নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধার রাত্রি ভোরের অনেক বাকী স্বপ্ন দেখার সুযোগ এখন তাই

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

মাহিরাহি

বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।

মাহিরাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রথম দাবি তুলে তমদ্দুন মজলিস এবং বাংলা ভাষা আন্দোলন শুরু করে

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ইসলামী আদর্শ ও ভাবধারার এই সংগঠন গড়ে তুলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তুলে ভাষা আন্দোলন শুরু করে এই সংগঠনটি। পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা না উর্দু? নামক বইয়ে লেখক কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল মনসুর আহমেদ এবং অধ্যাপক আবুল কাসেম বাংলা ভাষাকে পূর্ব বাংলায় একমাত্র ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার এবং পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষেও জোরালো দাবি জানান। ভাষা আন্দোলনে এই ধর্মভিত্তিক সংগঠনটির সাহসী ভূমিকার জন্য বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবি জোরালো হয়ে উঠে।

অথচ বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবি জানায়নি কোন কমিউনিস্ট পার্টি, কিন্তু যোগাযোগ মাধ্যমে এখন এই তথাকথিত দেশপ্রেমিদের নাচানাচি বেশি দেখা যায়। ইসলামকে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসাবে দাড় করানোর তাদের অপচেষ্টা কখনো সফল হওয়ার নয়। মানুষ এখন আসল ইতিহাস জানতে শুরু করেছে।

বাংলাকে স্বীকৃতি দানের তমদ্দুন মজলিসের দাবির ঐতিহাসিক প্রস্তাবনার সারসংক্ষেপ ছিল নিম্নরূপঃ

১. বাংলা ভাষাই হবে
(ক) পূর্ব-পাকিস্তানে তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম;
(খ) পূর্ব পাকিস্তানের আদালতের ভাষা এবং
(গ) পূর্ব পাকিস্তানের দাপ্তরিক ভাষা।

২. উর্দু এবং বাংলা ভাষা হবে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের দাপ্তরিক ভাষা হবে।

৩. (ক) পূর্ব-পাকিস্তানে শিক্ষার প্রধান মাধ্যম হবে বাংলা ভাষা। পূর্ব পাকিস্তানের সবাই এই ভাষা শিক্ষা করবেন।
(খ) পশ্চিম পাকিস্তানে যারা কাজ করবে তাদের শিখবে উর্দু ভাষা, যেটি পূর্ব পাকিস্তানে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে বিবেচিত হবে।
(গ) ইংরেজি হবে পাকিস্তানের তৃতীয় ভাষা বা আন্তর্জাতিক ভাষা।
পাকিস্তানের কর্মচারী হিসেবে যারা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে চাকরি করবেন বা উচ্চ শিক্ষায় নিয়োজিত হবেন তারাই শুধু ইংরেজি শিক্ষা করবেন।

৪. আপাতত কয়েক বছরের জন্য ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষাতেই পূর্ব পাকিস্তানের শাসন কাজ ও বিজ্ঞান শিক্ষা চলবে

তমদ্দুন মজলিস প্রথম ‘’রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’’ গঠনে নেতৃত্ব দেয়, সেই সময়কার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমান বাংলাভাষা ও বাংলালিপি সম্পর্কে অশালীন উক্তির করায়, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো উদ্দ্যেশে।

তমদ্দুন মজলিসের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল কাসেম বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার জন্য আন্দোলনের মধ্যমনি ছিলেন। তার অক্লান্ত চেষ্টায় তরুণ প্রজন্ম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্দোলনে যুক্ত হয়। এই আন্দোলনের আলেম ওলামাদের সমর্থন ছিল। তমদ্দুন মজলিসের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হতে হয়। জেল খাটতে হয় অনেককে, পালিয়ে যান অনেকে।

তমদ্দুন মজলিস শেষ পর্যন্ত বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিটিকে জাতীয় ইস্যুতে পরিণত করতে সমর্থন হয়েছিলেন।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১

মাহিরাহি বলেছেন: https://bn.wikipedia.org/wiki/তমদ্দুন_মজলিস

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওদের কত অংশ পরে ১৯৭১ সালে পাকীদের পক্ষে চলে গেছে? গোলাম আজমও কি ভাষা সৈনিক?

উহার বড় অবদান কি ভাষায়, নাকি রাজাকার ও আল-বদর বাহিনী গঠনে?

