নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবারের বড় ছেলে। সবার কথা মেনে চলতে পারিনা। রাগ ভালোবাসা দুটোই আছে। তবে অপাত্রে ব্যবহার হয় বেশি। তাই বেশির ভাগ সময়ই একলা কাটাই। এখন পাঠকদের নিয়েই থাকি...

মাহ্দী হাসান রাজ

লেখা লেখি করাটা বেশ মজার। অনন্দ পাই অনুভুত হই। তাই লিখছি।

মাহ্দী হাসান রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দু’টি কথা

১২ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫

মাযহাব কেন…? তাকলীদ কি…? এ কোনও নতুন প্রশ্ন নয়, এর উত্তরও বহু পূর্বেই দেয়া হয়েছে। যখন থেকে মাযহাব শুরু হলো আর কিছু লোক তার তাকলীদ করা শুরু করল তখনই দু’য়ের আলোচনা পর্যালোচনা চুড়ান্তে পৌঁছেছে। এর উদাহরণ এভাবে বুঝি যে, হুজুরে পাক (সঃ) এর যুগে কুরআন একত্রিতভাবে কারও নিকট সংরক্ষিত ছিলনা।

হযরত ওমর (রাঃ) পদক্ষেপ নিলেন, পরবর্তি সময়ে হযরত ওসমান (রাঃ) এর খিলাফাতের সময় তিনি সাহাবায় কেরাম (রাঃ) দের সর্ব সম্মতিক্রমে ব্যপক তল্লাশী করে কুরআন জমা করেন এবং কুরাইশের লুগাত অনুযায়ী পাণ্ডুলিপি রেখে অবশিষ্টগুলো জ্বালিয়ে দেন। যাতে করে আর মতানৈক্য না থাকে।

এখন যদি কেউ কেহ প্রশ্ন করে হুজুরের যামানায় কুরঅান জমা করা হয়নি কিন্তু তিনি কেন এ কাজ করলেন…? এবং বাকীগুলোকে অগ্নিদগ্ধই বা কেন করলেন…? ইত্যাদি… (যেমন নাকি শিয়ারা করে থাকে) তাহলে এ প্রশ্ন যেমন অহেতুক ও বিভ্রান্তকারী, ঠিক তদ্রুপ আমরা তাকলীদ কেন করবো ইমামগণ কেন মাযহাব প্রচলন করলেন (?) এ প্রশ্নও উম্মতকে বিভ্রান্তকারী ও আপোষে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র মাত্র। কারণ আল্লাহ্ তা’য়ালা কুরআন ও হাদিস মানতে হুকুম করেছেন।

যে সমস্ত বিধি-বিধান কুরআন সুন্নাহে স্পষ্ট তাতে কোনও মুজতাহিদ ইমামের তাকলীদ নেই। হ্যাঁ যে সমস্ত বিষয়াবলী অস্পষ্ট তাতে নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে যাঁরা দক্ষ মুজতাহিদ এবং নবীর যামানার নিকটবর্তি হওয়ার কারণে প্রবৃত্ত্বির তাড়না থেকেও পবিত্র ছিলেন তাঁদের বিবেচনার উপর আমল করাই নিরাপদ। কারণ মানুষ প্রকৃতিগত ভাবেই স্বধীনতা কাঙ্খী চেতনার ক্ষেত্রেও আজাদী পছন্দ করে তাই শরীয়তে তার একটা সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। বলে দেয়া হয়েছে তোমরা কুরঅান, হাদিস ও মুজতাহিদ আলেমগণের অনুসরণ কর।

তাই তাকলীদ ছাড়া জীবনের কোনও ক্ষেত্রেই পা রাখা সম্ভব নয়। অাজ যারা তাকলীদ অস্বীকার করে তারা আমাদের চও বড় মুকাল্লীদ । তারা আলবানীর মনগড়া ব্যাখ্যার উপর ইবনে তাইমিয়া, শওকানী, ইবনে হাজাম ও দাউদ ঝাহেড়ী প্রমুখদের ব্যক্তিগত মতের উপর চলে। যা অনেকাংশেই আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের ওলামায়ে কেরামের সিদ্ধান্তের বহির্ভুত।

তাই আসুন আমরা প্রবৃত্ত্বির পূঁজা ছেড়ে অাল্লাহ্ ও তদ্বীয় রাসুলের অনুসরণ করতঃ রাসুলের দলভুক্ত হয়ে যাই। এবং আপোষে দন্দ ছেড়ে এক আল্লাহর রজ্জু ধরে সুন্দর জীবন গড়ি।
অল্লাহ্ আমাদের তৌফিক দান করুন… আমিন…
………………………………………………………………………………………
এ লক্ষ্যে “তাকলীদ” কেন (?) শিরোনামে পর্বাকারে কলাম প্রকাশিত হবে ।
…………………………………………………………………………………
নিজে পড়ুন like, comment, share এর মাধ্যমে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
…………………………………………………………………………………
ব্লগ রচনায় মাওলানা মাহ্দী হাসান রাজ
০১৭১৬৫২৫৩২৬- ০১৯৬৭৫৩৩০৫৩
[email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.