নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যক্তিজীবনে অহিংসায় বিশ্বাস করি। বুদ্ধের দর্শন গভীরভাবে ভাবায় আমায়। “আসক্তিই সকল দুঃখের কারণ, অধিকারবোধ থেকেই দুঃখের সৃষ্টি।” এই দুটো বাক্যের উপর অগাধ বিশ্বাস। কারো চিন্তা-চেতনাকেই ছোট করে দেখিনা। আমি বিশ্বাস করি যে মতবাদই হোক, তার গভীরে না ঢ

প্রজ্জলিত মেশকাত

আমি আমার মত। আমি অনন্য। পৃথিবীতে আমার মত কেউ ছিলনা, নেই আর কেউ আসবেও না। জন্মের আগেও আমি ছিলাম না। মৃত্যুর পরেও এই নশ্বর পৃথিবীতে আমার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। যা থাকবে তা আমার কৃতকর্ম।

প্রজ্জলিত মেশকাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাত বছর আগের একদিন এবং কিছু না বলা কথা।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

প্রথমেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাংগালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। বঙ্গবন্ধু না থাকলে হয়তো বেলুচদের মত আমরা এখনো স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদন করতে পারতাম না। তিনি চাটুকার আর দুর্নীতিবাজদের ভীড়ে সুশাসন আর সোনার বাংলা দিয়ে যেতে পারেননি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলা মাকে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্তি উপহার দিতে চেয়েছিলেন। কোন দুর্মুখই স্বাধীনতার জন্য জাতির জনকের অবদানকে অস্বীকার করতে পারবেনা। আর যদি করে সেটা আত্নপ্রবঞ্চনা আর মিথ্যাচার।

অনেক কষ্টে কিছু ব্যক্তিগত বিষয় শেয়ার করবো। ফেইসবুক ডিএক্টিভেট করে দিয়েছি কিছুদিন হলো। একটা আনপ্রোডাক্টিভ লাইফ লিড করে যাচ্ছি। অনেক কষ্টে অফিসে যাই। যাওয়ার কোন ইচ্ছে বা আগ্রহ পাইনা। তবুও যেতে হয়। কিছুতেই ভাল থাকতে পারছিনা। অনেক বছর ধরে যুদ্ধ করে যাচ্ছি। ক্লান্ত পরিশ্রান্ত আমি। মাঝেমধ্যে যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করতে ইচ্ছে করে। যাইহোক রেফারি শেষ হুইসেল দেওয়া পর্যন্ত মাঠ ছাড়বোনা। মাঝেমধ্যে নিজেকে বোঝা মনে হয়। মনে হয় নির্লজ্জের মত বেঁচে আছি। হয়তো কোনদিন নির্লজ্জতাবোধ থেকে মুক্তি পাব। হয়তো পাবোনা। মহাবিশ্বের বুকে আমি একটা ধুলিকণাও নোই।

ফেসবুকের আইডি খুলেছিলাম ২০০৮ সালে। ২০১১-১২ সাল পর্যন্ত ফেসবুক ব্যবহারযোগ্য ছিলো। কিন্ত এখন আর সেটা নেই। ফেসবুক এখন গুজব আর নির্বোধের কারখানা। তাই ডিএক্টিভেট করে দিয়েছি। কিন্তু ব্লগ মোটামুটি তার আপন অবস্থান ধরে রেখেছে। নির্বোধদের সংখ্যা ব্লগে কম। ফেসবুকে আমি নিউজফিড দেখতামনা। মাঝেমধ্যে প্রচন্ড ক্রোধে কিছু ব্যক্তিগত আবেগ অনুভূতি প্রকাশ করে ফেলতাম। তাই নিয়ে অজস্র কমেন্ট, ফোনকল এসে পড়তো। এটা রীতিমত একটা উটকু ঝামেলা তৈরি করতো। তাই চলে এলাম।

