এত দীর্ঘ একটা গল্প লিখেছি। শেষ করতে পেরে ভাল লাগছে। অন্য রকম ভাল। জীবন টা খুব অদ্ভুত। সব ঘটনার ভেতরে ঢোকা হয়না আমাদের। আবার কিছুটা কল্পনার জন্য রেখে দিয়েছি। পাঠকের উপর এই ভার ছেড়ে দেয়ার অধিকার আমার আছে। এক সাথে গল্পটা পড়তে পারলে সম্ভবত অসঙ্গতি খুব একটা চোখে পড়বেনা।
তারপরও ভাল না লাগলে আমার অক্ষমতা বিবেচনা করে ক্ষমা করবেন। এই বিশ্বাস আমার আছে। এত পরিশ্রমের প্রাপ্তি। যাঁরা প্রথম থেকে পাশে ছিলেন সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১০:১৬
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: সত্যিই খুব খুশি লাগছে। প্রথম গফের বই আমার! :#>
২৯| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১০:০৮
সায়েম মুন বলেছেন: কবি, আপনার তো গপের বই প্রকাশ হৈল। এবার কিছু মিছু খাওয়ান
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১০:১৪
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: খাইছে রে! আপনেরে কি বইল্যা ধইন্যা দিমু । ভালোর উপরে এক কাঠি। আপনেরে লেমসুস দিমু প্রমিজ। আই প্রমিজ!
৩০| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১১:১৪
চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন:
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১১:২৫
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: খুশি হইছেন চাচা? :!>
৩১| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১১:২৮
বহুলুল পাগল বলেছেন: হ সব গুলা এক্কেরে ছুপারম্যানীয় স্পিডে পড়ে ফেলসি
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৩৫
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ভাবসিলাম বিশাল গফ লিইখ্যা ফেলসি। পরে দেখি এক কমেন্টেই গফ আইটা গেছে ভাইয়া।উপরে ২৮ নং কমেন্ট দেখেন। আমার প্রথম গপ্পের বই। :!>
৩২| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৩২
সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: ভালো লাগলো আপি ,পড়ে অনেক টা শংখনীল কারাগার টাইপ একসেন্ট পেলাম
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৩৬
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ভাইয়া দিলি তো লজ্জা লাগায়া। ঐটার কাহিনীটা কি !যুদ্ধের থিম না?:!>
৩৩| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৩৬
চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন: অফলাইনে অনেক আগেই পড়ছি
তোমার লেখার হাত মাশাল্লাহ ।দোয়া করি আরো অনেক অনেক ভাল লিখ। সচ্ছ কেমন আছে ? আমার আদর দিও
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৩৮
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: চাচা আপনের দোয়ায় পরিবার শুদ্ধ ভাল আছি। আপনার দোয়া আমার চলার পাথেয়।
৩৪| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৫০
পটল বলেছেন:
আমাগের মিষ্টি কৈ মাহী কবি!
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১২:০৪
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মিষ্টিতে ডায়বেটিস।আমি পটল ভাজি খামু !
বই বিক্রি হইলে মিষ্টি খাওয়ামু। :!>
৩৫| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১২:৩৭
স্বপ্নবাজী বলেছেন: হুম, আপনার তো বই এর প্রচ্ছদের কাজ শেষ। মোড়ক উন্মোচন কবে?
যাক আজকে আমাকে অন্যকিছু শুনতে হয়নি।
০১ লা জুন, ২০১১ সকাল ১০:৫৭
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: বই বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। যদি এক কপি নিতেন ভাইয়া! :!>
পিকচার আভি বাকি হে মেরে পাজিভাই!
