নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

‍‍‍"Al-Quran", The source of science - Dr. Mahfuz

নাড়ীর স্পন্দন গুনে রুগীর সেবা করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে চেতনার কলম ধরি।('মনের মাধুরী' হলো পার্থিব জ্ঞান সমৃদ্ধ স্বচ্ছ মনন- আর 'চেতনার কলম' হলো আল-কোরআনের ঐশী আলোয় আলোকিত বিবেক সম্পন্ন লিখন)

মাহফুজশান্ত

আসুন, "ধর্মান্ধতা পরিহার করে ধর্মিষ্ঠ হই" "বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম" [আল-কোরআন-৯৬. সূরা আল-আলাক] ০১. পাঠ কর (এবং ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন- ০২. সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ হতে। ০৩. পাঠ কর, আর (ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত। ০৪. যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন- ০৫, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।] পবিত্র কোরআনের ৯৬ নম্বর সূরা 'আলাক'-এর প্রথম এই পাঁচটি আয়াত অত্যন্ত মূল্যবান এবং যা মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে ফেরেশতা জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে সর্বশেষ নবী রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর নাযিলকৃত সর্বপ্রথম ওহি অর্থাৎ ঐশীবাণী। মহামহিমান্বিত প্রতিপালকের নামে শিক্ষা লাভের জন্য পাঠ করা ( Study ) অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায় থেকে জ্ঞানার্জন করা এবং জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে কলমের ব্যবহার অর্থাৎ 'লিখন' যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখে তা সর্বজনবিদিত। মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে খাঁটি মানুষ রূপে গড়ে তোলার জন্য যে সর্বপ্রথমে এই ধরণের চমৎকার ও কার্যকর ঐশীবাণী প্রদান করে অনুপ্রাণিত করবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে পার্থিব জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের বিষয়ে জ্ঞান চর্চার তাগিদে সময় বের করে নিতে হয়েছে। যে জ্ঞানের কোন সীমা পরিসীমা নেই, যে জ্ঞানের কথা লিখতে বসলে মহাসাগরের এমনকি আকাশ ও পাতালের সকল জলরাশিকে কালি বানালেও তা ফুরিয়ে যাবে- তার জন্য এই সময়টুকু অতি নগন্য। তথাপি আমার এই ছোট্ট প্রয়াসের জন্য দয়াময় আল্লাহতায়ালা যে আমাকে সুযোগ ও তৌফিক দিয়েছেন সেজন্য আমি অবনত মস্তকে সর্বশক্তিমান স্রষ্টার কাছে প্রতি মূহুর্তে শুকরিয়া আদায় করছি। সত্যের স্বরূপ উদঘাটনে যতটুকু সফলতা অর্জন করতে পেরেছি তার সবটুকুই আল-কোরআনের ঐশীবাণীসমূহের মর্ম সঠিকভাবে অনুধাবনের ফলেই সম্ভব হয়েছে। আর ব্যর্থতার জন্য একজন অতি সাধারন মানুষ হিসেবে আমার অযোগ্যতা ও অজ্ঞতাই সম্পূর্ণরূপে দায়ী। হে বিশ্ববিধাতা করুণাময় মহান আল্লাহ , সর্বপ্রকার অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তির জন্য সর্বদা অবনত মস্তকে ক্ষমাভিক্ষা চাই। আর সরল ও সত্যের পথ যতটুকু অর্জন করতে পেরেছি তার উছিলায় একজন হতভাগা পাপী বান্দা হিসেবে তোমার জ্যোতির্ময় আরশের ছায়াতলে চিরকালের জন্য একটুখানি ঠাঁই চাই। আশাকরি ছোটখাট ভুলত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। চিন্তাশীল সুধীজনদের সুচিন্তিত পরামর্শ ও সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করা হবে।

মাহফুজশান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

নামাজে সূরা ফাতিহা পাঠ/তেলাওয়াত ও স্মরণ করা জরুরী কি?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪২



ইমাম মালিক ও ইমাম আহমদ-

তাদের উভয়েরই মত হলঃ জাহরী নামাযে, যেমন- ফজর, মাগরিব ও এশায় ইমাম যখন কেরাত শব্দ করে জোরে জোরে পড়েন তখন মুক্তাদীদের জন্য ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পাঠ করার দরকার নেই। কিন্তু সিরী নামাযে, যেমন- যুহর ও আছরের সময় ইমাম যখন কেরাত চুপে চুপে পড়েন তখন মুক্তাদীদের জন্য সুরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে।



ইমাম শাফীর মত অনুসারে- 'জাহরী ও সরী' উভয় জামাতে ইমাম ও মুক্তাদিদের জন্য সূরা ফাতিহা পাঠের গুরুত্বই প্রকাশ পেয়েছে।



আমিও ইমাম মালিক, ইমাম আহমদ ও ইমাম শাফীর মতের সাথে সহমত পোষণ করি। কারন জাহরী নামাযে ইমাম যখন কেরাত শব্দ করে জোরে জোরে পাঠ করেন তখন মনযোগ দিয়ে শুনলে এবং অর্থ স্মরণ ও অনুধাবনের চেষ্টা করলেই তা পাঠ করার শামিল। আর সিরী নামাযে ইমাম যখন কেরাত চুপে চুপে পড়েন তখন মুক্তাদি তা শুনতে পারেন না। তাই সে সময় মুক্তাদির জন্যও মনে মনে সূরা ফাতিহা পাঠ/তেলাওয়াত এবং অর্থ স্মরণ ও অনুধাবন করা আবশ্যক বৈকি।



তবে কোন হাদিছের বক্তব্যের দ্বারা কারো কাছে যদি "ইমামের পেছনে মনে মনে সূরা ফাতিহাও পাঠ/তেলাওয়াত এবং অর্থ স্মরণ ও অনুধাবন করার দরকার নেই"- এই মতটি বেশি নির্ভরযোগ্য মনে হয়, তাহলে তারা সেভাবে আমল করতে পারেন। এটা তাদের অভিরুচি।



আমি আমার সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে আল-কোরআন থেকে দলিল উপস্থাপন করতে চাই-



সূরা আল আ’রাফ (মক্কায় অবতীর্ণ)

(০৭:২০৪) অর্থ- আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়।

(০৭:২০৫) অর্থ- আর স্মরণ করতে থাক স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় এবং এমন স্বরে যা চিৎকার করে বলা অপেক্ষা কম; সকালে ও সন্ধ্যায়। আর বে-খবর থেকো না।



(০৭:২০৪) নং আয়াতটি আল- কোরআন পাঠের/তেলাওয়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট। নামাজের সময় তো বটেই, অন্য যে কোন সময় কোরআন পাঠ শুনতে পেলে সেখানে উপস্থিত মুসলিমের জন্য তাতে কান লাগিয়ে রাখা অর্থাৎ তা মনযোগ দিয়ে শ্রবণ করা চাই। মানুষ তখনই শুনতে পারে যখন মুখে শব্দ করে পাঠ/তেলাওয়াত করা হয়। আবার কতটা শব্দ করা বাঞ্ছনীয় তা পরের আয়াতেই স্পষ্ট বলে দেয়া হয়েছে।



তবে (০৭:২০৪) নং আয়াতে নিশ্চুপ থাকার বিষয়টি লক্ষণীয়। এই আয়াতের শর্ত অনুসারে কাউকে মনে মনে বা মুখে শব্দ করে কোরআন পাঠ করতে দেখলে উভয় ক্ষেত্রেই নিশ্চুপ থাকা চাই যেন পাঠকারীর কোন অসুবিধা না হয়। যে কোন নামাজের সময় মুক্তাদিদের তো অবশ্যই নিশ্চুপ থাকতে হবে। অন্য সময়েও যারা পাঠকারীর নিকটে থাকবেন তাদেরও নিশ্চুপ থাকা চাই। সেই সাথে এর পরের (০৭:২০৫) নং আয়াতেই পরিষ্কার জানিয়ে দেয়া হলো যে, নিশ্চুপ অবস্থায় যেমন আপন মনে স্মরণ করা চাই, তেমনি শব্দ করে পাঠ/তেলাওয়াত করলেও স্মরণ করতে হবে। তবে শব্দ করে পড়ার সময় স্বরটা এমন রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন তা চিৎকার করার পর্যায়ে না যায়।



সুতরাং কান লাগিয়ে শোনা অর্থাৎ মনযোগ সহকারে শোনার প্রশ্ন তখনই আসে যখন ইমাম/পাঠকারী মুখে শব্দ করে পাঠ/তেলাওয়াত করবেন। তবে নিশ্চুপ থাকার বিষয়টি শব্দ করে পাঠ/তেলাওয়াত করা ও মনে মনে পাঠ/তেলাওয়াত করা- এই উভয় অবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট।



