![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পছন্দের মানুষের হঠাৎ বিয়ে হয়ে যাওয়ায় অনেকটা মানষিক ভারষাম্য হারিয়ে স্বাভাবিক জীবন থেকে দূরে সরে যায় শাহজাহান। এর পর থেকে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বসে থাকত আর যদি কেউ কিছু খেতে দিত ,তাহলেই পেট রক্ষা। মুরুব্বীদের কাছে শুনেছি, ২ বছর যাবত গোসল না করলেও তার শরীর থেকে কোন গন্ধ আসে না। আর এটাই নাকি তার কেরামতি! দীর্ঘদিন বিনা গোসলে থাকার কারনে গ্রামের দু-চার জন তাকে আবার সাধক ভেবে বসল।
হঠাৎ একদিন রাস্তার পাশে নিজের জমিতে পরে থাকতে দেখে লোকজন এগিয়ে এল। কিন্তু না, সে আর বেচে নাই। এবার দাফন কাফনের পালা, সবার সম্মতিতে তাকে তার জমিতেই দাফন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। এবার জানাজার পালা, সবাই লাইনে দাড়ালো। হঠাৎ লাইন থেকে একজন বলে উঠল, ...শাহজাহান পাগলা আল্লাহর ওলি ছিলেন, সবার কান খাড়া হয়ে উঠল, এতদিন যাকে এত অবহেলা করেছি,বাসায় গেলে ঠিকমত থেতে ও দেইনি, সে কিনা এত বড় একজন ওলি। হায় আল্লাহ, একি করেছি আমরা ? জানাযার পালা শেষ হলো,দাফন হলো, কিন্তু গ্রামের মানুষের অনুশোচনার শেষ নাই। এত বড় একজন লোককে আমরা জিবিত অবস্হায় কোন মর্যাদা দিতে পারি নাই, কিন্তু মৃত্যুর পরে তো তার সম্মান দেয়া দরকার । আর এভাবেই তৈরী হলো বরিশাল শহরের অদুরে চাদপাশার বাবা শাহজাহান পাগলার মাজার।.
©somewhere in net ltd.