নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ, এটাই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় ।

মাহমুদ পিয়াস

মানুষ হবার চেষ্টা করছি ! পারছি কই !

মাহমুদ পিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণের দায় ধর্ষকের তবে মিউচুয়াল সেক্সের দায় দুজনেরই ! ধর্ষণের মুখোমুখি সেক্স !

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৯

মাস্টারমাইন্ড স্কুলে পড়া আমার এক ছাত্রী ছিল ! মেয়েটাকে বছর দেড়েক পড়ানোর পর ব্যক্তিগত কারনে সেই টিউশনিটা ছেড়ে দিয়েছিলাম গতবছর ।

নিজেকে পীর-ওলি-আউলিয়া মনে না করে ব্যক্তিগত কারনটা যদি কয়েক শব্দে বলি তাহলে কারনটা ছিল এরকম, স্যার, আপনি কি এটা বুঝতে পারেন যে আপনার প্রতি আমি ফিজিক্যাল উইকনেস ফীল করি ?

নিজেকে সেদিন উনিশ শতকের আনস্মার্ট পুরুষ হিসেবে মনে হয়েছিলো, যে কি না ব্যক্তিত্বের অযুহাতে নিজেকে সেখান থেকে ফিরিয়ে এনেছিলো । যদি তার সাথে কিছু করেও থাকতাম তবুও সেই কথা এখানে লিখতে আমার এতটুকু বাধতো না কারন আপনাদের বলা 'ছ্যাহ'কে আমি থোড়াই কেয়ার করি । যাক সে কথা ।

একটা ছেলে যদি জোরপূর্বক কোনো মেয়ের সাথে কথা বলারও চেষ্টা করে যার সাথে মেয়েটা কথা বলতে চায় না, আমি মনে করি সেই ছেলেটাকে থাপড়িয়ে গাল লম্বা করে দেওয়া উচিত, সেখানে অনিচ্ছায় গায়ে কোনো মেয়ের গায়ে হাত দেয়া তো সাপোর্টের প্রশ্নই আসে না, আর ধর্ষন প্রমান হলে তো তাকে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে দেওয়া ফরজে আইন বলে আমার মনে হয় । এবং সেটাই করা দরকার।
কিন্তু ঘটনাটা যদি আমার মতো হয়?

কিংবা দুজনেরই সম্মতিতে 'মিউচুয়াল সেক্স' হয়? এবং সেখান থেকে যদি কোনো দূর্ঘটনা ঘটে, তখন কি শুধু ছেলেটাকে দায়ী করা যায় কি ?

Sex before marriage Should not be done by human according to ethics, religion or Social rules of our culture. এতো 'শুড নট বি ডান'কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েও যদি একটা ছেলে আর একটা মেয়ে বিয়ের পূর্বে সেক্স করে এবং সেখানে কোনো 'অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা' ঘটে তবে তার দায় শুধু পুরুষের উপর বর্তায় কেনো ? শুধু একটা উথিত দন্ড থাকাই পুরুষকে ব্লেইম দেয়ার জন্যে দায়ী ?

যখন কোনো দূর্ঘটনা ঘটে, তখন সবচেয়ে কম যে আঘাতপ্রাপ্ত হয়, দোষটা ঠিক তার উপরে পড়ে । কোনো ট্রাক আর বাইকারের সংঘর্ষে দোষ সর্বদা ট্রাকড্রাইভারের, মাইর তারই প্রাপ্য, এটা আমাদের সংস্কৃতির অলিখিত রুলস । কেও জিগ্যেসও করবে না, বাইকওয়ালা কি সঠিকভাবে বাইক চালাচ্ছিলো কি না(তার মানে এই না, ট্রাকড্রাইভারেরা সর্বদা নির্দোষ, আমি ওভারঅল থট এক্সপেরিমেন্টালের কথা বলেছি)!

