![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন, "ধর্মান্ধতা পরিহার করে ধর্মিষ্ঠ হই" "বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম" [আল-কোরআন-৯৬. সূরা আল-আলাক] ০১. পাঠ কর (এবং ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন- ০২. সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ হতে। ০৩. পাঠ কর, আর (ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত। ০৪. যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন- ০৫, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।] পবিত্র কোরআনের ৯৬ নম্বর সূরা 'আলাক'-এর প্রথম এই পাঁচটি আয়াত অত্যন্ত মূল্যবান এবং যা মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে ফেরেশতা জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে সর্বশেষ নবী রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর নাযিলকৃত সর্বপ্রথম ওহি অর্থাৎ ঐশীবাণী। মহামহিমান্বিত প্রতিপালকের নামে শিক্ষা লাভের জন্য পাঠ করা ( Study ) অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায় থেকে জ্ঞানার্জন করা এবং জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে কলমের ব্যবহার অর্থাৎ 'লিখন' যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখে তা সর্বজনবিদিত। মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে খাঁটি মানুষ রূপে গড়ে তোলার জন্য যে সর্বপ্রথমে এই ধরণের চমৎকার ও কার্যকর ঐশীবাণী প্রদান করে অনুপ্রাণিত করবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে পার্থিব জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের বিষয়ে জ্ঞান চর্চার তাগিদে সময় বের করে নিতে হয়েছে। যে জ্ঞানের কোন সীমা পরিসীমা নেই, যে জ্ঞানের কথা লিখতে বসলে মহাসাগরের এমনকি আকাশ ও পাতালের সকল জলরাশিকে কালি বানালেও তা ফুরিয়ে যাবে- তার জন্য এই সময়টুকু অতি নগন্য। তথাপি আমার এই ছোট্ট প্রয়াসের জন্য দয়াময় আল্লাহতায়ালা যে আমাকে সুযোগ ও তৌফিক দিয়েছেন সেজন্য আমি অবনত মস্তকে সর্বশক্তিমান স্রষ্টার কাছে প্রতি মূহুর্তে শুকরিয়া আদায় করছি। সত্যের স্বরূপ উদঘাটনে যতটুকু সফলতা অর্জন করতে পেরেছি তার সবটুকুই আল-কোরআনের ঐশীবাণীসমূহের মর্ম সঠিকভাবে অনুধাবনের ফলেই সম্ভব হয়েছে। আর ব্যর্থতার জন্য একজন অতি সাধারন মানুষ হিসেবে আমার অযোগ্যতা ও অজ্ঞতাই সম্পূর্ণরূপে দায়ী। হে বিশ্ববিধাতা করুণাময় মহান আল্লাহ , সর্বপ্রকার অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তির জন্য সর্বদা অবনত মস্তকে ক্ষমাভিক্ষা চাই। আর সরল ও সত্যের পথ যতটুকু অর্জন করতে পেরেছি তার উছিলায় একজন হতভাগা পাপী বান্দা হিসেবে তোমার জ্যোতির্ময় আরশের ছায়াতলে চিরকালের জন্য একটুখানি ঠাঁই চাই। আশাকরি ছোটখাট ভুলত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। চিন্তাশীল সুধীজনদের সুচিন্তিত পরামর্শ ও সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করা হবে।
Law of Al-Qur’an for prohibition of intoxicant
বর্তমানে হিরোইন, গাঁজা, ভাং, ব্রাউন সুগার, ইয়াবা ইত্যাদি নানা ধরনের মাদকের ছড়াছড়ি। মাদকাসক্ত অবস্থায় এবং নেশার চাহিদা মেটাতে গিয়ে একজন মানুষের বিবেক এতটাই কমজোর হয়ে যায় যে, সে তখন অতি সহজেই চুরি, ডাকাতি, খুন, ছিনতাই, জেনা ও ব্যভিচার সহ নানা রকম অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এসব কারনে একদিকে যেমন সমাজের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ছে, তেমনি লাগামহীন অবৈধ সম্পর্ক এবং একই সিরিঞ্জের মাধ্যমে একই সময়ে অনেকে মাদক গ্রহণের ফলে ‘এইডস্’, ‘হেপাটাইটিস-বি ও সি’ সহ আরও অনেক জানা অজানা প্রাণঘাতি রোগের প্রকপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তাছাড়া এগুলো ব্যবহারের ফলে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও তন্ত্র যেমন হৃদপিন্ড, ফুসফুস, কিডনি, লিভার, স্নায়ুতন্ত্র ইত্যাদি অকালেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়। শুধু তাই নয় মাদকাসক্ত পিতা-মাতার কারণে সদ্যজাত নিষ্পাপ শিশুরাও রেহাই পাচ্ছেনা। তারা নানা রকম জন্মগত ত্রুটির শিকার হচ্ছে।