সূরা মুযযামমিল (মক্কায় অবতীর্ণ)

(৭৩:২০) অর্থ- আপনার পালনকর্তা জানেন, আপনি এবাদতের জন্যে দন্ডায়মান হন রাত্রির প্রায় দু’তৃতীয়াংশ, অর্ধাংশ ও তৃতীয়াংশ এবং আপনার সঙ্গীদের একটি দলও দন্ডায়মান হয়। আল্লাহ দিবা ও রাত্রি পরিমাপ করেন। তিনি জানেন, তোমরা এর পূর্ণ হিসাব রাখতে পার না। অতএব তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমা পরায়ণ হয়েছেন। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হবে, কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশে-বিদেশে যাবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে জেহাদে লিপ্ত হবে। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর। তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও। তোমরা নিজেদের জন্যে যা কিছু অগ্রে পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে উত্তম আকারে এবং পুরস্কার হিসেবে বর্ধিতরূপে পাবে। তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।



এই আয়াতটি যদিও সূরা ফাতিহা পাঠের সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট নয়। তবে নামাজে আল-কোরআনের কোন না কোন অংশ যে পাঠ করতেই হবে সেই নির্দেশটি এখানে স্পষ্ট। হাদিছের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, নামাজে অন্ততপক্ষে সূরা ফাতিহা পাঠ করাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং রাসূল (সাঃ) প্রতি রাকাতের শুরুতে সূরা ফাতিহা পাঠ করতেন।



সূরা বনী ইসরাঈল (মক্কায় অবতীর্ণ)

(১৭:১১০) অর্থ- বল, আল্লাহ বলে আহবান কর কিংবা রহমান বলে, যে নামেই আহবান কর না কেন, সব সুন্দর নাম তাঁরই। নামাযে স্বর উচ্চ করবে না এবং নিঃশব্দেও পড়বে না। এ দু'য়ের মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর।

(১৭:১১১) অর্থ- বল, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেন নি, না তাঁর সার্বভৌমত্বে কোন শরীক আছে এবং যিনি দুর্দশাগ্রস্ত হন না, যে কারণে তাঁর কোন সাহয্যকারীর প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং সসম্ভ্রমে তাঁর মাহাত্ম্য ঘোষণা কর।



(১৭:১১০) নং আয়াতটিকে শুধুমাত্র ইসলামের প্রাথমিক যুগে মক্কার মুশরিকদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচার কৌশল হিসেবে নাযিল করা হয়েছে, এমনটি মনে করা ঠিক নয়। সেই সময়ের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করলে হয়ত এমনটি ভাববার অবকাশ রয়েছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে এর দিকনির্দেশনা শুধু সেই সময়কার জন্যই সীমাবদ্ধ নয়। এই শাশ্বত পথনির্দেশনা সর্বকালের সকল বিশ্বাসীদের ক্ষেত্রেই সমভাবে প্রযোজ্য হতে পারে। মহান স্রষ্টার গুণকীর্তন ও মাহাত্ম্য ঘোষনা এবং অনুধাবন করার ও করাবার জন্য গলাবাজি ও উগ্রপন্থা নয়, বরং স্নিগ্ধ ও সাবলীল ভাষা ও স্বরে এবং মধ্যপন্থা অবলম্বনই যে শ্রেয়, এখানে মূলত এই ইংগিতই দেয়া হয়েছে।



হাদিছ মতে নামাজে সুরা ফাতিহা পাঠ/তেলাওয়াত করা যেহেতু আবশ্যক মনে করা হয়, তাই জাহরী সালাতের সময় ইমাম মুখে শব্দ করে পাঠ করলে এবং তা শোনা গেলে মুক্তাদিদের জন্য সেই তেলাওয়াত মনযোগ সহকারে শোনার সাথে সাথে মনে মনে অর্থ স্মরণ ও অনুধাবনের চেষ্টা করাই যথেষ্ট। আর সরী সালাতে ইমাম মনে মনে পাঠ করায় যেহেতু শোনা সম্ভব নয়। তাই উপরে উল্লেখিত আল-কোরআনের বাণী এবং হাদিছের বক্তব্য অনুসারে এক্ষেত্রে একবারে চুপটি মেরে দাঁড়িয়ে থাকার চেয়ে বরং মুক্তাদিদের জন্যও মনে মনে অন্তত সূরা ফাতিহা পাঠ/তেলাওয়াত এবং অর্থ স্মরণ ও অনুধাবনের চেষ্টা করাই যুক্তিযুক্ত এবং শ্রেয় বৈকি।

……………………………………………



এক ভাই প্রশ্ন করেছেন-

আপনি যে আয়াতটিকে (০৭:২০৫) এখানে উল্লেখ করেছেন, দয়া করে বলবেন কি কোন তাফসীর অনুসারে আপনি এই আয়াতটিকে নামায সংশ্লিষ্ট করছেন?

আপনি কি জানেন, এটি শবে মেরাজে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয হওয়ার পূর্বের কথা? আর এখানে জিকিরকেই মূল উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

(দেখুন তাফসীর ইবনে কাসীর)

নামাযের সুরা ফাতিহা পড়ার মাসআলা প্রসঙ্গে কেউই এই আয়াতটিকে রেফারেন্স হিসেবে আনেননি।

এই আয়াতের বিস্তারিত তাফসীর পড়ে দেখার জন্য অনুরোধ রইল।

আর আপনি বলেছেন বিভিন্ন হাদীস মতে আপনি আপনার মতটিকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন - দয়া করে বলবেন, কোন কোন হাদীস মতে ?

ধন্যবাদ।

……………………………………………………………

আমার জবাব-

অন্য রকম মনে করবেন কিনা জানি না। তবুও বলছি-

আমি আল-কোরআনের প্রতিটি আয়াতের বক্তব্যের উপর সম্পূর্ণ ভরসা করি। কিন্তু কোন তফসির বা ব্যাখ্যার উপরে তেমনটি ভরসা করি না। কারন তাফসীর ইবনে কাসীর ছাড়াও অনেক তফসির বা ব্যাখ্যা গ্রন্থ রয়েছে এবং পরবর্তীতে আরও এসেছে। সব ব্যাখ্যা আবার এক রকমও নয়। কিছুটা পার্থক্য আছে বৈকি। তাই ভবিষ্যতে বিষয় ভিত্তিক আরও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা আসতেই পারে।



এবার আমি প্রশ্ন করি-

*পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হবার আগে কি রাসূল (সাঃ) কোন সালাতই আদায় করতেন না?

*আল-কোরআনের নাযিলকৃত আয়াতগুলো কি সেই প্রথম যুগ থেকেই পাঠ/তেলাওয়াত করা হত না?



আমি মনে করি, (০৭:২০৪) নং আয়াত যদি সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট মনে করা হয়, তাহলে এর পরের আয়াতের বক্তব্যও সালাতের সাথে একবারেই সংশ্লিষ্ট না হবার কোন কারন থাকতে পারে না। তবে আপনি একটু ভুল বুঝেছেন। এটিকে আমি শুধু সূরা ফাতিহা পাঠের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করিনি, বরং সূরা ফাতিহা তো বটেই এবং এ বাদে কোরআনের অন্য যে কোন অংশ পাঠের সাথে সংশ্লিষ্ট মনে করি। যাকে আপনি জিকির বলছেন।



তবে নিম্নে উল্লেখিত আল-কোরআনের (১৫:৮৭) নং আয়াত ও হাদিছের বক্তব্য অনুসারে সালাতে অন্তত সূরা ফাতিহা (বার বার পঠিতব্য সাতটি আয়াত) পাঠ/তেলাওয়াত/স্মরণ করাকে আমি আবশ্যক মনে করি -



সূরা হিজর (মক্কায় অবতীর্ণ)

(১৫:৮৭) অর্থ- আমি আপনাকে বার বার পঠিতব্য সাতটি আয়াত এবং মহান কোরআন দিয়েছি।



বুখারী শরীফ (দ্বিতীয় খন্ড)- 'ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ'

১০৮ পৃষ্ঠার ৪৮৭ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে-

সব সালাতের ইমাম ও মুকতাদীর কিরাত পড়া জরুরী, মুকীম ।বস্থায় হোক বা সফরে, সশব্দে হোক বা নিঃশব্দে, সব সালাতেই ইমাম ও মুকতাদীর কিরআত পড়া জরুরী।

এবার ১০৯ পৃষ্ঠার ৭২০ নং হাদিছটি লক্ষ করুন-

আলী ইবনে আবদুল্লাহ (র) .....উবাদা ইবন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সালাতে সূরা ফাতিহা পড়ল না তার নামায হল না।



'Characteristics of Prayer' of Sahih Bukhari.