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলা ভাষাকে 'রাষ্ট্র ভাষা' হিসেবে চাইলে সেটাও অন্যায় ছিলো; কারণ, তাতে পশ্চিম পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ সরকারী চাকুরী পেতো না সহজে। নতুন দেশ হওয়ার পর, যেই ভাষা চালু ছিলো উহাই সঠিক ছিলো।

৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৪

স্থিতধী বলেছেন: ভাষার অধিকারের জন্য আমরা পাকিস্তানের সাথে গোস্বা করলাম ৪৮-৫২ পর্যন্ত। তারপর ৫২-৭১ পর্যন্ত অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামরিক বৈষম্য, গণতন্ত্র, সংস্কৃতি ইত্যাদি নানা বিষয়ে তাঁদের সাথে আমাদের মত বিভেদ, টানাপোড়ন, সংগ্রাম চলতে লাগলো ন্যায্য অধিকার বুঝে নেয়ার জন্য। শেষমেশ একাত্তরে আমাদের উপর মিলিটারি লেলায়ে দিলে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করলাম, যুদ্ধে সাহায্য নিলাম শত্রু ভারতের কাছ থেকে। এসব কি ঠিক করলাম, নাকি ভুল করলাম?

পাকিস্তান রাষ্ট্র থেকে ছুটে গিয়ে আমরা কি আসলে উর্দু - ফারসীর বদলে বাংলায় কথা বলা বাঙ্গালী মুসলমানদের জন্য একটা মিনি পাকিস্তান বানাইতে চেয়েছি শুধু? যেই মিনি পাকিস্তানের নাম হবে বাংলাদেশ?

৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৬

মা.হাসান বলেছেন: কমুরা পারলে রাষ্ট্রভাষা চাইনিজ কইরা ফালাইতো।
আরেকজন তাপসের কথা অ্যাড করতে পারেন- ডঃ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।


এই হইলো জিন্নাহর কবরের ফলক। জিন্নাহর নিজের মাতৃভাষা ছিলো গুজরাতি।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৬

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: জিন্না বলে উঠলো "ঊর্দু এবং ঊর্দুই হবে রাষ্ট্রের ভাষা"। তখন সাড়ে সাত কোটি বাঙালির শরীরে প্রতিবাদী রক্ত ধ্বণিত হয়ে উঠলো। না, রাষ্ট্রের ভাষা বাংলা হবে।
আমরা এক মহান জাতির উত্তরসূরি। যোগ্যতা ও মেধাকে বিকশিত করে বিশ্বের সেরা জাতিতে রূপান্তরিত হবো। জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে সৃষ্টির কল্যাণে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবো।
এই দেশটা আসলেই বড় বিচিত্র, প্রাকৃতিক দৃশ্যে, সম্পদের উপকরনে, মানুষের স্বভাব এবং চরিত্রে। তাই তো এই দেশটা নিঃশেষ হতে গিয়েও হয় না। অটল বিশ্বাসে দাঁড়িয়ে থাকে অফুরন্ত প্রানশক্তি নিয়ে।

৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: ভালো লেখা কিন্তু ১ নাম্বারের লিংক কাজ করছে না। এটা ঠিক করুন।
না হলে এই লেখা নিয়ে বিপদে পরবেন।
এই আন্দোলন একজন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আবিষ্কার করেছেন বলে দাবী উঠেছে।
কিছুদিন পরে মানুষজনকে বড় বাথরুম করলেও তার সাথে সাক্ষী রাখতে হবে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০০

মাহিরাহি বলেছেন: https://en.wikipedia.org/wiki/Tamaddun_Majlish

৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৪৩

এমেরিকা বলেছেন: সবার একটা ভুল ধারণা আছে যে গোলাম আযম ভাষা সৈনিক। আমি এই ব্যাপারটা আজকে ক্লিয়ার করছি। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিল গোলাম আযম। একটা সাংবিধানিক পদে থাকার কারণে গভর্নর হাউজে কেবল তারই প্রবেশাধিকার ছিল। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন যখন অভ্যুত্থানে রূপ নেয়, তখন সংসদের নেতাদেরকে গভর্নর হাউজে ডেকে নিয়ে তাদের বক্তব্য পেশ করতে বলে। তখন ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে জিএস সেই দাবী দাওয়া পড়ে শোনায়। এর বাইরে ভাষা আন্দোলনে সে সরাসরি জড়িত ছিল কিনা - কেউ জানেনা।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেওয়ানবাগের পীর কুমিল্লা ক্যান্টনমন্টের মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যেভাবে 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' খেতাব পেয়েছে। গোলাম আযম হচ্ছে সেরকম একজন 'ভাষা সৈনিক'।

৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনার প্রোফাইল পড়লাম; আপনাকে কেহ বন্ধু ভাবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.