একই দূর্ঘটনায় একজন নিহত আরেকজন আহত হলে দোষটা সর্বদা আহতজনেরই হয়, যেনো বেঁচে গিয়েই সে মস্তবড় ভুল করে ফেলেছে ।

ছেলেরা যখন সেক্স করে তখন তার শারীরিক পরিবর্তন বলতে জাস্ট তার ইজাকুলেশনটাই, তার বেশী কিছু না, এখানে আঘাতের ব্যাপার নাই, ব্লিডিংয়ের ব্যাপার নাই(একাধিকবার না হলে) কিংবা অন্য কোনো কারন নাই বলা যায় । অথচ সেক্সের সময় একটা মেয়ের অনেক শারীরিক পরিবর্তন ঘটে । পেনিস তার সহ্যক্ষমতার বাইরে গেলে ভ্যাজাইনাতে ব্লিডিং হতে পারে, কখনো কখনো এই ব্লিডিংয়ের কারনে সে মারাও যেতে পারে যেটা মাস্টারমাইন্ডের মেয়েটার ক্ষেত্রে হয়তো ঘটেছে । সেক্সের সময় ভ্যাজাইনাল লুব্রিকেশন না হলে মেয়েটার বেশী কষ্ট হতে পারে, মেয়েটা ভার্জিন হলে তার হাইমেন ছিড়ে রক্ত বের হতে পারে কিংবা অধিক এক্সাইটমেন্ট ফিলাপ করতে গিয়ে মেয়েটার অন্য কোনো দূর্ঘটনাও ঘটতে পারে । তো এইসব গুলার জন্যে আল্টিমেটলি আপনি একটা পুরুষকে দায়ী করেন ঠিক কোন যুক্তিতে যেখানে একটা মেয়ে সব জেনেশুনেই সেক্সে রাজি হয়েছে, আর যদি না জেনে করে তাহলে 'ছেলেটাও তো না জানতে পারে' বলে বিবেচিত হয় না কেনো ? দন্ড আছে তাই ?

একটা মেয়ে সামাজিক কালচার/ধর্ম/আইন/এথিকস/ফ্যামিলি রুলস/সম্মান....সবকিছুকে ইগনোর করে একটা ছেলের সাথে(সেও সবগুলা ইগনোর করেছে) সেক্সে রাজি হয়, তারপর সেই সেক্সে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা ঘটলে(রক্তপাতের মতো) যার জন্যে ছেলেটা মোটেই দায়ী না, তাকে একপাক্ষিকভাবে 'হ্যাং দা রেপিস্ট' বলে তুমুল গণআন্দোলন গড়ে তোলার আগে আপনাদের কেনো অপর এঙ্গেলটাও ভাবতে ইচ্ছে করে না, আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে !

একটা ছেলে ধর্ষক প্রমান হলে আপনি তার ফাঁসিটা জনসম্মুখে দিয়ে তার লাশটাও কুকুর-শেয়াল দিয়ে খাইয়ে দেন, আমার কোনো আপত্তি নাই বরং আমার ক্ষমতা থাকলে তা টেলিভিশনে লাইভ করবো কিন্তু আজকাল 'শিশু ও নারী নির্যাতন' আইনের বলে যত মিথ্যা মামলা হয়(তথ্যঃ নারী নির্যাতন মামলার ৭০ভাগই ফেইক) এবং এই আইনের অপব্যবহার যে 'ধর্ষনের অভিযোগেও' হতে পারে সেটা আপনারা কেনো খেয়াল করেন না? পুরুষের সাথে একটা বাড়তি চামড়ার দন্ড থাকে তাই তাকে 'ধর্ষক' বলে দায়ী করা ইজি হয় ? নাকি সেক্সকে রেইপ বলে প্রমানিত হবার আগেই 'হ্যাং দা রেপিস্ট' বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেরে সমকালীন পশ হিসেবে পরিচিত করার মাধ্যমে দুচারটা মেয়ে-ছেলে পটানো যায়? কোনটা ?

