নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ, এটাই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় ।

মাহমুদ পিয়াস

মানুষ হবার চেষ্টা করছি ! পারছি কই !

মাহমুদ পিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আজান, ইসলামের দেওয়া শিক্ষা?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৩

আজানের মূল উদ্দেশ্য আহবান করা/অবগত করানো ! চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আজান দিয়ে সেই লোক কাকে কি আহবান করেছে? যদি তারা নিজেরা নামাজ পড়ার জন্যে আজান দিয়ে থাকে তাহলে এতো জোরে দেওয়ার তো দরকার হতো না, কারন আশেপাশের সবাই অন্য ধর্মাবলম্বীর ! তো ? সে আজান দিয়ে আসলে বোঝাতে চেয়েছে কি?

পাহাড়েও ধর্ম প্রচার? আজান দিয়ে ধর্মপ্রচার নবীজি করেছেন ? বিশ্বনবীর জীবনী/আর রাহীকুল মাখতুমের কোথাও পাই নি যে নবীজি অন্য ধর্ম অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে উচ্চস্বরে আজান দিয়ে সেই এলাকার ধর্মালম্বীদের তোপের কারন হয়েছে এমনকি ইসলামের প্রচন্ড দাপটীয় স্বর্নযুগেও হয় নি, তাহলে ওই লোক চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আজান দেওয়ার আদেশ কই পাইছে যা নবীজি নিজেই করেনি ! সেলেব হওয়া? তা তো হইসেই মোটামুটি ! কিছু অতি ধর্মান্ধের আবেগে !

ধরেন, ভারত হিন্দুপ্রধান দেশ ! সেখানে মুসলিমের চেয়ে হিন্দুর সংখ্যা অতি বেশী ! সেখানে মন্দিরও বেশী ! এবার ধরেন, কোনো একজন হিন্দু নামাজেট সময়ে এসে মসজিদের সামনে উচ্চস্বরে ঢাকঢোল আর 'কীর্তন' শুরু করলো আর ফেসবুকে এসে স্ট্যাটাস দিলো এভাবেই ভারতের প্রতিটি কোনা সনাতন ধর্মে ছেয়ে যাক ! সহ্য হবে আপনার?

তাহলে সে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে গিয়ে আজান দিয়ে কি বোঝাতে চাইছে ?

আমার মনে হয়, তাকে রিমান্ডে নিয়ে ধর্ম শেখানো হোক, জেলখানায় বসিয়ে 'আর রাহীকুল মাখতুম' পড়ানো হোক, জেলখানায় তাকে 'সীরাতে মোস্তফা' পড়তে দেওয়া হোক, জেলের মেয়াদ আরো বাড়িয়ে তাকে 'আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া' পড়তে দেওয়া হোক ! যতদিন পর্যন্ত না স্বীকার করবে যে, আসলেই সে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আজান দেওয়ার জন্যে অনুতপ্ত ততদিন তাকে জেলখানায় রাখা হোক !

দেশটা পাকিস্তান নয়, হিন্দুস্তানও নয় ! এই দেশে প্রতিটি হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-উপজাতি পাশপাশি বসবাস করবে, করতে হবে, এটাই বাংলাদেশ নামকরনের যথার্থতা, শুধু মুসলিমরাই এখানে বাস করবে এই চাওয়া অযৌক্তিক, সেটা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই প্রমান হয়েছে ! যদি দেশের 'প্রতিটি মানুষ' শুধু নিজেদের মুসলিম-মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করতো, তাহলে আমরা পাকিস্তানের সাথে থাকলেই পারতাম, ৩০ লক্ষ শহীদ-মা/বোনের ইজ্জতের দামে বাঙলাদেশকে আলাদা করে প্রতিষ্ঠিত করে অসাম্প্রদায়িকতার বীজ রোপন করতে হতো না !

পাহাড়ের সেই নওমুসলিমকে হত্যা যেমন মহাঅপরাধ, তেমনি চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উঠে অন্য ধর্মের প্রতি অসম্মান দেখিয়ে নিজ ধর্মকে শ্রেষ্ঠ প্রমান করতে যাওয়াও অপরাধ (যদিনা সেটা খাতামুন নবিয়্যিন, রাসুল (সঃ) এর দেখানো পথে না হয়) !