দিনকে দিন মাদকের নেশা এমনই সাংঘাতিক পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে যে, শেষে নাকি কুকুর মারার ওষুধও মাদক সেবনকারীরা ব্যবহার করতে শুরু করেছে। কিন্তু কেমন কোরে আসছে এসব? ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা এবং এর আশপাশে মাদকদ্রব্য প্রকাশ্যেই নাকি কেনা বেচা চলছে। কিছু মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে। সেই সাথে পিছিয়ে নেই ছাত্রীরাও। রাজধানীর বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের একটি অংশও নাকি বিভিন্ন ধরনের মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। নেশায় আসক্ত ছাত্রছাত্রীরা মাদক বিক্রেতাদের হাতে নাকি সহজে যোগাযোগের জন্য কম দামের মোবাইল কিনে দিয়েছে । মোবাইল কল পেয়ে তারা বিভিন্ন হোস্টেলসহ নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে মাদক পৌঁছে দেয়। অনেককে আবার শিরায় ইনজেকশন দিয়ে দিতে হয় বলেও তারা জানিয়েছে। তাতে বাড়তি টাকাও মেলে। চাঁনখারপুল, চকবাজার এলাকার কিছু ওষুধের দোকানে বিভিন্ন নেশার ইনজেকশন পাওয়া যায় বলেও আসক্তরা জানিয়েছেন। প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে প্রতিদিনই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন এলাকাসহ মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন এলাকায় হেরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিল ছাড়াও ইনজেকশন ও নানা রকমের মাদক সেবনের আড্ডা জমজমাট হয়ে ওঠে। এসব জায়গায় মাদকদ্রব্য প্রকাশ্যেই সেবন বা গ্রহণ করছে মাদকাসক্তরা। তারা শিরায় নিচ্ছে ইনজেকশন। প্যাথেডিন ছাড়াও ভারতে কুকুর মারার জন্য যে ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়, তাও গ্রহণ করছে মাদকসেবীরা। এই যদি হয় উচ্চ বিদ্যাপিঠগুলোর অবস্থা, তাহলে পরিস্থিতিটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে তা গভীরভাবে ভেবে দেখা দরকার। আর একদম দেরী না কোরে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মাদক গ্রহণ ও বিক্রয়ের সাথে জড়িতদের একটি বিশেষ স্থানে আটকে রেখে শাস্তির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও কাউন্সিলিং- এর ব্যবস্থা নিতে হবে। যে কথাটি আমাদের মনে রাখতে হবে তা হল- এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে মাদকের বিরুদ্ধে মনস্তাত্বিক লড়াই শুরু করতে হবে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল স্তরের জনগণকে মাদকের খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। দেশের সরকারকেও সময় উপযোগী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি কু-সংস্কারমুক্ত ও স্বচ্ছ ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
মাদকের কবলে পড়ে গোটা বিশ্বের সমাজ ব্যবস্থা হুমকির সম্মুখীন। মাদক ও জুয়ার নেশার এই ভয়ংকর প্রভাব থেকে দূরে থাকার জন্য সর্বজ্ঞ আল্লাহতায়ালা ঐশীবাণী প্রেরণের মাধ্যমে বারবার সাবধান করে দিয়েছেন। এই মন্দ স্বভাব থেকে মানবজাতিকে রক্ষার জন্য আল্লাহতায়ালা বলেন-
আল-কোরআন(Al-Qur’an)
সূরা আল বাক্বারা- (2.Al-Baqara // The Cow) -আয়াত নং- ১১৯