723: Narrated 'Ubada bin As-Samit: Allah's Apostle said, "Whoever does not recite Al-Fatiha in his prayer, his prayer is invalid."



739: Narrated Abu Huraira: The Qur'an is recited in every prayer and in those prayers in which Allah's Apostle recited aloud for us, we recite aloud in the same prayers for you; and the prayers in which the Prophet recited quietly, we recite quietly. If you recite "Al-Fatiha" only it is sufficient but if you recite something else in addition, it is better.



সুতরাং এর পরে অন্য কোন পন্ডিত ব্যক্তি, তারা যেই হোক না কেন- তাদের কাছে আমার আর কিছু জানার প্রয়োজন নেই। আমি আমৃত্যু জাহরী সালাতে ইমামের তেলাওয়াত শোনার সাথে সাথে অর্থ স্মরণ ও অনুধাবন করার জন্য সচেষ্ট থাকব এবং সরী সালাতে মনে মনে সূরা ফাতিহা (Recite) পাঠ/তেলাওয়াত এবং স্মরণ ও অনুধাবন করেই সালাত আদায় করব বলে মনস্থির করেছি। সালাতে অন্তত সূরা ফাতিহা পাঠ/তেলাওয়াত/স্মরণ না করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঝিমানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

ধন্যবাদ-

………………………………………………………………



এক ভাই প্রশ্ন করেছেন-

*যেসব হাদীস সুরা ফাতিহা পড়তে নিষেধ করে, সেগুলোর কি ব্যাখ্যা দিবেন আপনি?

*আর বড় বড় সাহাবীরা সবাই সুরা ফাতিহা পাঠ করতে নিষেধ করেছেন। তবে তাঁরা কি ভুল বলেছেন?

তাঁরাই তো হুজুরে পাক(সঃ) এর সবচেয়ে নিকটবর্তী ছিলেন এবং কোরআন হাদীস সবচেয়ে ভাল বুঝতেন।

…………………………………………………………………………..



আমার জবাব-

তাহলে কি দুই ইমামের (ইমাম মালিক ও ইমাম আহমদ) দেয়া উপরের মতটির কোন ভিত্তি নেই!!?? অবশ্যই আছে-

বড় বড় সাহাবীগণ ইমামের পিছনে কেরাত পড়া/কোরআন তেলাওয়াত করাকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন এবং আমিও তা অস্বীকার করছি না। তবে আমি মনে করি এই কেরাত পড়া/কোরআন তেলাওয়াত করা বলতে নিশ্চয় মুখে শব্দ করে পড়ার কথাই বোঝানো হয়েছে। বিভিন্ন হাদিছের বক্তব্য অনুসারে বোঝা যায় যে, ইমামের পেছনে মুক্তাদিরা যেন স্ব-শব্দে কেরাত পাঠ না করে মূলত সেদিকেই ইংগিত দেয়া হয়েছে। কারন মুক্তাদিরা জামাতে ফিসফিসিয়ে কেরাত পাঠ করলেও তাতে ইমাম সহ সকল নামাজির অসুবিধা হবে। তাই এই নিষেধাজ্ঞার দ্বারা সুরা ফাতিহা মনে মনে পাঠ/তেলাওয়াত এবং অর্থ স্মরণ ও অনুধাবন করা যাবেই না, এমনটি ভেবে নেয়ার সাথে আমি একমত নই।



তাই সিরী সালাতে ইমাম যখন মনে মনে তেলাওয়াত করেন তখন মুক্তাদিদের জন্য সূরা ফাতিহা (জোরে নয়) মনে মনে পাঠ/তেলাওয়াত এবং অর্থ স্মরণ ও অনুধাবন করাই শ্রেয় বলে আমি বিশ্বাস করি।

ধন্যবাদ-

………………………………………………



এক ভাই বলেছেন-

মুসলিম শরীফে আছে,

আবু হুরায়রা (রঃ) বলেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, যখন ইমাম তিলাওয়াত করে, শুন এবং চুপ থাক।

বলুন, আপনি কেন এই হাদীস গ্রহণ করছেন না ?

……………………………………………………………………..



আমার জবাব-

মুসলিম শরীফে আছে-

আবু হুরায়রা (রঃ) বলেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, যখন ইমাম তিলাওয়াত করে, শুন এবং চুপ থাক।



আমি অবশ্যই এই হাদিছ মানি। আপনি অনুগ্রহ করে ভাল করে দেখুন। এখানে বিষয়টি যখন ইমামের তেলাওয়াত শোনা যায় তার সাথে সংশ্লিষ্ট। তাই জাহরী সালাতে যখন ইমামের তেলওয়াত শোনা যায় তখন আমিও চুপ থেকে তা শুনি ও স্মরণও করি। আর উপরে উল্লেখিত 723 ও 739 নং হাদিছ মতে সরী নামাজে যখন ইমামের তেলাওয়াত শোনা যায়না তখন মনে মনে সূরা ফাতিহা পাঠ/স্মরণ করি।



বাকিটা মহান আল্লাহতায়ালার হাতেই ন্যস্ত করতে চাই। আমার বোধ অনুসারে এর চেয়ে উত্তম অন্য কিছু হতে পারে না।

ধন্যবাদ-

…………………………………………………………



এক ভাই বলেছেন-

হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি অযু করল, কিন্তু বিসমিল্লাহ পড়ল না, তার অযু শুদ্ধ হল না।

তাহলে কি আপনি এখানেও বলবেন, বিসমিল্লাহ না পড়লে অযু হবে না।

আর এক হাদীসে আছে, যে ব্যক্তির প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে, সে মুসলিম না।

আর এক হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি ওয়াদা পূরণ করল না, সে মুসলিম না।

এগুলো একই ধরণের হাদীস।

একজন মানুষ ওয়াদা ভংগ করার পরও কিন্ত সে মুসলিম থাকে।

আশা করি আপনার বুঝে আসবে।

.......................................................



আমার জবাব-

জী ভাই,

আপনি সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন অন্য যে সব হাদিছের উল্রেখ করেছেন সেগুলো ভিন্ন প্রসঙ্গ এবং বক্তব্যও ভিন্ন। সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠের গুরুত্ব বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো টেনে আনা মানে বক্তব্যকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়া। আমি যা খুবই অপছন্দ করি। কিন্তু তারপরও কিছু বলছি-



মুসলিম মাত্রই যেকোন ভাল কাজে 'বিসমিল্লাহ.....' পড়া চাই। কিন্তু ভুল বশত কেউ বিসমিল্লাহ না বলে খাওয়া সেরে ফেললে কি তার খাওয়া হবে না? নিশ্চয় হবে, তবে তা সুন্নাত মোতাবেক শুদ্ধ হবে না। পরবর্তীতে যেন এমনটি আর না হয় একজন মুসলিম হিসেবে তো সেদিকে খেয়াল রাখা চাই। তেমনি বিসমিল্লাহ না পড়লে ওযু শুদ্ধ হবে না বলায় ওযু একদমই হবে না, এমনটি ভাববার কোন কারন আছে কি? তবে ওযু হলেও তা যে একেবারে ত্রুটিমুক্ত হবে না, এখানে সে কথাই বোঝানো হয়েছে। অজ্ঞাতসারে বা ভুল বশত এরূপ ত্রুটিযুক্ত ওযু করে নামাজও হয়ে যাবে। কিন্তু ভাই, জানার পরও ইচ্ছাকৃত বার বার এ ধরনের ত্রুটিযুক্ত ওযু করা কি ঠিক হবে? মূলত এখানে বিসমিল্লাহ বলে ওযু শুরু করার গুরুত্বের প্রতিই ইংগিত দেয়া হয়েছে।



একই ভাবে বলা যায়, কারও নিকটতম প্রতিবেশী দিনের পর দিন না খেয়ে কষ্ট পাচ্ছে জেনেও নিজে ভোগ বিলাসিতায় মত্ত থেকে তার প্রতি অবজ্ঞা করা কি কোন মুসলিমের কাজ হতে পারে? জন্মসূত্রে ও নামে তার মুসলিম পরিচয়টা বহাল থাকলেও, তার কামটা কিন্তু প্রকৃত মুসলিমের পরিচয় বহন করে না। অর্থাৎ কর্মের দ্বারা তিনি সাচ্চা মুসলিম হতে ব্যার্থ হয়েছেন।



