![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তাহের মিয়া রোগা মানুষ। গায়ে গতরে খেটে পরিবার চালানোর সাধ্য নেই। দুদিন পর পর অসুস্থ শরীর নিয়ে বিছানায় পরে থাকতে হয়। অসহায় স্ত্রী এ বাড়ি ও বাড়ি দৌড়ে যতটুকু সম্ভব পরিবারের জন্য করে। এক বেলা খায় তো দু বেলা খাবার জোটেনা। ছেলে মেয়েদের স্কুলের খরচও চালানো যাচ্ছে না কোন মতে। পরিবারের একমাত্র উপার্যনকারী ব্যাক্তি যখন আর কর্মক্ষম থাকে না, তখন সেই পরিবারের দুর্গতি কেমন হয় সেটা বর্ণনা করার প্রয়োজন নেই। যে ঘটনাটা বললাম সেটা ১৮ বছর আগের কথা। এখন তাহের মিয়া লাখপতি। ৫০-৬০ লাখ টাকার মালিক। এই অসাধ্য সাধন করেছে তার স্ত্রী আমেনা। কিভাবে, সে কথাগুলোই বলবো।
দুঃখের মেঘ যখন পরিবারের উপর থেকে কোনভাবেই সরছে না, ঠিক সেই সময় “গ্রামীন ব্যাংক” নামক সুর্যটি মেঘের আড়াল থেকে বেরিয়ে এলো। বহু দিন পর একটু আলোর দেখা পেলো তাহের মিয়ার পরিবার। তার স্ত্রী আমেনা কার মাধ্যমে যেন জানতে পারলো, এলাকায় নতুন একটা ব্যাংক এসেছে যেটা শুধুমাত্র গরীব মহিলাদের নিয়ে কাজ করে। গরিবদের ঋণ দেয়। টাকা নিতেও কোন জামানত লাগেনা। একথা শোনার পর খোজ নিয়ে দেখলো ঘটনা সত্যি। শুরু হল গ্রামীন ব্যাংকের সাথে আমেনার পথ চলা।
শুরুতে ব্যাংক থেকে ৫০০০ টাকা ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে দুটো গরু কিনল। তখনও হাল চাষের আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌছেনি । গরু দিয়েই জমি চাষ করতে হতো। নিজের কোন জমি ছিলনা বিধায় আমেনা ঠিক করলো গরু দিয়ে টাকার বিনিময়ে অন্যের জমি হাল দিবে সাথে নিজেও ভাগে চাষ করবে। শুরুতে শুধু ধানের জমিই ভাগে চাষ করতো। পরে ভাবলো শুধু ধান কেন, বিভিন্ন শাক সব্জিও তো চাষ করা যায়। নিজের গরু যেহেতু আছে হালের খরচও লাগবে না। ফলে তার লাভ বেশি হবে। ছোট ছেলে মেয়েকে স্কুলে দিয়ে বড় ছেলে কে সাথে নিয়ে কাজে নেমে পরলো। বছর দুয়েক পর হাতে যখন কিছু টাকা জমলো, ঠিক করল ব্যাংক থেকে এবার আরো বেশি টাকা তুলে বাজারে একটা মুদি দোকান দিবে। তাই করল। মুদি দোকান থেকে লাভের টাকা জমিয়ে আরো ঋণ নিয়ে এখন মুদি দোকান ছাড়াও আরো দুটা দোকানের মালিক সে। একটা ওয়ার্কশপ আরেকটা বিভিন্ন যন্ত্রপাতির দোকান। বর্তমানে আমেনার পরিবার বেশ অবস্থাসম্পন্ন। শধু যে টাকাই উপার্যন করেছে তা না, সাথে তার পরিবারের নিরাপদ স্যানিটেশন, জীবানুমুক্ত মুক্ত পানি এবং পুষ্টির চাহিদাও নিশ্চিত করেছে। সবই সম্ভব হয়েছে গ্রামীন ব্যাংকের সাহাজ্য এবং পরামর্শে।
এটা ছিল গ্রামের একজন আমেনার কাহীনি। এরকম শত শত আমেনার জীবন পাল্টে দিয়েছে এই গ্রামীন ব্যাংক নাম সুর্যটি। নিজের চোখে দেখা ঘটনা বললাম। আজ গ্রামের বেশিরভাগ দরিদ্র পরিবারের অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে। গ্রামীনব্যংক থেকে কখনো টাকা নেয়নি এমন পরিবার খুব কম। যারা নিয়েছে মোটামুটি সবাই এখন দু-বেলা ভাত পেট ভরে খেতে পায়। এমন একটি ঘরও নেই যে ঘরের ছেলে মেয়েরা স্কুলে যায় না। সবাই ঝোপঝাড় ছেড়ে স্যানিটারি লেট্রিন ব্যবহার করে। আমেনাদের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এখন ৮৪ লাখ ছাড়িয়েছে।
