নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসসালামুআলাইকুম

ঈদ মোবারক!

মাহ্ফুজ

একজন আশাবাদী মানুষ।

মাহ্ফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামোফোবিয়ায় আংক্রান্ত শুধু খ্রিষ্টান বা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাই নয়, মুসলিমরাও...।

০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৫

ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানাতে মুসলিমরাও দেখি এখন “মানবিক দৃষ্টিকোন” শব্দটা ব্যাবহার করছে। মানুষ হিসেবে “মানবিক দৃষ্টিকোন” থেকে নিন্দা জানাচ্ছে। কেন ভাই? একজন মুসলিম হিসেবে এই গনহত্যার নিন্দা জানালে সমস্যা কি? যারা এ ধরনের কথা বলছে তাদের বেশির ভাগই নিজেদের সেক্যুলার দেখানোর জন্য বলছে। তাঁরা ভাবছে মুসলিম, ইসলাম এই শব্দগুলো ব্যবহার করলে লোকে কি ভাববে…।



অর্থাৎ কে কি ভাববে এই ভয়ে সে তার নিজের পরিচয় পাল্টে দিচ্ছে!!!



সহীহ আল-বুখারীর একটি হাদিস দিতে হচ্ছে-



"A Muslim is a brother of another Muslim, so he should not oppress him, nor should he hand him over to an oppressor. Whoever fulfilled the needs of his brother, Allah will fulfill his needs; whoever brought his (Muslim) brother out of a discomfort, Allah will bring him out of the discomforts of the Day of Resurrection, and whoever screened a Muslim, Allah will screen him on the Day of Resurrection."



[Sahih al-Bukhari, Book of Oppressions, number 622]



নিজের জাতি, নিজের ভাইয়ের পক্ষে কথা বলতে পরিচয় পাল্টে কথা বলতে হবে কেন? এর একটা কারন হলো, ইসলামোফোবিয়া বা ইসলাম আতংক যেটা পশ্চিমারা এবং তাদের পোষা মিডিয়ারা সৃষ্টি করেছে, সেটা মুসলিমদের উপরও প্রভাব ফেলেছে। মুসলিমরা এখন নিজেদের মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিতে ভয় পাচ্ছে।



ভাই মুসলিম হিসেবে গর্ববোধ করার মতো আমাদের অনেক কিছু আছে। মুসলিম হিসেবে আমাদের সবার গর্বিত হওয়া উচিত। আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র ধর্মগ্রন্হ যেটি ১৪০০ বছর ধরে অবিকৃত অবস্থায় আছে। আজ পর্যন্ত একটি বিন্দুও পরিবর্তন হয়নি। যেটা খ্রিষ্টানরা পর্যন্ত নিজের মুখে প্রথম স্বীকার করেছে। পৃথিবীর আর কোন ধর্মগ্রন্হই এরকম পুরোপুরি অবিকৃত নেই।



প্রতিবাদ করি আর যাই করি সেটা আমাদের মুসলিম পরিচয়ের বাইরে গিয়ে করার কোন দরকার নেই। এটা করার মানে হলো পরোক্ষ ভাবে পশ্চিামাদের সমর্থন করা, অর্থাৎ তাদের মতামতকে সমর্থন করা।



আমাদের কাজ হলো বছরের পর বছর ধরে যারা ইসলামের অপব্যাখ্যা করছে, সেই অপব্যাখ্যার প্রতিবাদ করা। ইসলাম সম্পর্কে যাদের বিরুপ ধারনা সৃষ্টি হয়েছে, আমাদের দ্বায়িত্ব হলো তাঁদের ভুল ভাঙানো। জেনে বুঝে আসল বিষয় ব্যাখ্যা করে দেয়া। যদি নিজেরাই নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা না রাখি, তাহলে শুধু পশ্চিমারা নয়, বাকিরাও ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারনা পেতে থাকবে।