ঠিক একইভাবে অপরাধ হতো যদি কোনো মসজিদের সামনে কোনো হিন্দু ঢাক/ঢোল বাজিয়ে বাঙলাদেশে হিন্দুত্ব প্রচার করতে চাইতো ! একটা অপরাধকে আরেকটা অপরাধ দিয়ে জাস্টিফাই করতে যাইয়েন না, অমুক লোক বলেছে, অমুক হুজুর প্রতিবাদ করেছে...ব্লা ব্লা ব্লা এগলা না শুনে নিজে একটু নিজের ধর্মটা নিয়ে পড়ে দেখেন ! ইসলাম কি বলেছে সেটা খুলে দেখেন, তাহলে আর চন্দ্রনাথের 'স্বঘোষিত ঈমানী'কে সাপোর্ট করতে হবে না !
অনেকে এটার সাথে পাহাড়ের নওমুসলিম ফারুক হত্যাকে রিলেট করছেন ! একটা অন্যায়কে আরেকটা অন্যায় দিয়ে কমপেয়ার করাটা শুধু বোকামীই না, একটা অপরাধও ! নওমুসলিমকে খুন করে অবশ্যই অপরাধ হইসে কিন্তু চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আজান দিয়েও সে এমন কোনো ঈমানী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় নি, না হাদীস দ্বারা না কোরআন দ্বারা !

আজান দেওয়ার অনেক জায়গা এদেশে আছে, মুসলিম অধ্যুষিত যে কোন এলাকায় আপনি গিয়ে উচ্চস্বরে আজান দেন কেউ মানা করবে না, পুলিশেও ধরবে না কিন্তু আপনি চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আজান দিয়ে আজানকে অসম্মানই করেছেন, মুসলিমদেরকে খাটো করেছেন, ইসলামকে দুধাপ নিচে নামিয়েছেন !

চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আজান ইসলামের শিক্ষা না !

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪০

অধীতি বলেছেন: ওখানে নামাজ পড়ার স্বাধীনতা আছে, আজান দেয়ার স্বাধীনতা আছে তার মানে ওখানে এর কিছুই প্রয়োজন নেই। বলদে আকবারে দেশ ছেয়ে যাচ্ছে।

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৭

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: উনি আযান দিয়ে মহাপরাধা করে ফেলেছেন; তাকে জেলে ঢুকিয়ে প্যাদানী দিয়ে ধর্ম শিক্ষা করানোর দরকার এমন ডাক এসেছে। কিন্তু পাহাড়েই যখন কাউকে হত্যা করা হয়েছে; তখন হত্যার বিপক্ষে দূরে থাক, একটা দুঃখ প্রকাশের কোন পোষ্টও আসে নি!

কি আজব, তাই না?

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৩

কামাল১৮ বলেছেন: পশু পাখিদেরও আজান শুনার অধিকার আছে।

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওখানে আজান দিলে কি পাহাড়ের লোক জন সব মুসলমান হয়ে যাবে? উনি আজান দিলে তাই কোন সমস্যা দেখি না। উনি ওদের মুসলমান বানানোর জন্য আজান দেননি। নামাজের আগে আজান দিতে হয়। এটাই নিয়ম। তাই উনি দিয়েছেন। ধু ধু মরুভূমির মধ্যেও আজান দিয়ে নামাজ পড়া হয়। কারণ এটা আল্লাহর নির্দেশ। কাউকে মুসলমান বানানো আজান দেয়ার উদ্দেশ্য না। ভিন দেশে আজানের উপর নিষেধাজ্ঞা না থাকলে সেখানেও আজান দেয়া হয়। খুব কম দেশেই এটা নিয়ে সমস্যা হয়।

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৯

আমি নই বলেছেন: সমস্যা মনে করলেই সমস্যা। ওখানে আজান দিয়ে এমন কোনো মহাঅপরাধ করেনি।

৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:৩৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তরঃ অনুগ্রহ করে ইসলামের অপব্যাখ্যা করবেন না এবং বিভ্রান্তি মূলক কথাবার্তা বলে ইসলাম ধর্মকে হাস্যকর বানাবেন না। প্রথমত, এই দুই মাদ্রাসার নির্বোধ ছাত্র যে কাজটি করেছে তা শতভাগ অন্যায় - এটা স্বীকার করলে ইসলাম ধর্ম নষ্ট হয়ে যাবে না। নুন্যতম বুদ্ধিসম্পন্ন একজন মানুষ এখানে স্পষ্ট বুঝতে পারবে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আজান নামাজের উদ্দেশ্যে দেয়া হয় নি। এটা বুঝার জন্য সময় বা অন্য কিছু খোঁজার প্রয়োজন নেই। এই পোস্টের সাথে সংযুক্ত স্ক্রীন শটের দিকে তাকালেই বুঝা যাবে কোন উদ্দেশ্যে এখানে আজান দেয়া হয়েছে। মক্কা বা মদীনায় গিয়ে বা হযরত শাহজালাল রাঃ এর মাজারে গিয়ে যদি কোন হিন্দু বা অন্য কোন ধর্মের লোক যদি উলু ধ্বনি বা অন্য কোন ধর্মীয় আচার করে বলেন ঐ সকল স্থানে একদিন তাদের ধর্মের পতাকা উঠবে - যদি সেটাকে আপনি মেনে নেন বা যদি বলেন এতে আপনার ধর্মানুভুতির আহত বা নিহত হয় নাই তাহলে আর কোন কথা নাই। এখান থেকেই বিদায়।

আর যদি না মানেন, আপনার কুযুক্তি ও ধর্মের অপব্যাখ্যার জন্য আপনার উচিত অন্য ধর্মের লোকদের অনুভুতিতে আঘাত দেয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা। সৎ সাহস থাকলে এমনটাই হওয়া উচিত।

একাকী সালাতের জন্য আজান শর্ত নয়, এটা অবশ্য পালনীয় কোন কিছু না। ইসলাম ধর্ম এত কট্টর না যে অন্য ধর্মের প্রার্থনালয় গিয়ে আজান দিতে হবে। ভাগ্যভালো বহু বছর আগে ইসলাম প্রচার ও প্রসার হয়ে গিয়েছে। বর্তমান সময়ের মত এত কট্টর ধর্ম প্রান মুসলিম থাকলে ইসলামের প্রচার আর প্রসার হতো না। ইসলামের সৌন্দর্যই তো এরা বুঝে না।

কিছু মনে করবেন না, আপনার মন্তব্যটি পড়ে প্রচন্ড বিরক্ত হলাম।

৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ২:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অধীতি পার্ফেক্ট বলেছেন - বলদে আকবারে দেশ ছেয়ে যাচ্ছে।

৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪০

বিটপি বলেছেন: দুনিয়াতে এত জায়গা থাকতে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে ইসলামের পতাকা উড়ানোর এত দরকার পড়েছে কেন? ঐ লোকের বাবা মায়েরই তো ইসলামের শিক্ষা ভালোমত নাই - আগে তাদেরকে শিক্ষিত করতে হবে। আমার মনে হয় এই ঘোষণার সাথে তালিবানের সাম্প্রতিক উত্থানের কোন পরোক্ষ সম্পর্ক আছে।

৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:০১

এভো বলেছেন: সাড়ে চু্য়াত্তর সাহেব --- অন্য ধর্ম গুলিকে বাতিল, বিকৃত, মিথ্যা এই জাতীয় শব্দ ব্যবহার করে অবমাননা করেছে , অন্য ধর্মের মানুষের ধর্মানূভুতিতে আঘাত করেছে । সেগুলোর প্রতিবাদ করেছিলাম । তার পক্ষে ধর্মের অপব্যাখা অপপ্রচার করা কোন নতুন বিষয় নহে ।