ছোটকালে ছোট্ট সোনার মাথাটা একবার কেটে ফেলেছিলাম ধর্মরক্ষার জন্যে, এখন মাঝে মাঝে আপনাদের পোস্ট দেখে মনে হয় বাকীটুকুও কেটে ফেলি বাল । কি আছে জীবনে, ইউরিনেট করার জন্যে একটা পাইপ লাগায়ে নিলাম না হয় ! এট লিস্ট তখন আমার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ উঠলে যাতে সেটার ছবি তুলে আপনাদের দেখাতে পারি যে, দ্যাখ ভাই, আমার তো মেশিনই নাই, সেক্সই করতে পারি না, রেইপ করবো ক্যামনে ?

এই পোস্টের উদ্দেশ্য পুরুষবাদীতা প্রমোট করা না, ধর্ষকের সাফাই গাওয়াও না(যা আগেই বলেছি)। যে মা-বাবা তার মেয়েটাকে হারালো, তাদের সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য কারো নাই আবার ঠিক সমপরিমান দোষে দোষী হয়ে শুধু ছেলেটার বিচার করে ফাঁসিতে ঝুলানোও কোনো এথিকস হতে পারে না । আইনে হয়তো অন্যকিছুও থাকতে পারে(আইন বিষয়ে আমার ঞ্জ্যান শূন্য বলা চলে), আইন যদি এক পাক্ষিকভাবে পুরুষকে হেয় করার জন্যেই তৈরী হয়ে থাকে তবে সেটাও সংশোধন জরুরী ।
জাস্ট এটুকুই !

যদি আপনার মনে হয়, আমি ধর্ষকের সাফাই গাইছি কিংবা মেয়েটাকে দোষ দিচ্ছি, তাহলে আপনার উচিত এই পোস্ট আবার পড়া !

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: কি বলব ভাই, ছেলে-মেয়েদের যথাযত পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষার অভাব , মূল্যবোধের অবক্ষয়, ব্যক্তি স্বাধীনতার অপপ্রয়োগ,যতাযথ ধর্মীয় শিক্ষার অভাব এবং সহজলভ্য পর্ণ এসব ঘটনা/ দূর্ঘটনার জন্য দায়ী।

এসব সমস্যার সামধান কি? যথাযত পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষাই হয়ত একমাত্র সমাধান। এসব পারস্পরিক বোঝাপড়ায় সংঘটিত হয় এটা শতভাগ সত্যি তবে যখনই কোন দূর্ঘটনা ঘটে তখন শুধু ছেলেদের দায় হ্য়।

তবে সব শেষে একটা কথাই বলব, " অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা তারে যেন তৃণ সম দাহে" আর পারস্পরিক বোঝাপড়ায় যারা এসব অপরাধ বয়সের দোষে কিংবা চরিত্রের দোষে করে তাদের উভয়ের প্রতি শুধু প্রার্থনা যেন তাদের সঠিক বোধোদয় হয় যে তা অন্যায়।

আল্লাহ আমাদের সকলকে সকল প্রকার অবৈধ যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকার তওফিক দান করুন এবং হেফাজত করুন সকল প্রকার পাপাচার থেকে।

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৬

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: অকাট্য যৌক্তিক কথা বলেছেন।
এ সমাজে কথিত সবল হচ্ছে পুরুষ, আর দুর্বল নারী। তাই সহজাত দয়ামায়া নারীদের প্রতি ঘটে থাকে। পুরুষের পাশাপাশি কতো নারী কতোভাবে যে পুরুষকে মানসিক ধর্ষণ(নির্যাতন) করে থাকেন, তার হিসেব নেই। ন্যায় বিচার মুখ থুবড়ে পড়ে অনেক ক্ষেত্রেই।
যাই হোক, আত্মনিয়ন্ত্রন পুরুষকেই করতে হবে। এর জন্য পরিবার, পরিবেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার ভূমিকাও অনস্বিকার্য।
শুভেচ্ছা।

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



মাষ্টারমাইন্ডের মেয়েদের সমস্যা কিভাবে সমাধান করতে হবে? উহা কি স্কুল, নাকি যৌনচর্চা কেন্দ্র?

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি দিবেন লেখার উপরে।

৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১৬

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত
ভাই আপনার সাথে যে ঘটনা ঘটেছে(ছাত্রী বিষয়ক) আমার ক্ষেত্রেও তেমন হয়েছে তবে সে আমার ছাত্রী ছিলো না বান্ধবী ছিলো আমি চাইলে তার উইকনেসে সারা দিতে পারতাম কিন্তু ওটা নৈতিকতায় বাজে। ছেলে মেয়ে সবাই এখন শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় দোষ হলে উভয়রই হওযা উচিত যদি না জোরপূর্বক ধর্ষনের ঘটনা না ঘটে।

৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

একই যাত্রায় দুই ফল
মান সম্মান রসাতল।

যদি মাঝ সমুদ্রে নৌকা ডোবে
তবে সমারই সলীল সমাধি হবার
কথা! শুধু পুরুষ মরবে আর নারীকে
উদ্ধার করা হবে সেটা কি মানবিক !

সমঝোতায় সেক্স হলে উভয়েই
জেনাকারী তাই উভয়কেই শাস্তি
প্রদান করতে হবে। তা হলেই আর
ধর্ষণ মামলা হবে না।

৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৬

নতুন বলেছেন: যেহেতু মেয়েটি মারা গেছে তাই তাকে ধর্ষনের পরে হত্যা করা হয়েছে কিনা সেটা আগে দেখতে হবে। যদিও সে তার প্রেমিকের সাথে সেক্স করতেও তার বাসায় গিয়ে থাকে সেখানে তাকে অন্য ছেলেরা ধর্ষন করতেও পারে এবং হত্যা করতেও পারে।

অনেক সময় যেহেতু বয় ফ্রেন্ডের সাথে একবার হয়ে গেছে তবে অন্য বন্ধুরাও জোর করে করতে পারে।

যদি সেই রকমের কিছু না হয়ে থাকে এবং তার প্রমিকের সাথে সেক্স করার সময়ে দূঘটনার ফলে মারা গিয়ে থাকে তবে ধর্ষনের মামলা করা উচিত না।

আমাদের দেশের এই বিয়ষের আইন গুলি আপডেট করা উচিত। কারন অনেক ক্ষেত্রে ব্রেকআপের পরে মেয়ে ধর্ষনের মামলা করে। বাইরের দেশে বয়ফ্রেন্ড গাফ্রেন্ডের সাথে ব্রেক আপের পরে ধর্ষনের মামলা হয় না। যদি না বল প্রয়োগ করে ধর্ষন না হয়ে থাকে।

৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সম্মতিতে মিলন শুরু হলেও মাঝপথে সেটা ধর্ষণে পরিনত হতে পারে। পুরো ব্যাপারটা আমরা এখনও জানি না। তাই সব কিছু জানার পর বোঝা যাবে আসলে কি ঘটেছিল।

৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৮

আতিকুররহমান আতিক বলেছেন: আমারাতো শুধুই খেলার পুতুল। আমদেরকে এসব বিষয় থেকে সাবধান থাকা উচিত। আর ব্রেকাপের পর ধর্ষন মামলা হয় এটার জন্য সরকারের উচিত আইনগুলোকে আরো নিরপেক্ষ করা। আর যদি ধর্মীয় দিক থেকে যাচাই করা হয় তাহলে ব্রেকাপ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। কারন বিবাহের পূর্বেতো বিপরীত লিঙ্গের কারো সাথে মেলামেশাই নিষিদ্ধ।
তবে হ্যা মিউচুয়াল সেক্সের ক্ষেত্রে যেহেতু উভয়ে অপরাধী তাই দুজনকেই শাস্তি দেয়া উচিত।

১০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম কে কি মন্তব্য করেছে সেটা জানতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.