নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার মত। আমি অনন্য। পৃথিবীতে আমার মত কেউ ছিলনা, নেই আর কেউ আসবেও না। জন্মের আগেও আমি ছিলাম না। মৃত্যুর পরেও এই নশ্বর পৃথিবীতে আমার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। যা থাকবে তা আমার কৃতকর্ম।
মার্ক্সিসম আর ইসলাম ধর্ম দুটোতেই ইকুইটির কথা বলা আছে। ইসলামিস্টরা যেমন অজস্র মত ও পথে বিভক্ত তেমনি মার্ক্সবাদও নানা তত্ত্বে বিভক্ত। পার্থক্য হল একটাতে ধর্মের আফিম আছে আরেকটিতে নেই। সীমাবদ্ধতাও আছে অনেক। তবে কিছু মৌলিক বিষয়ে অদ্ভুত মিল বিদ্যমান।
যেমন ইসলামে ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য এবং স্রষ্টার নামে সবকিছুকেই বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় , তেমনি মার্ক্সবাদে শ্রেনীশত্রু নিধনের নামে , ইকুইটি প্রতিষ্ঠার নামে , মার্ক্সবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নামে আর মার্ক্সবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নামে সবকিছুকেই বৈধতা দেওয়া হয়।
Everything is fair in love and war. তেমনি Everything is fair for the sake of God and to establish equity in Marxism.. দুটোতেই ideology প্রতিষ্ঠার নামে মানুষের জীবনের কোন মূল্য নেই।
জেনারেল আইজেন হাওয়ারের একটা বই পড়েছি যার নাম ইউরোপে মহাযুদ্ধ। বইটিতে ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘটনাবলী নিপুণভাবে বিশ্লেষণের চেষ্টা করা হয়েছে একেবারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। যুদ্ধ জয়ের পর তিনি রাশিয়ার জেনারেলের সাথে কথা বলে আশ্চর্য হয়ে যান। রাশিয়ান সৈনিকরা মাইন বেছানো পথে কোন মাইন ডিটেক্টর ব্যবহার ছাড়ায় হেটে বা এপিসি নিয়ে যেতেন। এর ফলে মাইন বিস্ফোরণে যে ক্ষতি হতো বা যেসব সৈনিক মারা যেত সেটাকে প্রতিপক্ষের সাথে যুদ্ধের ফলে ঘটা ক্ষতি বলে ধরে নেওয়া হত। এটা শুধু কমুনিস্ট রাশিয়ার পক্ষেই সম্ভব ছিল। গণতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কখনোই সম্ভব ছিলনা। যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টা ছিল জানমালের ক্ষতি যতটা সম্ভব এড়ানো। এক্ষেত্রে মার্ক্সবাদ আর ইসলামের মধ্যে শতভাগ মিল বিদ্যমান।
এখন আসি মার্ক্সবাদ আর ইসলামের বিশ্লেষকদের প্রসঙ্গে। চাক হেগেল মার্ক্সবাদের অন্যতম বিশ্লেষক। মার্ক্সের অকালপ্রয়াত মেয়েও বাবার তত্ত্বকে বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছেন। ডানপন্থী আর বামপন্থী এই বিভাজনের প্রণেতা চাক হেগেল। ইসলামে চারজন ধর্মগুরুর চারটা মাজহাব রয়েছে। উনারা চাক হেগেলের মতই ইসলামের বিভিন্ন দিকগুলোকে বিশ্লেষণ এবং বিভিন্ন পন্থা বাতলে দিয়েছেন। চারজনের সবাইকে পরবর্তীতে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। এটা শুধু সুন্নিবাদের ক্ষেত্রে। শিয়াদের সম্পর্কে আমার খুব বেশি জানা নেই।
এবার আসি চূড়ান্ত মিল প্রসঙ্গে। পৃথিবীর কোথাও পূর্ণাঙ্গ ইসলাম অথবা পূর্ণাঙ্গ মার্ক্সবাদ নেই। কিউবাতে কিছুটা মার্ক্সবাদ আছে আর ইরানে কিছুটা ইসলাম আছে( মডারেটেড).. দুটোই ক্ষয়িষ্ণু। যদিও উভয় পক্ষেরই দাবি তারা অগ্রসরমান। যাই হোক ইসলামী চিন্তাবিদদের দাবী প্রকৃত ইসলাম বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইসলামের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা সম্ভব। অপরদিকে মার্ক্সবাদীদের দাবি প্রকৃত মার্ক্সবাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এর হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
