নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সে এক আশ্চর্য জলপ্রপাত...

সাপের শরীর হয়ে আঁধারের গাছ/ কুয়াশার বন্যায় ডুবো দেবী মাছ!

মাহী ফ্লোরা

আমি আমিই....... আকাশজুড়ে চাঁদের আলো রূপার জলে আঁকা অন্ধকারের ঠোঁটের কোনায় নীলচে হাসি বাঁকা! তারা-আলোর রথ ছুটানো একটি ডজন ঘোড়া সমস্বরে বল্লো, এ নাও গোলাপ, মাহী ফ্লোরা। ......... মহাবিশ্বের শুভেচ্ছা পেয়েছি এভাবে!

মাহী ফ্লোরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মায়ের কাছে চিঠি

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৫৪

কেমন আছো তুমি? কতদিন,কত সহস্র দিন তোমাকে দেখিনা মা, কত সহস্র দিন তোমার কন্ঠ শুনিনা, কত সহস্র দিন কোনও স্পর্শ নেই তোমার।

তুমি ছিলে, কখনো বুঝিনি ছিলে।

যেন তুমি থাকবেই,যতদিন আমি থাকি ততদিন তুমি -- যেন এরকমই কথা ছিল।



আমার সব ইচ্ছে মেটাতে যাদুকরের মত। কখন আমার ক্ষিধে পাচ্ছে, কখন তেষ্টা পাচ্ছে, কি পড়তে চাই,কি পরতে, কখন খেলতে চাই,ফেলতে চাই, মেলতে চাই হৃদয়,আমি বোঝার আগেই বুঝতে তুমি।

সব দিতে হাতের কাছে, পায়ের কাছে, মুখের কাছে। থাকতে নেপথ্যে।

তোমাকে চোখের আড়ালে রেখে,মনের আড়ালে রেখে যত সুখ আছে নিয়েছি নিজের জন্য।

তোমাকে দেয়নি কিছু কেউ, ভালবাসেনি, আমিও দিইনি,বাসিনি।

তুমি ছিলে নেপথ্যের মানুষ।তুমি কি মানুষ ছিলে? মানুষ বলে তো ভাবিনি কোনওদিন,

দাসি ছিলে, দাসির মত সুখের জোগান দিতে।

যাদুকরের মত হাতের কাছে, পায়ের কাছে, মুখের কাছে যা কিছু চাই দিতে, না চাইতেই দিতে।

একটি মিষ্টি হাসিও তুমি পাওনি বিনিময়ে, ছিলে নেপথ্যে, ছিলে জাঁকালো উৎসবের বাইরে নিমগাছতলে অন্ধকারে, একা।

তুমি কি মানুষ ছিলে! তুমি ছিলে সংসারের খুঁটি, দাবার ঘুটি, মানুষ ছিলেনা।

তুমি ফুঁকনি ফোঁকা মেয়ে, ধোঁয়ার আড়ালে ছিলে, তোমার বেদনার ভার একাই বইতে তুমি,

তোমার কষ্টে তুমি একাই কেঁদেছো। কেউ ছিলোনা তোমাকে স্পর্শ করার, আমিও না।

যাদুকরের মত সারিয়ে তুলতে অন্যের অসুখ বিসুখ, তোমার নিজের অসুখ সারাইনি কেউ, আমি তো নইই, বরং তোমাকে,

তুমি বোঝার আগেই হত্যা করেছি।



তুমি নেই,হঠাৎ হাড়ে মাংসে মজ্জায় টের পাচ্ছি তুমি নেই।

যখন ছিলে, বুঝিনি ছিলে। যখন ছিলে , কেমন ছিলে জানতে চাইনি।

তোমার না থাকার বিশাল পাথরের তলে চাপা পড়ে আছে আমার দম্ভ।

যে কষ্ট তোমাকে দিয়েছি, সে কষ্ট আমাকেও চেয়েছি দিতে, পারিনি।

কি করে পারব বল! আমি তো তোমার মত অত নিঃস্বার্থ নই, আমি তো তোমার মত অত বড় মানুষ নই।