৩৬| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১২:৩৯
ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো। তবে, মিথ্যে বলবো না, আরেকটু বড় আশা করেছিলাম শেষ পর্বটি। অল্পতেই শেষ হয়ে যাওয়ায় মনে ব্যথা পেয়েছি।
তবে আপনি যা করতে চেয়েছিলেন, তা চমৎকার ভাবে করেছেন। হুমায়ূন পড়ে মাথা নষ্ট হওয়ায় তার মত একটি গল্প লিখতে চেয়েছিলেন। অপূর্ব গল্প লিখেছেন। এসব গল্পএর আমার দেয়া একটি নাম আছে। "সবসময়ের গল্প"। এসব গল্প বার বার পড়া যায়, হাজার বার পড়া যায়, কখনো পুরনো হয় না; খারাপও লাগে না।
আরো লিখতে থাকুন আপু!! আমরা আরো সবসময়ের কিছু গল্প পড়ি।
০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:০৬
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আপু অনেক ধন্যবাদ আপু। খুব সুন্দর করে বলেছেন সবসময়ের গল্প। কেউ এভাবে বলতে পারে ভাবিনি। খুব ভাল লাগছে আপু।
৩৭| ০১ লা জুন, ২০১১ সকাল ৯:২৬
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
অবশেষে শেষ হলো
০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:২৪
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: কেমন লাগছে তা তো বললেন না!
৩৮| ০১ লা জুন, ২০১১ সকাল ১০:০১
রিমঝিম বর্ষা বলেছেন: ভালো লেগেছে জানো। গতকাল রাত থেকে আমিও একটা চিঠি লিখবো ভাবছি। সকালে অফিসে এসেই প্রথমে চিঠিটা লিখে কাজ শুরু করবো ভেবেছিলাম। কিন্তু তোমার গল্পে চলে গেলাম। হুমায়ুন এর লেখা টানে আমাকে। সেই কারনেই হয়তো তোমার এই ছায়াগল্প টেনেছে আমাকে। সালমা চিঠি লিখতে যাবে যখন, তারপর একটা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি খুব আশাবাদী হোলাম, এইখানটা হয়তো আমাকে সাহায্য করবে একটা সিদ্ধান্ত নিতে। কিন্ত আমি হোলাম দুনিয়া ছাড়া কইন্যা। নিজেই কেবল নিজেরে সাহায্য করতে পারি।
খুব ভালো হয়েছে মাহীসোনা..............খুউব ভালো।
০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৩১
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আপু তোমার চিঠিটা লেখা শেষ হয়েছে?নিজের দিকে ভালমত খেয়াল করবা, তাইলে দ্রুত নিজেরে সাহায্য করতে পারবা।হুম...
অনেক অনেক থ্যাংকু আপুটা
৩৯| ০১ লা জুন, ২০১১ সকাল ১১:৪৭
অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ বলেছেন: শেষটা ফাঁকিবাজি করছো!!
কেন ভাই? এত ছোট কেন??
কয়েকটা লাইন এত পছন্দ হয়েছে!!!!!
ভালবাসার কথা গোপন রাখতে হয়। খুব গোপন। প্রকাশ যত হবে সুগন্ধ কমতে থাকবে
আবার সোনার ডিম,রূপার ডিম-সূর্য আর চাঁদ-তোমার তো দেখি মাশাল্লাহ সাংঘাতিক বুদ্ধি!আরও বড় হও
তবে কিছুটা কেমন যেন-মনে হল আমাদের কে হোমওয়ার্ক বেশি দিলা-একজন থেকে আরেকজন,তাও কিছু বলে দিচ্ছোনা।
তোমার বই এর সৌজন্য কপিটা কী দেয়া যায়???
অভিনন্দন
অ:ট: আমাদের টিমে আমাকেই ভুলে গেলা?মরিচাপুও ভুলে গেল,তুমিও??? এই ছিল মনে?
০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:২২
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ইক! মানে ফারারে পচানী দেয়া হচ্ছে বুঝলি? সব আন্ধার! সামনে সৈন্য দল না থাকলে যা হয় আর কি! তরে কি ভুলি না ভুলতে পারি? এইবার পুরা দমে পচানী হইব। হু হা হা হা! তুই রেডি থাক । আমরা মরিচ আপুর দলে ।
ইয়ে মানে একটাও কপি কিনবিনা? :!>
সোনা রূপার ডিম টা সম্ভবত সাঁওতাল দের উপকথা।ঠিক মনেও নাই। গুবলায়া ফেলছি!
৪০| ০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:১৬
রিমঝিম বর্ষা বলেছেন: "ভালবাসার কথা গোপন রাখতে হয়। খুব গোপন। প্রকাশ যত হবে সুগন্ধ কমতে থাকবে"...........সত্তা, মাহী..........মন দিয়ে শোন.........