আবার দিনের পর দিন বার বার ওয়াদা ভঙ্গ করা একজন সাচ্চা মুসলিমের পরিচয় বহন করে না। ধরুন কারো 'মুসলিম' নাম এবং পোষাক-আষাক দেখে মানুষ তাকে বিশ্বাস করল। কিন্তু ওয়াদা ভঙ্গ করা যদি সেই নামধারী লোকটির খাছিলত হয়ে থাকে এবং সে সরল মনের সুযোগ নিয়ে বার বার ওয়াদা ভঙ্গ করতে থাকে- তাহলে কি এই কর্মটি কোন মুসলিমের পরিচয় বহন করে? মুসলিম নামধারী হলেও তার কর্ম সাচ্চা মুসলিম হবার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বটে। কাজেই এক্ষেত্রে মুসলিম হিসেবে তার প্ররিচয়টা অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।



উপরের এই হাদিছগুলোর দ্বারা প্রকৃত অর্থে কর্মের ধরন অনুসারে তার গুরুত্বের প্রতি ইংগিত প্রদান করা হয়েছে। একই ভাবে 'সূরা ফতিহা পাঠ না করলে নামাজ হবে না' বলতে এখানে সূরা ফাতিহা পাঠের গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে। কজেই সালাতে ক্ষেত্র বিশেষে (জাহরী সালাতের ক্ষেত্রে জামাতে ইমাম এবং একাকী পড়লে নামাজিকে) সূরা ফাতিহা যেমন জোরে পাঠ করতে হবে, তেমনি একেবারে গাফেল না থেকে ক্ষেত্র বিশেষে (সরী সালাতের ক্ষেত্রে জামাতে ইমাম এবং মুক্তাদিদের) মনে মনে পাঠ/তেলাওয়াত ও স্মরণ করার গুরুত্ব সম্পর্কে ইংগিত প্রদান করা হয়েছে।



অনেকে নামাজে সূরা ফাতিহা পাঠ করা যাবে কিনা তা নির্ধারনের জন্য নিচের হাদিছগুলো দলিল হিসেবে পেশ করে থাকেন-



১/ জাবীর (রঃ) বর্ণনা করেন, “যার কোন ইমাম আছে, তার জন্য তার ইমামের কেরাতই যথেষ্ট।” (আল জাওহারুন নিকাহ ১৫৯ : ২, ই’লা’উস সুনান ৬১ : ৪, ইবনে আবি শাইবাহ ৩৭৭ : ১)



২/ আবদুল্লাহ ইবনে শাদ্দাদ বর্ণনা করেন, “রসূলুল্লাহ (সঃ) আসর নামায পড়ালেন। একজন তাঁর (সঃ) পিছনে কেরাত পড়া আরম্ভ করল, এজন্য তার পাশে থাকা আরেকজন তাকে কনুই দিয়ে আঘাত করল (মৃদু ঠেলা দিল)।যখন সে নামায শেষ করল, তখন জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি কেন আমাকে কনুই দিয়ে আঘাত করলে?’ দ্বিতীয় ব্যক্তিটি উত্তর দিল, ‘রসূলুল্লাহ (সঃ) তোমার সামনে, অতএব আমি তোমাকে ইমামের পিছনে কেরাত পড়তে দিতে পারি না(বা অনুমোদন করি না)’।রসূলুল্লাহ (সঃ) এটি শুনলেন এবং বললেন, ‘যার কোন ইমাম আছে, ইমামের কেরাত তার জন্য তার যথেষ্ট ’। ” (মুয়াত্তা মুহাম্মদ ৯৮; ই’লা’উস সুনান ৭০ : ৪)



৩/ আবু হুরাইরা (রঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “একদা রসূলুল্লাহ (সঃ) উচ্চস্বরে কেরাত পাঠের মাধ্যমে নামায আদায়ের পর পিছনে ঘুরলেন (আমাদের দিকে)। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ ‘তোমাদের কেউ এখন আমার সাথে (নামাযের মধ্যে) কেরাত পাঠ করেছ কি?’ জবাবে এক ব্যক্তি বললেন, ‘হ্যাঁ, আল্লাহর নবী (সঃ)। ’তখন নবী করীম (সঃ) বলেন, ‘আমি অবাক হচ্ছিলাম (মনে মনে খুঁজছিলাম), আমার কি হল যে কোরআন পাঠের সময় আমার কষ্ট হচ্ছিল।’ রসূলুল্লাহ (সঃ) হতে এরূপ শোনার পর লোকেরা উচ্চস্বরে কেরাত পঠিত নামাযে তাঁর পিছনে কেরাত পড়া হতে বিরত থাকেন। (তিরমিযী ৭১ : ১; মালিক ৫১; নাসাঈ ১৪৬ : ১; আবু দাঊদ ১৪৬ : ১; ইবনে মাজাহ ৬১, বায়হাকী ১৫৭ : ২)



৪/ ইমরান ইবনে হুসাইন (রঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রসূলুল্লাহ (সঃ) আমাদেরকে যোহরের নামায পড়াচ্ছিলেন তখন একজন তাঁর পিছনে ‘সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আ’লা’ তিলাওয়াত করছিল। নামায শেষে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে কে আমার পিছনে সূরা ‘সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আ’লা’ পাঠ করেছ? এক ব্যক্তি বলল, আমি।তিনি বললেন, আমি অনুমান করেছি তোমাদের মধ্যে কেউ আমার কাছ থেকে (কুরআন) পাঠ ছিনিয়ে নিচ্ছ (আমার সাথে কুরআন পাঠে প্রতিযোগিতা করছ) ।” (সহীহ মুসলিম শরীফ ১৭২ : ই’লা’উস সুনান ৫৬ : ৪)



৫/ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রঃ) বর্ণনা করেন যে, সাহাবীগণ রসূলুল্লাহ (সঃ) এর পিছনে তিলাওয়াত করতেন, তখন রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, তোমরা আমাকে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতে দ্বন্দে বা বিভ্রান্তিতে ফেলে দাও। (মজমা উয যাওয়াইদ ১ ১০ : ২; আল জাওহারুন নাকীহ ১৬২ : ১)



প্রকৃত অর্থে এই হাদিছগুলোর মাধ্যমে সরী নামাযেও সূরা ফাতিহা পাঠ না করার পক্ষে কোন সিদ্ধান্তে আসা আদৌ যুক্তিসংগত বা সঠিক কি? ১ নং হাদিছে ইমামের কেরাত বলতে যে শব্দ করে কেরাত পাঠের কথা বোঝানো হয়নি সেই বিষয়টি বোঝার চেষ্টা না করে সরী নামাযেও মুক্তাদিদের জন্য মনে মনেও সূরা ফাতিহা পাঠ করাকে নিষিদ্ধ করা ঠিক কি? ২, ৩, ৪ ও ৫ নং হাদিছের বক্তব্য অনুসারে জামাতে উপস্থিত কেউ কেউ যে রাসূল (সাঃ) পেছনে দাঁড়িয়ে শব্দ করে কেরাত পাঠ করায় তিনি তা শুনতে পাচ্ছিলেন এবং সে কারনে তার কেরাত পাঠে ব্যাঘাত ঘটছিল, সেই বিষয়টিই ফুটে ওঠে। ৪ নং হাদিছে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, একজন ‘সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আ’লা’ তিলাওয়াত করছিল। সেই মুক্তাদি এই সূরাটি জোরে জোরে পাঠ/তেলাওয়াত করছিলেন বলেই তো তা শোনা যাচ্ছিল। তাই এভাবে জোরে জোরে পাঠ না করার কথাই বলা হয়েছে। বিভিন্ন সাহাবাদের উক্তি থেকেও বোঝা যায় যে, সালাতে মুক্তাদিদের জন্য স্ব-শব্দে কেরাত পাঠের নিষেধাজ্ঞাই প্রকাশ পেয়েছে। তাই বলে মনে মনেও সূরা ফাতিহা পাঠ/তেলাওয়াত ও স্মরণ করা যাবেই না, এরূপ সিদ্ধান্তে আসা ঠিক নয়।



বেশ কয়েকটি সহী হাদিছে জাহরী সালাতে ইমামের সূরা ফাতিহা পাঠ শেষ করার সাথে সাথে মুক্তাদিদেরকেও স্ব-জোরে আমীন বলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং এর ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। ইমামের তেলাওয়াতের সাথে সাথে আমীন বলা তখনই সম্ভব হতে পারে, যদি মুক্তাদিরাও সেই তেলাওয়াত মনযোগ সহকারে শোনেন ও নিজেও মনে মনে পাঠ এবং স্মরণ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু অনেকেই কোন্ যুক্তিতে জোরে আমীন বলতেও কুণ্ঠা বোধ করেন সেটা আমার বোধগম্য নয় এবং অবাক হই বটে। দলমত নির্বিশেষে অন্তত এই বিষয়টির প্রতি সবারই খেয়াল রাখা ও আমলে আনা জরুরী নয় কি?



