নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যক্তিজীবনে অহিংসায় বিশ্বাস করি। বুদ্ধের দর্শন গভীরভাবে ভাবায় আমায়। “আসক্তিই সকল দুঃখের কারণ, অধিকারবোধ থেকেই দুঃখের সৃষ্টি।” এই দুটো বাক্যের উপর অগাধ বিশ্বাস। কারো চিন্তা-চেতনাকেই ছোট করে দেখিনা। আমি বিশ্বাস করি যে মতবাদই হোক, তার গভীরে না ঢ

প্রজ্জলিত মেশকাত

আমি আমার মত। আমি অনন্য। পৃথিবীতে আমার মত কেউ ছিলনা, নেই আর কেউ আসবেও না। জন্মের আগেও আমি ছিলাম না। মৃত্যুর পরেও এই নশ্বর পৃথিবীতে আমার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। যা থাকবে তা আমার কৃতকর্ম।

প্রজ্জলিত মেশকাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন ঢাকা এবং কিছু সংখ্যক জেলা শহরের বাইরে সবাই সোলার ব্যবহার করি।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১১

প্রয়াত সাংবাদিক এবিএম মূসা বলেছিলেন, “সাধারণ মানুষ নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাস্পিত হয়েছে কিনা তা বুঝে না। তারা বুঝেনা ন্যাশনাল গ্রীডে বিদ্যুৎ যোগ হয়েছে কিনা, তারা শুধু বুঝে সুইচ টিপ দিলে ফ্যান,বাতি জ্বলবে অথবা জ্বলবেনা।”এটাই হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ উন্নয়নের সূচক।

অনেক বছর থেকে এমনকি পল্লী বিদ্যুতায়নের শুরু থেকে দেখে আসছি কিন্তু বিগত কয়েক মাসের মত লোডশেডিং আর দেখিনি। গ্রামে এখন ডিজিটাল লোডশেডিং শুরু হয়েছে।আগে দেখতাম দিনে খুব কমি লোডশেডিং হত। সন্ধার পর ২-৩ ঘন্টা লোডশেডিং হত। আর এখন ২ ঘন্টা পর পর ৪০ মিনিট এর মত বিদ্যুৎ থাকে।

উপরের লেখাটা বেশ আগের। তখন ২ ঘন্টা পরপর হয়তোবা ১ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকত। এখনকার অবস্থা নিতান্তই খারাপ। একটি উপজেলা শহরে আমার পোস্টিংং। ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিদ্যুতের দেখা মাঝে মধ্যে ২-৩ ঘন্টার জন্য পাওয়া যায়। আর ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে সর্বোচ্চ ৬ ঘন্টা। গত সাতদিন ধরে ৩ ঘন্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছেনা। আইপিএস এর চার্জ হবার কোন সুযোগ নেই। গ্রামের অবস্থা তথৈবচ। বিদ্যুৎ যেন ধুমকেতু। গ্রামের মানুষ একুল ওকুল কোন কূল না পেয়ে সোলার প্যানেল কিনছে। উপজেলা শহরেও অনেকে সোলার প্যানেল ব্যবহার করছে। বিদ্যুৎ নিয়ে ফেসবুকে লেখার জন্য ৩ জনকে পুলিশ এরেস্ট করে চালান দিয়েছে। তাদের নামে নাকি তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হবে। কারণ তারা সরকারকে ধর্ষণ করেছে।

এখন আসি সরকারের ন্যাশনাল গ্রীডে বিদ্যুৎ যোগ করা প্রসঙ্গে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী আর অন্যান্য মন্ত্রীরা দাবী করেন তারা নাকি বিদ্যুৎ উতপাদন ক্ষমতা ১৫০০০ মেগাওয়াটে নিয়ে গেছেন কিন্তু আজ পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উতপাদন হয়েছে ৭৮০০ মেগাওয়াট তাও আবার শুধমাত্র একদিন। নিয়মিত বিদ্যুৎ উতপাদন আগের মতই হচ্ছে ৫০০০-৫৫০০ মেগাওয়াট। যে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্প সমূহ স্থাপন করা হয়েছিল তা ভর্তুকির অভাবে চালানো যাচ্ছেনা। এর ফলে বিদ্যুৎ উতপাদন আগের মতই রয়ে গেছে। সরকার শেষ সময়ে এসে জনগনের চক্ষু ধুলাইয়ের জন্য কিছু স্থায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছে যা নিতান্তই হাস্যকর। তাহলে আমরা জনগন বিদ্যুৎতের কি উন্নতি পেলাম? শুধু পেলাম সরকারী দলের নেতাদের চাপা। কুইক রেন্টালের মাধ্যমে কি পরিমাণ দূর্নীতি হয়েছে সে প্রসঙ্গে নাই গেলাম। বুঝিনা আমাদের শাসকরা আমাদেরকে কি পরিমাণ বোকা মনে করে। সংসদে দাঁড়িয়ে বলে লোডশেডিং দেয়ার কথা যাতে জনগন লোডশেডিং ভূলে না যায়। আর এদিকে জনগন বিদ্যুৎ ঘাটতির লোডশেডিং এ মৃতপ্রায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.