নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবারের বড় ছেলে। সবার কথা মেনে চলতে পারিনা। রাগ ভালোবাসা দুটোই আছে। তবে অপাত্রে ব্যবহার হয় বেশি। তাই বেশির ভাগ সময়ই একলা কাটাই। এখন পাঠকদের নিয়েই থাকি...

মাহ্দী হাসান রাজ

লেখা লেখি করাটা বেশ মজার। অনন্দ পাই অনুভুত হই। তাই লিখছি।

মাহ্দী হাসান রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

আমার কেন যেন মনে হয়, আমরা তথা হুজুরেরা আমাদের স্ত্রীদের বেশীই ভালোবেসে থাকি। এর কারণ আমরাদের দীর্ঘ একটা সময় পাড়ি দিতে হয় একজন নেককার স্ত্রীর স্বপ্ন দেখতে দেখতে। অপেক্ষা শেষে যখন আমরা কোনও মেয়ের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হই তখন প্রাণ প্রিয় স্ত্রীকে মনে হয় জান্নাতি হুর! অথবা সোনার হরিন হাতে পাবার মত অবস্থা। যার ফলে নিজেকে একজন অাদর্শ স্বামী হিসেবে প্রকাশ করতে সচেষ্ট হই। তাই ভালোবাসা বাসিটা একটু বেশিই হতে থাকে। (অবশ্য আমি নিজে এখনও বিয়ে করিনি তবে স্বপ্নটা এমনই)

পক্ষান্তরে একজন ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেদের কাছে মেয়েরা কেমন তা নিশ্চিত করে বলতে পারবো না তবে সহজেই অনুমেয়। কারণ তাদের ছেলে বেলা থেকেই মেয়েদের কাছাকাছি বেড়ে ওঠা। আমি এটা বলছি না যে, তারা মেয়েদের সম্মান করতে জানেনা। তবে হলফ করে বলতে পারি তারা আমাদের মত করে মেয়েদের ভালোবাসতে পারবে না।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, অধিকাংশ মেয়েরা হজুরদের পছন্দ করেনা। এড়িয়ে চলে। গালমন্দ করে। যাঁরা এরূপ করে থাকেন তাঁদের প্রতি আমার অাহ্বান! ফিরে অাসুন নিজের দৃষ্টিকটুতা কমিয়ে সৃজনশীল চিত্তে বিবেচনা করুন। এবং নিজেকে এমন একজন পুরুষের জন্য তৈরী করুন ; যিনি আপনার ইহকাল ও পরকালে সফলতার দ্বার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। অর্থাৎ জান্নাতের সর্বচ্চ আসনে সমাসীন করতে পারে। আর এমন সব পুরুষ থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করান ; যিনি অপনাকে নশ্বর এ দুনিয়াতে সাময়িক সাচ্ছন্দ দিয়ে পরপারের চিরস্থায়ী জীবনে জাহান্নামের ইন্ধনে পরিনত করবে।

হে আল্লাহ! আমাদের সকলকে কবুল করুন। আমীন ছুম্মা আমীন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

নিষিদ্ধ নির্ঝর বলেছেন: এখন আপনাকে বুঝতে হবে কোন উগ্র মৌলবাদি,প্রগতিশীল না.....এরকম হুজুরদের কেউ পছন্দ করবে না....।এরা সমাজের বিষ.....।তবে তারা যদি এর উল্টো হয় তবে সমস্যা নেই

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ভাই ভালবাসাটা আসলে মনের ব্যাপার। আপনি যে যুক্তি দাঁর করিয়েছেন তা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঠিক হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঠিক নয়। আমি নিজেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তাই আপনার যুক্তির সাথে পুরোপুরি সহমত প্রকাশ করতে পারছি না। আপনি কি করেন তা জানি না তবে, বাইরে থেকে তাই মনে হয়। বেড়ার ওপাশের ঘাস সবসময়ই আলাদা মনে হয়।

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০

বাংলার জামিনদার বলেছেন: তাইলে হুজুররা একাধিক বিয়া করতোনা, তালাকও দিতোনা। সামান্য টাকায়, মাঝে মাঝে ১০ কেজি চালের সমান পয়সা দেনমোহর দিয়া বিয়া কইরা, ছাইরা দেওয়ার সময় যে কি আরাম। আহ:

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

আসল পাগল বলেছেন: বাহ! ভালোই বলেছেন- হুজুরেরাই স্ত্রীদের বেশি ভালোবাসে। আর বেশি ভালোবাসেন বলেই একাধিক স্ত্রীর খোয়াব দেখেন।।

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৮

মাহ্দী হাসান রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ.... পাগল সাহেব/সাহেবা...
আরও সৃজনশীল পরামর্শের কামনা করছি....

৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

মাহ্দী হাসান রাজ বলেছেন: রায়হানুল এফ রাজ!

। হয়তো বা আপনি সঠিক আমি ভুল....!
কিংবা এর বিপরীত!

আমি একজন সমাজপতি। আমাদের স্থানীয় পঞ্চায়েতে বছরে প্রায় ২০ উর্ধ বিচার কার্জ সম্পাদন করা এবং নিস্পত্তি করা হয়। এদের মধ্যে প্রায় শতকরা ৬৭% বিবাহোত্তর বৈষম্য। অবশেষে তালাক। সবচে মজার বিষয় হলো আমার আট বছরের কেরিয়ারে একটাও হুজুর পাইনি.. বেশিরভাগ প্রেম করে বিয়ে করা অথবা ভার্সিটি পড়ুয়া দম্পতি....

একবার ভেবেছিলাম যে, এই সমস্যাটা কি শুধুই এই পঞ্চায়েতে নাকি সবজায়গাতেই। কৌতুহল জমাট বাঁধতে শুরু করে.. এরই সূত্রধরে খোঁজ নিতে থাকি। হঠাঁৎ নজরে পড়ে গত নয় মাস আগে একটা জরিপ প্রকাশ করেছিল অপরাধ ট্রাইবুন্যাল! সেখানে দেখলাম সারা দেশ জুড়ে বছরে যত পারিবারিক বৈষম্যের পঞ্চায়েত বসেছে, সমাধান হয়েছে তার গড় হিসেব শতকরা ৬৫%. এদের ভেতর সর্বসাকুল্যে হুজুর পরিবার ছিল মাত্র ৩%.

এখন আপনিই বলুন.... তিক্ত সত্য কী করে হজম করি...?:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.