ভালোবাসার কথা কখনোই গোপন রাখতে হয়না। তাতে বাক্সবন্দী হয়ে সুগন্ধ হারায়। বরং তাকে প্রকাশ করতে হয়। বারবার। ভালোবাসার বিস্তৃতি প্রকাশে। বুঝছো?
০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:২৮
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ভালবাসার কথা বলে দিলে আমার তো মনে হয় নিজের ভালবাসাও কমে যায়!
তবে এটা ঠিক প্রকাশ না হলে অপরপক্ষকে বিশ্বাস করানো মুশকিল। এরকম কত প্রেম চাপা থাকে শেষে গলে পচে নষ্ট হয়ে যায়! আমি খুব দ্রুত প্রেমে পড়িতো আপু তাই প্রেমের উপর বিশ্বাস আমার খুব কম। অতএব ভালবাসা গোপন রাখা ভাল।
৪১| ০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ১:২৫
স্বপ্নবাজী বলেছেন: বই খরিদ করিতে চাই, ঠিকানাখানা যদি বলিতেন তাহা হইলে উপকৃত হইতাম আপু ।
ভাগ্যিস আমি হিনইদ বুঝি না নাহলে নিচের লাইনে কি যেন পড়তে হত
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ৯:১৯
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: একটু ওয়েট ভাইয়া প্রকাশনীর ঠিকানাটা দেইখা জানাইতেসি।
৪২| ০১ লা জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৪
সরলতা বলেছেন: আপু,পুরো গল্পেই একটা হুমায়নী ছাপ ছিল,বেশি ছিল প্রথম আর শেষ পর্বে। শেষ অংশের পরিশিষ্টটুকু আমার অনেক বেশি ভাল লেগেছে কেন জানি। মনে হয়েছে গল্পটা এভাবে শেষ করাতেই ভাল হয়েছে।
সালমার জন্য বেশ খারাপ লেগেছে। আমার ধারণা অনু্যায়ী আমি ভেবে নিয়েছি সালমার কি হয়েছে।
তুমি অনেক ভাল লেখ আপু।
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ৯:২০
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা আপু। পুরোটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৪৩| ০১ লা জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৭
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: আমার কিন্তু প্রথম আর শেষ পর্বটা বেশি ভাল লেগেছে।
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ৯:২১
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ধন্যবাদ বৃভেস প্রথম থেকে পাশে থাকার জন্য।
৪৪| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ৯:৩২
অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ বলেছেন: বর্ষা আপু, আমার ও তো মনে হয় মাহীপুর মত।তবে মাঝেমধ্যে প্রকাশ করতে হয়। ঐ যে মাঝেমধ্যে বের করে যত্ন করে সেটার সুবাস ছড়িয়ে দেয়া,তখন সেটা অন্যরকম আনন্দের হয়,কেমন একটা উপহার টাইপ,না হলে সেই সৌরভ টাই পরে অভ্যাস হয়ে যায়,আর তার যে অসাধারণ ব্যাপারটা বোধহয় দেখা তো যায়,কিন্তু খেয়াল করা হয়না, অগোচরে আস্তে আস্তে ফুলের সুবাস এর বদলে পারফিউমের গন্ধের মত প্রতিস্হাপিত হয়ে অবহেলা কুড়ায়-আমার নিজস্ব মতামত এটা।
কিছু জিনিস বোধহয় বিশেষ হওয়ার জন্য,একটু আড়ালে রাখাই ভাল।
নাহলে সেটা নিত্যনৈমত্তিক হয়ে তার আবেদন হারায়।
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১০:৪১
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: সায়মা আপু তোকে এমনি বলেনা গভীরতার মেয়ে।
এত সুন্দর করে গুছিয়ে বলার জন্য হিংসা। :!>
৪৫| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ৯:৪০
অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ বলেছেন: ফারাপু নিশ্চয় জাহাজী ভাইকে মিস করবে এখন। জাহাজী ভাইয়া থাকলে এখন বলত-সবগুলোকে চুবাব!
আচ্ছা উনি কোথায়?