(০২ : ২১৯) অর্থ:- (হে নবী), এরা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে; তুমি বলে দাও, “এ দু’ট জিনিসের মধ্যে বড় ধরনের পাপ (ক্ষতি) এবং মানুষের জন্য সামান্য কিছু উপকারও রয়েছে; কিন্তু এগুলোর পাপ (ক্ষতি) উপকার অপেক্ষা অনেক বেশী।” তারা তোমাকে (এও) জিজ্ঞাসা করে (আল্লাহর পথে) তারা কি খরচ করবে? বল, ‘যা উদ্বৃত্ত।’ এভাবে আল্লাহ্ তাঁর সকল নিদর্শন (আয়াত সমূহ স্পষ্টরূপে) তোমাদের জন্য বর্ণনা করেন যাতে তোমরা চিন্তা কর,
( 02 : 219 ) They ask thee concerning wine and gambling. Say: "In them is great sin, and some profit, for men; but the sin is greater than the profit." They ask thee how much they are to spend; Say: "What is beyond your needs." Thus doth Allah Make clear to you His Signs: In order that ye may consider,
সূরা মায়েদাহ- (5.Al-Maeda // The Table)-আয়াত নং-(৯০ ও ৯১)
(০৫ : ৯০) অর্থ:- হে বিশ্বাসিগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর ঘৃন্যবস্তু, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন কর, যাতে করে তোমরা সফলকাম হতে পার।
(05 : 90) 'O believers! Wine and gambling and idols and divining arrows are only unclean things, a work of devil (Satan) then save yourselves from them, so that you may prosper.
(০৫ : ৯১) অর্থ:- শয়তান তো মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায়, এবং তোমাদের আল্লাহর স্মরণে ও নামাজে বাধা দিতে চায়। অতএব তোমরা কি নিবৃত হবে না ?
(05 : 91) The devil (Satan) desires only to put hatred and enmity among you in regard to wine and gambling and to bar you from the remembrance of Allah and from prayer, will you then desist?
মানবজাতির কতটুকু ভাল বা মন্দ কিসে নিহিত আছে তা স্রষ্টা মহান আল্লাহতায়ালা ভালভাবেই জানেন। তাই তিনি সকল মন্দ থেকে বেঁচে থাকার জন্য মানুষকে বার বার সাবধান করে দিয়েছেন। বর্তমানে মাদকাসক্তি একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে, যা সমাজ তথা গোটা জাতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সর্বনাশা নেশার কবলে পড়ে যে অনেক পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সমাজে অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কেবলমাত্র ধুমপানের মাধ্যমেই ধুমপায়ীরা জীবনে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে। তারা যেমন নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে তেমনি পরিবারে স্ত্রী ও সন্তানদের মধ্যে তথা সমাজে তাদের আশেপাশে যারা অবস্থান করে সবার মাঝেই বিষক্রিয়া ছড়ায়। আর এ অপরাধের দায় থেকে তারা কখনই মুক্ত নয়। Alcoholism এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা এখন সবারই জানা আছে। অতিরিক্ত মাত্রায় Alcohol গ্রহনের ফলে লিভারের ক্ষতি হয় এবং পরিনামে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ায় ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যু ঘটে। তাছাড়া কিডনী, হৃদপিন্ড, স্নায়ুতন্ত্র, মস্তিষ্ক সহ দেহের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