এত মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে যার মাধ্যমে, তিনি হলেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস।অথচ আজকের বাংলাদেশে তাকেই সবচেয়ে বেশি হেনস্ত হতে হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে এখন নানা মুনি নানা মত দেয়। সেদিন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বললেন, “গ্রামীণ ব্যাংক কোনো ব্যক্তির বা পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। এ ব্যাংকের বেশির ভাগ বিনিয়োগ সরকারের”। একদম ডাহা মিথ্যা কথা। মাননীয় মন্ত্রী, ব্যাংকটি ৮৪ লক্ষ গ্রামীন মহিলাদের। গ্রামীন ব্যাংক যখন শুরু হয়, তখন সরকার ১ কোটি ৮০ টাকা বিনিয়োগ করেছিল। জন্মের পর সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে আর কোনো টাকা দেয়নি। কিন্তু ব্যাংক তো থেমে নেই। সরকার তার মূলধনের পরিমাণ না বাড়ানোয় কার্যত সরকারের মালিকানা ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। আজ গ্রামীন ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে ৮৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। প্রায় ৪ কোটি মানুষ ব্যাংকটির সাথে জরিত। ভবিষ্যতে যদি সরকারের মুলধন না বাড়ে, একসময় বিনিয়োগ শুন্যের কোটায় নেমে আসবে।
বুঝে হোক না বুঝে হোক, গ্রামীন ব্যাংককে যারা দোষারোপ করে তাদের প্রথম অভিযোগই হলো গ্রামীন ব্যাংক সুদ বেশি নেয়। কোন ব্যাংক থেকে সুদ বেশি নেয়? এটা কেউ আর খোজার চেষ্টা করে না। অথচ যারা তার ঋণের সরাসরি ভোক্তা, তাদের মুখ থেকে আজ পর্যন্ত গ্রামীন ব্যাংকের বিরুদ্ধে টু শব্দটি করতে শুনিনি। সবাই তাকে পীরের মত সম্মান করে।
একবার ড. ইউনুস গেছেন এক গ্রামে। সম্ভবত রংপুরে। হাটছেন, সবার সাথে কথা বলছেন। হঠাত একজন জন মহিলা দৌড়ে এসে স্যারকে জরিয়ে ধরে বলল, আপনি আমাদের জাহান্নাম থেকে বাচালেন স্যার!
স্যার প্রশ্ন করলেন, কিভাবে?
স্যানিটারী লেট্রিনের ব্যাবস্থা করে। আগে ঝোপঝারের আড়ালে দৌড়াতে হতো। পুরুষ দের সমস্যা তেমন হত না কারন তারাতো যেখানে খুশি চাইলেই সেরে নিতে পারত কিন্তু মহিলারা তো সেটা পারত না। এই সম্মানবোধটুকু তাদের আছে। তাই সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষ করতে হত। সারা দিন চেপে রেখে সন্ধ্যার পর যা করার করতে হতো। ব্যাপারটা কত কষ্টকর বোধ করি সবাই তা আঁচ করতে পারবেন।এখন মহিলারা যখন খুশি লেট্রিনে যেতে পারে। সেই সমস্যাটা দুর করল গ্রামীন ব্যাংক । তারা শর্ত দিলো ব্যাংক থেকে যারা ঋণ নিবে, প্রত্যেকের বারিতেই স্যানিটারি ল্যাট্রিন থাকতে হবে এবং ব্যাংক তাতে সাহাজ্য করবে। অল্প খরচে স্যানিটারি ল্যাট্রিন তৈরি করার সুযোগ পেল সবাই। গ্রামগন্জে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা চালু করা হল। এসব সামাজিক ব্যাবসার অন্তর্ভুক্ত। এরকম সাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে গ্রামীন ব্যাংকের অনেক ভুমিকা রয়েছে। আমি বলছি না যে গ্রামীন ব্যাংক একাই সব সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছে। এটি দারিদ্র থেকে মুক্তি পেতে সরকারের পাশাপাশি গ্রামীন ব্যাংক সহায়ক ভুমিকা পালন করছে মাত্র। অর্থাত্ শুরুটা করছে গ্রামীন ব্যাংক। আর সেটিই সবথেকে বেশি প্রয়োজন। কারন সরকারী বা বেসরকারী ব্যাংকগুলো গরীবদের জন্য কাজ করে না বা তাদের কাছে পৌছাতে পারেনা।
