![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সব গল্প একদিন ফুরাবে যখন, মানুষ রবে না আর, রবে শুধু মানুষের স্বপ্ন তখন, সেই মুখ আর আমি রবো সেই স্বপ্নের ভিতরে।
আপুর শাশুড়ি এসেছেন গত দুদিন হল।
আজ দুপুরের কথা বলছি___
তিনি হঠাৎ আমার মুখের দিকে তাকিয়েই চুড়ান্ত অবাক হলেন !
খুব অনাচার করেছি, এ অন্যায় মেনে নেবার নয় টাইপ ভাব নিয়ে তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন,
- আম্মাজী , আপনের নাকফুল কই ? আপনে দেহি এখনও নাকে সুঁই দেন নাই ।
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম , সেটা আবার কুঁত করে গিলেও ফেললাম ,বদলে মুখে হাসি হাসি ভাব,
- মাওই মা , বোঁচা নাকে কই ফুল পড়ব ? আমার তো নাকই নাই
তিনি আহত গলায় বলেন,
- মাগো ,নাকফুল পরা লাগে, এইটাই নিয়ম ।
এরপর তাঁর দুঃখী দীর্ঘশ্বাস, যেন বলছেন আজকালকার মেয়েগুলো নিয়মের ধার ধারে না !! বড়ই আচানক !
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩১
কন্যা তৃতীয়া বলেছেন: কথা সত্য ?? বলেন কি
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩২
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আমি জানি না কথা সত্য কি না ! তবে দিনের পর দিনের একটা নিয়ম চলে আসলে সেটা প্রচলিত হয় যায়। আর যে নিয়ম মানলে কোন অসুবিধা নেই তা মানতে আমার সমস্যা নাই। তবে মানা না মানা কারো একান্ত বিষয় তাই না মানলে সেটাও আমার আপত্তি নাই
১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২৫
কন্যা তৃতীয়া বলেছেন: নাকফুল বাঙালি মেয়েদের সৌন্দর্য ।গুটি কয়েক হাতে গোনা ছাড়া বাঙ্গালী সব মেয়েরাই নাকফুল পড়ে । তবে আমিনুর ভাই, জানেন কিনা জানিনা ধারণা করা হয় নাকফুলের সাথে স্বামীর মঙ্গল-অমঙ্গল জড়িত । হ্যাঁ , এ নিয়ম মানলে অসুবিধা নেই ,তবে অযৌক্তিক নিয়ম মানতে ইচ্ছে করে না।
নাকফুল পড়ব , তবে সেটা শখের বশে ,নিজেকে সাজাতে :
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫
কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন:
১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১১
কন্যা তৃতীয়া বলেছেন:
৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আমি জানি এই কুসংস্কারের কথা। আমি আমার মায়ের একটা গল্প করি। আমার মা শিক্ষিত ও একজন সংগ্রামী মহিলা। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও নারী মুক্তি আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। তারপরও বিশ্বাস করতেন নাকফুল স্বামীর মঙ্গল-অমঙ্গল জড়িত। ঘটনা - আমার বড় ভাই ছোটবেলায় কেরোসিন খেয়ে ফেলেছিলো এবং তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে কাফনের কাপড় নিয়ে আসা হয়েছিলো। আমার মা তার নাকফুল যা কিনা তার স্বামীর মঙ্গল -অমঙ্গল জড়িত (বিশ্বাস করতেন) তা পড়বেন না তার যদি আল্লাহ্ তার সন্তানকে ফিরিয়ে তাহলে আর কোনদিন তা পড়বেন না বলে মানত করলেন। আল্লাহর কি রহমত ডাক্তার যেখানে মৃত ঘোষনা করলেন সেখানে আমার বড় ভাই সেই মানতের কিছু সময় পরেই আর নিঃশ্বাস ফিরে পেলেন। যদিও এই ব্যাপারটা আমার কাছে কইন্সিডেন্সই মনে হয়েছে। এরপর কখন আমার মা নাকফুল পড়েননি। তাই আমার মায়ের বিশ্বাসের উপর বিশ্বাস রেখেই নাকফুল নিয়ে আমার একটা দুর্বলতা আছে। তবে তাই বলে আমি আমার বিশ্বাস আপনার ভাবীর উপর কখন খাইটাইনি। কারো উপরেই খাটাইনা। আমার বোনরা শুধু এই কারণে কখন নাকফুল ছাড়া থাকেনি।
৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১১
কন্যা তৃতীয়া বলেছেন: বুঝতে পারছি 'নাকফুল' শব্দটা আপনার জন্য কতটা স্পর্শকাতর
৬| ০১ লা মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৯
মেঘপিয়ন বলেছেন: নাক ফুল দেওয়া মেয়েটাকে চেনা চেনা লাগে !!
০৪ ঠা মে, ২০১৪ রাত ৯:৩০
কন্যা তৃতীয়া বলেছেন: কিন্তু নাক ফুল দেওয়া মেয়েটাতো মেঘপিয়নকে ঠিক চিনতে পারলো না
৭| ০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
জলপরী১৮ বলেছেন: আম্মাজি, নাকফুল পইরা নেন, হবু বরের হায়াত কিন্তক কমতেয়াছে! হিহি
০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৫
কন্যা তৃতীয়া বলেছেন: ওয়ানটাইম পড়লে চলবো বইন ?? তাইলে ব্যবস্থা লই ?
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২০
বাংলার নেতা বলেছেন: কথা সত্য!