নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

‍‍‍"Al-Quran", The source of science - Dr. Mahfuz

নাড়ীর স্পন্দন গুনে রুগীর সেবা করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে চেতনার কলম ধরি।('মনের মাধুরী' হলো পার্থিব জ্ঞান সমৃদ্ধ স্বচ্ছ মনন- আর 'চেতনার কলম' হলো আল-কোরআনের ঐশী আলোয় আলোকিত বিবেক সম্পন্ন লিখন)

মাহফুজশান্ত

আসুন, "ধর্মান্ধতা পরিহার করে ধর্মিষ্ঠ হই" "বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম" [আল-কোরআন-৯৬. সূরা আল-আলাক] ০১. পাঠ কর (এবং ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন- ০২. সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ হতে। ০৩. পাঠ কর, আর (ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত। ০৪. যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন- ০৫, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।] পবিত্র কোরআনের ৯৬ নম্বর সূরা 'আলাক'-এর প্রথম এই পাঁচটি আয়াত অত্যন্ত মূল্যবান এবং যা মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে ফেরেশতা জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে সর্বশেষ নবী রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর নাযিলকৃত সর্বপ্রথম ওহি অর্থাৎ ঐশীবাণী। মহামহিমান্বিত প্রতিপালকের নামে শিক্ষা লাভের জন্য পাঠ করা ( Study ) অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায় থেকে জ্ঞানার্জন করা এবং জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে কলমের ব্যবহার অর্থাৎ 'লিখন' যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখে তা সর্বজনবিদিত। মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে খাঁটি মানুষ রূপে গড়ে তোলার জন্য যে সর্বপ্রথমে এই ধরণের চমৎকার ও কার্যকর ঐশীবাণী প্রদান করে অনুপ্রাণিত করবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে পার্থিব জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের বিষয়ে জ্ঞান চর্চার তাগিদে সময় বের করে নিতে হয়েছে। যে জ্ঞানের কোন সীমা পরিসীমা নেই, যে জ্ঞানের কথা লিখতে বসলে মহাসাগরের এমনকি আকাশ ও পাতালের সকল জলরাশিকে কালি বানালেও তা ফুরিয়ে যাবে- তার জন্য এই সময়টুকু অতি নগন্য। তথাপি আমার এই ছোট্ট প্রয়াসের জন্য দয়াময় আল্লাহতায়ালা যে আমাকে সুযোগ ও তৌফিক দিয়েছেন সেজন্য আমি অবনত মস্তকে সর্বশক্তিমান স্রষ্টার কাছে প্রতি মূহুর্তে শুকরিয়া আদায় করছি। সত্যের স্বরূপ উদঘাটনে যতটুকু সফলতা অর্জন করতে পেরেছি তার সবটুকুই আল-কোরআনের ঐশীবাণীসমূহের মর্ম সঠিকভাবে অনুধাবনের ফলেই সম্ভব হয়েছে। আর ব্যর্থতার জন্য একজন অতি সাধারন মানুষ হিসেবে আমার অযোগ্যতা ও অজ্ঞতাই সম্পূর্ণরূপে দায়ী। হে বিশ্ববিধাতা করুণাময় মহান আল্লাহ , সর্বপ্রকার অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তির জন্য সর্বদা অবনত মস্তকে ক্ষমাভিক্ষা চাই। আর সরল ও সত্যের পথ যতটুকু অর্জন করতে পেরেছি তার উছিলায় একজন হতভাগা পাপী বান্দা হিসেবে তোমার জ্যোতির্ময় আরশের ছায়াতলে চিরকালের জন্য একটুখানি ঠাঁই চাই। আশাকরি ছোটখাট ভুলত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। চিন্তাশীল সুধীজনদের সুচিন্তিত পরামর্শ ও সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করা হবে।

মাহফুজশান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল-কোরআনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েমের নির্দেশ আছে কি?

০৬ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:০৪

সালাত অর্থাৎ নামাজ মুসলিমদের জন্য অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। ইসলামের মৌল গ্রন্থ আল-কোরআনে নামাজ সম্পর্কে কোন স্পষ্ট নির্দেশ আছে কিনা, আজ সে বিষয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

নামাজ কায়েম অর্থাৎ প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশ-

আল-কোরআন-

সূরা ত্বোয়া-হা (মক্কায় অবতীর্ণ)

(২০:১৪) অর্থ- আমিই আল্লাহ, আমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। অতএব আমার ইবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম/প্রতিষ্ঠা কর।

সূরা আন নিসা (মদীনায় অবতীর্ণ)

(০৪:১০৩) অর্থ- অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন সালাত/নামায কায়েম/প্রতিষ্ঠা কর। প্রকৃত পক্ষে সালাত/নামায বিশ্বাসীদের উপর সুনির্দিষ্ট সময়েই ফরয করা হয়েছে।

সূরা আল বাক্বারাহ (মদীনায় অবতীর্ণ)

(০২:৪৩) অর্থ- আর নামায কায়েম/প্রতিষ্ঠা কর, যাকাত দান কর এবং রুকু কর রুকুকারীদের সাথে।

(০২:১১০) অর্থ- তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাকাত দাও। তোমরা নিজের জন্যে পূর্বে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা কিছু কর, নিশ্চয় আল্লাহ তা প্রত্যক্ষ করেন।