তবে ফারা আপু তিনকন্যার দল-তিনবোনে মিলে ঐক্যের অভাব নাই,এই যে দেখেন একসাথেই নাই হয়ে গেছিল
আবার ফিরে আসছে।
আবার আমাদের টিম শক্তিশালী হবে।
আর তোমার বই আমারও কিনে পড়তে হবে?এ কী কথা শুনাইলা? আপন মানুষদের সাথেও যদি....আমাকে তো সৌজন্য সংখ্যা দিবা,আমি না হয় তোমার বই এর পাবলিসিটি করে দিব ফাঁকে ফোকড়ে।বিক্রি বাড়ায়ে দিব নে চিন্তা কইরো না! আমাকে খালি ভাল ভাল রান্না করে খাওয়াইও।
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১০:৪৪
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: জাহাজী ভাইয়া শুনলাম দেশের মধ্যে হাবুডুবু খাইতেসে। ভালইচে। আমগো শত্রু কমসে। অবশ্য ঘুমন্ত শত্রু জেগে উঠতে পারে যে কোন টাইমে। আমগো সতর্ক থাকা লগব।
রান্না!
আচ্ছা যা। যেরাম রান্ধুম সেরামই খাবি। তর ইতো বইন!
:#>
৪৬| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ৯:৪৭
শুভ্রতা বলেছেন: সম্পুর্ন গল্পটি পড়লাম একসাথে সায়েম মুন ভাইয়ের মন্তব্যে। গল্প ভালো হইসে
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১০:৪৪
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠে।
৪৭| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১০:৪৮
স্বপ্নবাজী বলেছেন: এখনোও তো জানান নাই
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১১:২০
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ইয়ে ভাইয়া প্রকাশনীর নাম তো দেখতে পাচ্ছিনা।
৪৮| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১১:৫১
অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ বলেছেন: রান্না! আচ্ছা যা। যেরাম রান্ধুম সেরামই খাবি। তর ইতো বইন!
:#>
কী যে খুশি লাগল!!
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১১:৫৫
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: লাভ ইউ পুটলু! :!>
৪৯| ০২ রা জুন, ২০১১ ভোর ৬:৩৩
শোশমিতা বলেছেন: সবগুলো পর্ব আজ আবার এক সাথে পড়েছি, ভালো লাগলো!
আপু কেমন আছেন?
০২ রা জুন, ২০১১ দুপুর ২:০১
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আমি ভাল আছি আপু। সবসময় ভাল থাকা হোক । শুভকামনা...
৫০| ০২ রা জুন, ২০১১ সকাল ৯:৪৮
রিমঝিম বর্ষা বলেছেন: কিজানি। আমারতো মনে হয় ভালোবাসা প্রকাশ করতে হয়। প্রকাশের ভঙ্গী বিভিন্ন হোতে পারে। যেমন...একটা এ্যাড দেখলাম। মেয়েটা ছেলেটাকে বলছে "তুমি আমাকে শেষ কবে আই লাভ ইউ বলছো"। ছেলেটা উঠে গিয়ে একটা ক্যাটবেরী এনে মেয়ের হাতে দিয়ে বলে "এখনি তো বললাম"। মেয়েটা অবাক হয়ে বলে "এখনি?"। ছেলেটা বলে "হুম, এখনি"। তখন মেয়েটা ক্যাটবেরী দেখিয়ে বলে "এতো তুমি আমাকে রোজ............."।
শুধু ছেলে-মেয়ের বেলাতেই না। যেকোন সম্পর্কেই আসলে। আমার রাজকন্যা দিনে ৫০ বার আমাকে জিজ্ঞেস করবে "মা, তুমি আমাকে ভালোবাসো?" আমি যখন বলি "আমি তোমাকে অনেএএএক ভালোবাসি মা", তখন সে ছোট্র দুহাতে আমার গলা জড়িয়ে চুমু খায়। মন ভরে যায় আমার।
রান্না তুই একলা খাইসনা সত্তা।
০২ রা জুন, ২০১১ দুপুর ২:০৩
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: একেকসময় একেকরকম মনে হয় আপু। তোমার কথাটাও কিন্তু ফেলা যায়না। প্রকাশ না করলে বা না করতে করতে একসময় দুরত্ব বেড়ে যায় এটাও তো ঠিক!