অ:ট তসলিমা নাসরিনের এ কবিতাটি পড়ার পর কেন যেন মনে হয়েছে ঠিক হয়নি। মায়ের সাথে যা করেছি প্রতিদিন ঠিক হয়নি। ছোট বেলাতেও কেউ জিজ্ঞেস করলে অবলীলায় বলেছি প্রিয় মানুষ বাবার কথা।

খালি খালি লাগে কাব্যগ্রন্থে আছে তাঁর এ কবিতাটি।

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:০২

সরল মানুষ বলেছেন: মা, তোমার না থাকার বিশাল পাথরের তলে চাপা পড়ে আছে আমার দম্ভ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:২২

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:১১

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: :( :(


বাসায় যামু :(

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:২৩

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মায়ের কাছে। :(

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:২৬

বিতর্কিত উন্মাদ মানব বলেছেন: জগতের শুদ্ধতম শব্দ "মা"

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মায়ের প্রতি ভালবাসা বাড়ুক আরো। শেষ বয়সে তাঁদের আরো বেশি প্রয়োজন এ ভালবাসার।

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:৩২

সেজুতি_শিপু বলেছেন: শিকড়ের টান সেখানে । মা ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৫

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মা। মাগো।

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:৪৩

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: মাকে ভালবাসি :)

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৩

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মাকে ভালবাসি!

৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:৫৮

হোসাইন সাজ্জাদ বলেছেন: বাবাকে লেখা তাঁর চাকরি জীবনের শেষ চিঠি
২৭/১২/২০১০

প্রিয় বাবা,
কেমন আছ? আমার এ চিঠি যখন তোমার কাছে পৌঁছাবে, তখন হয়ত তুমি আর পাকুটিয়ার সাব-পোষ্টমাস্টার নাও থাকতে পার। চাকরি জীবনের এতগুলো বছর যে চেয়ার টেবিলে বসতে, সে টেবিলে অন্য কেউ বসবে। নতুনদের জন্য জায়গা করে দেওয়া মনে হয়, দুনিয়ার চিরায়ত নিয়ম। তোমার সিল গালার জন্য আমাকে আর পুরাতন কলম যোগাড় করতে হবে না। তোমার অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আর পিয়নকে দেওয়া বকুনি শুনতে পাব না। শুনতে পাব না, তোমার কঠিন হাতে চিঠির উপর সিল মারার শব্দ। কি আশ্চর্য! একজন মানুষ ত্রিশটি বছর যে কাজ করতে অভ্যস্ত, হঠাৎ করে তার ডেইলি রুটিন চেঞ্জ হয়ে যাবে। আমি পাগল মানুষ কী না কী বলছি এসব মনে নিও না। তোমার এ পেশা জীবন আমি খুব কাছ থেকে অনুভব করছি। একজন মানুষ সকল যোগাযোগের মাধ্যম। কত সুসংবাদ আর দুঃসংবাদ বার্তা তোমার হাত দিয়ে পৌঁছেছে মানুষের কাছে। তুমি কখনো বুঝতেও পারনি। কোন চিঠি বয়ে এনেছে অনাবিল সুখ আর কোনটি পাহাড় সমান দুঃখ। যাদের চিঠি আসার কথা তারা তোমার কাছে কত আপন ভাবতে পার। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের তিন-তিনটে বছর পার করলাম। অর্জন বলতে তেমন কিছু না হলেও, এতটুকু বলতে পারি আমি উপলব্ধি করতে পারি আমার আব্বুকে। একজন পোস্টমাস্টারের দূরদর্শিতাকে। গ্রামে থাকলে হাজার নালিশ তোমাকে বিরক্ত করত। বিগত সাত বছরে এ নালিশ তোমাকে শুনতে হয়নি। এ আর কম কী। এটাও তো আমার অর্জন; তোমাকে কষ্ট না দেওয়া। তাই না? সকাল
আটটা-পাঁচটা অফিস তোমাকে তোমার অনেক কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। আব্বু, একজন রসিক মানুষের ঘরকন্না মানায় না। এবার আর গল্প করতে পাড়ায় গেলে বার বার তোমার ঘড়ি দেখতে হবে না, অফিসের সময় হয়ে এল বলে। কেউ আর অপেক্ষা করবে না, তোমার জন্য পোষ্টঅফিস এর বারান্দায়। অবাক হচ্ছ, তোমার এ ছোট পাগল ছেলেটি এত পাকা কথা শিখল কোথা থেকে? আব্বু বিশ্বাস কর, তোমার পকেট থেকে টাকা চুরি করা সেই ক্লাস ষষ্ঠ শ্রেণীর সবুজ, আর আজকের এ সবুজের পার্থক্য অনেক বলতে পার। আমি আমাকে প্রকাশ করার ক্ষমতা কোথায় পেলাম জানি না। শুধু এতটুকু জানি, আমি আমার সৃষ্টিকর্তার কৃপায় লিখতে পারি। আব্বু, তুমি বলতে আমার কবিতা কেউ পড়বে না, অথচ দেখ আমার লেখার কত পাঠক। অনেকের কাছে আমি আইডল। সাংবাদিকতার চাকরিটা আমার হয়েছে শুধু আমার লেখায় আবেগ থাকে বলে। আমার লেখা পাঠক ধরে রাখতে পারে। এটা আমার কথা না, আমার বন্ধুরা বলে। অথচ তুমি আমার আবেগপ্রবণতাকে খামখেয়ালিপনা বলতে। আমার লেখা অনেকে পত্রিকা থেকে কাটিং করে জমা করে রাখে। কী থেকে যে কী লিখছি বুঝতে পারছি না। লোকে আমাকে নাকি আব্বু পাগল বলে। তাদের বলো তোমার এ পাগল ছেলেটি দেশবরেণ্য সাংবাদিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়লে- আব্বু, আমার মধ্যে জীবনবোধ এতটা কাজ করত না। একটা ব্যাপারে আমি বেহিসাবী। টাকা খরচের ব্যাপারে। কেন জানি আমার হাতে টাকা থাকে না। একটা ব্যাপার বলি শুন তাহলে। আমি কিন্তু টিউশনি করাই। কিন্তু তোমাদের বলি না। তুমি আবার রাগ কর। আজ বলে ফেললাম সত্যিটা। আমার যে কখন টাকার দরকার হয়, আমি নিজেও বুঝতে পারি না।। আব্বু সাইকেলটা কিনেছি আমার টিউশনির টাকা দিয়ে। ওটার প্রতি আমার অনেক দরদ। পারতপক্ষে কাউকে চালাতে দেই না। সত্যি বলতে কী জান আব্বু, সাইকেলের প্রতি আমার আবেগ এতই বেশি যে, আমি আমাকে চিনতে পারি না। যেদিন আমি সাইকেলটা কিনলাম, তোমাকে ফোনে কেনার কথা বলেছিলাম। আমাকে লক্ষ টাকা দিলেও এত খুশি হতাম না, যতটা খুশি আমি সাইকেল কিনে হয়েছিলাম।