সরকার ঠিক কি কারনে ড. ইউনুসের উপর নাখোশ খুব জানতে ইচ্ছা করে।সরকার একদিকে নারীর ক্ষমতায়ানের কথা বলছে অন্যদিকে নারীদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে যাচ্ছে। বেশির ভাগ মানুষই গ্রামীন ব্যাংক সম্পর্কে ধারনা না রাখলেও দল ইউনুস কে নিয়ে পছন্দ করেনা বলে সেও করে না। যে আইনে বহাল থেকেই প্রতিষ্ঠানটি নোবেল পুরষ্কার পেল, সরকার কি এমন ত্রুটি পেল যে ভেঙ্গে ১৯ টুকরা করতে হবে? অনেকেরই হয়তো অজানা, গ্রামীন ব্যাংকই বিশ্বের একমাত্র বেসরকারি ব্যাংক যেটি নোবেল পেয়েছে। আর কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এখনও পায়নি। ড. মুহাম্মদ ইউনুস কে হেনস্ত করা মানে নিজেদেরই ছোট করা। গোটা বিশ্বে উনার যে ভাবমুর্তি রয়েছে, হলপ করে বলতে পারি শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া তার ধারে কাছেও নাই। ২০০৮ সালে একটি সরাসরি অনলাইন নির্বাচনে ড. মো: ইউনুস বিশ্বের ১০০ জন শীর্ষ ইন্টেলেকচুয়ালদের মধ্যে ২য় নির্বাচিত হন। Yunus was voted the second topmost intellectual person in the world ভাবতেই গর্বে বুকটা ভরে যায়। একজন বাঙালী মুসলিম হিসেবে এই সম্মান পাওয়া সোজা কথা না। সর্বশেষ তিনি যে মার্কিন কংগ্রেশনাল এওয়ার্ড টি পেলেন, এ পর্যন্ত বিশ্বে মাত্র ৭ জনের পুরষ্কারটি পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। মাইক্রোক্রেডিট এবং সামাজিক ব্যাবসা শব্দ দুটি তার কল্যানেই ডিকশনারিতে অন্তভুক্ত হয়েছে। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাইক্রোক্রেডিট, সোসাল বিজনেস নিয়ে পরাশোনা করতে হয়, ড. ইউনুস কে নিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। গ্রামীন ব্যাংক বর্তমানে দেশের গন্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করছে।
অথচ নিজের দেশে তিনি অবহেলিত। তাকে হয়রানি করার যত রকমের ষরযন্ত্র আছে সরকার এতদিন তা করেছে। এখন ষরযন্ত্র করছে ড. ইউনুসের নিজের হাতে গড়ে তোলা গ্রামীন ব্যাংককে কিভাবে ধ্বংস করা যায়। কিভাবে সোনালী ব্যাংকের মতো লুটের ব্যাংক বানানো যায়। এর ফলাফল কোন ভাবেই ভালো হবে না বরং আওয়ামীলীগ নিজেদেরই ক্ষতি করবে। দেশের মানুষ মোটেও তা পছন্দ করবে না। এমনকি যারা আওয়ামীলিগকে সমর্থন করে তারাও গ্রামীন ব্যাংক ইস্যুতে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। আরেকজন মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশ কখন পাবে জানি না। যা হচ্ছে খুব খারাপ হচ্ছে।
সরকার চাইলে ড. ইউনুসের ভাবমুর্তিকে কাজে লাগাতে পারত। কিন্তু তারা করছে উল্টাটা। মাননীয় সরকার, ভোটের ব্যাপারটা একটু মাথায় রাখবেন।
শেষ মুহুর্তে গ্রামীন ব্যাংককে গ্রামীন ব্যাংকের মতো চলতে দিয়ে গুরুত্বপুর্ণ কাজগুলোর প্রতি মনোযোগ দিন।এই ব্যাংকের কোন ক্ষতি করা মানে ৮৪ লক্ষ মহিলা এবং ৮৪ লক্ষ পরিবারের ক্ষতি করা। গরীবের সম্পদ বহুত মেরে খাইছেন, এলা ক্ষ্যামা দেন।গ্রামীন মহিলাদেরও আর দুর্বল ভাববেন না। তারা এখন নিজের পায়ে কিভাবে দাড়াতে হয় শিখে গেছে।
২| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪১
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: শুরুতে বাংলা সিনেমার কাহিনী। আহা...
প্রথম যে নারী ঋণ নিয়েছিলেন সেই আমেনা না রহিমা তাঁকে নিয়ে করা হলো মিথ্যাচার।
লেখক বলছেন, ''সবাই তাকে পীরের মত সম্মান করে। ''
হা.হা..হা....
গ্রামীণ ব্যাংক দেশে এতো বিশাল কিছু ছিঁড়ে ফেলেছে যে, সুশীল সমাজ বাদে একটা ঋণগ্রহিতাও সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে না। হা..হা..হা..হা..
গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক নাকি ঋণগ্রহিতারা??
আজ প্রতিষ্ঠানের একজন মালিকও রাস্তায় নামে না। হা..হা..হা...
কেতাবি মালিকানার চার আনা দাম আছে??
