নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যক্তিজীবনে অহিংসায় বিশ্বাস করি। বুদ্ধের দর্শন গভীরভাবে ভাবায় আমায়। “আসক্তিই সকল দুঃখের কারণ, অধিকারবোধ থেকেই দুঃখের সৃষ্টি।” এই দুটো বাক্যের উপর অগাধ বিশ্বাস। কারো চিন্তা-চেতনাকেই ছোট করে দেখিনা। আমি বিশ্বাস করি যে মতবাদই হোক, তার গভীরে না ঢ

প্রজ্জলিত মেশকাত

আমি আমার মত। আমি অনন্য। পৃথিবীতে আমার মত কেউ ছিলনা, নেই আর কেউ আসবেও না। জন্মের আগেও আমি ছিলাম না। মৃত্যুর পরেও এই নশ্বর পৃথিবীতে আমার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। যা থাকবে তা আমার কৃতকর্ম।

প্রজ্জলিত মেশকাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঘের বাচ্চা বদি।।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৩১

কুত্তার বাচ্চা বলা যাবেনা। এর কয়েকটি কারণ আছে। এর মধ্যে একটি হলো সরকার দলীয় সাংসদ। আরেকটি হলো কুত্তার বাচ্চা হলেতো পথে ঘাটেই মারা পড়ত। ইয়াবা ব্যবসা বন্ধের জন্য এপর্যন্ত কয়েকশ মানুষকে তথাকথিত ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো বিতর্কিত হত্যাকান্ডও আছে। কিন্তু বাঘের বাচ্চা বদির কিচ্ছু হলোনা। ভেবেছিলাম সৌদিতে আপাতঃ স্থায়ীভাবে চলে গেছে। কিন্তু তাও হয়নি। ভেবেছিলাম কোনভাবে তাকে শান্ত করা হবে, তাও হয়নি। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা অতি উচ্চমার্গীয় না নিম্নমার্গীয় বুঝতে পারিনা। কতভাবেইতো এক বদিকে দমন করা যায়। কিন্তু তার কিছুই করা হয়নি। ওকে দমন করলে কি সরকার ইমেজ সংকটে পড়তো? মোটেওনা। বরং সরকারের ইমেজ বাড়তো। মানুষ আশ্বস্ত হতো যে সরকার ইয়াবা নিয়ন্ত্রণে প্রকৃতপক্ষেই আন্তরিক।।

আজকের প্রথম আলোর প্রতিবেদন-

নাম আছে ৭৩ ইয়াবা কারবারির।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ মাদকবিরোধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন।
আবদুর রহমান বদি
আবদুর রহমান বদি
ইয়াবার হালনাগাদ তালিকায় কক্সবাজারের ৭৩ জন প্রভাবশালী ইয়াবা কারবারির (গডফাদার) নাম উঠেছে। তালিকার শীর্ষে আছেন কক্সবাজার-৪ (টেকনাফ ও উখিয়া) আসনের আওয়ামী লীগের বিতর্কিত সাংসদ আবদুর রহমান বদি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগের একাধিক তালিকার মতো এবারও সাংসদ বদির পাঁচ ভাই আবদুল শুক্কুর, আবদুল আমিন, মৌলভি মুজিবুর রহমান, মো. সফিক, মো. ফয়সাল, ভাগনে সাহেদুর রহমান নিপু (ওসি আবদুর রহমানের ছেলে), বেয়াই শাহেদ কামাল, ফুফাতো ভাই কামরুল হাসান রাসেলসহ ঘনিষ্ঠ আরও কয়েকজনের নাম রয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজ শনিবার কক্সবাজার আসছেন। মহেশখালী ও সৈকতের একটি হোটেলে আলাদা দুটি মাদকবিরোধী সমাবেশে মাদক চোরাচালান ও ইয়াবা গডফাদারদের ব্যাপারে কড়া হুঁশিয়ারি দিতে পারেন তিনি। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণের জন্য কয়েক মাস আগে টেকনাফে র‌্যাবের পাঁচটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবি-কোস্টগার্ড প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করলেও গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়ার ভাষ্য, তালিকাভুক্ত ইয়াবা গডফাদারের কেউ এলাকায় নেই। দেশের বাইরে অবস্থান করে ইয়াবা চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করছেন।

