নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার মত। আমি অনন্য। পৃথিবীতে আমার মত কেউ ছিলনা, নেই আর কেউ আসবেও না। জন্মের আগেও আমি ছিলাম না। মৃত্যুর পরেও এই নশ্বর পৃথিবীতে আমার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। যা থাকবে তা আমার কৃতকর্ম।
ধুমপানে আসক্তি নিয়ে অনেক স্টাডি এবং গবেষণা চলছে।ধুমপায়ীদের মধ্যে ৭০ ভাগ ধুমপান ছেড়ে দিতে চায় জীবনের যেকোন পর্যায়ে আর প্রতি বছর ৪০ ভাগ ধুমপায়ী ধুমপান ছেড়ে দিতে চায়।কিন্তু সফল হয় মাত্র ২-৫ ভাগ।এর কারণ হিসেবে অনেক কিছুই দায়ী।
এবার আসুন ধুমপান এত জনপ্রিয় কেন।এর কারণ হচ্ছে মাত্র ৭ সেকেন্ডের মধ্যে নিকোটিন ব্রেনে প্রবেশ করে ডোপামিন নামক এক নিউরোট্রান্সমিটার রিলিজ করে যা এক আনন্দদায়ক অনুভূতি সৃষ্টি করে।গবেষণায় দেখা গেছে নিকোটন এবং অপিয়েটগুলো একই পাথওয়ে তে কাজ করে।অপিয়েটস হচ্ছে হেরোইন, মরফিন, প্যাথেডিন ইত্যাদি।
ধুমপান বিরোধী সংগঠন যেমন আধুনিক যতই বলুক না কেন ধুমপান ছাড়ার জন্য ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ট কিন্তু বাস্তবতা তার উল্টো।কিছু লোক হইতোবা পারেন কিন্তু সেটা হচ্ছে মোট ধূমপায়ীদের মাত্র ২-৫ শতাংশ।তাহলে বাকি যারা ধূমপান ছাড়ার জন্য বার বার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাদের কি হবে?তারা কি কোনোদিন ধূমপান ছাড়তে পারবেনা?!
হ্যা অবশ্যই পারবে তবে তার জন্য কিছু চিকিৎসা প্রয়োজন। আর সেটা হল সাইকোথেরাপি,মেডিটেশন এবং কিছু ঔষধ সেবন। আজ পশ্চিমারা ধুমপান ছেড়ে দিচ্ছে আর আমরা তৃতীয় বিশ্বের মানুষ এই মরণ নেশায় আকৃষ্ট হচ্ছি।আমি রেফারেন্স দিতে পারি ধূমপান ছাড়ার জন্য শুধু ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ট নয়।এর জন্য চিকিৎসারও প্রয়োজন আছে।এরই মধ্যে বাজারে একটা ড্রাগ এসেছে, নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি,সাইকোথেরাপি আরও অনেক কার্যকর চিকিৎসা আছে। মেডিটেশন, যোগ ব্যায়াম এগুলোও কার্যকর।
কিন্তু আমাদের দেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো এই বিষয়ে খুব অসচেতন। আর এর জন্য অনেক পিছিয়েও। ধূমপান ছাড়ার জন্য যে বাজারে যে ঔষধ আছে সেটাও বছরের বেশিরভাগ সময় পাওয়া যায়না। ঔষধটার মেকানিজম পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হয় মস্তিষ্কে নিকোটিন যে প্রক্রিয়ায় ডোপামিন রিলিজ করে সেই প্রক্রিয়াতেই সেটি কাজ করে। ফলে নিকোটিনের যে তীব্র আকাঙ্খা সৃষ্টি হয় সেটা প্রতিরোধ করে। Verinicline নামে আরেকটি ঔষধ আছে যেটি সরাসরি মস্তিষ্কে নিকোটিন রিসেপ্টর ব্লক করে কাজ করে।
আমাদের দেশের খুব নামিদামী একটি ফার্মা কোম্পানী খুব ঘটা করে ২০০৭ সালে buproprion নামক ঔষধটি বাজারে এনেছিল। তারা যে মানের কোম্পানী তাতে খুব সহজেই ঔষধটাকে জনপ্রিয় করে তুলতে পারত। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কয়েকমাসের মধ্যেই ঔষধটির উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এখনো কিছু ধূমপায়ী ঔষধটির কথা মনে রেখেছেন।
উন্নত বিশ্বে ধূমপান ছাড়ার জন্য হলিস্টিক ব্যবস্থা আছে। হলিস্টিক মানে হল সম্মিলিত বা কমবাইন্ড চিকিৎসা পদ্ধতি। এখানে সিবিটি(cognitive behavior therapy), রিলাক্সেশন থেরাপি, ট্রিগার কনট্রোল, বিভিন্ন ধরণের নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি এবং সবশেষে দুই ধরণের ঔষধ ব্যবহৃত হয়। আবার বিভিন্ন ধরণের সাপোর্ট গ্রুপও রয়েছে। আমাদের দেশে এসব অপ্রতুল হওয়ায় আমরা এক্সেস করতে পারিনা। তবে আমরা আশাবাদী যে সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে আমাদের দেশেও আমরা এসব এক্সেস করতে পারবো এবং ধূমপান ছাড়ার জন্য হলিস্টিক এপ্রোচ সহজপ্রাপ্য হয়ে যাবে।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫৮
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: Tobacco is a drug. Drug never can't be a healer. Ur reasons are less than nothing. It's a killer. It's the leading cause of heart attack..