১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ কাল্পনিক_ ভালোবাসা- আমি বিস্তারিত পড়ি নাই। তবে উনি যদি মন্দিরের ভিতরে আজান দিয়ে থাকেন তাহলে ঠিক করেন নাই। আর যদি পাহাড়ের উপর আজান দিয়ে থাকেন তাকে বাঁধা দেয়ার কিছু দেখি না। কারণ এটা একটা উন্মুক্ত জায়গা। পাহাড়ের মালিক নিষেধ না করলে অন্য কেউ নিষেধ করতে পারে না। এখানে চাইলে যে কেউ নামাজও পড়তে পারে। ভারত ও বাংলাদেশে বহু মসজিদ ও মন্দির আছে গায়ে গায়ে লাগানো। মসজিদে আজান হয়। এতে মন্দিরের লোকেরা বাঁধা দেয় না। পুরান ঢাকাতে অনেক মসজিদ মন্দির কাছাকাছি। পুজার সময় ঢাকের আওয়াজ মসজিদে যায়। নামাজের সময় ছাড়া মুসল্লিরা এতে বাঁধা দেন না। আজানের আওয়াজ মন্দিরে যায়। এগুলি কোন সমস্যা না। একটা উন্মুক্ত জায়গায় গিয়ে আমি আল্লাহু আকবর বললে বাঁধা দেয়ার কেউ নাই। তবে অন্য ধর্মের ধর্মশালার মধ্যে এই রকম করা যাবে না। আমার ধারণা পাহাড়টা একটা উন্মুক্ত জায়গা, যেখানে যাওয়া সবার জন্য উন্মুক্ত। তাই সেখানে নামাজ পড়া যাবে, প্রয়োজনে আজান দেয়া যাবে। যদি জায়গাটা ধর্মশালা না হয় এবং পাহাড়ের মালিকের যদি আপত্তি না থাকে অন্য কেউ আপত্তি করতে পারে না।

চার্চের মধ্যেও নামাজ পড়া যায় যদি তার মধ্যে মূর্তি না থাকে। যুগ যুগ ধরে হিন্দু মুসলমান পাশাপাশি শান্তিতে বাস করছে। আজান, পুজার ঢাক, উলুধ্বনি নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ তেমন হয় না। কিন্তু মানুষের সঙ্কীর্ণ চিন্তার জন্য অনেক দাঙ্গা হয়, যা কাম্য নয়।

ভারতে যারা তবলীগ করেন তারা হিন্দুদের তীর্থস্থানগুলিতে গিয়ে হিন্দুদের ইসলামের দিকে ডাকেন। এটা কোন দোষ না। কিছু সংখ্যক হিন্দু ইসলামের দিকে আসেও। ইসলামের দিকে দাওয়াত দেয়া অত্যন্ত দরকারি একটা জিনিস। আমাদের রসুল (সা) এই কাজ আজীবন করে গেছেন। ধর্মের দিকে দাওয়াত দেয়া কোন অন্যায় না। উনি আশা নিয়ে আজান দিয়েছেন হয়তো কেউ ইসলামের দিকে আসবে। তবে যদি ধর্মশালার ভিতরে দিয়ে থাকেন তাহলে ভিন্ন কথা। তবে যেখানে আজান দিয়েছেন ঐ জায়গার মালিক শুধু পারে বাঁধা দিতে। অন্যদের বলার কিছু থাকতে পারে না।

আবার বলছি খেয়াল রাখবেন চার্চেও নামাজ পড়া যায় যদি চার্চের লোকের আপত্তি না থাকে। উনি আজান দিয়েছেন পাহাড়ে উঠে, চাইলে নামাজও পড়তে পারতেন। এখানে আমি কোন অন্যায় দেখি না। তবে ধর্মশালার ভিতর আজান দেয়া যাবে না তাদের অনুমতি ছাড়া।

১১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ কাল্পনিক_ ভালোবাসা -
পাহাড়ের মালিক বাঁধা দিতে পারে, আর কেউ না। আমরা কেন লাফাচ্ছি। ধর্মের দাওয়াত দেয়া কোন অপরাধ না। ভারতে এই রকম দাওয়াত দেয়া হয় হিন্দুদের তীর্থস্থানগুলিতে গিয়ে। সামান্য সংখ্যক হিন্দু ইসলাম গ্রহণও করে। আপনি জানতে চাইলে কিছু ঘটনা আমি আপনাকে শোনাতে পারবো। হিন্দু পুরোহিত ভারতে মসজিদের ইমামের কাছে চলে এসেছেন ইসলাম সম্পর্কে জানতে এমন ঘটনাও আছে। আমি এই রকম ঘটনা জানি দেখেই বলছি। তারাও সঙ্কীর্ণ মনের না মুসলমানরাও সঙ্কীর্ণ মনের না।