অনেকদিন ধরে হেফাজত সম্পর্কে কিছু কথা লিখব লিখব করে লেখা হয়ে উঠছেনা। মওলানা শফী নিজে মুজাহিদ বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেছেন। এ বিষয়ে তর্ক বিতর্কে না যাওয়ায় উত্তম। হেফাজতে উত্থান এবং পরবর্তী কিছু প্রসংগ নিয়ে কিছু কথা বলবো। যুদ্ধপরাধীদের বিচারের রায়ের বিপরীতে মৌলবাদি জনগোষ্ঠির প্রতিক্রিয়া রোধ করার জন্যই হেফাজত গঠন করা হয়। হেফাজত গঠনের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় মাওলানা শফীর মুরিদ রং হেডেড হাসান মাহমুদকে। মুরিদ হাসান মাহমুদ পীরে কামেলের মাধ্যমে হেফাজত গঠন করে দেন। প্রথমদিকে সারাদেশের সব জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করতে দেওয়া হয়। তারপর প্রত্যেক জেলায় জেলায় সমাবেশ করতে দেওয়া হয় যেখানে কেন্দ্রের নির্দেশে সকল জেলা আওয়ামীলীগ সহযোগিতা করে। সমাবেশগুলো থেকে জামাত ইসলামের প্রবল সমালোচনা আর ক্ষেত্রবিশেষে তাদেরকে ধর্মদ্রোহী আক্ষা দেওয়া হয়। সবকিছু প্রেশক্রিপশন মোতাবেক চলছিল। রং হেডেড হাসান মাহমুদ বাহবা পেতে থাকে। আওয়ামীলীগ তৃপ্তির ঢেকুর ফেলে। কিন্তু মাঝে মধ্যে একটু আকটু রং করতে থাকে হেফাজত। ওটা হতেই পারে। অবশেষে ৫ মের কেন্দ্রীয় সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

সমাবেশে সারাদেশ থেকে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র আর কথিত আলেম এবং একশ্রেনীর মৌলবাদী জনগোষ্ঠি আসতে থাকে। কোথাও কোথাও স্থানীয় আওয়ামীলীগ যানবাহনের ব্যবস্থা করে দেয়। নারায়নগঞ্জে শামীম ওসমান চট্রগ্রাম থেকে আসা জনগোষ্ঠির মাঝে বিরিয়ানি বিতরণ করেন। হুমু এরশাদ বিভিন্ন জায়গায় পানি এবং জল খাবারের ব্যবস্থা করেন। বিভিন্ন যায়গায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আশায় বুকবাধেন সেইদিন জামায়াতে ইসলামীর মুন্ডুপাত হয়ে যাবে। কিন্তু গণজমায়েত শেষে বক্তৃতা শুরুর পর আস্তে আস্তে পাশার দান উলটে যেতে থাকে। বক্তারা একে একে সরকারের মুন্ডুপাত করতে থাকে। বিধি বাম হয়ে যায়। আওয়ামীলীগের মাথা চটে যায়। অতি উতসাহি কিছু পুলিশ আর অংগসংগঠনের কিছু নেতা আক্রমণ শুরু করে। জানিনা এতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ছিলো কিনা। কিছু হেফাজত কর্মী যাদের বেশিরভাগই বাচ্চা এতিম ছেলেপেলে মারা যায়। তখন থেকেই থেমে থেমে ইট পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া পালটা ধাওয়া, গাছ কাটা, আগুন দেওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের ঘটনা ঘটতে থাকে। আমি তখন আজিজে থাকাতে যুবলীগের অফিসে এক কাছের বড়ভাইয়ের কাছে যাই ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে। একপর্যায়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা বড়ভাই তার শর্টগান নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। সাথে আমি কিছুক্ষণ ছিলাম। আমি নৃশংসতা সহ্য করতে পারিনা, তাই কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসি। ভাই আমার শর্টগানে কার্তুজ ভরছেন আর শুট করে চলছেন। আপনাদের যাদের আর্মস আর এমিউনিশন সম্পর্কে কিছু আইডিয়া আছে তারা জানেন, খুব ক্লোজ রেঞ্জ থেকে গুলি না করলে শর্টগানের গুলিতে আহত হয় কিন্তু নিহত হয়না। স্প্লিন্টারের আঘাতে একে একে হেফাজতের এতিম বাচ্চারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ছিল। পুলিশও থেকে থেকে শর্টগান থেকে গুলি করছিল। দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে চলে আসি। পরে শুনতে পাই ভাইয়ের শর্ট গানের গুলিতে দুই তিনজন মারা গেছে।