২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: স্মোকিং ছাড়ার ঘটনা যতটা না ঘটছে তার চেয়ে নতুন আসক্ত হবার মানুষ ততটা বেড়ে গেছে! এবং যাচ্ছেও।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০২
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: ধন্যবাদ। এর জন্য প্রয়োজন সচেতনতা সৃষ্টি.. পরিবারের ভূমিকায় সবচেয়ে বড়। আমার এক জুনিয়রের বাবা মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়ার পর ছেলেকে শ্যাম্পেন খাইয়ে বলেছিলেন বাবা আর যাই করিস জীবনে সিগারেট স্পর্শ করিস না। ছেলেটি তা করেওনি।
৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৫৪
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: খুব সুন্দর কথা লিখেছেন।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০৩
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: ধন্যবাদ ফরিদ ভাই।
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:২৪
সেলিম৮৩ বলেছেন: অাহা, সেইদিনকার কথা।
মনে পড়ে, কলেজ হোস্টেলে একদিন রাত ১২.০০ টার দিকে অামার রুমমেটের সিগারেটের এমন নেশা ধরেছে। পাঁচালী ডিঙ্গিয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ হেটে সিমেনা হলের সামনে থেকে ৪/৫ টি নেভি সিগেরাটে এনে অামার সামনে এমন একটা হাসি দিলো; তাতে মনে হলো রাজ্যের সব সুখ-শান্তি সব ওর মনে ভর করেছে।
ধূমপান ছাড়ার জন্য শুধু ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ট নয়।
ঠিকই বলেছেন। কত স্লোগান, থেরাপী-টোরাপী তো অাবিস্কার হচ্ছে। কিন্তু স্মােকার তো বেড়েই চলেছে।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৩১
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই। সহমত পোষণ করছি। তবে ইচ্ছে শক্তির সাথে ট্রিটমেন্ট থাকলে ছেড়ে দেওয়াটা অনেকটা সহজ হয়।। গবেষণায় দেখা গেছে ধুমপান কমপক্ষে ১০ বছর আয়ুষ্কাল কমিয়ে দেয়।
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:০৪
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
স্মোকিং ছাড়ার জন্য ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট - এই কথাটা আসলে অতটা সত্যও না।
স্মোকিং ছাড়ার জন্য পারিবারিক সুস্থিরতার প্রয়োজন অনেক বেশি।
আমার বেশ কয়েকটা ফ্রেন্ড আছে - যারা সারাদিন ধুমপায়ীর সাথে থেকেও জীবনে সিগারেটে কোন টান দেয়নি। কারণ, পারিবারিক বা অন্যান্য কোন প্রকার কোন চাপ নেই।
এই চাপটা থাকলে মেডিটেশন করেও লাভ নাই।
তবে, আমারই আরেকফ্রেন্ড যে কিনা সারাদিন সিগারেট, গাঁজা নিয়েই পড়ে থাকতো - সে এখন পুরোদস্তুর এক হুজুর। এমনকী কোন ধুমপায়ী তার সামনে থাকলেও তার সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাও জাগে না। এটা একটু অদ্ভুতই লাগে আমার। সে কীভাবে পারলো তা এখনো এক রহস্যই।
কোন ধুমপায়ীই স্বস্তি নিয়ে ধুমপান করতে পারে না। এমনকী সিগারেট টানতে টানতে এটাও ভাবে যে - সিগারেটে তো কোন স্বাদ নাই, তাহলে খাই কেন? নিজের প্রশ্নের উত্তর ভাবতে ভাবতে এক জায়গায় বসেই তিন-চারটা সিগারেট টেনে ফেলে। কিন্তু, ছাড়তে পারে না।
নিকোটিনের প্রভাবটা অত সহজে যায় না।
আর, নিকোটিনের আসক্তি হয়ে গেলে - কোন কাজ করার সময় ধুমপান না করলে মাথাও কাজ করে না। এই সমস্যাটা সকল ধুমপায়ীরই হয়।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৩০
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: সহমত। কিন্তু মাদক কোন সমাধান নয়। আর ধূমপান ছাড়ার জন্য পরিবারের সাপোর্ট অবশ্যই প্রয়োজন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আমি কিন্তু শুধু মেডিটেশন এর কথা বলিনি। চিকিৎসা , মেডিটেশন , পারিবারিক সাপোর্ট সবকিছুর কম্বিনেশনের কথা বলেছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৪১
মুবাশশির রহমান বলেছেন: Smoking should not be seen as just a bad habit. there are reasons for which someone takes up smoking. frustration, negligence, depression etc etc. if these can not be tackled there will always be smokers. (wrote in english for keyboard problem)