ইদানিং মোটর সাইকেলের প্রতি একটু ঝোঁক হয়েছে, তবে সাইকেলের কদর কিন্তু কমেনি। আমি অতি অল্প বয়সে সাইকেল চালানো শিখেছিলাম। মেজ আর বড় আমাকে ওদের নতুন সাইকেল চালাতে দিত না। আমি তোমার পুরনো ফনিক্স সাইকেলটা তেল দিয়ে মুছতাম। তোমার সাথে সাইকেলে চড়ে শুক্রবারের হাটে যেতাম। অথচ আমার এ সাইকেলটা আমার একার। মেজ আর বড় এখন আমাকে আর মানা করে না।
অথচ দেখ, সে সময় আমি কতই না কষ্ট পেতাম। একটা নতুন সাইকেলের স্বপ্ন আমার সারা জীবনের। আর একটা ব্যাপারে আমি খুব উদাসীন, তা হল সময়। সময়মত আমি কাজ করতে পারি না। সময় অসচেতন বলে তুমি আমাকে ঘড়ি কিনে দাওনি। আমার হাতে যে ঘড়িটা তুমি দেখলে সেটা অনেক দামি, তবে ছোট বেলার মত সে আনন্দ নাই। ঘড়িটা আমার এক ছাত্রী পছন্দ করে কিনে দিয়েছে। মেয়েটার নাম রবি। অনেক মেধাবী, খুবই ধৈর্যশীল। আমার ঠিক বিপরীত, চঞ্চল বা অস্থির নয়। আব্বু, আজ হঠাৎ আমার সেই বাল্যকালের সন্ধিক্ষনের সময়গুলো খুব মনে পড়ছে। কৈশোরের শুরুটা আর কী। আমি তোমার পকেট থেকে টাকা মারতাম। ধরা খেতাম মাঝে মাঝে। প্রাপ্য হিসেবে মেজ আমাকে মারত। তুমি কম মারতে। অথচ দেখ, তুমি আজ আমাকে বাড়ি যাওয়ার সময় পাঁচশত টাকা অযথাই দিয়ে গেলে। সে দিনগুলোর কথা মনে হল আমার খুব কষ্ট হয়, কান্না পায়। এ কান্না আবার ভেব না, আমাকে তোমরা কেন মারছ এজন্য। কষ্ট হয় কেন আমি একদম পড়াশোনা করতাম না। একঘন্টা টেবিলে বসে থাকাকে আমার কাছে একশত ঘন্টা মনে হত। অথচ আমি সারা রাত খোলা আকাশের নিচে অন্যের বাসায় ভিসিআর দেখতাম। একটা টেলিভিশন আমারা ভাই-বোনরা খুব অনুভব করতাম। তুমি বলতে, টাকা রোজগার করে যে যার টেলিভিশন কিনবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরই আমি টিউশনির পনের হাজার টাকা আর তোমার বেতনের টাকা দিয়ে চলি¬শ হাজার টাকায় কম্পিউটার কিনলাম। টেবিলে সবসময় এমনিতে পড়ে থাকে। ছোট বেলার সে আবেগটা আমি পাই না আব্বু। মা’র কথা কী বলব জানি না। শুধু অতটুকুই জানি তার সমস্ত বসড়ঃরড়হধষ য়ঁধষরঃু আমার মধ্যে বিদ্যমান। আমি আবেগী হবার গুণ মনে হয় মার কাছ থেকে পেয়েছি। মার জন্য আমার মন খুব কাঁদে। আমার তো আর শহুরে মা নয়। মোবাইলে আমার নিয়মিত খোঁজ নেবে; আমি খেয়েছি কিনা, ক্লাসে গিয়েছি কিনা। মা আমাকে বেশি দেখতে পারত না যখন আমি গ্রামে ছিলাম। কথাটা মনে হয় ভুল বলে ফেললাম। অথচ দেখ সবচেয়ে বেশি ভালবাসায় সিক্ত আমি ঢাকায় আসার পর। আমি বাড়ি গেলে তার জমানো সমস্ত টাকা আমি পেয়ে যাই। আসার সময় শেষ সঞ্চয়টুকু আমার পকেটে দিয়ে দেয়। একজন মার চেয়ে অনেক বেশি আবেগী আমার মা, আমি একবাক্যে স্বীকার করি।
জানি না তাকে কতটুতু সুখী করতে পারব। আব্বু অনেক লিখে ফেলেছি। আমার না বলা কথা, যা আমি কখনো তোমাকে বলতে পারতাম না। ভাল থেকো। দোয়া কর, তোমার স্বপ্নকে সার্থক করার ক্ষমতা যেন বিধাতা আমাকে দেয়।


