নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অযোগ্যের মহাবিস্ফোরণ ! আমি উত্তপ্ত বায়ুর প্রতিটি ধূলিকণা , আমি হিমশীতল বরফের কঠিন জল ! আমি উদ্ভাসিত, আমি উন্মনা, আমি অক্লান্ত মুসাফির । আমি মাঠ ফাটা কড়া রোদ, আমি নগরতলি ঢালা বৃষ্টি ! আমি আকাশে বেতাল, পাতালে মাতাল অভিশাপের ভাঙা কীর্তি ।

মাহমুদ নিয়াজ

বারো যুবরাজ গেল, আসবে আরও তেরো , আমার মতন অধমের তাই বাঁধতে নেই যে গেরো ।

মাহমুদ নিয়াজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

" ন্যায়শাস্ত্রের ইতিকথন "

২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:১৩

'ন্যায়'-কে শাস্ত্রর অধীনে পরোখ করলে তার নাম হয় 'ন্যায়শাস্ত্র' । যে ন্যায় শাস্ত্রভুক্ত নয় তাকে ন্যায় বলা অন্যায় । 'ন্যায়' নামেই সুস্থ নীতি অবলম্বনকারী একটি অনুশাসন । আরো একটু ভেঙে বললে, যে নীতি কুপ্রবৃত্তি থেকে কোনো জাতিকে পৃথক করে , যে নীতির অনুসরণে চক্ষুসজ্জায় বিশৃঙ্খলাকে দমন করা যায় সে নীতির নাম 'ন্যায়' । ন্যায় সংক্রান্ত পুথিগত বিস্তর জ্ঞান আজকের প্রজন্ম আমলে না নিলেও অনুভূতিলব্ধ কিছু দর্শনের অভিজ্ঞতায় 'ন্যায়'-কে ব্যাখ্যা করা যায় । 'ন্যায়'-কে জানতে হলে শুরুতে অবশ্যই অদৃশ্য কিছু কৌতূহলকে প্রশ্রয় দিতে হবে , অতঃপর সে কৌতূহলের অবসান ঘটাতে হবে বাস্তবিক ক্রিয়া পর্যালোচনার সহিত । এখানে অদৃশ্য কৌতূহল হলো , ব্যাক্তির জাগতিক মনোজগতের প্রশ্নসূচক কিছু বাক্যের সহজ স্বীকারোক্তি । অর্থাৎ , প্রকৃতিগতভাবে প্রাকৃতিক কিছু নিয়ম-নীতির অনুসরণ দ্বারা ব্যাক্তির অপ্রস্তুত জ্ঞানগৃহ মস্তিষ্ককে প্রস্তুত করার তীব্র তাড়না । এবং সেই প্রাকৃতিক নিয়ম-নীতি গুলোই কখোনো ন্যায় আবার কখনো ন্যায় বহির্ভূত অন্য কোনো নীতির অভ্যুত্থান ঘটায় । আর বাস্তবিক ক্রিয়া পর্যালোচনা হলো প্রস্তুতকৃত মস্তিষ্কের সাথে সদ্ব্যবহার । অর্থাৎ প্রাকৃতিকভাবে অর্জিত সেই জ্ঞানের যথাস্থানে যথাপ্রয়োগ । এখন প্রশ্ন হলো এই প্রাকৃতিক জ্ঞানই কি তাহলে ন্যায়শাস্ত্রের কিংবা ন্যায় শিক্ষার প্রধান কাঁচামাল ? এখানে হ্যাঁসূচক অব্যয়ের পূর্ণ ব্যবহার ছাড়া অন্য যেকোনো শব্দচয়নই একেবারে বেমানান খাটাবে । কাজেই " প্রাকৃতিক জ্ঞানই ন্যায়শাস্ত্রের প্রধান উপকরণ "- উক্তিটি বাঁধাই করে রাখলে প্রকৃতির কৃতার্থ হওয়াই অতি স্বাভাবিক । কারন হিসেবে বলা যেতে পারে , ব্যাক্তি কখনো 'ন্যায়'-কে প্রতিষ্ঠা করে না । এবং সে চাইলে একে পরিবর্তনও করতে পারে না । কারণ , 'ন্যায়' কখনো ব্যাক্তির সম্মতিক্রমে অধিষ্ঠিত হয়নি বরং ব্যাক্তি নিজেই 'ন্যায়'-এর সম্মতিক্রমে তাকে অনুসরণ করে । বিস্তারিত ব্যাখ্যায় , ব্যাক্তি জন্ম গ্রহণের পর কখনোই তার সৃষ্টিশীল ধ্যানে কোনটা ন্যায় আর কোনটা অন্যায় তার উত্তর খুঁজতে সন্দিহান হয়ে পড়ে না । এবং তাকে এ ব্যাপারে কখনো সিদ্ধান্তহীনতায়ও ভুগতে হয় না । কারণ , প্রাকৃতিক জ্ঞানই ব্যাক্তির সময়ের দাবি সময়ে মিটাবার ভালে একনিষ্ঠতা প্রদর্শন করে থাকে । সৃষ্টির সর্বপ্রথম মানুষ্টির ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছিল । 'ন্যায়'-কে প্রতিষ্ঠার একমাত্র কারিগর হলেন স্রষ্টা । এবং তা প্রকৃতির মাধ্যমে সকল সৃষ্টির তরে তিনি প্রতিষ্ঠা করে থাকেন । যে ব্যাক্তি এই প্রতিষ্ঠিত 'ন্যায়' নামক নীতি অনুসরণ করলো সে ব্যাক্তি ন্যায়নিষ্ঠবান । যে ব্যাক্তি 'ন্যায়'-কে অনুসরণ করলো না সে ব্যাক্তিগত মনন সমৃদ্ধ অন্য কোনো নীতি অনুসরণ করলো । তবে ন্যায় নীতি বহির্ভূত অন্য সব নীতিই অন্যায় তা বলা দুষ্কর । কেবল ন্যায় নীতির বিপরীত কোনো বিশ্বাসকেই অন্যায় বলা চলে । ন্যায়ের বিপরীতে না গেলে সে অনুশাসন ন্যায়-অন্যায় কারো ভাগেই পড়বে না । এখানে উৎকৃষ্ট দর্শনজ্ঞান এই , ন্যায় অন্যায়ের দৃশ্যমান পৃথক প্রাচীর থাকা স্বত্বেও এই দুই নীতি বহির্ভূত অন্য কোনো ব্যাক্তিগত মননকেও সমাজ প্রশ্রয় দিয়ে থাকে । এবং সমাজের কেউ কেউ উদারদৃষ্টে সে নীতি অনুসরণও করে থাকেন । এবং তা এই কারনে গ্রহণযোগ্য হয় যে , এতে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই অসন্তুষ্ট হন না । উভয়ই বেশ আড়ম্বতার সাথেই এই আয়োজন মিটিয়ে থাকেন । ইতিকথা , ন্যায়-অন্যায় অথবা ব্যাক্তিগত মননসমৃদ্ধ কোনো নীতির যেকোনোটিই বাছাই করা হোক না কেন , সুশৃঙ্খল রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই 'ন্যায়শাস্ত্র'-এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য । 'ন্যায়'-কে অনুসরণ করতে গিয়ে কখনো যদি অন্যায়ের আশ্রয়স্থল স্মরণ করতে হয় , তাতেও ন্যায় নীতিই বিজয়ী হয় !

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.