পাদটীকা: এতক্ষণ আমার পক্ষে যতদূর সম্ভব বস্তুনিষ্ঠ লেখা লিখবার চেষ্টা করেছি। নিজের পক্ষ থেকে সাবজেক্টটিভ কোন বক্তব্য ছিলনা। আমার সাবজেক্টটিভ বক্তব্য হল কোনটারই হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা সম্ভব না।
২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:২৭
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: একবারে না বুঝে কিছু লিখা যায় গাজী কাকু। আমার ব্লগ পড়ার জন্য ধন্যবাদ কাকু।
২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১৯
রাসেল সরকার বলেছেন: আলো না থাকলে আধাঁর থাকবে, জ্ঞানের অভাবে অজ্ঞতা মূর্খতা থাকবে, সত্য না বুঝলে জীবন মিথ্যার আধাঁরে থাকবে, দৃষ্টি না থাকলে অন্ধত্ত্ব থাকবে, মানবতা না থাকলে জুলুম পাশবতা কায়েম থাকবে, স্বাধীনতা না থাকলে পরাধীনতা থাকবে, সম্পদ না থাকলে বা হরণ হয়ে গেলে দরিদ্র থাকবে, সুরক্ষা না থাকলে প্রতিকুল পরিবেশে আতংক থাকবে নিরাপত্তা থাকবে না এটাই প্রাকৃতিক স্বাভাবিক, কারণ বিপরীত শক্তি সক্রিয় আছে ।
দয়াময় আল্লাহতাআলা তাঁর নবী রাসুল আলাইহিমুস সালামদের মাধ্যমে দুনিয়ার সবার জন্য্ যেমন আত্মার আলো, সত্যের উপলব্দি, জ্ঞানের দিশা, মুক্তির পথ দিয়েছেন, বিপরীত বিনাশী বিষয় ও পথ সম্পর্কেও সতর্ক করেছেন । নবী রাসুলগণ এবং তাঁদের উত্তরাধিকারী অনুসারী আপনগণ বিপরীত অপশক্তির কবল থেকে মানবতাকে উদ্ধার করে সত্য ও মুক্তির রূপরেখা বাস্তবায়ন করেছেন । আবার বিপরীত ধারাও সত্য ও মানবতাকে উৎখাত করে তাদের অপকর্তৃত্ত্ব কায়েমে সক্রিয় রয়েছে ।
দুনিয়া অসিলা বা কর্মভিত্তিক এটাই আল্লাহতাআলার প্রাকৃতিক বিধান, এখানে পথ ও কাজই পরিনতি নির্ধারন করে । সুপথ-বিপথ শুভশক্তি-অপশক্তি উভয়ই এখানে আছে, যা টিকে থাকা যার যার ধারকদের সক্রিয়তার উপর নির্ভর করে । সত্য ও মানবতার ধারকগণ সঠিক দিশা দর্শন কর্মসূচীতে সঠিক পথে সঠিক লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ সংগঠিত হয়ে সক্রিয় না থাকলে মিথ্যা-জুলুম-স্বৈরতা-বর্বরতার ধারক খুনী অপশক্তি অপশক্তি অবশ্যই জীবন ও দুনিয়া দখল করে সত্য ও মানবতা উৎখাত করবে ।
প্রিয়নবীর শুভাগমনের মাধ্যমে সত্য-মিথ্যা সুস্পষ্ট হয়ে যায়, মানবতার মুক্তি অর্জন হয়, সত্য ও মানবতার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি হয়, মিথ্যা জুলুমের কাঠামো উৎখাত হয়ে মানবতা স্বাধীন ও বিজয়ী হয়, মানবসত্ত্বা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, জীবন নিরাপদ হয়, জ্ঞান-প্রজ্ঞা বিকাশ-প্রগতির পথ মুক্ত হয় । দুর্ভাগ্যবশতঃ জীবন, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ব ব্যবস্থায় সত্য্-স্বাধীনতা-মানবতা-অধিকার-শান্তি ও নিরাপত্তার সে রূপরেখা কাঠামো ভেঙ্গে দিয়ে উৎখাত করে আইয়ামে জাহেলিয়াতের অপশক্তি দ্বীনের নামের ভিতরে থেকেই পুনরায় মিথ্যা-জুলুম-স্বৈরতার কাঠামো কায়েম করে । কারবালার মহান ইমাম ইমামে আকবার রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু যে অপশক্তির প্রতিরোধে পবিত্র কলেমার জীবন চেতনা ও রূপরেখা তথা সত্য ও মানবতার সার্বিক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো সমুন্নত রাখার জন্য শাহাদাত বরণ করেন । --ইমাম হায়াত