সবুজ
১৫৯, এসএম হল





















এই মুহূর্তে যাদের পড়ছে মনে ...

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৫

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আবেগি একটা চিঠি!

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:২৮

মেমনন বলেছেন: এমন দরদী ভবে কেউ হবে না, আমার মা।

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩১

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মায়ের একধার দুধের দাম...

৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:২২

লাল চাঁন বলেছেন: "মা" কে নিয়ে আমার লেখা, আমার প্রিয়জন

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪০

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: সময় করে অবশ্যই পড়ব।

৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৩১

সায়েম মুন বলেছেন: চিঠিটা মর্মস্পর্শী। অনেক মন খারাপের চিঠি। মায়েরা ভালো থাকুক।

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মায়েরা ভালো থাকুক। মায়েদের ভাল রাখি আমরা।

অনেক ধন্যবাদ।

১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৫২

টুকিঝা বলেছেন: যেন তুমি থাকবেই,যতদিন আমি থাকি ততদিন তুমি -- যেন এরকমই কথা ছিল।
missing you maaaa.... :(

মায়ের সাথে সারাদিন কথা বলা হয়না, কিন্তু রোজ রাতে একবার কথা না বললে একদম ভাল লাগেনা, মা একদিন ফোন না দিলে মনে মনে কি যে অভিমান হয়!!! মাকে ভালবাসি কখনো বলা হয়না, সারাদিন খোঁজ খবর নেইনা, শুধু রাত হলে মা মা মনেহয়, আর জ্বর হলে মনেহয় সারাদিন!!! আর যখন কেউ খুব কষ্ট দেয় তখন মনেহয় মায়ের সাথে কথা বলেই যাই আর বলেই যাই, কিন্তু যখন মা কি খাচ্ছি না খাচ্ছি বারবার জিজ্ঞেস করে তখন বিরক্ত হয়ে যাই!!! বড্ড স্বার্থপর আমরা!!! আর মা গুলো বড্ড বেশি ভাল!!! :(

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মায়েরা বড্ড বেশি ভাল যেন।

১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৬

মেহবুবা বলেছেন: বোধোদয় সময় থাকতে হলে পরবর্তীতে সান্ত্বনা পাওয়া যায় ।
ধন্যবাদ এই কবিতা শেয়ারের জন্য ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫০

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: সময় থাকতে বোধোদয় খুব কম মানুষের ই হয়। আফসোস!

১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৯

জলমেঘ বলেছেন: আমার সব ইচ্ছে মেটাতে যাদুকরের মত। কখন আমার ক্ষিধে পাচ্ছে, কখন তেষ্টা পাচ্ছে, কি পড়তে চাই,কি পরতে, কখন খেলতে চাই,ফেলতে চাই, মেলতে চাই হৃদয়,আমি বোঝার আগেই বুঝতে তুমি।
সব দিতে হাতের কাছে, পায়ের কাছে, মুখের কাছে। থাকতে নেপথ্যে।
তোমাকে চোখের আড়ালে রেখে,মনের আড়ালে রেখে যত সুখ আছে নিয়েছি নিজের জন্য।

নির্মম সত্যি কথাগুলো

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: সত্যি কথাগুলো!

১৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪০

স্বপ্নকথন বলেছেন: আপুনি, কোনটাই আসলে ঠিক না! মা-বাবা এই দুইটা মানুষ ছাড়া আমরা কিছুই না।

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আমি অবলীলায় বলেছি বাবাকে বেশি ভালবাসার কথা। অবশ্য এখন আমার পুত্রও তাই বলে। /:)

১৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:২১

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: আবেগি হয়ে গেলাম আপু। হসাইন সাজ্জাদ এর চিঠি পড়ে আরও আবেগি হলাম। আমাদের এই ভালোবাসা, আবেগ, শ্রদ্ধা যেন চিরদিন আক্ষুন্ন থাকে।

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:৩১

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

১৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:১২

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: পোস্ট আর নিচের চিঠি দুটোই ভাল লাগল মাহি ।

সেদিন এভাবে ভেগে গেলেন কেন ??

০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:২১

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: হঠাৎ করে গিয়ে মিলতে পারছিলাম। তাই পালিয়ে এসেছি।

১৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:১৬

সকাল রয় বলেছেন:

খুব ভালো লাগলো

০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:২২

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৫৫

শশী হিমু বলেছেন: মা..


সবচাইতে ছোট কিন্তু সবচাইতে শক্তিশালী শব্দ!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:২৪

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: সবচেয়ে আপন একটা শব্দ!

১৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:১৮

অচেনা রাজ্যের রাজা বলেছেন: লেখাটা পড়ছিলাম আর আমার আম্মা ভাত আমার টেবিলের উপর রেখে গেলেন। সত্যি মা না থাকলে যে কি হতো...ঠিক মতো হয়তো ভাতটাও খেতে পারতাম না। হোসাইন সাজ্জাদের বাবাকে লেখা চিঠিটা পড়ে মনটাই খারাপ হয়ে গেল :(

০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:২৫

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ঠিক বলেছেন রাজামশাই।

চিঠিটা সত্যিই স্পর্শকরার মত।:(

১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৫৫

কি নাম দিব বলেছেন: সব মায়েদের জন্য ভালোবাসা

০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১১:৪৮

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: সব মায়েদের জন্য ভালোবাসা।

২০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৭:৩৫

নাআমি বলেছেন: মা-বাবা, দুজনেই জীবন চলার পথে অপরিহার্য !! তোমার চিঠি চোখে পানি এনে দিল মাহী, সবচেয়ে প্রিয় মা-বাবাকে ছেড়ে কতদূরে পড়ে আছি ! !

০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১১:৪৬

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আপু অট টা দেখেন নি। :(( :((

২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:২৫

সানজিদা হোসেন বলেছেন: মাত্র কদিন আগে হারিয়েছি।তাই এখনো চোখ ঝাপসা হয়ে আসে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:২৮

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: দুঃখিত!
আপনাকে ধৈর্য্য ধারনের শক্তি দিন ইশ্বর। মা যেখানে আছে ভাল আছে ভাল থাকুক।

২২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:০৪

নিভৃত নয়ন বলেছেন: এরকম লেখা পড়ার পর কেমন যেন একটা আলাদা অনুভুতি কাজ করে।
মায়ের জন্য ভালবাসা।
খুব ভালো লাগছে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:২৯

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মায়ের জন্য ভালবাসা।

২৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:০৪

দূর্যোধন বলেছেন: খারাপ লাগতাসে ....... :(

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৪৪

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আমারো।:(

২৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:১৯

স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: আমি তসলীমা নাসরিনের কবিতা পড়া শুরু করেছি এই ব্লগের কিছু লিঙ্ক থেকে। উনার প্রতি আগের ইম্প্রেশন যদিও ভাল ছিলনা, তবু কবিতাগুলো পড়ে অনেক ভালোলেগেছে। জীবনবাবুর পর পরই বাংলা কবিদের মধ্যে উনাকে আমি আমার পছন্দের লিস্টে সামনের দিকেই রাখতে পারি।

আমার মাকে নিয়ে কিছু লিখবার নেই, সবার মায়ের মত আর সব মায়ের মতই আমার মাও আমার কাছে সবচেয়ে ভালো মা। আর বাবা ছিল সবচেয়ে ভালো বাবা। আমি বড় হয়ে এইযে এখন যেভাবে ভাবি, যেভাবে জীবনটাকে দেখি এগুলো আমার বাবার গড়ে দেয়া। খুব ছোট থাকতে চলে গিয়েছিলেন, কিন্তু আমার মনে হয় একটা মানুষ বড় হয়ে কেমন হবে সেটার ভিত বেশ অল্প বয়সেই তৈরী হয়।

শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ। টাট্টু। :)

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৫৩

মাহী ফ্লোরা বলেছেন:

টাট্টু কি? টাট্টু ঘোড়া নিকি? :-*

তসলীমা নাসরিন কে নিয়া আরেকটা জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা দিমু নাকি ভাবতেছি। :P

তবে এটা ঠিক যে আপনি যদি তসলীমার অনেক কবিতা পড়েন এক ঘেয়েমিতে আক্রান্ত হবেন। তবে সংগ্রহে রাখার জন্য এক টা দুটা বই তার কিনতে পারেন। মাঝে মধ্যে খুললেন অলস দুপুরে, অথবা মন খারাপের রাতে। প্রিয়জনকে বলার জন্য পারফেক্ট কিছু লাইন আপনার জন্য সেখানে থাকবে নিশ্চিত।
মনেও শান্তি পাবেন। আপনার কথা বইয়ের মধ্যে ঢুকে বসে আছে দেখে।

শুভকামনা রইলো স্মৃনএ। :)

২৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৩০

অদৃশ্য বলেছেন:


'' আমার দু'চোখ ফেটে গেলে যে দু'দানা নরম কলিজা
উত্তাপে শুকাবার আগেই তোমার চলার পথে জমাতে থাকি_

মা
সেই কলিজার জল
তোমার পায়ের নীচে নিও, হেঁটে যেও

তোমার পায়ের মাপে চীরকাল বানিয়ে যাব কলিজার জুতো।।''

__________________________________________


মাহী......... অনেক ভুল হয়ে যায়.....অনেক ভুল হয়ে যায়...

