![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাফস, রূহ ও কালব তিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষা হিসেবে কুরআন ও হাদীসে ব্যবহার করা হয়েছে।
এ পরিভাষাগুলো সম্পর্কে সুস্টষ্ট ধারণা থাকা জরুরী।
নাফস ও রূহকে একই অর্থে ব্যবহার করতে দেখা যায়। নাফসকে প্রাণ ও রূহকে আত্মা মনে করা হয়। রূহকে ইংরেজীতে কেউ Soul আবার Spirit বলেছেন। এসব শব্দের জটিলতায় না গিয়ে সরলভাবে বোঝানোর জন্য আমি চেষ্টা করেছি।
কালবকে বিশুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে সুফিগণ বিভিন্ন প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেছেন এবং কালবের মধ্যে যিকরের পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন। এ বিষয়ে কুরআন ও হাদীস থেকে কোন বিশেষ নিয়ম বা পদ্ধতি আলোচনা করা হয়নি। এ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করাও সমীচীন মনে করছিনা।
বিসমিল্লাহির রাহমানরি রাহিম
নাফস রূহ কালব
নাফস, রূহ ও কালব এমন কতক পরিভাষা, যা স্পষ্টভাবে না বুঝলে দ্বীনী জিন্দেগী গড়ে তোলা অসম্ভব। মানুষের মধ্যে এ তিনটি সত্তার অস্তিত্ব রয়েছে। এদের সঠিক পরিচয় জানা অত্যন্ত জরুরী।
নাফস
আরবী নাফস শব্দটি বহু অর্থে ব্যবহার করা হয়। 'প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করবে'। যেসব সৃষ্টির প্রাণ আছে তাদের সবাইকে এক সময় মরতেই হবে। এ আয়াতে নাফস মানে প্রাণ, জীবন, প্রাণী ইত্যাদি বুঝানো হয়েছে।
রাসূল সা. আল্লাহর কসম খেতে গিয়ে বলেছেন- 'যার হাতে আমার জীবন'।
'নিশ্চয় নাফস মন্দ কাজের হুকুম দেয়'। এখানে নাফস মানে প্রবৃত্তি, মানব-প্রকৃতি, মানব-স্বভাব, কামনা-বাসনা, ইচ্ছা ইত্যাদি বুঝানো হয়েছে।
মানুষের মধ্যে নাফস ও রূহ- এ দুটো সত্তা রয়েছে। যখন নাফসের সাথে রূহের তুলনা করা হয় তখন নাফস মানের প্রবৃত্তিই বুঝায়। মানুষের দেহ-সত্তাকেই নাফস বলা হয়। মানবদেহের পশুর মতোই বস্তুসত্তা। যেসব উপাদান দিয়ে গরু-ছাগলের গেত তৈরী হয়েছে মানবদেহেও ঐসব উপাদানই রয়েছে। দেহের পুষ্টি সাধনের জন্য মানুষ যত বস্তু খাদ্য ও পানীয় হিসেবে গ্রহণ করতে চায় সেসবই মানবদেহের উপাদান। তাই মানবদেহ বস্তুজগতকে ভোগ করতে চায়। খিদা লাগলে খাবার চায়, পিপাসা হলে পানি চায়, গরমের সময় ঠান্ডা চায়, শীতের সময় গরম হতে চায়। দেহের এসব দাবিকে নাফস বলে। পরিভাষা হিসেবে নাফস মানে দেহের দাবি, দেহের কামনা, দেহের ইচ্ছা, দেহের আকাঙ্খ ইত্যাদি।
অন্যান্য পশুর মতোই মানবদেহ বস্তুসত্তা। তাই দেহের নৈতিক কোন চেনা নেই। আমার আদরের গাভী আমার প্রিয় বাগান খেয়ে নষ্ট করার সময় বুঝতে পারে না যে, কাজটি অন্যায় হচ্ছে। তেমনি মানবদেহও অবৈধভাবে কিছু ভোগ করার সময় কাজটি মন্দ বলে অনুভব করে না। প্রচন্ড খিদা লাগলে চুরি করে হলেও খেতে চায়।
©somewhere in net ltd.