ঐ এলাকায় আজান না হলে একাকি সালাত পড়তেও আজান দিতে হয়। তবে তা উত্তম কাজ কিন্তু বাধ্যতামুলক না। মরুভূমির মধ্যেও একাকি নামাজ পড়ার সময় আজান দেয়া উত্তম। আজান শুধু নামাজের জন্যই দেয়া হয় না। সে যদি উন্মুক্ত জায়গায় আজান দিয়ে নামাজ পড়ে তাহলে কারো কিছু বলার নাই। মনের আনন্দে যদি আজান দেয় তাতেও কারো কিছু বলার নাই। ঐ পাহাড়ের উপর একটা মসজিদও এক সময় হতে পারে। সেখানে আজানও দেয়া হতে পারে। আজানের আওয়াজ মানেই হিন্দুদের কাছে যন্ত্রণা এমন ভাবা ঠিক না। পুজার সময় হিন্দুদের ঢাকের আওয়াজ আমরা শুনি, বিরক্ত হই না। কয়েক বছর আগেও আমি একটা মন্দিরে পূজা দেখতে ঢুকেছিলাম লাইনে অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থাকার পর। এটা সহনশীলতার ব্যাপার। উভয় ধর্মের মধ্যে সহনশীলতা থাকতে হবে। সামান্য ঢাকের আওয়াজে ঈমান চলে গেলে মুশকিল। একইভাবে ভাববেন না যে হিন্দুদের বিশ্বাস আজান শুনলেই পরিবর্তন হয়ে যায়। উন্মুক্ত জায়গায় যে কেউ আজান দিতে পারে। ঐ পাহাড়ের মালিক বাঁধা না দিলে আমাদের লাফানোর কোন দরকার দেখি না।

ভারতে হিন্দুদের তীর্থস্থানগুলিতে অনেক মসজিদ আছে। ওখানে নিয়মিত আজান দেয়া হত। এখনকার খবর জানি না। যুক্তির দ্বারা যুদ্ধ করেন তারপর না হয় আমার উপর বিরক্ত হবেন। আমার কথা শোনার আগেই বিরক্ত হলে বুঝতে হবে আপনার ধৈর্য কম।

১২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৮

নতুন বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অধীতি পার্ফেক্ট বলেছেন - বলদে আকবারে দেশ ছেয়ে যাচ্ছে।


@ যারা এটাকে সহী কাজ বলে মনে করছেন।

উনি নিজে নামাজ পরুক তাতে কোন সমস্যা নাই সেটা নিয়ে কেউ কিছুই বলেনাই।

উনি ঐখানে আজান দিয়ে বলেছেন যে সেইখানে ইসলামের পতাকা উড়বে!!!

ঐখানে নামাজ পড়া নিষেধ না। এটা হিন্দুদের ধর্মীয় সম্পত্তি না। এখানে ইসলাম কায়েক করতে হবে এমনটা তাকে কোন দায়ীত্ব দেয় নাই।

এই গাছ আহাম্মকে জিঙ্গাসা করেন সে পারলে আমাদের সংসদ ভবনেও ইসলামের পতাকা উড়াতে চাইবে।

ফাইজলামির একটা সীমা থাকা উচিত।

১৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আজানদানকারী উল্লেখ করেছেন 'অতি শীঘ্রই সেখানে ইসলামের পতাকা উড়বে' - তার এই বক্তব্যের উদ্দেশ্য কি সেটা বুঝতে কারো আইকিউ অনেক বেশি হওয়ারও প্রয়োজন নেই। তিনি সেই পাহাড়ে ইসলামের বদলে অন্য আরেকটি ধর্মের অবস্থানকেই ইঙ্গিতে বুঝিয়েছেন যা পরিষ্কারই উস্কানিমূলক। বাবরি মসজিদের পবিত্রতা ক্ষুন্ন করার জন্য যেমন মোদী ও তার ষণ্ডাবাহিনী দায়ী, পাহাড়ের উপরের সনাতনধর্মীদের উপাসনালয়ের পবিত্রতা ক্ষুন্ন করার জন্য এই ষন্ডাটিও ঠিক একইভাবে দায়ী

১৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৭

নতুন বলেছেন: @সাচু ভাই:- যদি কোন হিন্দু ধর্মের মানুষ বাইতুল মোকারমের সামনে উলু দিয়ে বলে ঐখানে হিন্দু দের পতাকা উড়বে আপনি একই যুক্তি দিয়ে সেটাকে জায়েজ বলবেন?

