![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিজয়ের মাস, স্বাধীনতার মাস, ভাষার মাস আসলেই তথাকথিত দেশপ্রেমের চেতনা উপচিয়ে পরে টিভি পর্দা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অরাজনৈতিক সংগঠনের সভা সেমিনার আর নানা রকম কর্মসূচীর মধ্যে। বাদ পরেনা প্রবাসী বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের শাখা প্রশাখা গুলো।
এসব সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের শাখা প্রশাখা গুলো তাদের তাদের গুরুদের খুশি করা আর মিডিয়াতে নিউজ দেয়া ছাড়া প্রবাসীদের জন্য কি কোন উপকারে এসেছে?
যখন মালয়েশিয়া সহ মধ্য প্রাচের বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা এসব দেশের প্রশাসন ও মালিকদের দ্বারা নানা ভাবে নির্যাতিত নিপিড়িত হয়, তখন এদের কাউকে এদের পাশে দাড়ানো তো দূরের কথা, দূতাবাস গুলোতেও এ বিষয়ে অবহিত করতেও দেখা যায়না।
দূতাবাসের দেশপ্রেমিক কর্মচারী কর্মকর্তাদের আচরনের কথা তো নতুন করে বলার কিছু নেই। প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশীরা যেন তাদের কাছে করুনার পাত্র ।
যখন জীবনের তাগিদে প্রবাসে এসে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিন রাত পরিশ্রম করে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখা একজন শ্রমিককে বিদেশীদের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়, আর তা দেখে সুবিধা জনক অবস্থানে থাকা অন্য বাঙ্গালীদের চেতনায় সামান্য আঘাত লাগে না, তারা আর যাই হোক দেশপ্রেমিক হতে পারে না।
যখন শত শত বাংলাদেশীদের বিদেশী ইমিগ্রেশন পুলিশ হাত পা বেধে নিষ্ঠুর অত্যাচার চালায় আর সে দেশের কর্তাব্যক্তিরা দেশে বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বুলি ছড়ায় , তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধ আর বীরত্বের ইতিহাস শুনতে ঘেন্না লাগে।
যখন বিভিন্ন দেশের এয়ারপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অফিসাররা বাংলাদেশী নাগরিক তথা বাংলাদেশী পাসপোর্টকে চরম ভাবে অবহেলা আর অপমানিত করে। আর সে দেশের বড় কর্তারা জাতীয় সংগীত আর পতাকা বানিয়ে দেশপ্রেম দেখায়। হাসি পায় তাদের দেশ প্রেম দেখে।
অনেকেই হয়তো বলবেন, ভাই এটার জন্য আমাদের প্রবাসীরাই দায়ী,তাদের কৃতকর্মের জন্য আজ বাংলাদেশীদের এ অবস্থা !!!
প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রবাসীদের দিকে নজর দিন, ক'জন ভারতীয়, পাকিস্তানি, ইন্দেনেশিয়ান কিংবা ফিলিপাইনি নির্যাতিত হয়?
বলবেন ক্ষমতা?
নেপাল,শ্রীলংকা কিংবা কম্বোডিয়ান ক'জন শ্রমিক নির্যাতন অবহেলার শিকার হয়?
কারন তাদের আছে দেশপ্রেম
আর আমাদের সস্তা সস্তা বয়ান আর বস্তা বস্তা চেতনা....
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:১৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঘুষ, লবিং, রাজনীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে এমনই হয়। স্বচ্ছতা, জবাবদীহিতা থাকলে এসব আচরণ কমে যেত...
৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:১৭
মানুষ বলেছেন: ভাইজান কি মালয়েশিয়ায় থাকেন?
৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৪২
অলিউর রহমান খান বলেছেন: অনেকেই পোষ্টটি অন্যভাবে নিতে পারেন কিন্তু ওনার কথায় প্রকাশ পেয়েছে এক সমুদ্র কষ্ট যা দেখার মতো কেউ নেই।
এটা সত্যিই কষ্টের, প্রবাসীদের দেখার কেউ নেই। দেশে প্রবাসীরা কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছে, লেই টাকা দিয়ে দেশ চলছে কিন্তু বিপদে পড়লে সরকারের কোন খুঁজ নেই।
আপনি সঠিক বলেছেন।
আমি একমত।
৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কিছু মানুষজনের স্বাধীনতা দিবস, একুশ, বিজয় দিবস ইত্যাদি আসলে গাজ্বালা সুরু হয়ে যায়।
৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:১৪
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: দূতাবাসের অধিকাংশ কর্মকর্তাদের মধ্যেই প্রফেশনালিজমের অভাব প্রকট | মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার ছাড়াও কাজে কর্মে এদের প্রচুর ভুল হয় | নিজের দেশকে সুন্দরভাবে রিপ্রেজেন্ট করার দক্ষতা এদের নেই বললেই চলে | এদের মধ্যে আবার কিছু রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্ত যারা ধান্ধাবাজি ছাড়া কিছুই বোঝে না | প্রবাসীদের এরা কি সেবা দিবে, এদের সেবা করতে করতেই প্রবাসীদের নাজেহাল অবস্থা | এই সকল সুযোগ সন্ধানীদের কাছ থেকে দেশপ্রেমের আশা করা চরম বোকামি | বরং এদের দেশপ্রেমের নাটক দেখেই কাটিয়ে দেয়া ভালো |
৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
দুতাবসে চাকুরী পায় পরিচিতি ও ুমের মাধ্যমে, দুতাবাসের বেশীর ভাগ কর্মচারী লিলিপুটিয়ান টাইপের।
৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি মনগড়া সব কথা বলছেন।
যারা সঠিক পথে বিদেশে পাড়ি দেয় তাদের কোনো সমস্যা হয় না।
৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: একসময় গলাকাটা পাসপোর্টের কারণে বাঙালীদের অনেক হেনস্তা হতে হয়েছে। এখন এমআরপি চালু হওয়াতে সে সমস্যাটা প্রায় মিটে গেছে। অস্বীকার করা যায় না যে বিদেশী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দূুর্ব্যবহার প্রাপ্তির কারণ অনেক সময় আমাদেরই সামষ্টিক অসাধুতা এবং আচরণগত কপটতা। একের অপরাধের কারণে অপরে সমষ্টিগতভাবে ভোগে। এছাড়া বাঙালীরা সব কাজে দালাল ধরতে অভ্যস্ত। নিজ দেশের দালালদের কাছেই তারা নিগৃহীত হয় সবচেয়ে বেশী।
বিদেশী দূতাবাসগুলোর বিরুদ্ধে প্রবাসী বাঙা্লীদের অভিযোগ সবসময়ই ছিল, আছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছরে কি কোথাও কোন দূতাবাসেই ভাল লোক নিয়োগপ্রাপ্ত হন নাই?
স্বাধীনতার মাস, বিজয়ের মাস, এসব মাস এবং বিশেষ দিনগুলোতে দেশপ্রেমের অনুভূতি বেশী করে দেখা দেওয়াটাই স্বাভাবিক। এসব মাস এবং দিনগুলোতে প্রবাসে যারা একটু অবস্থাপন্ন আছেন, তারা কম অবস্থাপন্ন ভাইদের সমস্যাগুলো নিরসনে কোন অবদান রাখা যায় কিনা, তা ছোট ছোট অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে সবাইকে একত্রিত করে, তাদের কথা শুনে, ভেবে দেখতে পারেন। সংগঠিত হলে শক্তি বাড়ে, বিচ্ছিন্নতায় বাড়ে দুর্বলতা।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১৪
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার গা জ্বলে কেন স্বাধীনতা দিবস পালন করলে..।স্বাধীনতা দিবস পালন করলে কি অন্য সমস্যা গুলি যেটা আপনি বললেন, তা কি এড্রেস করা যায় না?????? ১৯৭১ এর প্রতি ক্ষোভ বেরিয়ে আসছে এই পোস্টে.......তাই আপনার হাসি পায় দেশ প্রেম দেখলে....
আমেরিকার প্রায় বাসায়/অফিসে যত আমেরিকান ফ্ল্যাগ দেখবেন তা আপনি গুনেও শেষ করতে পারবেন না ..আবার রাস্তায় রাস্তায় হোমলেস মানুষ ও আছে..তাই বলে কাউকে বলতে শুনি নাই এত ফ্ল্যাগ উড়ানোর দরকার নাই ..আগে হিমলেস মানুষ কে হেল্প করি...তারা ফ্ল্যাগ ও উড়ায় আবার হোমলেস মানুষ কে ও হেল্প করে।