বিমূর্তঃ টুকরো টুকরো মুহূর্ত অথবা স্বপ্ন না হয় বাস্তবতা... অথবা বিভ্রান্তি

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

অসমাপ্ত কতগুলো মুহূর্ত আমাকে শেষ করে দিচ্ছে।
মুহূর্তগুলোর কিছু অংশ আমার মস্তিষ্ক কে খুবলে খুবলে খাচ্ছে,কিছু অংশ আমার স্মৃতি গুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে আর
বাকি মুহূর্ত আমার মস্তিষ্ক আর স্মৃতিগুলোকে আবার পরিপূর্ণ করে তুলছে যাতে-
আমি অনন্তকাল ধরে এই আগুনে দগ্ধ হতে পারি।
ভুল করেই ভুল করেছিলাম; আর তা ঢাকতেই এখনও ভুল করে চলেছি।
এই ভুল গুলোর মাশুল দিতেই হয়ত আমাকে আরও ভুল করতে হবে।



পাতার জায়গা পাতা করে নিয়েছে। শুন্যে ভাসমান পানি বিন্দু পাতার উপর দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে।
পূর্ণিমাতে আকাশের গা ঘেঁষে জন্ম নেয়া বিশাল আলোর মিছিল পানি বিন্দুর সৌন্দর্যে হার মেনেছে।
তবু উঁই পোকাদের নতুন পাখা গজায়।স্বাধীনতা উপভোগ করে নিতে চায় নতুন পাখার।
পানি বিন্দুর সৌন্দর্য উপেক্ষা করে ঝাকে ঝাকে উড়ে যায় উঁই পোকার দল চাঁদের দিকে।
অগণিত উই পোকা। পাখায় পাখায় জ্যোৎস্নার প্রতিফলন।
তুমি সেই উঁই পোকাদের মাঝে দাঁড়িয়ে জ্যোৎস্না দেখছ।
তুমি জ্যোৎস্নার সৌন্দর্যে অন্ধ হয়ে গেছ কিন্তু দেখছ না যে,জ্যোৎস্না,তুমি আর ঝাঁকে ঝাঁকে উইপোকা মিলে এক ভয়াবহ সৌন্দর্যের জন্ম দিয়েছ দিগন্ত বিস্তৃত উন্মুক্ত প্রান্তরে।
তুমি এর জননী নও; অংশ মাত্র।
পানি বিন্দু গড়িয়ে পড়ে।পাতা শুকিয়ে যায়।
শুকনো পাতারা বাতাসে উড়ে বেড়ায় হয়তো হারিয়ে যায়...



দুটি পাখি একটি ডালে বসে আছে। একটি পাখির আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন।
সে আকাশের নীলে হারিয়ে যেতে চায়।
প্রতি রাতে সে স্বপ্ন দেখে আকাশে ওড়ার।
অন্য পাখিটার আগমন ঘটে স্বপ্নে।
আকাশের নীল হারিয়ে যায়।

দুটি পাখি একটি ডালে বসে আছে। একটি পাখি অন্যটির স্বপ্নে বিভোর।
আকাশে অন্যটির সাথে উড়ে বেড়ায় পাখিটি।
হঠাত আকাশে কালো মেঘের দল; বজ্রপাত।
ভয় আতংক আর্তনাদ করে পাখিটি।

তারপর কোন একদিন ভোরের শিশির খেলা করে রুপালী রোদে।
একটি ডালে একটি পাখি বসে আছে।
সব কিছু ভুলে তার চোখে এখন আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন।
আকাশের নীলে হারিয়ে যাওয়ার প্রতীক্ষায়......

২ টি +০/-০