আল্লাহর আইন গুটিকয়েক মানুষের জন্য নয়। সমগ্র মানব জাতির স্বভাব, চরিত্র অনুসারে ও তাদের কল্যাণের জন্যই আল্লাহতায়ালা বিধি বিধান প্রেরণ করেন। স্রষ্টা সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহ্ এই মাদক তথা Alcohol এর সামান্য কিছু উপকারের বিষয়টি ভালভাবেই অবগত আছেন। যা অল্প মাত্রায় সেবন করলে Blood cholesterol level স্বাভাবিক রাখা সম্ভব বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু অল্প মাত্রায় Alcohol সেবনের culture তো কেবল শুরু হয়েছে মাত্র। আর দীর্ঘদিন ধরে ওষুধের মাত্রায় অর্থাৎ অল্প মাত্রায় Alcohol সেবন খুবই কঠিন ব্যাপার। কারণ দেখা গেছে যে, খুব কম মানুষই Alcohol সেবনের পরিমাণ অল্প মাত্রায় ধরে রাখতে পারেন। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এই নেশার মাত্রা দিন দিন বাড়তেই থাকে। তাছাড়া অল্প মাত্রায় বছরের পর বছর Alcohol সেবন করলে যে মানব দেহে এর আদৌ কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না তা এখনও প্রমাণিত হয়নি। বাজারে এখন আনেক ধরনের Lipid lowering ওষুধ পাওয়া যায়। তাই এই হারাম পথে অগ্রসর না হয়ে ওষুধ সেবন করাই ঈমানদারগণের ঈমানের দাবি। চিকিৎসাক্ষেত্রে প্যাথেডিন ও মরফিনের ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে এখন আমরা কম-বেশি সকলেই অবগত আছি। আবার পাশাপাশি এগুলোর অপব্যবহার যে হচ্ছেনা তা অস্বীকার করার উপায় নেই। এমনকি যারা এসবের মারাত্মক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল, সেই চিকিৎসক সমাজের মধ্যে অনেকেই এগুলোকে মাদক হিসেবে ব্যবহার করছেন এবং নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছেন। তাই তো মহান স্রষ্টা অব্যক্ত না রেখে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বেই আল-কোরআনের সূরা আল বাকারার (০২:১১৯) নং আয়াতে প্রথমত Alcohol/মদ তথা মাদক এর সামান্য কিছু উপকারের বিষয়টি প্রকাশ করেছেন এবং সাথে সাথে যেহেতু এর (শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক) ক্ষতির মাত্রাই অধিক, তাই মদ্যপান ও মাদক গ্রহণ হারাম করে দিয়েছেন। সূরা মায়েদাহ এর (০৫ : ৯০) নং আয়াতে এগুলোকে ঘৃণ্য-বস্তু ও শয়তানের কাজ বলা হয়েছে এবং সরাসরি বর্জন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরিপূর্ণ ইসলামী জীবন ব্যবস্থা সকল পঙ্কিলতার হাত থেকে রক্ষার জন্য যে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে তা আজ সর্বজনস্বীকৃত ও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
আল-কোরআন (Al-Qur’an)
সূরা মায়েদাহ-(5.Al-Maeda // The Table)-আয়াত নং- ৯২ ও ৯৩
(০৫ : ৯২) অর্থ:- এবং আল্লাহর অনুসরণ কর, ও রসূলের অনুসরণ কর এবং সতর্ক হও, যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও- তবে জেনে রাখ যে, স্পষ্ট প্রচারই আমার রসূলের কর্তব্য।
(05 : 92) And obey Allah and obey the Messenger and be careful then if you turn back, know then that the responsibility over Our Messenger is only to deliver the message clearly.
(০৫ : ৯৩) অর্থ:- যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকাজ করেছে (এই নিষেধাজ্ঞা জারির ) পূর্বে তারা যা ভক্ষণ করেছে তার জন্য তাদের কোন পাপ নেই। যদি তারা (ভবিষ্যতেও) সাবধান থাকে ও (আল্লাহর উপর) ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, অতঃপর সতর্ক থাকে, (এভাবে যতক্ষণ পর্যন্ত ) তারা ঈমান আনবে ও ভাল কাজ করবে, পুনরায় আল্লাহতায়ালাকে ভয় এবং ভাল কাজ করতে থাকবে ( আল্লাহতায়ালা অবশ্যই তাদের ক্ষমা করে দেবেন, কেননা ); সৎকর্মশীল মানুষদেরকে আল্লাহ্তায়ালা ভালবাসেন।
(05 : 93) On those who believed and did righteous work there is no sin for what they ate (before), if (at present) they become careful and keep faith and do righteous work, again remain careful, (like this, until) they will be faithful (to Allah) & will do good deeds, then again will continue to fear Allah and do good deeds (Allah must perdon them, because); Allah loves the, righteous.