ইয়াবার নতুন তালিকা প্রসঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমদ গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, মাদকের তালিকা হালনাগাদ হয়েছে। সর্বশেষ তালিকায় কক্সবাজার জেলার ৭৩ জনের নাম এসেছে। তাঁদের ধরতে টেকনাফ-কক্সবাজারে অভিযান চলছে।

সব তালিকায় বদি

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন একাধিক বাহিনীর তালিকায় সাংসদ বদিসহ তাঁর পরিবারের অন্তত ২৬ জনের নাম আছে। এ প্রসঙ্গে সাংসদ বদি বলেন, ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আড়াল করতে তিনিসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নাম ঢুকিয়ে দিয়েছেন কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। তিনি বরাবরের মতো বলেন, তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন।

তালিকার ৬ নম্বরে আছে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আহমদের নাম। তিনি সাংসদ বদির ঘনিষ্ঠ। ৭, ৮ ও ৯ নম্বরে আছে জাফর আহমদের চার ছেলে মোস্তাক মিয়া, দিদার মিয়া, মো. শাহজাহান (টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারমান) ও মো. ইলিয়াছের নাম। জাফর আহমদ বলেন, সব তালিকায় তিনিসহ তাঁর ছেলেদের নাম আছে। কিন্তু কেউ প্রমাণ করতে পারবে না।

তালিকার ২ নম্বরে আছেন হাজি সাইফুল করিম। তাঁর মুঠোফোন বন্ধ। পরিবারের দাবি, তিনি দেশের বাইরে। সাইফুল ইয়াবা ব্যবসায়ী নন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মাদকের কবল থেকে রক্ষা এবং ইয়াবার শীর্ষ গডফাদারদের আইনের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সেপ্টেম্বর মাসে ৭৩ জনের নতুন তালিকাটি তৈরি করে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সোমেন মণ্ডল বলেন, ৭৩ গডফাদারসহ কক্সবাজারের ইয়াবা কারবারিদের ধরতে ঘরে ঘরে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী।

গত ৩ এপ্রিল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৈরি সর্বশেষ ইয়াবা তালিকায় স্থান পেয়েছে কক্সবাজারের ১ হাজার ২৫০ জনের নাম। এর মধ্যে গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত ১০৪ জন। তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারিদের মধ্যে ৯১২ জনের বাড়ি টেকনাফে। তাঁদের মধ্যে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের সদস্যও আছেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩৭

চিরান ডেভিড বলেছেন: সচেতন দেশবাসী সব দেখছে, যারা মাদক ব্যবসায় জড়িত এবং যারা এই ব্যবসায়কে ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছেন তাদের বিচার জনতার আদালতেই হবে।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:০২

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: আমি হতাশাবাদী। এই সরকারের আমলেই ইয়াবা ব্যবসার উত্থান ঘটেছে। এই সরকারের আমলেই স্বাধীন মানচিত্র পাওয়ার পর সবচেয়ে বড় জংগী হামলা হয়েছে। এই সরকারের আমলেই আল্ট্রা ধনীকশ্রেনীর উত্থান পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের চেয়ে এক নম্বরে হয়েছে। এই সরকারের আমলেই শেয়ার বাজারে ত্রিশ লাখ বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়েছে। এই সরকারের আমলেই একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। তারপরও এই সরকার জগদ্দল পাথরের মত জনগণের উপর কতদিন চেপে থাকবে তার ইয়াত্তা নেই। সুতরাং আশাবাদী হওয়ার কিছু দেখছিনা। এই সরকারের আমলেই স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সেনা অফিসার নিহত হয়েছে।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: মির জাফরের কবরে লেখা "এখানে জুতা নিয়ে উঠুন"।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৪

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার মন্তব্যের জন্যে। যদিও আমি আপনার মন্তব্য পুরোটা বুঝতে পারিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.