আল-কোরআনে সরাসরি 'পাঁচ' শব্দটি না থাকলেও যে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা থেকে দৈনিক 'পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ' যে মুসলিমদের জন্য ফরজ করা হয়েছে তা স্পষ্ট। রাসূল (সাঃ) নিজে মসজিদে উপস্থিত থেকে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায় করেছেন এবং নামাজের প্রতিটি ধাপ কিভাবে সম্পন্ন করতে হবে অন্যদেরকেও তা হাতে-কলমে শিখিয়ে দিয়েছেন। সেই বাস্তব শিক্ষাটি সব কালে এবং বর্তমানেও সেভাবেই পালন করা হচ্ছে। তাই ফরজ নামাজের ওয়াক্ত নিয়ে কারো মধ্যেই তেমন কোন দ্বিমত নেই। আর ফরজ নামাজের রাকাতের বিষয়টি এতটাই প্র্যাকটিকাল যে, সবকালেই পৃথিবীর সর্বত্র সব মুসলিমই ফজরের ২ রাকাত, জুহুরের ৪ রাকাত, আছরের ৪ রাকাত, মাগরীবের ৩ রাকাত এবং ইশার ৪ রাকাত ফরজ নামাজ নির্দ্বিধায় আদায় করেছেন, এখনও করছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন। আল-কোরআনে (০৪:১০৩) সুনির্দিষ্ট সময়েই নামাজ কায়েম করতে বলা হয়েছে। সেই দিকনির্দেশনা অনুসারে দিনের বিশেষ বিশেষ সময়ের যে হিসেবে পাওয়া যায় তাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচী স্পষ্টভাবেই বুঝে নেয়া যায়।



কোন কোন সময়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করতে হবে সে সম্পর্কে দিকনির্দেশনা-

১/ ফজর- আয়াত নং (১৭:৭৮), (১১:১১৪), (০৭:২০৫), (৩০:১৭) ও (৩৮:১৮)

২/ জহুর- আয়াত নং (১৭:৭৮) ও (৩০:১৮)

৩/ আছর- আয়াত নং (১১:১১৪), (০২:২৩৮), (৩০:১৭) ও (৩৮:১৮)

৪/ মাগরিব- আয়াত নং (১৭:৭৮), (১১:১১৪) ও (০৭:২০৫)

৫/ ইশা- আয়াত নং (১৭:৭৮), (১১:১১৪) ও (৩০:১৮)



আল-কোরআন-

সূরা বনী ইসরাঈল (মক্কায় অবতীর্ণ)

(১৭:৭৮) অর্থ- নামায কায়েম করুন সূর্য ঢলে পড়ার সময় (জহুর ও আছরের নামাজ) থেকে রাত্রির অন্ধকার পর্যন্ত (মাগরিব ও ইশার নামাজ) এবং প্রত্যুষের কোরআন পাঠ (ফজরের নামাজ); প্রকৃত পক্ষে প্রত্যুষের কোরআন পাঠ তো সাক্ষী-স্বরূপ।

Tafsir Ibn Kathir - Quran Tafsir

(Perform the Salat from midday.) Hushaym narrated from Mughirah from Ash-Sha`bi from Ibn `Abbas: "Midday means when the sun is at its zenith.'' This was also reported by Nafi` from Ibn `Umar, and by Malik in his Tafsir from Az-Zuhri from Ibn `Umar. This was the opinion of Abu Barzah Al-Aslami and Mujahid, and of Al-Hasan, Ad-Dahhak, Abu Ja`far Al-Baqir and Qatadah. It is also understood to generally ﴾ refer to the times of the five prayers. ﴿ Allah said;

(from midday till the darkness of the night,) meaning darkness, or it was said, sunset. This was understood to mean Zuhr `Asr, Maghrib and `Isha'.

(and recite the Qur'an in the early dawn.) meaning Salat Al-Fajr.



সূরা হুদ (মক্কায় অবতীর্ণ)

(১১:১১৪) অর্থ- আর নামায প্রতিষ্টা কর দিনের দুই প্রান্তেই (ফজর ও আছর) এবং রাতের নিকটবর্তী অংশে (মাগরিব ও ইশা); প্রকৃতপক্ষে সৎকর্ম অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়, যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহা স্মারক।

Tafsir Ibn Kathir - Quran Tafsir

(And perform the Salah, at the two ends of the day) "This is referring to the morning prayer (Subh) and the evening prayer (Maghrib).'' The same was said by Al-Hasan and `Abdur-Rahman bin Zayd bin Aslam. In one narration reported by Qatadah, Ad-Dahhak and others, Al-Hasan said, "It means the morning prayer (Subh) and the late afternoon prayer (`Asr).'' Mujahid said, "It is the morning prayer at the beginning of the day and the noon prayer (Zuhr) and late afternoon prayer (`Asr) at the end of the day.'' This was also said by Muhammad bin Ka`b Al-Qurazi and Ad-Dahhak in one narration from him.

(and in some hours of the night.) Ibn `Abbas, Mujahid, Al-Hasan and others said, "This means the night prayer (`Isha').'' Ibn Al-Mubarak reported from Mubarak bin Fadalah that Al-Hasan said,

(and in some hours of the night.) "This means the evening (Maghrib) and late night (`Isha') prayers. The Messenger of Allah said, (They are the approach of the night: Maghrib and `Isha'.) The same was said by Mujahid, Muhammad bin Ka`b, Qatadah and Ad-Dahhak (that this means the Maghrib and `Isha' prayers).