সুশিল সমাজ আর সরকারি বিরোধী কিছু লোক ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যাথা নেই। গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকদের (দরিদ্র ঋণগ্রহিতারা) অধিকার সরকার কেড়ে নিল, আর একজন মালিকও এর প্রতিবাদ করলো না?? ওই মালিকেরা জানেও না গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে কি হচ্ছে।
গ্রামীণ ব্যাংক এমন কিছু ছেড়ে নাই।
আমাদের দেশে একটা সমস্যা আছে,
‘গু’ জিনিসটা সব সময়ই খারাপ। ধরা যাক, আওয়ামী লীগ কোনো উদ্দেশ্য নিয়েই হয়তো ‘গু’কে বার বার খারাপ বলতে লাগলো। তখন বিএনপি বলা শুরু করলো, ‘গু’ ভালো। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উন্মত্ত এই ‘গু’ খাওয়া দলগুলোর কারনেই দেশ বার বার পিছিয়ে পড়ছে। ইউনূস ইসু্টাও গু য়ের মতো। আওয়ামী কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে গু কে খারাপ বলছে। আর বিরোধী দলের সমর্থকরা বলছে না, গু খারাপ না।
গ্রামীণ ব্যাংকের অবস্থাটাও তাই।
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
মাহ্ফুজ বলেছেন: ঘটনাটি আমার নিজের চোখে দেখা আগেই বলেছি। এক বিন্দু্ও মিথ্যা না। গ্রামে থাকলে প্রমান সহই পোস্ট দিতাম।
পীরের মতো সম্মান করে সেটা কথার কথা। উনি পীর না। এটাকে ফোকাস করার কিছু নেই।
মালিকানা বলতে কি বুঝেন একটু বলবেন দয়া করে? ব্যাংকে যে আট হাজার কোটি টাকা রয়েছে সবই ৮৪ লাখ মহিলাদের সঞ্চয়ের টাকা। কোন দাতা বা সরকার দেয়নি। ড. ইউনুস সেখানে ব্যাবসা করছেন না।
আমি আ্ওয়ামীলীগকে্ও সমালোচনা করতে আসিনি, বিএনপি'র লেজ চাটতেও আসিনি। বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে সমর্থন করলেও এই ইস্যুতে পারছি না।আপনি শুধ একটা কথাই বলেন, সরকার কেন গ্রামীন ব্যাংকের পেছনে লেগেছে? যদি একটা সঠিক যুক্তি দেখাতে পারেন তো পোস্ট রিমুভ করে দেব।
৩| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪২
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: পড়ার আহবান জানাই
ইউনূসের ওপর সুদখোর মহাজনদের অভিশাপ।
Click This Link
৪| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩১
সেফানুয়েল বলেছেন: ডেসটিনির মতো কেন একজন কে লাভবান করে দশ জন কে ফকির বানান ভাই?
যেখানে গ্রামীন ব্যাংকের মূল ব্যাবসা জানতে গ্রামের গরীব মানুষগুলোর সাথে আরো কথা বলেন। নতুন অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন। যদি গ্রামীন ব্যাংকের কথাই ধরি তাহলে দেখা যায় তারা লোন দেয়। লোন পরিশোধের নিয়ম টি হচ্ছে যে লোন নেওয়ার পরবর্তী সপ্তাহ থেকেই কিস্তি। তাহলে একজন মানুষ তার লোনের টাকা ব্যাবসায় খাটানোর পর পরই কোন লাভ পাওয়ার আগেই তাকে চিন্তা করতে হচ্ছে কিভাবে কিস্তি শোধ করবে।যদি এই এক সপ্তাহের মধ্যে লাভ না করতে পারে তাহলে তাকে লোন পরিশোধের জন্য ব্যাবসার মূলধনে হাত দিতে হয়। তখন বড় টেনশন হয়ে দেখা দেয় কিভাবে শুধু কিস্তি পরিশোধ হবে। ব্যাবসা ট্যাবসা বাদ। - এরকম ঘটনা শুধু একটা নয় হাজারটা পাবেন।
২৬ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮
মাহ্ফুজ বলেছেন: আপনি শুধু জেনেছেন লোন নেয়ার পরবতী সপ্তাহ থেকেই কিস্তি।পুরো ব্যাপারটা জানেন না। একথা কি যারা লোন দেয় তারা ভাবেনি?
