নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার মত। আমি অনন্য। পৃথিবীতে আমার মত কেউ ছিলনা, নেই আর কেউ আসবেও না। জন্মের আগেও আমি ছিলাম না। মৃত্যুর পরেও এই নশ্বর পৃথিবীতে আমার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। যা থাকবে তা আমার কৃতকর্ম।
রক্তের ঋণ সবসময় রক্ত দিয়েই শোধ করতে হয়। প্রকৃতি সবচেয়ে নির্মম প্রতিশোধ গ্রহণকারী। আজ হোক বা কাল হোক প্রকৃতি সুদে আসলে সবকিছু বুঝিয়ে দেয়।
জেনারেল জিয়াউর রহমান সাধারণ জনগনের কাছে খুবই ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সম্ভবত ৭৬ সালে যখন মেজর ফারুক ক্যু করলেন তখন তিনি বাস্তবতা ফারুকের পিতাকে বুঝিয়ে বংগভবনে ডেকে এনে বাংলাদেশ বিমানের স্পেশাল ফ্লাইটে করে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেন। তার কোন বিচার জেনারেল জিয়া করেননি। কিন্তু যেসব সাধারণ সৈনিক মেজর ফারুককে সমর্থন দিয়েছিলেন তাদেরকে একে একে ফাঁসি আর ফায়ারিং স্কোয়াডে দেন। জিয়া তার মুক্তিদাতা কর্ণেল তাহেরকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলান। তাঁর আমলে বিমানবাহিনীসহ সামরিক বাহিনীতে ১৯ টি ক্যু সংঘটিত হয়। এতে তিনি প্রায় ১১০০ জনকে ফাঁসি আর ফায়ারিং স্কোয়াডে দেন আর কয়েক সহস্রকে কারাদন্ড দেন। এত সংখ্যক সৈনিকের পরিবারের আর্তনাদে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়ে উঠে। কর্ণেল তাহের আর আর ক্যাপিটাল শাস্তিপ্রাপ্ত সহস্রাধিক আত্ত্বার প্রেতাত্বা জেনারেল জিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এভাবে জেনারেল জিয়া অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের চারপাশের মানুষের দূর্নীতি আর সন্ত্রাসের কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যায়। ৭৪ সালের দূর্ভিক্ষের জন্য অমর্ত্য সেন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে গবেষকদের সবাই ক্ষমতাসীন দলের সীমাহীন দূর্নীতির কথা উল্লেখ করেন। শত শত টন খাদ্যশস্য আওয়ামী ব্যবসায়ীদের কাছে জমা থাকা স্বত্ত্বেও অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় দূর্ভিক্ষ তৈরী করে। এতে সরকারী হিসেব মতে ২৬,০০০ আর অমর্ত্য সেন, বিদেশি সাংবাদিকদের তথ্যচিত্র আর Census অনুযায়ী প্রায় ১৫ লক্ষ লোক মারা যায়। শুধু ১৫ থকে ২৬ এ এপ্রিলের মধ্যেই শুধু রংপুরেই মারা যায় প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ।
একদিকে অভূক্ত মানুষের আর্তনাদ আর অন্যদিকে রক্ষীবাহিনীর সীমাহীন খুন, হত্যা, লুন্ঠন, ধর্ষণ এর ফলে মানুষ দেশ থেকে পালানোর পথ খুঁজতে থাকে। রক্ষীবাহিনী বেশিরভাগ বামপন্থি মুক্তিযুদ্ধাদের হত্যা করে। এছাড়া আওয়ামী নেতাদের স্বার্থে সাধারণ মানুষ হত্যা করতে থাকে। উইকিপিডিয়াতে ৩০ হাজার মানুষ হত্যার কথা উল্লেখ আছে। রক্ষীবাহিনী সবচেয়ে নির্মম যে কাজটি করেছিল তা হলো একজন ২০ বছরের যুবককে হত্যা করে পিতা সীমাহীন নির্যাতন আর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে নিজ হাতে কুড়াল দিয়ে ছেলের মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য করে। এরপর সেই মাথা দিয়ে রক্ষীবাহিনী ফুটবল খেলে পৈশাচিক আনন্দ মেতে উঠে। এরকম হাজারো ঘটনা তারা ঘটিয়ে ছিল। সব তথ্য উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া। প্রয়োজনে দেখে নেবেন। এসবের জন্যই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাংগালী বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জীবন দিতে হয়েছে।
জেনারেল এরশাদ যা করেছে তাঁর জন্য সে বাকি জীবনের জন্য বাতিলের খাতায় পড়ে গেছে।
১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত আওয়ামী লিগ যে পরিমান সন্ত্রাস, নৈরাজ্য আর দূর্নীতি করেছে তার জন্য আওয়ামীলিগকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে।
এবার আসি বিএনপির ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত। এসময়ে বিএনপি যেসমস্ত নেক্কারজনক কাজ করেছে তার জন্য আজো বিএনপি রাজনৈতিকভাবে তার মাসূল দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার মতো অবস্থা তৈরী হয়েছে।
এবার আসি ২০০৯ থেকে আজ পর্যন্ত আওয়ামীলিগের কর্মকান্ড নিয়ে। শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি চালানো অনেকটাই এন্টিক ঘটনা। আওয়ামীলিগ সীমাহীন পেশি শক্তি প্রদর্শন করেছে। রাজনীতিতে নতুন ধারা আর তত্ত্বের প্রচলন ঘটিয়েছে। শুধুমাত্র ২০১৩ সালেই রাষ্ট্রীয় বাহিনী দ্বারা ৫২৬ জনকে খুন করেছে। ২০১৪ এর সঠিক হিসাব আমার কাছে নেই। ২০১৫ সালে এখন পর্যন্ত ৫১ জনকে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করা হয়েছে। এটা থামবে কিনা কেউ বলতে পারেনা।
রক্তের ঋণ আওয়ামীলিগকেও শোধ করতে হবে। এখন দেখার বিষয় হলো সেটা কতটা কস্টলি হয়।
২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩২
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৪২
সিগনেচার নসিব বলেছেন: আল্লাহ মহান !
সকল জাগতিক সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না
একে অন্যের পরিপূরক। রাজনৈতিক কর্মকান্ডগুলো ও
একই নিয়মেই চলে।
তবে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই নেক্কারজনক কাজগুলো
চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার জন্য
ভাল থাকুন