যে সালাতে ইমাম জোরে কোরআন পাঠ করেন সেই সালাতে মুক্তাদিদের জন্য জোরে কোরআন পাঠ/তেলাওয়াত করার কথা কেউই বলেন নাই। তবে যেহেতু অন্যান্য ইমামদের মত ও হাদিছ অনুসারে জামাতে মুক্তাদিদের জন্য ইমামের কেরাত যথেষ্ট বলে সিদ্ধান্ত এসেছে। তাই ওযর বশত, যেমন জামাতে একটু দেরি করে (কোন রাকাতের রুকুতে থাকা অবস্থায়) আসায় বা অমনযোগীতার কারনে ভুলে যাওয়ায় মনে মনে পাঠ/স্মরণ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলে যে তাতে নামাজ হয়ে যাবে- এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তাই বলে ওযর না থাকলেও ইচ্ছাকৃতভাবে সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ/স্মরণ করার সুযোগ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে আমি মোটেই রাজি নই।



মহান আল্লাহতায়ালা যেন আমাদের সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করেন-

ধন্যবাদ-

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:১৯

জারনো বলেছেন:
ব্যাপক জ্ঞানের কথা।
পাঠকরলে সকলেই উপকৃত হবে।
লেখক কে ধন্যবাদ।
তবে মনের অগচোরে কোন পাপ নাই।
আপনি যা করছেন তা পাপ কিনা তা
আপনার অন্তর বলে দিবে। সুতরাং
যা করছেন, বলছেন তা বিশ্বাস করুন
অন্তর দিয়ে। ভুল ত্রুটি ক্ষমা করার মালিক
সৃষ্টিকর্তা। তিনি তার বান্দাদের ক্ষমা করতে ভালো বাসেন।
কোন মানুষই দোষ ত্রুটির উর্ধ্বে নয়। সুতরাং তাঁর কাছে
পানাহ চান, সৃষ্টিকর্তা মহান, পরাক্রমশীল ও দয়ালু।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫৫

মাহফুজশান্ত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
যা সত্য বলে অনুধাবন করি, তা প্রকাশের এবং আমল করার চেষ্টা করি-

'শাশ্বত প্রেম'

যদি এমন হত, জন্ম থেকে মৃত্যুর পরও
শুধু তুমি আর আমি,
কিন্তু হায়! পারিনি এখনো
পরম পাওয়ার তরে অযাচিত মোহ ছেড়ে
শুধু তোমারই হতে,
শাশ্বত প্রেমের ঘোরে দেহ-মন এক কোরে
তোমাতে হারিয়ে যেতে,
হায়! পারিনি এখনো
তোমার নূরের ছোঁয়ায় আত্মা আলোকিত কোরে
সকল সৃষ্টি সেবায় উদার উদ্যোগ নিতে,
যেভাবে বলেছ তুমি ঠিক সেপথ ধরে
খাঁটি প্রেমিকের মত পূর্ণ অনুগত হতে।
অনুতপ্ত হৃদয় মোর সদা অনুতাপ করে
ক্ষমাভিক্ষা চাই প্রভু পাপ মুক্তির তরে।

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:১৮

অগ্রপথিক... বলেছেন: ভাই আপনি যদি ইমাম মালেক আর ইমাম হাম্বলের অনুশরণ করেন ।তাতে আমাদের নিষেধ নেই,কারণ আপনি যেকোন ইমামের তাকলীদ করতে পারেন। কিন্তু অনেকে নিজেই মুজতাহিদ বনে গিয়ে যদি নিজ খেয়াল খুশি মত মাসয়ালা দেওয়া শুরু করে তাহলে আমরাম এটার বিরোধী। আমি যেহেতু মুজতাহিদ নয় তাই মুজতাহিদ ইমামের কথাই মেনে নিয়েছি। তারপরেও নিচের কিছু বক্তব্য দেখুন-

প্রসিদ্ধ মুফাসসির ইমাম আবু বকর জাসসাস(রহ) সূরা আরাফের ২০৪ নং আয়াতের ব্যখায় বলেন-
" উপরোক্ত আয়াতে যেমন জোরে কিরাতের নামাযেও মুক্তাদিকে কিরআত পড়েতে নিষেধ্ করা হয়েছে,তেমনি আস্তে কিরআতের নামযেও। কেননা এই আয়েতে কুরআন তিলাওয়াতের সময় নিশ্চুপ থাকা ও শ্রবণ করার আদেশ করা হয়েছে। জোরে কিরআতের নামায এবং আস্তে কিরাতের নামায- এই দুয়ের মাঝে কোন পার্থক্য করা হয়নি।অতএব ইমাম যখন জোরে কিরআত পড়ে তখন যেমন নিশ্চুপ থাকা এবং মনযোগ দিয়ে কিরআত শোনা জরুরী,তেমনি যখন আস্তে কুরআন পড়ে তখনও চুপ থাকা জরুরী। কেননা আমরা জানি যে,ইমাম কিরআত পড়ছে।' ( আহকামুল কোরানঃ ৩/৩৯)


আতা ইবনে ইয়াসার(রহ) হযরত যায়েদ ইবনে ছাবিত(রা) কে জিজ্ঞেস করলেন,"মিক্তাদী কি ইমামের সাথে পড়বে?' তিনি উত্তরে বললেন,"মুক্তাদী কোন নামাযেই ইমামের সাথে পরবে না।" (সহীহ মুসলিমঃ ১/২১৫)
এই হাদিসে জামাতে নামায প্রসঙ্গে এসেছে এবং এ হাদিসে মুক্তাদীরকে ইমামের সাথে কোরআন পরতে সুস্পষ্ট নিষেধ করা হয়েছে ।
উপরোক্ত হাদিসের في شيء শব্দ থেকে জানা যাচ্ছে যে, মুক্তাদী কোন কিছুই পড়বে না-না সূরা ফাতিহা, না অন্য কোন সূরা।
في شي শব্দ থেকে আরো বোঝা যাচ্ছে যে,জাহরী কিরাতের নামায কি সিররী কিরাতের নাময কোন নামযেই মু৭ক্তাদী কোরআন পাঠ করবে না।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ (রা) ইমামের পিছনে কোরআন পড়েননি- না প্রথম দুই রাকাতে, না শেষ দুই রাকাতে। ( জামিউল মাসনীদ- ১/৩১০)
আমরা জানি জোহর আসর নামাযের রকাত চার এবং ইশার নামাযের শেষ দুই রাকাত কিরাত অনুচ্চ স্বরে পড়া হয়। তাহলে এই হাদিস দ্বারা প্রমানিত হয় যে, জোরে কিরাতের নামযা এবং আস্তে কিরাতের নাময কোন নামাযেই মুক্তাদী কিরাত পড়বে না।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৪৪

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভাই, আপনি সম্ভবত আমার পোষ্টের বক্তব্য ঠিকমত না পড়েই মাজহাব নিয়ে টানাটানি শুরু করেছেন। খুব স্পষ্টভাবেই আমি বিষয়টি তুলে ধরেছি। আমি কোন দলবাজি নয়, বরং যাদের মতকে আমি আল-কোরআন ও সহী হাদিছের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে করেছি সেটাই তুরে ধরার চেষ্টা করেছি।
খুবই দুঃখের বিষয় যে আমরা আল-কোরআন ও সহী হাদিছের বক্তব্যকে ছাপিয়ে অন্যদের বক্তব্যকে প্রাধান্য দিতে উঠে পড়ে লেগেছি। কিন্তু ভাই, আল-কোরআনের বক্তব্য অনুধাবনের চেষ্টা না করে আমরা তথাকথিত দলমত নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। আর এ কারনেই আমরা দিনকে দিন পিছিয়ে যাচ্ছি।

এবার আপনার দেয়া নিচের হাদিছের বক্তব্যের দিকে লক্ষ করুন-
আতা ইবনে ইয়াসার(রহ) হযরত যায়েদ ইবনে ছাবিত(রা) কে জিজ্ঞেস করলেন,"মিক্তাদী কি ইমামের সাথে পড়বে?' তিনি উত্তরে বললেন,"মুক্তাদী কোন নামাযেই ইমামের সাথে পরবে না।" (সহীহ মুসলিমঃ ১/২১৫)

এর মাধ্যমে কি মনে মনে সূরা ফাতিহা পাঠ/তেলাওয়াত ও স্মরণ করার প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যুক্তি সঙ্গত? এ ধরনের আরও কয়েকটি হাদিছের উদাহরন আমি তুলে ধরেছি। আবারও দেখে নিতে পারেন। এসব হাদিছের মাধ্যমে মূলত জামাতে মুক্তাদিদের জন্য জোরে জোরে না পড়ার কথাই প্রকাশ পেতে পারে। এর দ্বারা নিচের হাদিছের স্পষ্ট নির্দেশ নাকচ করে দিয়ে নামাজে উম্মুল কোরআন 'সূরা ফাতিহা' মনে মনে পাঠ/তেলাওয়াত ও স্মরণ কার বন্ধ করে দেয়া মোটেই ঠিক নয়-


723: Narrated 'Ubada bin As-Samit: Allah's Apostle said, "Whoever does not recite Al-Fatiha in his prayer, his prayer is invalid."