গ্রামীনব্যাংকের গ্রাহকরা ঋণ পরিশোধ কিভাবে করবে তা গ্রাহক নিজেই ঠিক করে। একবছরে ঋণ পরিশোধ করবে নাকি দু বছরে করবে এবং প্রথম সপ্তাহে কত দিবে, প্রথম মাসে কত দিবে, এভাবে দ্বিতীয়, তৃতীয় চলতে থাকে।
গ্রামীনব্যাংকের এটাই সবচে বড় সুবিধা। গ্রাহক নিজের সুবিধামতো ঋণ পরিশোধ করতে পারে।
ঋণ নিয়ে যদি কোন কিছুতে বিনিয়োগ না করে বসে বসে খেতে থাকে তাহলে গ্রামীন ব্যাংক কেন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড থেকে লোন নিয়েও কিছু করতে পারবে না..।
৫| ২৬ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: @ সেফানুয়েল , আপনার বক্তব্যের সঙ্গে সহমত। ক্ষুদ্রঋণ যদি এতোই ছিঁড়ে থাকে তবে লেখক ভাইজানের কাছে আমার প্রশ্ন: ক্ষুদ্র ঋণ বাংলাদেশে কোন ক্ষুদ্র শিল্পকে বিকশিত করতে পেরেছে??
ঋণ নেওয়ার পর মূলধন বিনিয়োগ করার আগেই কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। আর সুদের হার কম দেখানো হলেও মূল সুদের হার ৪০ শতাংশে গিয়ে দাড়ায়।
এক সপ্তাহ পর কিস্তি শুরু হওয়ার পর পরিশোধিত টাকারও সুদ টানতে হয়।
বাঙালীর গু খাওয়া কোনোদিন দূর হবে না।
২৬ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০
মাহ্ফুজ বলেছেন: গ্রামীন ব্যাংকের উদ্দেশ্য কোন শিল্পকে বিকশিত করা না। শিক্ষা, সেনিটেশন, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি সম্পুরক ভূমিকা পালন করছে মাত্র যা আগেই উল্লেখ করেছি।আমি বলছি না যে গ্রামীন ব্যাংক একাই সব সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছে। এটি দারিদ্র থেকে মুক্তি পেতে সরকারের পাশাপাশি সহায়ক ভুমিকা পালন করছে মাত্র। অর্থাত্ শুরুটা করছে গ্রামীন ব্যাংক। আর সেটিই সবথেকে বেশি প্রয়োজন। কারন সরকারী বা বেসরকারী ব্যাংকগুলো গরীবদের জন্য কাজ করে না বা তাদের কাছে পৌছাতে পারেনা।
সুদের হার কম দেখানো হলেও মূল সুদের হার ৪০ শতাংশে গিয়ে দাড়ায়। কিভাবে? কথা শুনে বলা আরে নিজে দেখে বলার মাঝে পার্থক্য আছে। একটু বুঝান আমারে কেমনে ৪০% হয়।
৬| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৯
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: হা..হা..হা.হা..
’’শিক্ষা, সেনিটেশন, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি সম্পুরক ভূমিকা পালন করছে মাত্র যা আগেই উল্লেখ করেছি।’’
গ্রামীণ ব্যাংক কোনো এনজিও নয় যে শিক্ষা, স্যানিটেশন নিয়ে কাজ করবে। শুনুন আপনাকে ইউনূসের কিছু জোচ্চুরির কথা উল্লেখ করি।
বাংলাদেশে ৯০ এর দশকের পর পুঁজিবাদের বিকাশের ফলে দরিদ্র নারীদের অবস্থার কিছু পরিবর্তন হয়েছে। গার্মেন্টেসে অর্ধকোটি নারী কাজ করে এখন। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কিছু শিল্প গড়ে উঠেছে। বর্তমানে শহরে কাজের জন্য বান্দী পাওয়া যায় না। এ অবদান গু ব্যাংকের নয়। অথচ ইউনূস তার প্রভুদের কাছে প্রচারনা চালান সব অবদান নাকি গু ব্যাংকের। শক্তি দই খাইয়া নাকি দরিদ্ররা পুষ্টি পাচ্ছে। গ্রামীন সোলার সিস্টেম নাকি দরিদ্রদের বিদ্যুত সমস্যা দুর হচ্ছে।
হা...হা......
৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩২
মাহ্ফুজ বলেছেন: সত্যি শুনতে খারাপ লাগবে হয়তো, ড. ইউনুস স্যার এবং গ্রামীন ব্যাংকের যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে আপনি তাদের একজন এবং আওয়ামীলীগের একচোখা সমর্থকও হয়তো। বিভিন্ন পোস্টে ড. ইউনুস স্যারকে নিয়ে লেখায় আপনার কমেন্টগুলো পরলাম। সবগুলিতে একই কথা বারবার বলছেন।এমন ভাব ধরছেন যেন গ্রামীন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আপনি নিজেই ভুক্তভোগী। হলপ করে বলতে পারি গ্রামীন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ক্ষতি হয়েছে এমন একজনের সাথ্ওে জীবনে কথা বলেননি, নিজে নেয়া দুরের কথা। কি লাভ বলেন তো? তাকে ভালো লাগতে হবে এমন তো কথা নেই। না লাগলে তাকে এড়িয়ে চলুন। অপপ্রচার কেন চালাচ্ছেন? সবসময় নিজের ব্যাক্তিগত ধারনাই যে সঠিক হবে তা তো না। এক কাজ করুন, গ্রামীন ব্যাংকের ভোক্তাদের কাছে যান, গ্রামে যান, কথা বলেন তারপর সবাইকে প্রমান সহ বলবেন। এখন যা করছেন তা অন্য আরেকজনের ধারনাকে নিজের করছেন। নিজে ভালোমত ধারনা নিয়ে প্রমান সহ সবাইকে বোঝাতে আসবেন।
এটাই হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সবচেয়ে খারাপ দিক। গালমন্দ করাকে সৃজনশীলতা বলেনা।
৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৮
মাহ্ফুজ বলেছেন: আকেটা কথা, খোজ নিয়ে দেখবেন, গ্রামীন ব্যাংক থেকে একটা পয়সাও আজ পর্যন্ত এদিক সেদিক হয়েছে কিনা?