২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৫৫
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার ব্লগ আপনার জন্য না। বাকওয়াস করে লাভ নেই।
৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৫৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: এইসব নিয়ে আলোচনা আরো বড় পরিসরে করা উচিত। যাইহোক, আমার মনে হয় এখনো সঠিক কোন সমাধান আমরা করতে পারিনি যা সব মানুষকে নায্য অধিকার দিবে।
২২ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫০
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: সহমত। ধন্যবাদ আমার ব্লগ পড়ার জন্য।।
৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:৩৮
মহা সমন্বয় বলেছেন: প্রকৃত ইসলাম বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইসলামের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা সম্ভব। অপরদিকে মার্ক্সবাদীদের দাবি প্রকৃত মার্ক্সবাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এর হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
এখানেই হচ্ছে মহা গন্ডগোল। কোন নির্দিষ্ট 'বাদ" এ (মতবাদে) পুরো পৃথিবী চলতে পারে না। যতদিন পর্যন্ত না আমরা এইসব মার্ক্সবাদ,লেলিনবাদ,গান্ধিবাদ,চেঙ্গিসবাদ, মুহাম্মদীবাদ ইত্যাদি বাদের মধ্যে আটকে থাকব ততদিন পর্যন্ত আমরা সঠিক পন্থা খুঁজেও পাব না। উপরোক্ত কোন একটি নির্দিষ্ট মতবাদই পুরো পৃথিবীর প্রতিটি জাতির জন্য পারফেক্ট হতে পারে না।
যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য অরাজকতা চালায় আর যারা মার্ক্সবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য অরাজকতা চালায় আমার চোখে উভয়েই সমান অপরাধী।
আমার কথা হচ্ছে বাদ দিতে হবে সব বাদ।
একটু ভেবে দেখুন নির্দিষ্ট একটা 'বাদ' এ ( মাতবাদে) পুরো পৃথিবী চলতে পারে কি না?
২২ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫১
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: সম্পূর্ণ সহমত। অনিঃশ্বেষ ধন্য আমার ব্লগ পড়ার জন্য এবং অনুসরণ করার জন্য।।
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮
আশাবাদী অধম বলেছেন: 'এটা শুধু কমুনিস্ট রাশিয়ার পক্ষেই সম্ভব ছিল। গণতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কখনোই সম্ভব ছিলনা। যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টা ছিল জানমালের ক্ষতি যতটা সম্ভব এড়ানো'
হিরোশিমা-নাগাসাকি সে কথারই সাক্ষ্য দিচ্ছে!!!
২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:১৯
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: আমি নিজেদের ক্ষেত্রে একথা প্রযোজ্য এই অর্থে বলেছি। প্রতিপক্ষের কথা বলিনি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
কিছু না বুঝে অনেকগুলো বাক্য লিখলেন, না লিখে হয়তো আরো ভালো হতো।
মার্ক্সসিজম মানবতার অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স, ইসলাম হলো মৃত ব্যক্তির ভবিষ্যত