739: Narrated Abu Huraira: The Qur'an is recited in every prayer and in those prayers in which Allah's Apostle recited aloud for us, we recite aloud in the same prayers for you; and the prayers in which the Prophet recited quietly, we recite quietly. If you recite "Al-Fatiha" only it is sufficient but if you recite something else in addition, it is better.
ধন্যবাদ-

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:১৮

অগ্রপথিক... বলেছেন: ভাই দলবাজ নই, আবার আমি নিজে কোন মুজতাহিদ ইমাম নই যে, কোরআন হাদিস থেকে মাসয়ালা ইস্তাম্বাত করার ক্ষমতা আমার আছে,আর আমি যে হাদিস উল্লেখ করেছি ,তার আরবী বুঝলে আপনি আপনার যুক্তি দেখাতে আসতেন না। আফসোসের বিষয় আজ মানুষ এমন হয়ে গেছে যে, নিজেরাই মুজতাহিদ ইমামদের মত ইজতেহাদ শুরু করেছে,মনে হয় আজ ঘরে মুজতাহিদ জন্ম নিচ্ছে,আল্লাহ আপনি আমাদের এই ফিতনা হতে দূরে রাখুন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: কে মুজতাহিদ আর কে না, সেটা দেখার আমার দরকার নেই। আমি সত্যের পুজারী। আর আমার সেই সত্যের মূল মাপকাঠি হলো আল-কোরআন এবং এর বক্তব্যের সাথে বিন্দুমাত্র সাংঘর্ষিক নয় সেইসব সহী হাদিছ। এই মাপকাঠির সাথে যার মত এদিক ওদিক হবে- তিনি যেই হোক না কেন, তার মতকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে আমি বদ্ধপরিকর।
আপনি যে হাদিছ উল্লেখ করেছেন, আপনার কি ধারনা আমি না বুঝেই কথা বলছি? আপনার ধারনা ভুল। আপনার কাছে অনুরোধ, নিজে বোঝার চেষ্টা করুন। আমি যে হাদিছের ও আল-কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়েছি সেগুলো বোঝার চেষ্টা করুন। আর যদি বলেন বুঝেছেন- তাহলে আর কোন কথা নাই। আপনি আপনার পথে চলতে থাকুন। সত্য প্রকাশ করাই আমার কাজ।

আল-কোরআনের মৌল নীতি ও নির্দেশের বাহিরে অতিরক্তি বাড়িয়ে বলার কোন এখতিয়ার রাসূল (সাঃ) এর ছিল না এবং এমনটি যে তিনি করতেই পারেন না, নিচের আয়াতগুলো সেই সাক্ষ্যই বহন করছে। শুধু তাই নয়, অনেকেই যে অনেক কথা বানিয়ে বলবার অপচেষ্টা করবে সে ব্যাপারেও সাবধান করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্বাসীদের জন্য এই কিতাবের বক্তব্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় অর্থাৎ অপ্রাসঙ্গিক কোন (৪৫:০৬-১১), (৭৭:৪৯-৫০) হাদিছ অর্থাৎ কথা, গল্প, বানানো খবরে বিশ্বাস করাও যে নিষেধ, সেই নির্দেশও এখানে স্পষ্ট-

সূরা আল জাসিয়া (মক্কায় অবতীর্ণ)
(৪৫:০৬) এগুলো আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার কাছে আবৃত্তি করি যথাযথ রূপে। অতএব, আল্লাহ ও তাঁর আয়াতের পর তারা কোন হাদিছে (কথা, গল্প, খবর) বিশ্বাস স্থাপন করতে চায়?
(৪৫:০৭) প্রত্যেক মিথ্যাবাদী পাপাচারীর দুর্ভোগ। (৪৫:০৮) সে আল্লাহর আয়াতসমূহ শুনে, অতঃপর অহংকারী হয়ে জেদ ধরে, যেন সে আয়াত শুনেনি। অতএব, তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন। (৪৫:০৯) যখন সে আমার কোন আয়াত অবগত হয়, তখন তাকে ঠাট্টারূপে গ্রহণ করে। এদের জন্যই রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। (৪৫:১০) তাদের সামনে রয়েছে জাহান্নাম। তারা যা উপার্জন করেছে, তা তাদের কোন কাজে আসবে না, তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছে তারাও নয়। তাদের জন্যে রয়েছে মহাশাস্তি। (৪৫:১১) এটা সৎপথ প্রদর্শন, আর যারা তাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।

আফসোস সেই সব মানুষের জন্য! যারা আল-কোরআন ও সহী হাদিছ ছেড়ে মুজতাহিদ ও নামধারী ইমামদের পেছনে ছুটছেন।
আফসোস তাদের জন্য যারা নিজের বুদ্ধি, বিবেক ও বোধকে জলাঞ্জলি দিতে অন্যের কথার উপর উপুড় হয়ে পরছে।
মহান আল্লাহতায়ালা যেন সেইসব দলবাজদের কাছ থেকে দূরে রাখেন এবং তাঁর প্রেরিত বিধান ও রাসূলের আদর্শকে সঠিকভাবে বোঝার শক্তি দান করেন- সেই কামনাই করি।

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৪০

তারেক০০০ বলেছেন: প্রথমত, আমি আপনার প্রতিটি কথার উত্তর দিতে পারব।
কিন্তু আমি সেদিকে যাব না।

আপনি বলেছেন,আমি আল-কোরআনের প্রতিটি আয়াতের বক্তব্যের উপর সম্পূর্ণ ভরসা করি। কিন্তু কোন তফসির বা ব্যাখ্যার উপরে তেমনটি ভরসা করি না।

এখন আমি যদি আপনার মতই বলি, হাদীসে আছে, সাহাবারা নামাযের মাঝে সালাম বিনিময় করতেন, কথা বলতেন।

যেহেতু আপনার কাছে কারও ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই, তাহলে আপনিই বলুন আপনি কি নামাযে কারও সাথে বলাকে বা সালাম বিনিময় করাকে জায়েজ মনে করেন ?

আল্লাহ পাক বলেছেন, তোমরা যখন জান না, তখন যারা জানে তাদের কাছে যাও।

সুতরাং এজন্যই আমাদের কাছে যারা কোরআন হাদীসের ইলম রাখে, আমরা তাদের মতামত গুলোকে গুরূত্ব দিয়ে থাকি।ধনুবাদ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৮

মাহফুজশান্ত বলেছেন: এখন আমি যদি আপনার মতই বলি, হাদীসে আছে, সাহাবারা নামাযের মাঝে সালাম বিনিময় করতেন, কথা বলতেন।

ভাই, এখানেও নিশ্চয় আপানার বোঝারই ভুল আছে। সেই কারনেই হাদিছ উল্লেখ না করে এসব বাজে বকছেন। হাদিছটি উল্লেখ করুন, বুঝিয়ে দিচ্ছি।

আপনি যাদের উপর ভরসা করার কথা বলছেন, সেইসব হদিছে ইলমধারী অনেককেই দেখেছি। তিল কে তাল বানিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে তারা এমনই মাতোয়ারা যে আল্লাহতায়ালা ও তাঁর রাসূলের (সাঃ) উপর মহব্বত ও পরকালের প্রতি তাদের বিন্দুমাত্র বিশ্বাস আছে কিনা তা তারাই ভাল জানেন।