আর কিছু লিখতে পারছিনা...

শুভকামনা অনেক.....

০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৪৪

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আপনার কবিতাটা আগেই পড়েছিলাম অদৃশ্য। অসসাধারন একটা লেখা।


ভুল হয় বলেই না আমরা মানুষ। আর ভুল হওয়াটা বুঝতে পারি বলেই এই মানুষ হয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীবের মর্যাদা দখল করে বসে আছি।

ভাল থাকুন সবসময়।

২৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:১০

রেজোওয়ানা বলেছেন: তোমার জন্য একটা গান

০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৪৮

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: গান টা গ্রামীনের এডে শোনার পর থেকে চঞ্চল আর গানের দুটোরই ভাল মত ফ্যান ছিলাম মনে আছে। অনেক দিন পর আবার শুনলাম।
অনেক ধন্যবাদ আপু।

২৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১০

দীপান্বিতা বলেছেন: যখন ছিলে, বুঝিনি ছিলে। যখন ছিলে , কেমন ছিলে জানতে চাইনি। - মা

০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৫০

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

২৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:০৮

নষ্টছেলে বলেছেন: আপু অনেকদিন পর তোমার পোস্ট পড়লাম। "মা"কে নিয়ে পোস্ট টাই ডুকলাম।অনেক ভালো লাগলো।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৫২

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আমি ভেবেছি্এই ভাইয়া টা আগের থেকে বেশি নষ্ট হইছে তাই আমারে ভুলে গেছে। :P

২৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:১৬

যেমন ইকোনোমিক্স বলেছেন: তাসলিমাকে কেউ ভালো বলবে ভাবি নি।
তবে ধন্যবাদ উনি আপনাকে এত সুন্দর ১টা লেখা লেখাতে পেরেছেন :(( :(( :(( :(( :(( :(( :P :P :P :P

০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৫৭

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: তসলিমাকে খারাপ বলব কেন? আর ভাল কোথাও বলেছি তাও মনে করতে পারছিনা তো?
সুন্দর লেখা বলেই সবাইকে দেখাতে মন চাইলো।

আপনার চোখের জলে আমার পোষ্ট ভেসে গেল। :D

৩০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৫:৪১

নাআমি বলেছেন: অট টা হয়তো পড়েছি/হয়তো না..... লেখার সময় খেয়াল নাই, এনিওয়ে, পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ, খুবই টাচি চিঠি.........

০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১১:০০

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপুটাকে।:)

৩১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৬:০৫

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: মায়েরা ভালো থাকুক

০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১১:০৩

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মায়েরা ভাল থাকুক।

৩২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:৩৫

স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: টাট্টু মানে টাটা, বাংলায় বললে বিদায়।

লেকচার দিলে অসুবিধা নাই, আপনার আগের লেকচারটা ভালো ছিলো। অনেককিছু জানলাম। আপনার এত্ত নাম, এত্ত কিছু মুখস্ত??!! আমি তাজ্জব!

তসলীমা নাসরীনের কবিতার বই মনে করে কিনবো অবশ্যই। মানুষতো খালি উনার আমার মেয়েবেলা আর কি জানি আসেনা ওইগুলা কিনে। এত্ত সুন্দর কবিতা লিখে, একঘেয়েমী লাগলেও অসুবিধা নাই। কিন্তু মানুষের নিজস্ব স্টাইলই এমন।

ভালো থাকবেন। :) ঘোড়া ঘোড়া, টাট্টু ঘোড়া। :P :P

০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৪৩

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: দীর্ঘ লেকচার দিব সময় বের করতে পারছিনা। :P :P

৩৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১১:৩৭

শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
তোমার কষ্টে তুমি একাই কেঁদেছো। কেউ ছিলোনা তোমাকে স্পর্শ করার, আমিও না।

আম্মুর কষ্টগুলো কখনো ছূঁয়ে দেখা হয়নি।

সব মায়ের জন্য শুভকামনা।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১১:৩৩

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.