তার পরের ঘটনা সবারই জানা। আমার কথা হলো হেফাজতকে তৈরি করে পেট্রোনাইজ করারই কি দরকার ছিলো। আর তারপর কেনই আপনারা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলেন। কথিত আলেম সমাজ কখনোই আওয়ামীলীগের বন্ধু হবেনা। এই বিষয়টা আগেই উপলব্ধি করার দরকার ছিলো। মধ্যে থেকে দুইজন বিজিবি সদস্য কাচপুর ব্রিজের উপর হেফাজতের আক্রমণে শহীদ হলেন। অনেকগুলো এতিম বাচ্চা খুন হলো। কিন্তু তেতুল শফীর কিছুই হলোনা। এর কয়েকদিনের মধ্যেই হাসান মাহমুদকে নিগোসিয়েশনের জন্য পাঠানো হয়। লোভী শফী তার মাদ্রাসার জন্য তিনকোটি টাকা অনুদান আর দশ বিঘা জমির বিনিময়ে সব দফারফা করে ফেলেন। এই নির্লজ্জ শফী আর আওয়ামীলীগের ভূলের জন্য কতগুলো মানুষের প্রাণ গেল। কোনদিন আবার পাশার দান উলটে গেলে ৫ই মে নিয়ে অনেককিছু হতে পারে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: "মুক্ত করো ভয়
আপনা-মাঝে
শক্তি ধরো
নিজেরে করো জয়"

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: মুক্ত করো ভয়, দুরূহ কাজে নিজেরি দিয়ো কঠিন পরিচয়॥ ধন্যবাদ গুরু।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১১

সোনালি কাবিন বলেছেন: আপ্নার লেখার দ্বিতীয়প্যার‍্যায় জীবনের প্রতি যে বিতৃষ্ণা, তাতে করে আপ্নি এক্টা সাহসি পদক্ষেপ নিতেই পারেন। ফাস করে দেন সবকিছু, আপ্নার কলম হয়ে উঠুক খাপ খোলা তলোয়ার

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: চেষ্টা করবো। প্রার্থনা রাখবেন আমাকে। ধন্যবাদ।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২২

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি আমার আগের পোস্টে উত্তর না দিয়ে পোস্ট সরিয়ে ফেলেছেন কেন?
একজন ব্লগার কেন তার পোস্টের লেখা নিয়ে উত্তর দিতে ভয় পাবে?
তার মানে আপনি আগের পোস্টে যা যা বলেছেন সেগুলি মিথ্যা কথা ছিল? এখন ভীতুর মতো সরিয়ে ফেলেছে?
আপনি পোস্ট সরিয়ে ফেলতে পারেন কিন্তু আমি আমার মন্তব্য কপি করে রেখেছি।
আপ্নি ব্লগের মডারেটরের উপরে কেন এতবড় মিথ্যা দোষারোপ করেছেন? খোদ জানা আপাকেও টেনে এনেছেন কেন এই মাঝে?
এই মন্তব্যেরও আমি কপি রেখে দিচ্ছি।
এবার প্রশ্নগুলির উত্তর আশা করি দেবেন।
ধন্যবাদ।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: মুড ভাল নেই। আমি আপনাকে যেগুলো আছে সেগুলো দিব। বেশিরভাগ ক্রোধে ডিলিট করে দিয়েছি। আমি ভীত নয়। এমনকি মৃত্যু ভয়েও সামান্য ভীত নোই। আমি এখন শুধু আমার আগের ব্লগের লিংক দিচ্ছি। আর আগের পোস্ট মানে বর্তমান পোস্ট ডিলিট করতে গিয়ে ভূলে 'আজ জন্মদিন আমার' ডিলিট করে দিয়েছি। পরে ক্যাশ থেকে আর পুনরুদ্ধার করতে পারিনি। ব্লগতো আছেই, কেড়ে নেওয়া হয়েছে লগ ইনের অধিকার। আর একটা কথা, আমি আগের পোস্ট, মানে বর্তমান পোস্ট মুছে, কিছু মডারেট করে নতুন নাম দিয়ে এই পোস্ট করেছি।
https://www.somewhereinblog.net/blog/meshkatmahmud

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

সোনালি কাবিন বলেছেন: @ নীল আকাশ, উনি আপ্নার প্রস্নের ডিটেইল উত্তর দিয়েছিলেন। আমি পড়েছিলাম। কিন্তু উনি পোস্ট কেন সরালেন বুঝলাম না।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: ভাই, যে পোস্টটি প্রথম পাতায় আসেনি, সেটি মুছতে গিয়ে ভূলে এটা করে ফেলেছি। পরে ক্যাশ থেকে আর পুনরুদ্ধার করতে পারিনি।

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



"হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাংগালী", শেখ সাহেব বাংগালীদের কাছে আসেননি, বাংগালীরা উনাকে খুঁজে নিয়েছেন; তবে, বাংগালীরা সঠিক চয়েস করেননি।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: ধন্যবাদ। একমত হতে পারলাম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.