ড. ইউনুস কিন্তু এই ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার না।
৭| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:০৫
বাঘ মামা বলেছেন:
দারিদ্র থাকবে জাদুঘরে-ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও গ্রামীনব্যাংক প্রশঙ্গ
ওনার এই বক্তব্যের সাথে আমি অন্তত একমত,উনি সত্যি তাই করেছেন,কিভাবে জানেন?
সারা বাংলাদেশ কে তুলে ধরবোনা,আমি আমার গ্রামের বাড়ির দৃশ্যই বলি কারণ সেটাকে আমি খুব কাছ থেকে এবং গভীর ভাবে দেখেছি,আমি জানি আমার বাড়ী এবং আমার এলাকার অনেক ব্লগার এখানে আছেন।তাই নাম বলতে পারলে তারা আমার সাথে একমত হতো।দুঃখিত সেটা পারছিনা।
উনি যেভাবে যাদু ঘরে রুপান্তর করেছেন সেটা বলি-
আমি এত মেধাবী মানুষ না তাই ব্যাংকিং রীতিনীতি সুদ আসলে চক্রাকারের সুদ এত হিসেব নিকেসে যাবোনা।
আমার বাড়ীর মধ্যে বর্তমানে ১৩৫ পরিবার আছেন রীতিমত একটা গ্রাম বলা যায়,আমাদের বাড়িতে প্রায় নব্বই ভাগ মানুষ ছিলো খেটে খাওয়া মানুষ,দারিদ্র সীমার নিচে বাস করা।যাদের মাঠের জমি চাষের উপর বেঁচে থাকা।সরকারি চাকুরিজীবি বলতে হাতে গোনা ৩/৪ জন,বাকিরা সবাই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি ও কৃষক।
এই ১৩৫ পরিবারের মধ্যে ১৫ টি পরিবার গ্রামীন ব্যাংকের সাথে নিজেদে ওতোপ্রত ভাবে জড়িয়েছেন।
আজকের যেই দৃশ্য সেটা হলো ঐ ১৫ টি পরিবার ব্যতিত প্রতিটি পরিবার মাথা উচু করে দাড়িয়েছেন।অনেকেরি খরের ঘর ছিলো তারা দালান ঘরে বসবাস করেন।এবং সবাই দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে নিজেদের ভাগ্য ফিরিয়েছেন।স্বপ্ন দেখেছেন এবং তা সত্যিতে পরিনত করেছেন।
১৫ টি পরিবার পারেনি,তারা লোন নিয়েছেন গ্রামের বাজারে কেউ বিড়ি সিগারেটের দোকান দিয়েছেন কেউ বুট পেয়াজু চা দোকান দিয়েছেন,সারাদিন যা বিক্রি করেন তা থেকে একটা অংশ পরেরদিন সকালে দিয়ে আসেন কিস্তি নামের করাতের নিচে।
আমাদের বাড়ীর অন্যরা যেমন স্বপ্ন দেখেছেন এবং স্বপ্ন পূরণের জন্য বেরিয়ে পরেছেন ঘর থেকে এবং স্বপ্নের হরিণের হাতেও পেয়েছেন,কিন্তু অভাগা সেই ১৫ টি পরিবার ঘর থেকে বের হতে পারেননি,কারণ তাদের রাত পোহালেই সেই কিস্তি,কিস্তি না দিয়ে দুরে যাবেন তো ঘরের টিন খুলে নিয়ে যাবে এবং নিয়েছনও,টিন না থাকলে হাস মুরগি গরু যা পাবেন তাই নিয়ে হাটা দিবেন,তাই তারা ঘরের মধ্যে থেকেই নিজে মরেছেন সাথে মরেছে স্বপ্ন,
আজকে যখন বাড়ি যাই তখন বাড়ীর প্রবেশের পথেই সেই ১৫ টি পরিবার এখনো টিনের ঘর আর খরের ঘরের সমন্বয়ে কাদা ধুলোর পরিবার।কেউ রিক্সা চালায়,কেউ পান দোকান কারো বুট পেয়াজু।
এদের মধ্যে অনেককেই আমি ঢাকাতে এনে জবে দিয়েছি,কিন্ত যেই বিষ ওদের শরীরে ঢুকেছে যেই নেশা ওদের মধ্যে আছে সেটা থেকে তারা কোনদিন বের হতে পারবেনা।তাই আবাবর ফিরে গেছে গ্রামে।
আমরা এখন বাড়ী সবাই মিলে ভাবছি এই ১৫ টি পরিবারকে আমরা একটা বিশেষ দেয়ালে বেষ্টিত করবো,দেয়াল না ঠিক,কাঁচের দেয়াল।যেন আমরা অবসরে আমাদের সেই পুর্ব পুরুষের নমুনাটা দেখতে পাই,যেমন করে আমরা আমাদের অতীত দেখি শাহাবাগের যাদু ঘরে গিয়ে।