তাই দৃঢ়তার সাথে বলছি, আমি মুসলিম এবং একজন মুসলিম হিসেবে ফিলিস্তিনে ইসরাইলিদের নির্মম গনহত্যার প্রতিবাদ জানাই।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

অদ্বিত বলেছেন: ভাল তো। মুসলমানদের উন্নতি হয়েছে। মুসলিম হওয়ার আগে তারা মানুষ হয়ে উঠছে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৮

মাহ্ফুজ বলেছেন: মানুষ হতে হলে কি ধর্মকে বাইরে রেখে হতে হয় নাকি??? ইসলাম তো সেক্যুলারিজমের বিপক্ষে কথা বলে না। আপনি কি আমাকে কষ্ট করে বলবেন, আপনার হিসেবে "মানুষ" হবার মাপকাঠি গুলো কি কি?

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: মুসলিম হোল বিশ্বব্যাপী ইহুদী, খ্রীস্টান বা হিন্দু তথা নন-মুসলিমদের কাছে মার খাওয়া জাত। তাদের বেশির ভাগই দরিদ্র, গুটিকয়েক যারা ধনবান, তাদের আবার সম্পদ ব্যবহারের প্রয়োজনীয় জ্ঞান বিদ্যা না থাকায় অন্যেরা তাদের ঠকিয়ে মজা লোটে । এজন্যেই এরকম বোকা-গাধা বা মার খাওয়া জাতির একজন বলে নিজেকে পরিচয় দিতে অনেকে লজ্জাবোধ করে। এতে দোষের কিছু নেই।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫২

মাহ্ফুজ বলেছেন: আপনি তাহলে ঐসব কারনে নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিতে লজ্জা পাচ্ছেন এবং এতে দোষের কিছু দেখছেন না। আচ্ছা ধরুন, আপনি দরিদ্র পরিবারের একজন এবং দরিদ্র হলে তো দুর্বল হবেনই। এখন আপনার পরিবারের কেউ যদি দারিদ্রতা এবং দুর্বল হবার কারনে অনৈতিক ভাবে কারো কাছে মার খায়, আপনি কি তাকে আপনার আপনজন পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করবেন? কোনো যুক্তিতেই তা করবেন না।

প্রতিবাদ করতে গেলেও পরিবারের দেয়া পরিচয়ের বাইরে গিয়ে করবেন না।

আপনাকে বুঝতে হবে কেন আজ মুসলিমদের এই অবস্থা। এর কারন কি এবং দ্বায়ী কারা...

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৩

অদ্বিত বলেছেন: না না, এটা ঠিক না। মার খাওয়া জাতি কখনোই না। আর যদি হয়ও তাহলেও বলব, ''মার খাওয়ার মধ্যে লজ্জা বা অপমানের কিছু নাই।'' কেননা, দুর্বল হওয়াটা বা সবলের নিকট পীড়িত হওয়াটা মোটেও অপমানজনক নয়, বরং সবল হয়ে নিজের শক্তির অপব্যবহার করাটাই অপমানজনক। মুসলমানরা দুর্বল জাতি, তাদের সবল হয়ে উঠার একমাত্র উপায় হল মুসলমান হওয়ার আগে মানুষ হওয়া।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫৭

মাহ্ফুজ বলেছেন: একজন ভালো মুসলিম হওয়া মানে একজন ভালো মানুষ হওয়া। দুটোকে আলাদা করে দেখছেন কেন? শুধু মানুষ হলে তো হবেনা, তার আদর্শ, তার চরিত্র, তার মুল্যবোধ এসবও উত্তম হতে হবে।

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪০

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: রাসুল (স) বলেছেন, যতদিন মুসলিমেরা তলোয়ার মাথার উপরে ধরে থাকবে, ততদিন তারা বিশ্বের উপর রাজত্ব করবে, আর যখন তারা অস্ত্রশস্ত্রকে অশান্তি সৃষ্টির উপকরণ বলে দূরে সরিয়ে রাখবে, তখন তা ইহুদী নাসারাদের হস্তগত হবে আর তারা মুসলিমদের উপর রাজত্ব করবে।

