নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল মাহমুদ মানজুর

আমি একজন প্রচার বিমুখ প্রগতিশীল মানব

আল মাহমুদ মানজুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কথা নেই কারও মুখে

০২ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০০

কথা নেই কারও মুখে। মানুষের মধ্যে শংকা, ভয়, প্রতিবাদহীনতা। হাসপাতালে মৃত্যুপথযাত্রী রোগী থেকে মহল্লার চা দোকানী পর্যন্ত এমন চিত্র সর্বত্র। অস্থির সময়ের বিপরীতে সঠিক শব্দহীনতায় চারদিক যেন স্তব্ধ হয়ে আছে। পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশের গুলিতে পঙ্গু নয়ন বাছাড়। পুলিশি প্রহরায় একই বিছানায় দুইমাস। সু-চিকিৎসাহীনতা আর দুশ্চিন্তায় শুকিয়ে কাঠ। কেন এমন হলো? প্রশ্নের বিপরীতে এক হ্রাস ঘৃনা নিয়ে মুখ ফিরিয়ে নেন জগন্নাথ পড়–য়া নয়ন। পাশে বসা অসহায় মা স্কুল শিক্ষিকা শীখা রানী মজুমদারের চোখের কোনে জল। প্রশ্ন ছাড়াই যেন অজস্র কথা বলতে চাইছেন। কিন্তু বলছেন না। পঙ্গু ছেলের সহ্যার অদূরে অস্র-ইউনিফর্ম সজ্জিত পুলিশের তীক্ষন নজর। অসহায় এক জোড়া চোখ স্থির-নির্বাক হয়ে যায় সেই সশস্ত্র তীক্ষè নজরের কাছে। প্রশ্নের জবাব মেলে না। জানা যায়, কথা বললেই থানায় বাড়বে মামলার সংখ্যা হাসপাতালে কমবে চিকিৎসা সুযোগ। প্রশ্ন থাকে পুলিশের কাছেও। কেন এমন হলো? কি অপরাধ? পুলিশের ভাবলেসহীন তিরস্কার জবাব, ‘জানি না। আপনি কে?? কথা বলার অনুমতি নিয়ে আসেন।’ কার অনুমতি? ‘জানি না। থানায় যোগাযোগ করেন। এত কথা বলতে পারুম না।’ গুলিবিদ্ধ পুলিশ কেইস। হয়তো তাই এতটা নিশ্চিদ্র। তাই বলে পাড়ার দোকানেও কি একই চিত্রনাট্য ফিরে আসবে! প্রসঙ্গ সিটি মেয়র ইলেকশন। মিরপুর পল্লবীর শেষ সীমানার চা দোকানী আলমগীর। পাশেই প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ইলিয়াস মোল্লার অফিস। সাংবাদিক পরিচয়ে নয়, চা বিক্রেতা আলমগীরের কাছে ক্রেতা হিসেবেই প্রশ্ন ছিল- ইলেকশনের ভাও কি? প্রশ্ন শুনে চা বিক্রেতার অমনযোগী নজরে তীক্ষèতা বৃদ্ধি পেল। প্রশ্নকর্তার দিকে এমন ভাবে তাকালেন যেন কোনো মার্ডার কেইসের আসামীর কথা জিজ্ঞেস করা হয়েছে তাকে! জবাবে বললেন, ‘জানি না। কিসের ইলেকশন?’ মেয়র ইলেকশন। আপনি জানেন না? ভোট দিবেন কাকে? জবাবে, ‘ভাই এসব খবর জানি না। চা নেন।’ আশ্চর্য! অথচ এই দোকানে বসেই স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী-সম্ভাব্য কাউন্সিলরা আড্ডায় মাতেন সর্বক্ষন। এসব না হয় রাজনৈতিক-পুলিশি ভিতী। কিন্তু একই স্তবদ্ধতাতো মধ্যবিত্ত পরিবারের রোমানা আক্তারের কণ্ঠেও। ব্যাবসায়ী স্বামী আর এক পুত্র সন্তান নিয়ে উত্তরায় তার সাজানো সংসার। চাকুরী করেন বেসরকারী একটি বিমান সংস্থায়। ১৫দিন আগে তার স্বামীকে দিনে দুপুরে তুলে নেয়া হয় মাইক্রোবাসে। টার্গেট ব্যাগে থাকা নিজ প্রতিষ্ঠানের দেড় লক্ষ টাকা। তার আগে ইচ্ছেমতো মেরেছে। তার পরে অজ্ঞান করেছে নাকে-চোখে মলম মেখে। টাকা নিয়েছে সাথে হাত ঘড়ি মানিব্যাগও। অত:পর চলন্ত মাইক্রো বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে গেছে আজমপুর রাস্তার পাশে। ফেটেছে মাথা। ভেঙ্গেছে পা। একদিন পর রোমানা তার স্বামীকে আবিস্কার করেন স্থানীয় এক হাসপাতালে। ভীত সন্ত্রস্ত রোমানা জানান, আজ ১৫দিন হয়ে গেল। এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফেরেনি তার স্বামী। মাথা-পায়ে ব্যান্ডেজ। ঘটনাটি জানানো হয়নি পুলিশকে। স্বামীর ব্যাবসায়ীক কলিগদের বলা হয়েছে সড়ক দূর্ঘটনার কথা। অস্বীকার গেছেন ঠাকা ছিনতাইয়ের বিষয়টি। কিন্তু কেন? দেশে কি আইন-কানুন-বিচার-পুলিশ নেই। কেন এই লুকোচুরি? সক্ষুব্ধ রোমানা আক্তার বলেন, পুলিশ অথবা মিডিয়াকে বললে কি হতো? আমার অচেতন প্রায় স্বামীর টাকা, ভাঙ্গা পা-মাথা আর রাত-বিরেতে ভয়ে আতঙ্ক শিউরে ওঠার কোনো সমাধান হতো? নিশ্চিত ভাবে হতো না। উল্টো তদন্তের নামে পুলিশি হয়রানিতে পড়তে হতো। অন্যদিকে মিডিয়ায় সংবাদের কারনে একই ছিনতাইকারী কিংবা সন্ত্রাসীরা যদি ক্ষুব্ধ হয়ে আমার একমাত্র ছেলে কিংবা আমাকে ধরে নিয়ে যায়! তখন কে বাঁচাবে? কেউ না। নো বডি হিয়ার। তাই উপরওয়ালার কাছে বিচার দিয়েই চুপ আছি। (চলবে)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭

সজল কির্ত্তনিয়া বলেছেন: এত ত্যানা প্যাচান ক্যান? রাজাকার নাকি?

কথা নেই কারও মুখে কারন - কথা বেশী বললে কাজ হয়না। প্রমান চান?
- বিএনপি - জামাতীদের দেখেন এবং শিক্ষা নেন।

২| ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

আল মাহমুদ মানজুর বলেছেন: B-)) B-)) B-)) B-))

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.