তাই আমি একমত তিনি দারিদ্রকে তাড়াতে পারেননি, যে যেমন ছিলো শুধু তুলে নিয়ে বা আলাদা করে যাদু ঘরে রুপান্তরিত করেছেন।
আপনাকে ধন্যবাদ
৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
মাহ্ফুজ বলেছেন: আপনাদের বাড়িতে ১৩৫ পরিবার নাকি গ্রামে বলছেন ঠিক বুঝলাম না। যাই হোক, হ্যা আমি কথাটা ড, ইউনুস স্যারের মুখ থেকেই শুনেছি। ছবিগুলোও ঐদিনেরই। ইউটিউবেও পাবেন Click This Link
শুরুতে আমেনার ঘটনা যে বললাম সেটা কিন্তু মিথ্যা গল্প না। আমার নিজের গ্রামেরই। টাকা নিয়ে কে কিভাবে কাজে লাগাচ্ছে সেটা হচ্ছে বড় কথা। গ্রামীন ব্যাংক যদি গরীবদের জন্য খারাপই হতো তাহলে আজকে নোবেলজয়ী প্রতিষ্ঠান হত না। হতে পারত না কারন ১৫টি পরিবার লোন নিয়ে নাহয় আরো দুরবস্থায় আছে, যদি এমনটা হতেই থাকতো তাহলে আজকে ৮৪ লক্ষ গ্রাহক হত না। আপনার কথাকে আমি অস্বীকার করছি না। ঘটতেই পারে তাই বলে ১৫টি পরিবারের সবকটিই আগের অবস্থানে রয়ে গেছে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।
আমার দেশের মানুষ না হয় অশিক্ষিত, যা বোঝায় তাই বোঝে। কিন্তু আমেরিকার জনগনের শিক্ষা নিয়ে সন্দেহ পোষন করা যায়? সেখানেতো http://grameenamerica.org/ ব্যাংক দিব্যি ভালো ভাবে চলছে। সে দেশের সরকারও খুব আগ্রহ নিয়ে কাজ করছে।
টাকা নিয়ে যদি কাজে না লাগান তো স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড থেকে লোন নিয়েও কিছু করা যাবেনা।
৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩০
মাহবুব সোহেল বলেছেন: ভাই কিছু মনে করবেন না । কয়েকদিন যাবৎ শুনতেছি গ্রামীন ব্যাংক ১৯ টুকরা করা হয়েছে বা হবে । আমার প্রশ্ন ১৯ টুকরা মানে কি ১৯ টা শাখা খোলা হবে নাকি গ্রামীন ব্যাংক-১, গ্রামীন ব্যাংক-২, গ্রামীন ব্যাংক-৩, গ্রামীন ব্যাংক-৪, গ্রামীন ব্যাংক-৫, গ্রামীন ব্যাংক-৬, গ্রামীন ব্যাংক-৭, গ্রামীন ব্যাংক-৮, গ্রামীন ব্যাংক-৯, গ্রামীন ব্যাংক-১০, গ্রামীন ব্যাংক-১১, গ্রামীন ব্যাংক-১২, গ্রামীন ব্যাংক-১৩, গ্রামীন ব্যাংক-১৪, গ্রামীন ব্যাংক-১৫,গ্রামীন ব্যাংক-১৬, গ্রামীন ব্যাংক-১৭, গ্রামীন ব্যাংক-১৮ এবং গ্রামীন ব্যাংক-১৯ । আমি শুধু মাত্র সোজা সত্যিটা জানতে চাই । বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক আছে যেগুলির ১৯ টার বেশী শাখা আছে । শাখা বেশী হলে সমস্যা কোথায় । আমরা অনেকেই চাকরী পেতে পারতাম ।
আমার জানার ইচ্ছার মধ্যে রাজনীতি নাই । ধন্যবাদ ।
৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৪
সেফানুয়েল বলেছেন: গ্রামীনব্যাংকের গ্রাহকরা ঋণ পরিশোধ কিভাবে করবে তা গ্রাহক নিজেই ঠিক করে। একবছরে ঋণ পরিশোধ করবে নাকি দু বছরে করবে এবং প্রথম সপ্তাহে কত দিবে, প্রথম মাসে কত দিবে, এভাবে দ্বিতীয়, তৃতীয় চলতে থাকে।
গ্রামীনব্যাংকের এটাই সবচে বড় সুবিধা। গ্রাহক নিজের সুবিধামতো ঋণ পরিশোধ করতে পারে। - এইটা একটা অবাস্তব কথা বললেন ভাই। আমি আপনাকে প্রমান দেখাতে পারবো যে এই রকম কোন ঋণ পরিশোধ পরিকল্পনা গ্রাহক দের সাথে আলোচনা করে করা হয় না। এই তথ্য শুধু বিদেশী ডোনার দের আকৃষ্ট করার জন্যই ব্যাবহৃত হয়। বাস্তবে এরকম কোন কার্য্যক্রম নেই। হাস্যকর একটা তথ্য!!!