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৮

অগ্রপথিক... বলেছেন: কারা দলবাজ আপনার মন্তব্য দ্বারা আপনি আবার তা প্রমাণ করলেন। সেসব লোকদের জন্য আফসোস যারা নিজেরা আরবী বুঝার ক্ষমতাটুকু নেই,তারাই কিনা আজ ইসলামের পতাকাবাহী , তারাই নাকি ইসলাম বেশি আজ বুঝছে, হায় এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর কি হতে পারে। তারা যে ইসলামের বিধানকে নিজেদের মন মত ব্যবহার করছে,তা এখন স্পষ্ট। ওয়াসসালাম

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আরবিতে বলি আর বাংলায় বলি। আমি কি আল-কোরআন ও হাদিছ বিরোধী কিছু বলেছি? নাকি আল-কোরআন ও সহী হাদিছের বক্তব্যকেই প্রকাশ ও পালন করার চেষ্টা করছি?
এই সম্পর্কে সত্য বলার সাহস ও বোধ যাদের নেই তাদের সাথে কি আর কথা বলব!!??
দয়া করে অন্যের তাবেদারি না করে, আমার পোষ্টের কোন কথাটি আল-কোরআন এবং হাদিছ বিরোধী বলেছি- সাহস থাকলে দেখিয়ে দিন।

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৩

তারেক০০০ বলেছেন: ভাই, আপনার সাথে কথা বলা পুরাই বৃথা।আপনি বললেন,

আপনি যাদের উপর ভরসা করার কথা বলছেন, সেইসব হদিছে ইলমধারী অনেককেই দেখেছি। তিল কে তাল বানিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে তারা এমনই মাতোয়ারা যে আল্লাহতায়ালা ও তাঁর রাসূলের (সাঃ) উপর মহব্বত ও পরকালের প্রতি তাদের বিন্দুমাত্র বিশ্বাস আছে কিনা তা তারাই ভাল জানেন।

তার মানে কি ইবনে কাসীর সহ যারা কোরআনের তাফসীর করেছেন্ম তারা তিল কে তাল বানিয়েছে?

তাবেঈন, তাবে তাবেঈনরা তিল কে তাল বানিয়েছে?

অথচ রসূলে পাক (সঃ) নিজেই বলেছেন যে, তাঁর যুগই সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ, তারপর তার পরের যুগ, তারপর তার পরের যুগ।

আর আপনি কি না বলছেন, তাবেঈন , তাবে তাবেঈন রা তিল কে তাল বানিয়েছেন ?

আর আপনার কাছে তাদের মতামতের গুরুত্ব নেই, তাই আপনাকে একটি প্রশ্ন করি, আশা করি আপনি উত্তর দিবেন,

আপনি বুখারী শরীফের হাদীস উল্লেখ করেছেন, যে সুরা ফাতিহা পড়ল না, তার সালাত হল না।

আমিও জানি, আপনিও জানেন,হাদীসটি সহীহ।

কিন্তু আপনাকে অনুরোধ করছি, আপনি হাদীসটি সহীহ প্রমাণ করুন। ধন্যবাদ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আমার কথা না বুঝেই অযথা কথা বলছেন।
আমি শুধু হাদিছে ইলমধারী বলিনি , আমি সেই সব হাদিছে ইলমধারীদের কথা বুঝিয়েছি যারা তিল কে তাল বানিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে এমনই মাতোয়ারা যে আল্লাহতায়ালা ও তাঁর রাসূলের (সাঃ) উপর মহব্বত ও পরকালের প্রতি তাদের বিন্দুমাত্র বিশ্বাস আছে কিনা তা তারাই ভাল জানেন।
অথচ আপনি নিজে আগ বাড়িয়ে তাদের সাথে সাহাবা ও তাবেঈনদের এর মত ব্যক্তিদের টেনে আনলেন। তাদের সম্পর্কে আমার মনে বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই। তবে তাদের উত্তরসূরি হিসেবে যতই নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য গলাবাজি করা হোক না কেন, আমি পরবর্তী ও বর্তমান প্রজন্মের আলেম সমাজের উপরে তাদের মত নির্ভর করতে অপারগ। আপনার মন চাইলে করতে পারেন। তবে সাবধান! যদি আল-কোরআন ও সহী হাদিছের সাথে সামঞ্জস্য না পান, তাহলে আমার কথার উপরেও ভরসা করবেন না। মহান স্রষ্টার বাণী আল-কোরআনকে মাপকাঠি মেনে নিয়ে নিজের বোধকে কাজে লাগানোই মুত্তাকিনের পরিচয় বহন করে।

সাহাবা ও তাবেইনদের বক্তব্যকে ইনিয়েবিনিয়ে পরবর্তীতে কিভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তা তো তুলে ধরেছি।

আপনিই তো ইমাম বুখারীর সহী হাদিছ সংগ্রেহের বিষয়ে একটি আস্ত পোষ্টও দিয়েছেন। তার সহী হাদিছ গ্রন্থে কি নিচের এই সহী হাদিছটি আপনার চোখে পড়েনি!!??
বুখারী শরীফ (দ্বিতীয় খন্ড)- 'ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ'
১০৮ পৃষ্ঠার ৪৮৭ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে-
সব সালাতের ইমাম ও মুকতাদীর কিরাত পড়া জরুরী, মুকীম ।বস্থায় হোক বা সফরে, সশব্দে হোক বা নিঃশব্দে, সব সালাতেই ইমাম ও মুকতাদীর কিরআত পড়া জরুরী।
এবার ১০৯ পৃষ্ঠার ৭২০ নং হাদিছটি লক্ষ করুন-
আলী ইবনে আবদুল্লাহ (র) .....উবাদা ইবন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সালাতে সূরা ফাতিহা পড়ল না তার নামায হল না।

এরপরও আমাকে হাদিছটি সহী প্রমাণ করে দেখাতে হবে কেন?
আসলে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার পরেও সত্যকে স্বীকার করতে ও মেনে নিতে আপনাদের বড্ড কষ্ট হয়। কিন্তু সত্য তো সব সময় সত্যই। যতই মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করা হোক না কেন, তা প্রকাশিত হবেই।

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:০৯

তারেক০০০ বলেছেন: ভাই,আপনি বললেন,

অথচ আপনি নিজে আগ বাড়িয়ে তাদের সাথে সাহাবা ও তাবেঈনদের এর মত ব্যক্তিদের টেনে আনলেন। তাদের সম্পর্কে আমার মনে বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই।

আপনার যদি বিন্দুমাত্র দ্বিধা না থাকে, তাহলে আপনি কেন বললেন যে কোন তফসির বা ব্যাখ্যার উপরে তেমনটি ভরসা করি না।

আমি আপনাকে তাফসীর ইবনে কাসীর দেখতে বলেছি, আর আপনি আমাকে বললেন,কোন তফসির বা ব্যাখ্যার উপরে তেমনটি ভরসা করি না।

সাহাবা ও তাবেইনদের বক্তব্যকে ইনিয়েবিনিয়ে পরবর্তীতে কিভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তা তো তুলে ধরেছি।

বলুন, কোন কিতাবে সাহাবাদের,তাবেইনদের কথাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে ???

আর আপনি বুখারী শরীফের সহীহ হাদীস দেখিয়েছেন। আমি কি আপনাকে সহীহ হাদীস দেখাইনি ? নাকি আমার দেখানো হাদীসগুলো সহীহ না ?

এবং আপনাকে আপনার হাদীসটি সহীহ প্রমাণ অবশ্যই করতে হবে ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৫৮