এত স্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া সত্ত্বেও মুসলিম জাতি ঠিক সেই ভুলটাই করল আর পরিণতিতে রাসুলের (স) ভবিষ্যৎ বানীও সত্যি হয়ে গেল। এর কারণ হল মুসলিম জাতির মধ্যে কুরআন হাদীস সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান না থাকা।

একটা অত্যাচারিত জাতির অন্তর্ভুক্ত হিসেবে আপনার লজ্জা না থাকতে পারে, কিন্তু এরকম বোকা - গণ্ডমূর্খ জাতির একজন হিসেবেও কি আপনার লজ্জা লাগেনা?

এত বিশাল ধনবান আরব জাতি, যারা তেল সাপ্লাই বন্ধ করে দিলে বিশ্বের সব কলকারখানা বন্ধ হয়ে যায়, তারা যুগ যুগ ধরে মার খেয়ে যাচ্ছে একটা এতিম রাষ্ট্রের কাছে, যার অরথায়ন করছে আবার অন্যান্য আরব রাষ্ট্রগুলো - এরকম বোকামি নেমকহারামী কি লজ্জাশকর নয়?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

মাহ্ফুজ বলেছেন: একটা কারন একদম ঠিক ধরেছেন। মুসলিমরা তাদের আদর্শ থেকে সরেগেছে। কোরআন হদিস সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান রাখছে না। অথচ সব সমস্যার সমাধান কোরআন-হাদিসেই আছে।

তবে আরেকটা প্রধান কারন হলো মিডিয়া। ক্ষমতাশীল মিডিয়াগুলোর সবই পশিচ্মাদের হাঁতে, ইহুদীদের হাঁতে। একটা ব্যাপার খেয়াল করবেন, তারা কিন্তু সরাসরি এসে আফগানিস্তান বা ইরাক আক্রমন করেনি। আগে একটা Cause তৈরি করেছে, তারপর আক্রমন।আর এই Causeটা তৈরি করেছে পশ্চিমাদের পোষা মিডিয়াগুলো যেমন বিবিসি, সিএনএন।

এখন আপনি যা বললেন বুঝলাম। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এসব ষিয়য় অবস্যই লজ্জাজনক।

তাইবলে শুধু লজ্জা পেয়ে বসে থাকলেই চলবে? লজ্জাপেয়ে চুপ থাকলে তো যারা অভিযোগ করছে সেসব সবার কাছে সত্যি মনে হবে।

যেহেতু কারন বের করা গেছে, সমাধানও আছে। এখন পরিবর্তনটা আমি আপনি থেকে শুরু হলে সমস্যা কোথায়।

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫

লেখোয়াড় বলেছেন:
আমি জানিনা এসব কবে বন্ধ হবে।
এটাও কি ওই ধর্ম আর জাতির জন্য।

এসব বন্ধ হোক।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৫

মাহ্ফুজ বলেছেন: কিসব বন্ধ করার কথা বলছেন? একটু পরিষ্কার করে বলবেন প্লিজ।

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

লেখোয়াড় বলেছেন:
ওই যে, ধর্মের নামে হানাহানি, মারামারি।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৬

মাহ্ফুজ বলেছেন: বন্ধ তখনি হবে যখন মুসলিম বিশ্ব অবিভক্ত থাকবে। এই যে ইসরাইল ফিলিস্তিনে এত মানুষ হত্যা করলো, কোন মুসলিম দেশকে দেখেছেন কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিতে? না। কারন ঐসব দেশের নেতারা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া কিছু বোঝেনা। ফলে ইসরাইলও সুযোগ পাচ্ছে। নিজেদের সংশোধন করতে হবে আগে।

৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪০

অদ্বিত বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.