![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১)আনেকদিন পর ঝুম বৃষ্টি দেখলাম। এক পষলা বৃষ্টি এসে রুক্ষ-শুষ্ক শহরটাকে ভিজিয়ে দিলো।সাথে মৃদু ঠান্ডা হাওয়া।আজ ভালো ঘুম হবে মনে হচ্ছে।
২)টিভিতে দেখলাম কক্সবাজারে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যান চলাচল ব্যহত
...বজ্রপাতের আওয়াজ শুনলেই ভেতর থেকে কেমন যেন ভয় লাগে। আগে ততোটা লাগতো না, মানে ছোটবেলায়।একটা আওয়াজ হলে আরেকটার শোনার জন্য অপেক্ষা করতাম। মনে মনে ভাবতাম, এইবারের ঠাডাটা আগেরটার চাইতে বড় হবে। একটু জানালা খুলতাম, বজ্ররেখা কতবড় দেখার জন্য।
ছোট ভাইদের বুঝাতাম, ঠাডা কেন পরে জানস? ঠাডা নিজে নিজে পরে না, আল্লাহ উপর থেকে মারে।শয়তানকে মারে।তারা বলতো, তাইলে মানুষ মরে যে?
:আরে শয়তানতো শয়তানই, আল্লাহ ঠিকই শয়তানের উপড় মারে। কিন্তু শয়তান ফুড়ুৎ করে মানুষের ভেতরে ঢুকে যায়।সেজন্যই মানুষ মরে বুঝছস। তাঁরা হা করে আমার কথা শুনত আর মাঝে মাঝে ঢোক গিলতো।
যা বলছিলাম,
খুব ভয় পাওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে;বলছি।এস এস সি পরীক্ষার আগে।২০০৮ এ।বৈশাখ কি জৈষ্ঠ্য মাসে হবে তখন।সেদিন রাত থেকেই থেমে থেমে মুষলধারে বৃষ্টি পরছে। সকালে বৃষ্টি কিছুটা কমলো।একদম বন্ধ হয়নি; গুরি গুরি বৃষ্টি পড়ছে।
ছাতাসহ স্কুলে গেলাম।১০টা বাজে।স্যার ক্লাসে ঢুকলেন। যেইনা স্যার রোল কল শেষ করলেন, অমনি চারদিক আলোহয়ে কান ফাটানো আওয়াজ! বজ্রপাতের আওয়াজ! সে কি চিৎকার সবার! এর একটু পর আরেকটা।
সেদিন তাড়াতাড়ি স্কুল ছুটি দিয়ে দিয়েছিলো। বাড়ি আসতে আসতে পথে জানলাম বজ্রপাতে আমাদের গ্রামেরই একজন মারা গেছেন।লোকটার নাম “হাসিম”।. তাঁর ঘড়ে আগুন পর্যন্ত লেগে গিয়েছিলো। বাড়ি এসে বিস্তারিত জানলাম। ব্যাগ ট্যাগ ফেলে দৌড়ে গেলাম দেখতে।৫ মিনিটের পথ। গিয়ে দেখি অবস্থা ভয়াবহ!
বৃষ্টি কমেছিলো বলে লোকটি বাঁশঝাড় থেকে বাঁশ কেটে দড়জায় বসে বসে বেত তুলছিলেন।তখনই ঘটনাটি ঘটে।ঘড়টি ছিলো মাটির তৈরি, L এর মতো। বজ্রপাত হয়েছে দেয়ালে; দেয়াল থেকে তার বেয়ে লোকটির গায়ে, শেষে ঘড়ের ভেতর মশারিতে আগুন। দেয়ালের সেখানটায় বিশাল এক গর্ত দেখলাম।
গ্রামে সাধারণনত কাপড় শুকানোর জন্য বাইরের দেয়ালে রশি বা তার ঝুলানো থাকে।দেয়ালের দুই প্রান্তে তামার তার ঝুলানে ছিলো।সেই তার বেয়ে অপর প্রান্তে লোকটিকর উপর বজ্রপাত...।.পুরো দেহ ঝলসে গিয়েছিলো।
নিজের চোখে সেদিন বজ্রের তান্ডব দেখলাম। তারপর থেকেই জন্মের ভয় ঢুকলো ভেতরে।
পরদিন ফিজিক্স স্যার বজ্রপাত হলে কি কি করনীয় আমাদের শিখিয়েছিলেন।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
মাহ্ফুজ বলেছেন: হু। যখন লিখছিলাম তখন ৩ জনের কথাই জেনেছিলাম আর কি।
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
shfikul বলেছেন: আমারো খুব ভয় লাগে।২ বছর আগে আমার এক বন্ধুর বড় ভাই মারা গেছে এই বজ্রপাতে।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩০
মাহ্ফুজ বলেছেন: বজ্রপাতের মৃত্যু খুবই ভয়াবহ
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০০
একাকী বালক বলেছেন: কেয়ামতের একটা আলামত হল বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু। কেয়ামতের আগে আগে এটা এত বাড়বে যে মানুষজন বাজারে যেয়ে আলাপ করবে ভাই গতকাল আপনাদের এলাকায় কতজন বজ্রপাতে মারা গেছে।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩২
মাহ্ফুজ বলেছেন: সেই সময় আসতে আরো অনেক দেরী। খুবই ভয়ানক হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৬
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: আজ কক্সবাজারে ৬ জন মারা গেছে।।