রাজকন্যাকে আদর।
৫১| ০২ রা জুন, ২০১১ সকাল ১০:০৬
অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ বলেছেন: ওমা! একলা খাবো কেন?তোমরা দুইজন রান্না করবা,আমি খাব।আমার ভাগনা ভাগনিকে নিয়ে বসে বসে খাব, একপাশে স্বচ্ছ আরেকপাশে সারাহ।আমার দুইটা লক্ষ্মী পুটুস কে নিয়ে।তোমরা মাঝেমধ্যে এসে জিজ্ঞেস করবা- তোদের আর কিছু লাগবে? আরে,আগে আমারটা টেস্ট কর,না না আমারটা! দুইজনে মিলে ঝগড়া করবা-আর আমরা পিচ্চিগুলো..বাবুরা আর বাবুদের খালামণি মিলে খাওয়া দাওয়া করব।আর ঝগড়া থামাতে গিয়ে বলব-
আরে থামো..কোক টোক নাই? আইসক্রিম? খাওয়া শেষে একটু মিষ্টি কিছু না খাইলে আমার আবার ভাল লাগেনা!!
আহ!! ভাবতেই ভাললাগে।দুইবোনের আদরে আদরে ...লক্ষ্মী সত্তাটা! নিজের ভাগ্যে নিজেই মুগ্ধ!!
০২ রা জুন, ২০১১ দুপুর ২:২৪
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: স্বপ্নবতীর স্বপ্ন পূরন হোক। আর মাঝেই মাঝেই কানমলা টাও খা বার জন্য রেডি থাকিস। হু....
৫২| ০২ রা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:০৬
রিমঝিম বর্ষা বলেছেন: স্বচ্ছ? স্বচ্ছ-র খবর তো জানা নাই আমার।
লক্ষী সত্তা..................লক্ষী আপুনি আমার।
০২ রা জুন, ২০১১ দুপুর ২:২৬
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: লক্ষী আপুনি আমার রাগ করেনা!
৫৩| ০২ রা জুন, ২০১১ রাত ৯:৩৩
রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: পচা হইছে
০৩ রা জুন, ২০১১ সকাল ৯:৫২
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: hu tomare bolse...
৫৪| ০৩ রা জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৫
রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: হমমমমম
০৪ ঠা জুন, ২০১১ সকাল ১১:০৮
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ভমমমমমম
৫৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৫
ভুত. বলেছেন: পুরো গল্পটা খুব ভাল হয়েছে। শেষ অংশটা বেশী ছোট হয়ে গেছে
০৫ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:৫৭
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: পড়ার জন্য থ্যাংকস আপুনি।ভাল থেকো।
৫৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ রাত ১০:১৫
আন্না০০৭ বলেছেন: বেশ ভাল লাগলো আপু ।
ভাল থাকুন আর লিখুন ব্লগের জন্যে আপনাদের লেখা বেশি বেশি দরকার।
০৫ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:৫৮
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু পড়ার জন্য। শুভকামনা...
৫৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ রাত ১১:৪৫
পৃথিলা আফনান বলেছেন: আপি, পুরো গল্পে তুমি আমার ডাক নাম দিয়েছ কয়েকবার। ফুলের নামে নাম। বলতো আমি কে?
০৫ ই জুন, ২০১১ দুপুর ২:০১
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: তুমি আপু জুঁই/জেসমিন/যুথি।
৫৮| ০৫ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:০৫
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
এতক্ষণ পাঠক ধরে রাখা আর কাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে রাখা অন্তর্গত শক্তিটা বলে দেয় মাহী! খুঁটিনাটিতে না গেলাম, ঝর ঝরে একটা গল্প হয়েছে।
০৬ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:৫৫
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম। অনেক ধন্যবাদ, মনে করে পড়ার জন্য।
৫৯| ০৬ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৪২
পৃথিলা আফনান বলেছেন: প্রথম টা।
০৬ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:৫৯
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: জুঁই আপুটা
৬০| ১১ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:৪৮
পাগলমন২০১১ বলেছেন: এবার মিষ্টি খাওয়ান।
১৭ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:২৪
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ডায়বিটিস নেই তু?
৬১| ১১ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৩১
মেমনন বলেছেন: ভালো লেগেছে শেষটা, এই গল্পে এরকমই শেষ হবার কথা, যেখানে পাঠক আরও কিছুক্ষণ কল্পনার সুযোগ পাবে।
১৭ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:২৫
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকা হোক।
৬২| ১৬ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৩২
ত্রাতুল বলেছেন: পড়া শেষ! শান্তি!