মহান স্রষ্টার সাবধান বাণী যারা বিশ্বাস করে ও মেনে চলে এবং রাসূলুল্লাহ্ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে যারা সঠিকভাবে অনুসরণ করে তারা নিরাপদ থাকে। আর যারা অবজ্ঞা করে তারাই চরমভাবে ভোগে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভালভাবে না জানার বা বুঝার কারণে আমরা কতই না মন্দ কাজ করেছি, নিজের উপর জুলুম করেছি। (০৫ : ৯৩) অনুতপ্ত হৃদয়ে মহান স্রষ্টার সামনে মাথা নত করলে পরম করুণাময় নিশ্চয়ই ক্ষমা করবেন। তাই আসুন আর দেরি নয়, এতদিন অজ্ঞতার আঁধারে থেকে মন্দ যা করেছি তার জন্য অনুতপ্ত হই এবং খাঁটি অন্তরে তওবা করে তা চিরতরে বর্জন করি। সেই সাথে প্রকৃত ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার মাধ্যমে ইহকালীন ও পরকালীন শান্তি ও মুক্তির পথকে সুগম করে তুলি।
২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:৪৩
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভাই, আল-কোরআনের বিধান অনুসারে সুরা পান করা এবং সুদ গ্রহণ করা দুটোই হারাম। একটিকে আরেকটির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন কেন? আমার এই লেখার সাথে সুদের বিষয়টি বেমানান নয় কি? আমি কি কখনো সুদ গ্রহণ হারাম নয় বলেছি। প্রসংগটা যখন টানলেনই তখন শুনুন:- সুদ গ্রহণ করাকে আপন মায়ের সাথে জেনা করার সাথে তুলনা করা হয়েছে। প্রয়োজনে সুদখোরদের সাথে যুদ্ধ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখন কি বলবেন? যুদ্ধের কথা কইলাম- তয় এখন তো আবার জঙ্গিবাদ জঙ্গিবাজ বলে চিৎকার শুরু করে দেবেন।
আপনি বলেছেন:- আমাদের দেশে ক'জন মদ খায়? দয়া করে সুদের কথা বলুন, আমরা সবাই কিন্তু তা খেতে পছন্দ করি।
ভাই, আমাদের দেশে ক'জন সুরা পান করে সে পরিসংখ্যান সঠিকভাবে আমি দিতে পারব না। তবে আমি শুধু সুরার কথা বলিনি। আমি মাদকের কথাও বলেছি। বাইজান, আমাদের দেশে যে মাদকের ছড়াছড়ি তা কি আপনি অস্বীকার করতে পারেন?
২| ২৮ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:৪০
ত্রিশোনকু বলেছেন: সুদ গ্রহণ করাকে আপন মায়ের সাথে জেনা করার সাথে তুলনা করা হয়েছে। প্রয়োজনে সুদখোরদের সাথে যুদ্ধ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
-আমি বলতে চেয়েছিলাম সুদ বিষয়ক আলোচনা বেশী জরুরী।
ধন্যবাদ।
২৯ শে জুন, ২০১০ সকাল ১১:২৮
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, সুদ বিষয়ক আলোচনা বেশী জরুরী। তবে মাদকের বিষয়টিকেও ছোট কোরে দেখা ঠিক নয়। ধন্যবাদ
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১৬
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ভালো লাগলো। +
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:২৩
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ..........
৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ২:১৫
আর কতো বলেছেন: ভাই কসম আল্লার সব ছাইড়া দিছি শুধ সিগারেটটা ছাড়তে পারতেছিনা। সিগারেট কেমনে ছাড়া যায় এই ব্যাপারে কোন টিপস থাকলে কন।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:১১
মাহফুজশান্ত বলেছেন: মন্তব্যের জবাব সহ পড়ে দেখতে পারেন-
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধুমপান- দু'ই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং ধুমপান বর্জনের উপায়-
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:২২
ত্রিশোনকু বলেছেন: বাইযান,
সুরাপানের কথা বললেন? আমাদের দেশে ক'জন মদ খায়?
দয়া করে সুদের কথা বলুন, আমরা সবাই কিন্তু তা খেতে পছন্দ করি।
যদি কুরআন সম্পর্কে সম্যক ধারনা থাকে তা'লে মদ্যপান আর সুদ খাওয়ার মধ্যে নিশ্চয়ই একটি ফারাক বের করতে পারবেন।