মাহফুজশান্ত বলেছেন: সহজ কথা সোজাভাবে বললে আপনদের বুঝতে অসুবিধা হয়-তাইনা? কিন্তু সোজা কথা বাকিয়ে দিলেও তা বুঝতে পারেন না!! আজব
আবার শুনুন, তফসীর/ব্যাখ্যা যারা করেছেন তাদের সব বক্তব্য আমার কাছে আল-কোরআনের বাণীর মত ১০০% গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনে কাছিরের ব্যাখ্যার গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে আমি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। তবে শুধু তারই নয়, কারো ব্যাখ্যাকেই আমি সর্বকালের জন্য পূর্ণাঙ্গ মনে করি না। আল-কোরআনের বক্তব্য অপরিবর্তনশীল। কিন্তু মানুষ্যকৃত ব্যাখ্যা পরিবর্তন হতেই পারে।
ভাই, আপনাকে একটা প্রশ্ন করি-
আপনি কি বুখারী শরীফের হাদিছটি জাল মনে করেন? করলে কেন?
আমি এমনটি মনে করি না। তাই এটি সহীহ প্রমানের জন্য গলদঘর্ম হবার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। দলবাজির খাতিরে আপনার জাল প্রমান করর প্রয়োজন থাকলে- করে দেখাতে পারেন।
আপনি আমাকে যে সব হাদিছ দেখিয়েছেন তার দ্বারা মুক্তাদিদের জন্য নামাজে সূরা ফাতিহা মনে মনে পাঠ/তেলাওয়াত ও স্মরন করা নিষেধ বলে আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কেন নয় তাও আমি স্পষ্টভাবে বলেছি।
আপনার পোষ্টেই সাহাবাদের,তাবেইনদের কথাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে সেটাকে আমি ভুল মনে করি- সেগুলো আপনি যাদের কিতাব থেকে সংগ্রহ করার রেফারেন্স দেন না কেন, তা দেখার কোন প্রয়োজন অনুভব করি না।।
বিভিন্ন সাহাবাদের উক্তি থেকেও বোঝা যায় যে, সালাতে মুক্তাদিদের জন্য স্ব-শব্দে কেরাত পাঠের নিষেধাজ্ঞাই প্রকাশ পেয়েছে। তাই বলে মনে মনেও সূরা ফাতিহা পাঠ/তেলাওয়াত ও স্মরণ করা যাবেই না, এরূপ সিদ্ধান্তে আসা ঠিক নয়।
আমি এই পোষ্টের শুরুতেই বলেছি-
তবে কোন হাদিছের বক্তব্যের দ্বারা কারো কাছে যদি "ইমামের পেছনে মনে মনে সূরা ফাতিহাও পাঠ/তেলাওয়াত এবং অর্থ স্মরণ ও অনুধাবন করার দরকার নেই"- এই মতটি বেশি নির্ভরযোগ্য মনে হয়, তাহলে তারা সেভাবে আমল করতে পারেন। এটা তাদের অভিরুচি।
সুতরাং আপনার কাছে এমনটি মনে হলে- আপনি সূরা ফাতিহা পাঠ, এমনকি স্মরণ না করেই নামাজ আদায় করতে থাকুন।
বিচারের ভার মহান আল্লাহতায়ালার কাছেই ন্যস্ত থাক।

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫৭

তারেক০০০ বলেছেন: ভাই, আপনার সাথে কথা বলা সময় অপচয় ছাড়া কিছু নয়।

আমি নিজেই বলেছি, বুখারী শরীফের হাদীসটি সহীহ। অথচ আপনি কি না প্রশ্ন করছেন আমাকে,

আপনি কি বুখারী শরীফের হাদিছটি জাল মনে করেন? করলে কেন?

ভাই, আমি বললাম যে, আপনি পারলে হাদীসটি সহীহ প্রমাণ করে দেখান ।
আর না পারলে বলেন যে, পারবেন না।

আপনার নিজের পোস্টে দেওয়া একটা হাদীস সম্পর্কে আমি এই প্রশ্নটা করতেই পারি।

আর আপনি বলেছেন, আমার পোস্টে সাহাবা,তাবেঈনদের কথা গুলো ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

ভাই,অযথা প্যাঁচাল করে লাভ নেই, পারলে প্রমাণ করুন যে সেগুলো ভুল।

যেসব তাবেঈনরা সাহাবাদের সাথে ছিলেন, তারা নিশ্চয়ই সাহাবাদের কথা ভুল বুঝেননি।

আর যেসব তাবে তাবেঈনরা তাবেঈনদের সাথে ছিলেন, তারা নিশ্চয়ই তাবেঈনদের কথা ভুল বুঝেননি।

আর যেসব কিতাব এর রেফারেন্স দেওয়া আছে, সেখানে স্পষ্টভাবে সাহাবেদের পাশাপাশি তাবেঈনদের কথা, তাবেঈনদের পাশাপাশি তাবে তাবেঈনদের কথা, তাবে তাবেঈনদের পাশাপাশি মুহাদ্দীসদের কথা ও উল্লেখ আছে।

এবার আপনি বলুন, তাদের মাঝে কে কোথায় ভুল করেছেন ?

তারা যদি ভুল বুঝে থাকে,যুগের যুগের মুহাদ্দিসরা যদি কোরআন হাদীস বুঝতে না পারে,
তাহলে আমি আপনাকে আবারও বলছি,

যদি পারেন বুখারী শরীফের হাদীসটি সহীহ প্রমাণ করে দেখান, যদি পারেন।ধন্যবাদ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আমি যে হাদিছকে সহী মনে করি সেটাকে সহীহ প্রমানের জন্য গলদঘর্ম হবার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। দলবাজির খাতিরে আপনার জাল প্রমান করর প্রয়োজন থাকলে- করে দেখাতে পারেন।
আপনার বাকী কথার উত্তর যথাস্থানে দেয়া হয়েছে-
অযথা ধর্মান্ধ সাজার চেষ্টা করে লাভ হবে না-

৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩২

তারেক০০০ বলেছেন: আজীবন মুখ দিয়েই চলতে পারবেন, একটি হাদীসকে সহীহ বলছেন, কিন্তু কেন সহীহ বলছেন তা আর বলতে পারছেন না ?? তাহলে ধর্মান্ধ কি আমি না আপনি ?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আল-কোরআনের বাণী যাদের অন্তর ছুঁতে পারে না- তাদের কাছে কোন কিছূ প্রমান করার প্রয়োজন অনুভব করি না। যারা বোঝার, সত্য কোনটা তা ঠিকই বুঝে যাবেন।
আর এরপরও যারা বুঝবেনা- তারা তাদের মতই চলতে থাক।
সহী হাদিছকে সহী প্রমাণের জন্য যারা গোঁ ধরে থাকে- তারা যে কি চিজ, খুব বোঝা গেল।

১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৬

যাযাবরমন বলেছেন: বাজে কমেন্টস ও উত্তর।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৮

মাহফুজশান্ত বলেছেন: হুঁ, ঠিকই বলেছেন
ভাল কমেন্টস হলে তো উত্তরটাও ভাল হবে।

১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৬

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: সবাইকে ভিদিওটি দেখার আমন্ত্রন রইল।
http://www.youtube.com/watch?v=Ey3V87A8dCM

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: এই পোষ্টটি সম্পর্কে কিছু বলতে পারেন-

১২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৭

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: ভাই আমি জন্ম সুত্রে হানাফি মাজহাবী তবে জাহরী নামাযে, যেমন- ফজর, মাগরিব ও এশায় ইমাম যখন কেরাত শব্দ করে জোরে জোরে পড়েন তখন শুধু শুনি কিন্তু সিরী নামাযে, যেমন- যুহর ও আছরের সময় ইমাম যখন কেরাত চুপে চুপে পড়েন তখন আমি শব্দ না করে সুরা ফাতিহা পাঠ করি।

আমার মাজহাব উল্লেখ করলাম,কারন আমাকে অনেকে আহলে হাদিস বলে।

আসলে মাজহাব নিয়ে আমার বাড়াবাড়ি নেই,যেটা কোরআন ও সহিহ হাদিসের পক্ষে সেটাই আমি মেনে চলি। চার ইমাম যে মাজহাবের আমিও সেই মাজহাবের। কথাটা বললাম অগ্রপথিক ভাইয়ের কথার প্রেক্ষিতে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: জী ভাই, ঠিক বলেছেন। স্পষ্ট বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। মাজহাব নিয়ে বাড়াবাড়ি যেমন ঠিক নয়, তেমনি ক্ষেত্র বিশেষে এর প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করাও নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক। আল-কোরআন ও সহিহ হাদিসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মতামত মেনে নেয়াই তো সাচ্চা মুসলিমের কাজ।

আমিও ইমাম মালিক, ইমাম আহমদ ও ইমাম শাফীর মতের সাথে সহমত পোষণ করি। কারন জাহরী নামাযে ইমাম যখন কেরাত শব্দ করে জোরে জোরে পাঠ করেন তখন মনযোগ দিয়ে শুনলে এবং অর্থ স্মরণ ও অনুধাবনের চেষ্টা করলেই তা পাঠ করার শামিল। আর সিরী নামাযে ইমাম যখন কেরাত চুপে চুপে পড়েন তখন মুক্তাদি তা শুনতে পারেন না। তাই সে সময় মুক্তাদির জন্যও মনে মনে সূরা ফাতিহা পাঠ/তেলাওয়াত এবং অর্থ স্মরণ ও অনুধাবন করা আবশ্যক বৈকি।

আমার মাজহাব উল্লেখ করলাম,কারন আমাকে অনেকে আহলে হাদিস বলে।
আমিও আপনার মত সমস্যায় আছি। তবে উল্টোটা। আমাকে অনেকে 'আহলে কোরআন' মনে করেন। এ বিষয়ে এখানে উত্তর পাবেন- আপনি কি 'আহলে-কুরআন' নামক ভ্রান্ত দলের অনুসারী?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.