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০
মাহ্ফুজ বলেছেন: অবাস্তব কথা বলিনাই ভাই। গ্রাহককে একটা সময় বেধে দেয়া ঋণ পরিশোধ করার জন্য। এখন সে যদি বলে আমি ১ম কয়েক মাস বেশি টাকা দিতে পারব না, তাহলে কত দিতে পারবে তা ঠিক করা হয়।তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সব টাকা পরিশোধ করতে হয়। তার মানে আগে কম টাকা দিলে পরে কিস্তিগুলোতে টাকার পরিমান বাড়বে।
১০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৮
সেফানুয়েল বলেছেন: গ্রামীনব্যাংকের গ্রাহকরা ঋণ পরিশোধ কিভাবে করবে তা গ্রাহক নিজেই ঠিক করে। একবছরে ঋণ পরিশোধ করবে নাকি দু বছরে করবে এবং প্রথম সপ্তাহে কত দিবে, প্রথম মাসে কত দিবে, এভাবে দ্বিতীয়, তৃতীয় চলতে থাকে।
গ্রামীনব্যাংকের এটাই সবচে বড় সুবিধা। গ্রাহক নিজের সুবিধামতো ঋণ পরিশোধ করতে পারে। - এইটা একটা অবাস্তব কথা বললেন ভাই। আমি আপনাকে প্রমান দেখাতে পারবো যে এই রকম কোন ঋণ পরিশোধ পরিকল্পনা গ্রাহক দের সাথে আলোচনা করে করা হয় না। এই তথ্য শুধু বিদেশী ডোনার দের আকৃষ্ট করার জন্যই ব্যাবহৃত হয়। বাস্তবে এরকম কোন কার্য্যক্রম নেই। হাস্যকর একটা তথ্য!!!
১১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৩৯
এই আমি সেই আমি বলেছেন: ইউনুস স্যারের ছবি দেখতাম হিলারি দিলারির সাথে এখন দেখি চিনি চুরা জাফরের সাথেও দেখা যায় ।
ঘটনা পরিষ্কার হবে কবে ?
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
মাহ্ফুজ বলেছেন: কি আর বলব ভাই, জন্মদিনের শুভেচ্ছার ছবি দেখতেই পাচ্ছেন। ড. ইউনুস স্যার তো জাফর সাহেবদের ডাকেন নাই। ইনাদের চরিত্রই সুযোগ বুঝে
এখানে সেখানে দৌড়াদৌড়ি করা। সামনে নাকি একাই নির্বাচনে যাবে, বুঝতেই পারছেন ।জাফর সাহেবদের ঘটনা পরিষ্কারের অপেক্ষায় আছি।
১২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৮
এই আমি সেই আমি বলেছেন: তারপরও কথা একটু থাকে , সেটাই বলি ।ইউ্নুস স্যার কিন্তু খুব নিরপেক্ষ মানুষ । নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য উনি কিন্তু শহিদ মিনার , জাতীয় স্মৃতি সৌধ পর্যন্ত যান না । কিন্তু ইদানীং উনাকে ফখরুল , রব চিনি চুরা জাফরের সাথেও দাঁত কেলিয়ে হাসতে দেখা যাচ্ছে ।
আমার তো মনে হয় এটা নবেলের বেইজ্জতি ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:১৬
আহলান বলেছেন: যে দেশে গুনির কদর নেই, সে দেশে গুনি জন্মায় না। ইউনুস স্যার হয়তো ভুল করেই সোনার বাংলাদেশে জন্মাইছে, এখানে শেখ ছাড়া আর কেউ বড় সম্মান পেতে পারবে না। তবে ওনার আশে পাশে কিছু অযোগ্য লোক আছে, যেগুলোকে তিনি বেশী প্রশ্রয় দেন, ফলে সমস্যা দূর হয় না।