সূরা আল বাক্বারাহ (মদীনায় অবতীর্ণ)

(০২:২৩৮) অর্থ- সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের (আছর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও। [ফজর -> জহুর -> (মধ্যবর্তী নামায/আছর) -> মাগরিব -> ইশা]

(wal-ṣalati= and the prayer)

(l-wus'ṭā= the middle)

Tafsir Ibn Kathir - Quran Tafsir

Furthermore, Allah has specifically mentioned the Middle prayer, which is the `Asr prayer according to the majority of the scholars among the Companions,

সূরা আল আ’রাফ (মক্কায় অবতীর্ণ)

(০৭:২০৫) অর্থ- আর স্মরণ করতে থাক স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় এবং এমন স্বরে যা চিৎকার করে বলা অপেক্ষা কম; সকালে (ফজর) ও সন্ধ্যায় (মাগরিব)। আর বে-খবর থেকো না।

bil-ghuduwi= in the mornings

wal-āṣāli= and (in) the evenings

সূরা আর-রূম (মক্কায় অবতীর্ণ)

(৩০:১৭) অর্থ- সুতরাং আল্লাহর মহিমা স্মরণ কর সূর্যাস্তের পূর্বে (আছর) (যখন তোমরা সন্ধ্যায় পৌঁছাও) এবং সূর্যোদয়ের পূর্বে (ফজর) (যখন তোমরা সকালে পৌঁছাও)।

ḥīna= when

waḥīna= and when

tum'sūna= you reach the evening

tuṣ'biḥūna= you reach the morning

'Times of the Prayers' of Sahih Bukhari.

529: Narrated Qais: Jarir said, "We were with the Prophet and he looked at the moon--full-moon--and said, 'Certainly you will see your Lord as you see this moon and you will have no trouble in seeing Him. So if you can avoid missing (through sleep or business, etc.) a prayer before the sun-rise (Fajr) and a prayer before sunset ('Asr), you must do so.' He then recited Allah's Statement: And celebrate the praises Of your Lord before The rising of the sun And before (its) setting." (50.39) Isma'il said, "Offer those prayers and do not miss them."



(৩০:১৮) অর্থ- এবং আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যাবতীয় প্রশংসা তাঁরই জন্য, নিশাকালে (ইশা) এবং যখন তোমরা মধ্যাহ্নে (জহুর) থাক।

wa'ashiyyan= and (at) night

tuẓ'hirūna= you are at noon

সূরা ছোয়াদ (মক্কায় অবতীর্ণ)

(৩৮:১৮) অর্থ- আমি পর্বতমালাকে তার অনুগামী করে দিয়েছিলাম, তারা সকালে (ফজর) ও বিকালে (আছর) তার সাথে পবিত্রতা ঘোষণা করত;

(bil-ghuduwi= in the mornings)

bil-'ashiyi= in the afternoon



নামাজের সময় কিবলা মুখী হয়ে দাঁড়ানো, কোরআনের কিছু অংশ পাঠ এবং রুকু ও সিজদা করার নির্দেশ-



আল-কোরআন-

কিবলা মুখী হয়ে দাঁড়ানোর নির্দেশ-

সূরা আল বাক্বারাহ (মদীনায় অবতীর্ণ)

(০২:১৪২) অর্থ- এখন নির্বোধেরা বলবে, কিসে মুসলমানদের ফিরিয়ে দিল তাদের ঐ কেবলা থেকে, যার উপর তারা ছিল? আপনি বলুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে চালান।

(০২:১৪৪) অর্থ- নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের (কাবা) দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে।

(০২:১৪৮) অর্থ- আর প্রত্যেকের জন্যই রয়েছে একেকটা কিবালা/দিক, যে দিকে সে মুখ করে; অতএব তোমরা সৎকাজে একে অপরের সাথে প্রতিযোগীতা কর। যেখানেই তোমরা থাকবে, আল্লাহ অবশ্যই তোমাদেরকে সমবেত করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।

(০২:১৪৯) অর্থ- আর যে স্থান থেকে তুমি বের হও, নিজের মুখ মসজিদে হারামের (কাবা) দিকে ফেরাও- নিঃসন্দেহে এটাই হলো তোমার পালনকর্তার পক্ষ থেকে নির্ধারিত বাস্তব সত্য। বস্তুতঃ তোমার পালনকর্তা তোমাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অনবহিত নন।

(০২:১৫০) অর্থ- আর তুমি যেখান থেকেই বেরিয়ে আস এবং যেখানেই অবস্থান কর না কেন, সেদিকেই (কাবা) মুখ ফেরাও, যাতে করে মানুষের জন্য তোমাদের সাথে ঝগড়া করার অবকাশ না থাকে। অবশ্য যারা অবিবেচক, তাদের কথা আলাদা। কাজেই তাদের আপত্তিতে ভীত হয়ো না। আমাকেই ভয় কর। যাতে আমি তোমাদের জন্যে আমার অনুগ্রহ সমূহ পূর্ণ করে দেই এবং তাতে যেন তোমরা সরলপথ প্রাপ্ত হও।

কোরআনের কিছু অংশ পাঠ করার নির্দেশ-

সূরা আল আনকাবুত (মক্কায় অবতীর্ণ)

(২৯:৪৫) অর্থ- আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদৃষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর।

সূরা মুযযামমিল (মক্কায় অবতীর্ণ)

(৭৩:২০) অর্থ- আপনার পালনকর্তা জানেন, আপনি এবাদতের জন্যে দন্ডায়মান হন রাত্রির প্রায় দু’তৃতীয়াংশ, অর্ধাংশ ও তৃতীয়াংশ এবং আপনার সঙ্গীদের একটি দলও দন্ডায়মান হয়। আল্লাহ দিবা ও রাত্রি পরিমাপ করেন। তিনি জানেন, তোমরা এর পূর্ণ হিসাব রাখতে পার না। অতএব তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমা পরায়ন হয়েছেন। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হবে, কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশে-বিদেশে যাবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে জেহাদে লিপ্ত হবে। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর; তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও। তোমরা নিজেদের জন্যে যা কিছু অগ্রে পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে উত্তম আকারে এবং পুরস্কার হিসেবে বর্ধিতরূপে পাবে। তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।