যদি বলেন তবে আপনার কথা ঠিক আছে।

১৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রসুল (সা) যখন মক্কায় ছিলেন তখন সবচেয়ে বড় মন্দির কোনটা ছিল জানেন। ৩৬০ টি মূর্তিতে পূর্ণ কাবা ঘর। রসুল (সা) এখানে নিয়মিত যেতেন এবং কাফেরদের ইসলামের দিকে ডাকতেন। অনেক নির্যাতন উনি (সা) এই কারণে সহ্য করেছেন। এখনও বিশ্বের প্রতিটা কোণায় ইসলামের দাইরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যারা চার্চের ফাদারদের সাথে কথা বলেন, হিন্দু পুরোহিতদের সাথে কথা বলেন ধর্ম নিয়ে। যেন তারা ইসলামের দিকে আসে। ইসলামের দিকে দাওয়াত দেয়ার একটা দল অবশ্যই থাকতে হবে। এভাবেই হাদিসে এসেছে। যারা মানুষকে ইসলামের দিকে ডাকবে। বাবরি মশজিদ যারা নিজের হাটে ভেঙ্গেছে তাদের কয়েকজন ইসলাম গ্রহণ করেছে। বিস্তারিত জানতে চাইলে শেয়ার করা যাবে। মুসলমানের কাজ দাওয়াত দেয়া। দাওয়াত দিতে হলে বিধর্মীদের কাছে যেতে হবে। মুসলমান পাড়ায় দাওয়াত দিয়ে কোন লাভ নাই। খ্রিস্টান মিশনারিরা কয়েক শ বছর ধরে এই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের ধর্ম প্রচার করে যাচ্ছে। তাদের ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে এটাই স্বাভাবিক। আমরা মানি ইসলাম সঠিক গন্তব্যে আমাদের নিয়ে যাবে তাই আমাদেরও উচিত এই বাণী মানুষের কাছে শেয়ার করা। বিদায় হজে রসুল (সা) বলছেন যে আমার এই কথা তোমরা যারা শোনে নাই তাদের কাছে পৌঁছে দিবা। এভাবেই প্রচার চলছে। দাওয়াত কোন জোরাজোরি না। অত্যন্ত নরম ভাষায় দাওয়াত দেয়া হয়। কারো এতে আঘাত পাওয়ার কথা না। পৃথিবীতে প্রতিদিন বহু লোক এই দাওয়াতের কারণে ইসলামের দিকে আসছে। দাওয়াত দেয়া মুসলমানদের একটি দায়িত্ব। কাউকে না কাউকে এটা করতে হবে।

১৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৪

কলাবাগান১ বলেছেন: চার্চেও নামাজ পড়া যায় তবে কি মসজিদে চার্চ এর কাজ করা যাবে?

১৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নতুন ভাই - বাইতুল মকাররমের ভিতরে যদি সে বলতে চায় তাহলে ঐ কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। আর যদি বাইতুল মকাররমের বাইরে কেউ এই কথা বলে এবং তার জন্য যদি সে লাঞ্ছিত হয় তাহলে লাঞ্ছনাকারীদের বলতে হবে ধর্মীয় উগ্রবাদী। বাইতুল মকাররমের সামনের রাস্তা তো ওনারা কিনে নেন নি নিশ্চয়ই।

যে জায়গায় দাড়িয়ে সে আজান দিয়েছে সেটার মালিক তাকে বাঁধা দিতে পারে। আমি জানি না ঐ জায়গাটার মালিক কে।

১৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৩

এ আর ১৫ বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর সাহেব --- আজান কি অমুসলিম এলাকাতে কি দেওয়া উচিৎ --- এই বিষয়ে একটা লিখার লিংক দিচ্ছি --
Click kere

১৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কলাবাগান ১ - চার্চের ভিতর চার্চ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে নামাজ পড়া যায়। একই কথা মসজিদের ক্ষেত্রে। তবে ইসলাম ধর্মে এটা অনুমোদন দেবে না। প্রত্যেক ধর্মের নিজস্ব কিছু নিয়ম থাকে। চার্চ কর্তