নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যক্তিজীবনে অহিংসায় বিশ্বাস করি। বুদ্ধের দর্শন গভীরভাবে ভাবায় আমায়। “আসক্তিই সকল দুঃখের কারণ, অধিকারবোধ থেকেই দুঃখের সৃষ্টি।” এই দুটো বাক্যের উপর অগাধ বিশ্বাস। কারো চিন্তা-চেতনাকেই ছোট করে দেখিনা। আমি বিশ্বাস করি যে মতবাদই হোক, তার গভীরে না ঢ

প্রজ্জলিত মেশকাত

আমি আমার মত। আমি অনন্য। পৃথিবীতে আমার মত কেউ ছিলনা, নেই আর কেউ আসবেও না। জন্মের আগেও আমি ছিলাম না। মৃত্যুর পরেও এই নশ্বর পৃথিবীতে আমার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। যা থাকবে তা আমার কৃতকর্ম।

প্রজ্জলিত মেশকাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশুদ্ধতম বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদী

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

তারা বাংলার বুক থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নাম চিরতরে মুছে দিতে চেয়েছিল। পারেনি। যতদিন বাংলা থাকবে, বাংলাদেশ থাকবে জাতির জনকের নাম চির ভাস্বর হয়েই থাকবে। জাতির জনককে অস্বীকার করা এই দেশকেই অস্বীকার করার শামিল। স্বাধীনতাপূর্ব বঙ্গবন্ধু সকল সমালোচনার ঊর্ধে। মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধুও মানুষ ছিলেন। কেউ ভূল-ত্রুটির ঊর্ধে নয়।

বঙ্গবন্ধু সুশাসন দিতে পারেননি। কিন্তু কেন পারেননি? সেটা আমাদের ভাবতে হবে। স্বদ্ব্য স্বাধীন যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটা দেশ। দেশের সম্পদ বলে কিছু নেই। সবার ভাত দরকার, কাপড় দরকার, সবার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরী দরকার। চারিদিকে হাহাকার। সবার হাতে হাতে অস্ত্র। অভাবের জন্য অহরহ চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, ছিনতাই হচ্ছে। অন্যদিকে মাওবাদী আন্ডারগ্রাউন্ড আউট'ল দলগুলো শ্রেনীশ্ত্রু নিধনের নামে মানুষ হত্যা করে চলেছে। চারিদিকে শুধু নৈরাজ্য আর নৈরাজ্য। সামগ্রিক দিক থেকে দেশকে কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা।

রক্ষীবাহিনী অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলেই ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা। বন্দুকযুদ্ধ হচ্ছে। উভয় পক্ষেই মানুষ মারা যাচ্ছে। আর তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত যারা রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল তারা সব মেরি শেলির লেখা ফ্রাঙ্কেনস্টাইন ফিকশনের ভিক্টর ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের সৃষ্ট ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের মত মানুষখেকো হয়ে উঠেছে। যা সাহায্য সহযোগীতা আসছে সব লুটে-পুটে খাচ্ছে এমনকি তৃণমূলের নেতারা পর্যন্ত।

বঙ্গবন্ধু আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পেরে উঠছিলেননা। আর তার পাশে সব চাটুকার আর মিথ্যাবাদীতে ভরা ছিল। অনেকসময় তারা বঙ্গবন্ধুকে দেশের প্রকৃত অবস্থা বুঝতে দিতনা। আর এই চাটুকারেরাই জাতির জনককে হত্যার প্ল্যাটফর্ম তৈরী করে দিয়েছিল।

জাতির জনক বিশ্বাসই করতে পারেননি কোন বাঙ্গালী তাকে হত্যা করতে পারে। তাই ষড়যন্ত্রের কথা শুনেও তিনি তদন্ত করে দেখেননি। তাঁর চেতনায় ছিল শুধু এই জাতিকে কিভাবে এই দুর্দশা থেকে বের করে আনা যায়। কিন্তু না। সে সময় তিনি পেলেন না।

জাতিসঙ্ঘের ভাষণেও বঙ্গবন্ধু শুধু বারবার দেশের মানুষের অবস্থা এবং সাহায্যের কথা বলেছিলেন। তাঁর ভাষণের বেশিরভাগ অংশজুড়েই ছিল বাঙ্গালি জাতির দূর্দশা আর সাহায্যের জন্য আকূল আবেদন। শেষ পর্যন্ত তিনি আর বাঙ্গালি জাতিকে দুর্গতি থেকে উত্তরণের সুযোগ পেলেননা।

ঘাতকের বুলেটের আঘাতে ঝরে গেল বিশুদ্ধতম বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদী আর সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙ্গালির জীবন।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.