রুকু ও সিজদা করার নির্দেশ-

সূরা আল আ’রাফ (মক্কায় অবতীর্ণ)

(০৭:২০৬) অর্থ- নিশ্চয়ই যারা তোমার পরওয়ারদেগারের সান্নিধ্যে রয়েছে, তারা তাঁর বন্দেগীর ব্যাপারে অহঙ্কার করে না এবং স্মরণ করে তাঁর পবিত্র সত্তাকে; আর তাঁকেই সেজদা করে। [সেজদাহ্ ]

সূরা আত তওবা (মদীনায় অবতীর্ণ)

(০৯:১১২) অর্থ- ওরা তওবা (অনুতাপ) করে, উপাসনা করে, আল্লাহর প্রশংসা করে, রোজাব্রত পালন করে, রুকু ও সিজদা করে, সৎকর্মের নির্দেশ দেয়, অসৎ কর্ম নিষেধ করে, এবং আল্লাহর সীমারেখা সংরক্ষণ করে; তুমি বিশ্বাসীদের সুসংবাদ দাও।



নামাজের সময় (০২:১৪৪) কিবলা মুখী হয়ে দাঁড়ানো, (৭৩:২০) আল-কোরআনের কিছু অংশ পাঠ এবং (০২:৪৩), (০৯:১১২) রুকু ও সিজদা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাজেই নামাজে এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে মেনে চলার চেষ্টা করা মুসলিমদের জন্য ফরজ।



আল্লাহতায়ালার নির্দেশানুযায়ী রাসূলের (সাঃ) অনুসরণ করা সম্পর্কীত আল-কোরআনের বাণী-

সূরা আন নিসা (মদীনায় অবতীর্ণ)

(০৪:৬৪) অর্থ- বস্তুতঃ আমি একমাত্র এই উদ্দেশ্যেই রসূল প্রেরণ করেছি, যাতে আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী তার অনুসরণ করা হয়। যখন তারা নিজেদের উপর জুলুম করেছিল, তখন যদি তোমার কাছে আসত এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করত এবং রসূলও তাদের জন্য ক্ষমা চাইত, তবে অবশ্যই তারা আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও পরম-দয়ালু রূপেই পেত।

সূরা আল আহযাব (মদীনায় অবতীর্ণ)

(৩৩:২১) অর্থ- নিশ্চয় তোমাদের জন্যে আল্লাহর রাসূলের মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে, যে কারো জন্যই যিনি আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে,



আমরা আগেই দেখেছি যে, আল-কো্রআনে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত/নামাজ প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (৩৩:২১) নং আয়াতে জানিয়ে দেয়া হলো, রাসূলের (সাঃ) মধ্যে বিশ্বাসীদের জন্য উত্তম নমুনা রয়েছে। কাজেই (০৪:৬৪) নং আয়াত অনুসারে আল-কোরআনে প্রদত্ত আল্লাহতায়ালার স্পষ্ট নির্দেশানুযায়ী রাসূলের (সাঃ) অনুসরণ করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য। ছোটখাট মতভেদ ভুলে রাসূল (সাঃ) যেভাবে নামাজ কায়েম/প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাঁর দেখানো সেই নিয়ম ও সময়ের মধ্যে যথাযথভাবে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম/প্রতিষ্ঠার জন্য সহী হাদিছ অনুসারে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ করে নামাজের সময় মহান আল্লাহর নাম স্মরণ করা, কিবলা মুখী হয়ে দাঁড়ানো, কোরআনের কিছু অংশ পাঠ এবং রুকু ও সিজদা করা প্রতিটি মুসলিমের জন্য ফরজ এবং এ ক্ষেত্রে রাসূলের (সাঃ) দেখানো পদ্ধতিকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে।



সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহতায়ালা যেন সত্যকে জানার ও সঠিকভাবে মানার এবং তাঁর প্রদর্শিত সরল পথে চলার তৌফিক দান করেন-

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:২৩

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: ++++++++++++++++++

০৬ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:২৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহতায়ালা যেন সত্যকে জানার ও সঠিকভাবে মানার এবং তাঁর প্রদর্শিত সরল পথে চলার তৌফিক দান করেন-

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:২৬

কে এস আরেফিন বলেছেন: মাহফুজ ভাই এই পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। এবং এর সাথে নামাজের জন্য সহী হাদিস গুলো নিয়েও একাটা পোস্ট আশা করছি যাতে নামাজের পদ্ধতির ব্যাপারে স্পষ্ট হতে পারি।

আপনার নিচের কথাটা ১০০% সত্য কথা এবং প্রত্যেক মুসলমানকে এভাবেই চলতে হবে।

"ছোটখাট মতভেদ ভুলে রাসূল (সাঃ) যেভাবে নামাজ কায়েম/প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাঁর দেখানো সেই নিয়ম ও সময়ের মধ্যে যথাযথভাবে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম/প্রতিষ্ঠার জন্য সহী হাদিছ অনুসারে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। "

০৬ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:৩০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
নামাজের জন্য সহী হাদিস গুলো নিয়েও একাটা পোস্ট আশা করছি
চেষ্টা করব ভাই,
সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহতায়ালা যেন সত্যকে জানার ও সঠিকভাবে মানার এবং তাঁর প্রদর্শিত সরল পথে চলার তৌফিক দান করেন-

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:৪৮

~মাইনাচ~ বলেছেন: সুন্দর একটা পোষ্ট

০৬ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:০৩

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহতায়ালা যেন সত্যকে জানার ও সঠিকভাবে মানার এবং তাঁর প্রদর্শিত সরল পথে চলার তৌফিক দান করেন-