প্রথম পর্বে যে হুমায়ূনীয় ঝড় ছিল সেটা মাঝখানে কেমন ম্লান হয়ে গেছে আমার মনে হয়। তবে সেখানে নিজের মতো ভাবনাগুলো উঠে এসেছে। আসলে চাইলেও পুরোটা কারোর মতো হওয়া যায় না। কোন না কোন ভাবে ভালাদা হয়েই যায়। শেষটাতে আবার সেই ছোঁয়া কিছুটা হলেও এসেছে। বিশেষ করে জ্যোৎস্না জিনিসটা কেন যেন হুমায়ূন আহমদের সাথে রিলেট হয়ে গেছে। ওনার মতো এত জ্যোৎস্নাবিলাসীতা কম দেখেছি। তবে গল্পটা কিন্তু খুব বেশি বড় হয় নি। শেষ পর্বটা আরেকটু বড় করা যেত। পাঠকের জন্য একটু বেশিই রেখে দেয়া হয়েছে মনে হয়। যাইহোক, সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা গল্প পড়লাম, বছর শেষ না হতেই। ভাল থাকবেন।
১৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৩৪
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: কানে ধরেছি আর জীবনেও বড় গল্প লেখায় হাত দিবনা। কি যে টেনশনে দিন কেটেছে ! কি হবে এরপর! কি ভাবে হবে! শেষ করতে পারব কি না। শেষ হলেও কারো ভাল না লাগে যদি।
আমি ছায়া গল্প লিখতেও ব্যর্থ।
৬৩| ২১ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৩০
ত্রাতুল বলেছেন:
আহারে!! থাক দুঃখ কইরেন না!
নিজে যা লিখেন তাতেইতো হুলস্থূল অবস্থা! খালি চলেনা দৌড়ায়ও!
২২ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৪০
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মানুষ পেছনে অনেক কথা বলে ত্রাতুল। আপনিতো জানেন ই। এসব আর ভাল লাগেনা।
৬৪| ২২ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:১৩
ত্রাতুল বলেছেন:
জানি! আপনাকে অনেক আগেই কিছু কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সুযোগ ছিল না। বর্ষা আপুকে কিছু কিছু বলেছি। যাইহোক, বলাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ না। মূল কথা হচ্ছে, অন্যসব দিকে সময় দেয়া কমিয়ে পুরোপুরি লেখালেখিতে মন দেন। আপনার লেখা ভাল লাগে। লেখক হিসেবেই আপনাকে দেখতে চাই। আর এতদিনে মনে হয় কিছুটা দাবদ্ধতাও তৈরি হয়েছে। ছেলেমানুষি সময়তো অনেক কেটেছে। এখন ব্লগার পরিচয় ছাপিয়ে লেখক পরিচয়টা বের হয়ে আসুক এটাই মনে প্রাণে প্রত্যাশা করি আর শুভ কামনাও করি। নিজেকে আগলে রেখেও অনেক মজা করা যায় অনেক ফান করা যায়। নিজের লেখালেখি দিয়েই অনেক প্রশ্নের উত্তর দেয়া যায় অনেক কিছু আড়াল করে ফেলা যায় আমার বিশ্বাস। আপনার মত লেখার হাত থাকলে নিজেকে ধন্য মনে হত। এটা কিন্তু মন থেকেই বললাম। এখন যা বোঝার বুঝে নেন।
২৩ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩০
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আপনার মন্তব্যে বেশ উৎসাহ পাচ্ছি। এখন আর আগের মত সময় কই !
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা!
৬৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:৫৪
শশী হিমু বলেছেন: মাহী আপু!
অনেক ভালো লাগছে!
কোন এক পরিবারের জাপিত জীবন এমন সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছ! খুব ভালো লেগেছে। হুমায়ুনী ভাব আছে। তবে চিঠি গুলো তে তোমার মৌলিকত্ব আছে!
তোমার লেখার ভক্ত অনেক আগে থেকেই, এখন তো অন্ধ ভক্ত হয়ে যাচ্ছি!
১০ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৭
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মনটা কিরাম জানি খুশি খুশি লাগছে একজন অন্ধ ভক্ত পাইয়া।
৬৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:১১
শশী হিমু বলেছেন: এইবার মিষ্টি খাওয়াও!
( মিষ্টির ছবি দিলে হবেনা )
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মে, ২০১১ দুপুর ২:৫০
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: এতো অল্পতেই শেষ???