নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার মত। আমি অনন্য। পৃথিবীতে আমার মত কেউ ছিলনা, নেই আর কেউ আসবেও না। জন্মের আগেও আমি ছিলাম না। মৃত্যুর পরেও এই নশ্বর পৃথিবীতে আমার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। যা থাকবে তা আমার কৃতকর্ম।
কোনদিন কোন মিডিয়াতে আলোচনা হয়নি। স্থানীয় জনগণ সবাই জানেন। কেউ মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেননা। বললে জীবন থাকবেনা। স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার বিক্রি হয়ে গেছেন অনেক আগেই। অভাব কখনোই নীতি-আদর্শ মানতে চায়না। স্থানীয় আওয়ামীলীগের বেশিরভাগ নেতা বিক্রি হয়ে গেছেন। এমনকি শেখ পরিবারের আত্মীয় সাবেক এক মন্ত্রীসহ। স্থানীয় আওয়ালীগের একটা ক্ষুদ্র অংশ এখনো বিক্রি হয়নি। তারা বছর খানেক আগে " আল-বদর মুক্তিযুদ্ধা হয় কিভাবে" এই স্লোগানে মিছিল করেছিল। কিন্তু তা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে নিয়ে আসে। কিছুদিন তারা এলাকা ছাড়া থাকেন। মার খেতে হয়। মৃত্যুর পরোয়ানা মাথায় নিয়ে কেউ কেউ গোপনে আতাত করে। কয়েকজন শত হুমকি ধামকি স্বত্বেও মাথানত করেনি। আমি তাদের স্যালুট জানাই। বেশ কিছু মুক্তিযুদ্ধাদের নিয়ে এসে তিনি সমাবেশ করেন। সেখান থেকে ঘোষণা আসে তিনি একজন খাস মুক্তিযুদ্ধা এবং তার বিরুদ্ধে যারাই কিছু বলবে তারাই জামাত শিবিরের দালাল। সত্যিই সেলুকাস বিচিত্র এই দেশ। বিচিত্র এই দেশের চেতনা।
এবার সরাসরি ঘটনাতে আসি। লোকটি হচ্ছেন ফার্মার্স ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ মাহবুবুল হক বাবুল চিশতি। কথিত আছে তার সাথে র'ইয়ের সাথে শক্তিশালী যোগাযোগ আছেন। তিনি র'ইয়ের এজেন্ট। সব সরকারের সময়ই তিনি ভাল থাকেন। বহাল তবিয়তে থাকেন। তিনি এখন কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধা কাউন্সিলের কোষাগার সম্পাদক। এবার আলোচনায় আসি একজন খুনি আল-বদর কিভাবে শুধু মুক্তিযোদ্ধা নয়, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সম্পাদক হয়। তিনি একাত্তরের জুন মাসে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিতে ভারত যান। আগস্টে দেশে ফিরে মুক্তিযুদ্ধা হিসেবে যোগ দেন। একমাস গেরিলাযুদ্ধ করেন। এরপর তার মনে হয় বাংলাদেশ পাকিদের কাছ থেকে স্বাধীন করা সম্ভব নয়। যেই চিন্তা সেই কাজ। পাক বাহিনীর কাছে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তারপর তিনি পাক বাহিনীকে সাথে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা নিধনে নেমে পড়েন। তার প্রতারণাই অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। কথিত আছে সে নিজে নয়জন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেন। দেশ স্বাধীন হলে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে র'ইয়ের এজেন্ট হয়ে দেশে ফিরে আসেন।
এবার আসুন তার মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার ব্যাকগ্রাউন্ড কি? তিনি যেহেতু সীমান্ত পার হয়ে ভারতে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিতে গিয়েছিলেন এজন্য ভারতের লাল বার্তায় তার নাম রয়েছে। সেপ্টেম্বরে খুনি আলবদর হওয়ার পরও তিনি অর্থের বিনিময়ে আগের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। এই হচ্ছে আমাদের নীতি নৈতিকতা। আমরা একজন খুনি ঘৃণিত আলবদরকে সুযোগ সুবিধা আর অর্থের বিনিময়ে ধীরে ধীরে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে ফেললাম। এরপর ধীরে ধীরে সে ভারতের সাথে ধানুয়া কামালপুর পোর্টের মাধ্যমে ব্যবসা করে শিল্পপতি বনে যান। আস্তে আস্তে অবশেষে মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সম্পাদক বনে যান।
বিঃদ্রঃ আপনার কারো কাছে এই পোস্টের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহ হলে জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলায় এসে সাধারণ প্রবীণ মানুষের কাছে খোঁজ নিয়ে সত্যতা যাচাই করতে পারেন।।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৫৪
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: জামালপুর তো নিজেই জেলা।।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঢাকার কাছে, চিটাগং'এর কাছে, খুলনার কাছে, লন্ডেনের কাছে?
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২০
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: গাজী কাকু কি ইন্ডিয়াতে থাকেন!!! বাংলাদেশে জামালপুর নামে একটা জেলা আছে। ময়মনসিংয়ের পাশে।
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:১২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নতুন করে তো আর কিছু প্রমাণ হয়নি! কারণ, আওয়ামী লীগ করে এরকম অনেক রাজাকার, আলবদর এখন মুক্তিযোদ্ধা...
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২১
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: সত্যিই তাই। আওয়ামীলীগ হচ্ছে চেতনার ফিল্টার আর বিএনপি হচ্ছে আস্তিকতার ফিল্টার।।
৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৫:২৯
ভাবনা ২ বলেছেন: দেখেন আবার বোমেরাং না হয়ে যায় ?
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২২
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: হলেই কি করার আছে বলুন? ধন্যবাদ ভাবনা।।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
জামালপুর কোন জেলায়, বা কোন এলাকয়?