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭

রেজাউল বলেছেন: সুন্দর একটি পোস্ট এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই ।

০৬ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:০৩

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহতায়ালা যেন সত্যকে জানার ও সঠিকভাবে মানার এবং তাঁর প্রদর্শিত সরল পথে চলার তৌফিক দান করেন-

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:১১

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: ঠিক কোন জায়গায় ৫ বার নামায আদায় করতে বলেছে সেই সম্বন্ধে আপনার দেয়া আয়াতগুলোর মধ্যে কোন স্পষ্ট বানী খুজে পেলাম না। যেইটুকু পেলাম সেটা হল সূর্য ওঠার পরে আর আগে। তাফসির বা হাদিসের অনেক জায়গায় আপনি মওদুদী সাহেবের মত নিজের কিছু ব্যাখ্যা ব্র্যাকেট বন্দী করেছেন। এটা দ্বারা আপনি বোঝাতে চেয়েছেন কোরানেই ৫ বারের কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু সেরকম কোন প্রমান পেলাম না।

০৬ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:২৪

মাহফুজশান্ত বলেছেন: মওদুদী সাহেব কোথায় কি বলেছেন সে সম্পর্কে আমি মোটেই ওয়াকিবহাল নই। কারন আমি যাঁর অনুসরণ করি, মওদুদি সাহেব কোন দিক থেকেই তাঁর সমকক্ষ নন এবং কখনই হবেন না।
তাছাড়া মওদুদি সাহেবের তফসির পড়া অনেক আগেই ছেড়ে দিযেছি। এখানে তো নয়ই, আমার কোন পোষ্টেই তার কোন বক্তব্য পেশ করে কোন বিষয় প্রমাণ করার চেষ্টা করি নাই। একটু চেষ্টা করে দেখুন, বের করতে পারেন কিনা।

তাফসির বা হাদিসের অনেক জায়গায় আপনি মওদুদী সাহেবের মত নিজের কিছু ব্যাখ্যা ব্র্যাকেট বন্দী করেছেন।
আপনি হয়ত ভুল ভাবছেন। স্পষ্ট করে উল্লেখ করুন, তাহলে আপনার ভুল ভাঙাতে পারি কিনা তা চেষ্টা করে দেখতে পারি।
৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ সম্পর্কে আমি যে প্রমাণ উপস্থাপন কারার চেষ্টা করেছি তা একজন বিশ্বাসীর বোঝার জন্য যথেষ্ট।
ধন্যবাদ-
সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহতায়ালা যেন সত্যকে জানার ও সঠিকভাবে মানার এবং তাঁর প্রদর্শিত সরল পথে চলার তৌফিক দান করেন-

৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:২৬

সত্যান্বেষী বলেছেন: হ-য-ব-র-ল গ্রন্থ কোরানে কোনকিছুই স্পষ্ট করে বলা নাই, একমাত্র নারীদেরকে ভোগ্যপণ্য বানানোর আয়াতগুলি ছাড়া।

০৬ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:২৯

মাহফুজশান্ত বলেছেন: হায়রে সত্যান্বেষী!!!!!!!!???????

৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৫:২৬

ক্যাপ্টেন০৫ বলেছেন: @সত্যান্বেষী : মাথার গোবর পরিশকার করে মাঠে নামো।

০৬ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৯:১৪

মাহফুজশান্ত বলেছেন: গোবর যেন মগজে পরিণত হয়- সেই দোয়াই করি।

৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১০:১১

অসীমের মাঝে ক্ষুদ্র বলেছেন: অবশ্যই সুন্দর লেখা। আল্লাহ আপনাকে উত্তম যাযা দান করুন। আমিন

০৬ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১০:২৪

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহতায়ালা যেন সত্যকে জানার ও সঠিকভাবে মানার এবং তাঁর প্রদর্শিত সরল পথে চলার তৌফিক দান করেন-

৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৯:২১

htusar বলেছেন: পড়ে অনেক ভালো লাগলো । । অনেক ধন্যবাদ ।। ।। ।। :) :) :)

১০ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:৩০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

১০| ০৯ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৯:৩৮

আরফিন নিয়াজ বলেছেন: ভাল লাগল। সুন্দর পোষ্ট। নামাজ আদায় করা নিয়ে কোরআন ও হাদীস এর আলোকে একটা পোস্ট করলে উপকৃত হব।

আমি অনেক কে বলতে শুনেছি কোরআনের সব সুরা দিয়ে নামজ পড়লে নাকি নামাজের পুরো গুরত্ব বা উদ্দেশ্য আদায় হয় না। নামাজ মানে হল প্রার্থনা করা মহান আল্লাহ তালার। আর প্রার্থনা করতে হলে কোরআনের যেসব আয়াতে প্রার্থনা মূলক বা আল্লাহর প্রশংসামূলক আয়াত আছে সেসব দিয়ে আদায় করা অধিক উত্তম। আর যেহেতু কোরানের সব আয়াত বা সুরা বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে, সময়ের প্রয়োজনে, বা মানব জাতির হেদায়েতের জন্য, মানুষের জীবন,রাষ্ট্র ববস্থার জন্য নাযিল করা হয়েছে সে সব আয়াত বা সুরা দিয়ে নামাজে না পড়াই ভাল।সর্বপরি পবিত্র কোরআন হল পূনাঙ্গ জীবন বিধান।মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কিভাবে জীবন পরিচালিত করবে কোরআনে তার সবই দেওয়া আছে।আর তাই নাকি পুরো কোরআন কে নামাজে অন্তভুক্ত করা ঠিক না। বিষয়টা কি একটু কোরআন ও হাদীস এর আলোকে বলবেন ?

১১| ০৯ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৯:৩৮

আরফিন নিয়াজ বলেছেন: ভাল লাগল। সুন্দর পোষ্ট। নামাজ আদায় করা নিয়ে কোরআন ও হাদীস এর আলোকে একটা পোস্ট করলে উপকৃত হব।

আমি অনেক কে বলতে শুনেছি কোরআনের সব সুরা দিয়ে নামজ পড়লে নাকি নামাজের পুরো গুরত্ব বা উদ্দেশ্য আদায় হয় না। নামাজ মানে হল প্রার্থনা করা মহান আল্লাহ তালার। আর প্রার্থনা করতে হলে কোরআনের যেসব আয়াতে প্রার্থনা মূলক বা আল্লাহর প্রশংসামূলক আয়াত আছে সেসব দিয়ে আদায় করা অধিক উত্তম। আর যেহেতু কোরানের সব আয়াত বা সুরা বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে, সময়ের প্রয়োজনে, বা মানব জাতির হেদায়েতের জন্য, মানুষের জীবন,রাষ্ট্র ববস্থার জন্য নাযিল করা হয়েছে সে সব আয়াত বা সুরা দিয়ে নামাজে না পড়াই ভাল।সর্বপরি পবিত্র কোরআন হল পূনাঙ্গ জীবন বিধান।মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কিভাবে জীবন পরিচালিত করবে কোরআনে তার সবই দেওয়া আছে।আর তাই নাকি পুরো কোরআন কে নামাজে অন্তভুক্ত করা ঠিক না। বিষয়টা কি একটু কোরআন ও হাদীস এর আলোকে বলবেন ?

১০ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:১৮

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা--- আপনাকেও।
নামাজ আদায় করা নিয়ে কোরআন ও হাদীস এর আলোকে একটা পোস্ট করলে উপকৃত হব।
ইনশাল্লাহ, চেষ্টা করব ভাই।

আমি অনেক কে বলতে শুনেছি কোরআনের সব সুরা দিয়ে নামজ পড়লে নাকি নামাজের পুরো গুরত্ব বা উদ্দেশ্য আদায় হয় না।
আল্লাহতায়ালা বলেন-
সূরা আল আনকাবুত (মক্কায় অবতীর্ণ)
(২৯:৪৫) অর্থ- আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদৃষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর।
সূরা মুযযামমিল (মক্কায় অবতীর্ণ)
(৭৩:২০) অর্থ- আপনার পালনকর্তা জানেন, আপনি এবাদতের জন্যে দন্ডায়মান হন রাত্রির প্রায় দু’তৃতীয়াংশ, অর্ধাংশ ও তৃতীয়াংশ এবং আপনার সঙ্গীদের একটি দলও দন্ডায়মান হয়। আল্লাহ দিবা ও রাত্রি পরিমাপ করেন। তিনি জানেন, তোমরা এর পূর্ণ হিসাব রাখতে পার না। অতএব তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমা পরায়ন হয়েছেন। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হবে, কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশে-বিদেশে যাবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে জেহাদে লিপ্ত হবে। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর; তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও। তোমরা নিজেদের জন্যে যা কিছু অগ্রে পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে উত্তম আকারে এবং পুরস্কার হিসেবে বর্ধিতরূপে পাবে। তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।

সুতরাং আল-কোরআন থেকে অর্থবহ যতটুকু অংশ আমাদের জানা আছে তা পাঠ করেই নামাজ আদায় হয়ে যাবে। তবে যে অংশটুকু পাঠ করা হলো তাতে বক্তব্য পরিষ্কার হলো কিনা সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। কারন নামাজে আল্লাহতায়ালার বাণী পাঠ করা ও তা অনুধাবন করার মাধ্যমে স্রষ্টার সাথে কথপোকথন ও আত্মিক সংযোগ রচনা করার মাধ্যমে অন্তরের আকুতি উপস্থাপন করে সকল পাপ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করাই মূল উদ্দেশ্য। তই এমন স্থান থেকে পাঠ করা শুরু ও শেষ করা উচিত যা একটি অর্থ বহন করে। সাধারনত ছোট সূরা হলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়া হয়। আর বড় সূরা হলে কোন রুকুর প্রথম থেকে ছোট ছোট আয়াত হলে অন্তত তিন আয়াত পাঠ করলে দেখা যায় যে তা অর্থ প্রকাশ করে। তবে বড় বড় আয়াত হলে অর্থ প্রকাশের দিকে খেয়াল করে পড়লেই চলে এবং এক্ষেত্রে বড় একটি বা দুটি আয়াত হলেই যথেষ্ট। অর্থাৎ যা পাঠ করা হচ্ছে তার মর্ম অনুধাবন করাটাই মূখ্য বিষয়।
হাদিছ থেকে জানা যায় যে, মুসললিদের নানাবিধ অসুবিধার কথা বিবেচনা করে জামাতে সাধারনত ছোট ছোট সূরা পাঠ করার কথা বলা হয়েছে। যেমন রাসূল (সাঃ) মাগরিবে সূরা 'আততুর' এবং ইশায় সূরা 'আততীন' ও 'ইনশিক্কাক' ইত্যাদি পাঠ করেছেন।
তাছাড়া রমজানের সময় তারাবির নামাজে মাসব্যপী গোটা কোরআন শরীফই খতম করা হয়ে থাকে।
আশাকরি কিছুটা বোঝাতে পেরেছি। ভালভাবে বোঝার জন্য অন্যের কথার উপর সম্পূর্ণ নির্ভর না করে আমাদের সবাইকেই নিজ উদ্যোগে জানার চেষ্টা করতে হবে।
ধন্যবাদ-

১০ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:২৩

মাহফুজশান্ত বলেছেন: নামাজে কোরআন পাঠের সাথে সম্পর্কীত নিচের পোষ্টটিও দেখে নিতে পারেন-
নামাজে সূরা ফাতিহা পাঠ/তেলাওয়াত ও স্মরণ করা জরুরী কি?

১২| ০৯ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৯:৪৩

আর কতো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এই সুন্দর পোষ্টের জন্য আর........

কে এস আরেফিন বলেছেন: মাহফুজ ভাই এই পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। এবং এর সাথে নামাজের জন্য সহী হাদিস গুলো নিয়েও একাটা পোস্ট আশা করছি যাতে নামাজের পদ্ধতির ব্যাপারে স্পষ্ট হতে পারি।

০৯ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৪৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
নামাজের জন্য সহী হাদিস গুলো নিয়েও একাটা পোস্ট আশা করছি
চেষ্টা করব ভাই,
সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহতায়ালা যেন সত্যকে জানার ও সঠিকভাবে মানার এবং তাঁর প্রদর্শিত সরল পথে চলার তৌফিক দান করেন-

১৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৯:৪৯

আকতারুজ্জামান বলেছেন: পড়ে অনেক ভালো লাগলো । । অনেক ধন্যবাদ । (আমার জানান জন্য) আপনি আমাকে বলেন যে, ইসলাম ধর্মে মিলাদ পরা যায়েজ আছে কিনা? ব্যাখা দিন।

০৯ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৪৪

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
ইসলাম ধর্মে মিলাদ পরা যায়েজ আছে কিনা? ব্যাখা দিন।
যদিও আপনার প্রশ্নটি ভিন্ন প্রসঙ্গ, তারপরও আগি বলুন-
মিলাদ বলতে আপনি কি বোঝাতে চাইছেন?
যদি কোন সমাবেশে কোরআন ও রাসূলের (সাঃ) আদর্শ আলোচনা ও দরুদ পাঠ করার আয়োজন করা হয়ে থাকে এবং খাস নিয়তে শুধুমাত্র আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনই একমাত্র উদ্দেশ্য হয় এবং বিন্দু পরিমাণ শিরকের গন্ধও না থাকে, তাহলে সেই অনুষ্ঠান আমি নাযায়েয মনে করি না। কাজেই এই ধরনের অনুষ্ঠানের নাম মিলাদ বা মৌলুদ কিংবা সিরাতুন্নবী ইত্যাদি যাই হোক না কেন, তা আমার কাছে গৌণ বিষয়।

১৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১০:২৪

আবু ইউসূফ হেজাযী বলেছেন:

"মওদুদী সাহেব কোথায় কি বলেছেন সে সম্পর্কে আমি মোটেই ওয়াকিবহাল নই। কারন আমি যাঁর অনুসরণ করি, মওদুদি সাহেব কোন দিক থেকেই তাঁর সমকক্ষ নন এবং কখনই হবেন না।
তাছাড়া মওদুদি সাহেবের তফসির পড়া অনেক আগেই ছেড়ে দিযেছি। এখানে তো নয়ই, আমার কোন পোষ্টেই তার কোন বক্তব্য পেশ করে কোন বিষয় প্রমাণ করার চেষ্টা করি নাই। একটু চেষ্টা করে দেখুন, বের করতে পারেন কিনা।"

উপমহাদেশে এই বিষয়টি সত্যিই বেদনাদায়ক। তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল করা। এ গুলো করার উদ্দেশ্য আর কিছুই নয় যে, নিজকে বড় বলে জাহির করা।

ধান বানতে শিবের গীত গাওয়া।

আপনি উনার তফসির পড়া ছেড়ে দিয়েছেন, তাই উনার তফসির বাজার থেকে উদাও হয়ে গেছে।

অত্চ আপনি ইচ্ছে করলে এডিয়ে যেতে পারতেন। কিন্ত এ কাজটা করে আপনি নিশ্চয় তৃপ্তির ঢেকুঁর তুলেছেন। কারন তা করবেন না। শয়তান পাহারা দিয়ে আছে।

মতপার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাতে কারো ক্ষতি হয় না। কিন্ত ক্ষতি তখনই হয় যখন তা অহমিকার পর্যায়ে চলে যায়।

আমার একটা কথা মনে পড়ল -----------বললাম না। কারন এই মন্তব্যটা আপনি ছাড়া আর কেউ পড়তে পারে।

একই গঠনা আজকে ঘটল। অর্থ্যাৎ মনোযোগ দিয়ে উপরোক্ত মন্তব্য ছোখে পড়ে খুবই খারাফ লাগল। আপনি যার অনসরণ করেন তার নাম টা যদি দিয়ে দিতেন তাহলে আমরাও তার অনুসরণ করতে পারতাম।

হে আল্লাহ আমাদের ভিতর ঈমানী ঐক্য সৃষ্টি করে দাও।


০৯ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৩২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল-
অনেক জায়গায় আপনি মওদুদী সাহেবের মত নিজের কিছু ব্যাখ্যা ব্র্যাকেট বন্দী করেছেন
অর্থাৎ আমি মি. মওদুদি সাহেবকে ফলো করছি বলে তার ধারনা হয়েছে! কেনা হয়েছে তা অভিযোগকারীই ভাল বলতে পারবেন।
কিন্তু সত্যি কথা হলো যে, আমি আসলেই মওদুদি সাহেবকে কখনই ফলো করার চেষ্টা করিনি। আমি কার ফলোয়ার তা তো আমার বলার ভঙ্গিমায় নিশ্চয় বুঝে নেয়ার কথা। যেহেতু বুঝতে পারেন নাই, তাই এবার স্পষ্ট করেই বলছি। আমি যাঁর অনুসরণ করি তিনি হলেন সর্বশেষ নবী ও রাসূল 'হযরত মুহাম্মদ সাল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম'। এরপরও যদি আপনার কাছে খুব খারাপ লেগে থাকে তাহলে তো ভাই আমার কিছুই করার নেই। কারন এটাই সত্য এবং এখানে বিন্দুমাত্র অহমিকার কিছু নেই।
বাজারে কার বই থাকবে কি থাকবে না, বেশি বা কম বিক্রি হবে বা লোকে বেশি বেশি পড়বে কি পড়বে না- তা নিয়ে আম মোটেই মাথা ঘামাই না। আমি যে ওনার তফসির এখন পড়ি না- এই সত্যটি স্পষ্ট করেই বলেছি। কেন পড়ি না? মাফ করবেন, সেই কাদা ছোড়াছুড়িতে আমি যেতে চাই না। কিন্তু এই সত্য বচনটি আপনার কাছে খারাপ লেগে থাকলে আমি দুঃখিত। ওনার তফসির আপনার কাছে ভাল লাগলে, আপনি পড়তে থাকুন।
আসুন ভাই! আমরা আল-কোরআনকে আঁকড়ে ধরি এবং রাসূলের (সাঃ) আদর্শ অনুসরণ করার চেষ্টা করি- একমাত্র এতেই নিহিত রয়েছে আমাদের মুক্তি ও শান্তি।
ধন্যবাদ-

১৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ ভোর ৬:৪৩

রকিবুল আলম বলেছেন: খুবই ভাল লাগল

২০ শে এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

১৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৭:০৭

আমি লিখতে চাই না বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম।

২০ শে এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

১৭| ২০ শে মে, ২০১২ সকাল ১০:৩২

আেনায়ার এইচ ভূইয়া বলেছেন: রাসুল (স.) পাঁচ রাকাত নামাজ পড়েছেন। আমরা সেটা অনুসরন করি। কিন্তু কোরানে বহুবিষয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও নামাজের মত গুরুত্বপুর্ন বিষয় সময় এবং পরিমানসহ অন্যান্য বিষয় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকার কারন সম্পর্কে বলবেন কি? এ বিষয়ে বিভিন্ন সুরার অংশ, হাদিসে বর্ণিত নির্দেশ কেন পালন করার প্রয়োজন হবে?

আপনি উল্লেখ করেছেন: সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের (আছর) ব্যাপারে। 'বিশেষ করে' কথাটার অর্থ কি? এর মাধ্যমে কি অন্যান্য নামাজ অবিশেষ করা হয়েছে?

আপনি উল্লেখ করেছেন:
আল-কোরআন-
সূরা বনী ইসরাঈল (মক্কায় অবতীর্ণ)
(১৭:৭৮) অর্থ- নামায কায়েম করুন সূর্য ঢলে পড়ার সময় (জহুর ও আছরের নামাজ) থেকে রাত্রির অন্ধকার পর্যন্ত (মাগরিব ও ইশার নামাজ) এবং প্রত্যুষের কোরআন পাঠ (ফজরের নামাজ); প্রকৃত পক্ষে প্রত্যুষের কোরআন পাঠ তো সাক্ষী-স্বরূপ। এসমস্ত উল্লেখ বিভ্রান্তিকর।

এরকম ব্যাখ্যা বিশ্লেষন নামাজের প্রতি আস্থাবান লোকের জন্য সহায়ক নয়। আপনি বিভিন্ন দিক নির্দেশনার কথাও বলেছেন। সেটাও ঠিক নয়। বিভিন্ন দিক নির্দেশনা বিভিন্ন আলেমের ব্যাখ্যায় বিভিন্ন হয় এবং একজন পন্ডিত ব্যক্তি হিসেবে আপনি নিশ্চয়ই এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল।

২১ শে মে, ২০১২ সকাল ১১:৫০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: রাসুল (স.) পাঁচ রাকাত নামাজ পড়েছেন। আমরা সেটা অনুসরন করি।............ এরকম ব্যাখ্যা বিশ্লেষন নামাজের প্রতি আস্থাবান লোকের জন্য সহায়ক নয়। আপনি বিভিন্ন দিক নির্দেশনার কথাও বলেছেন। সেটাও ঠিক নয়। বিভিন্ন দিক নির্দেশনা বিভিন্ন আলেমের ব্যাখ্যায় বিভিন্ন হয় এবং একজন পন্ডিত ব্যক্তি হিসেবে আপনি নিশ্চয়ই এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল।

আমি পন্ডিত ব্যক্তি নই। হয়ত তাই আপনার প্রথম লাইন থেকে শেষ প্যারা অবদি যা যা বলেছেন তা আমার কাছে বোধগম্য হচ্ছে না।
দুঃখিত! আমি যা বোঝাতে চেয়েছি তা স্পষ্ট করেই বলেছি। আল্লাহতায়ালা তাঁর কিতাবে যে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন, বিশ্বাসী হিসেবে কোন প্রশ্ন ছাড়াই সেটিকে একবক্যে গুরুত্বপূর্ণ মানি।
এরপর আরও কিছু জানতে চাইলে এখানে দেখে নিতে পারেন-
ধন্যবাদ-

১৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১২

অসীমের মাঝে ক্ষুদ্র বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
নিচের লিংকে আমন্ত্রণ-
"সম্প্রীতি ও একতার দেশ"- 'বাংলাদেশ'

১৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২৫

Islam k janun বলেছেন: এতকিছুর পরও কেন মানুুষ , সালাত থেকে দুরে থাকে ৷ সালাত আদায় করলেও কেন সহিহ নিয়মে সালাত আদায় করেনা ৷

http://islamkjanunall.blogspot.com

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.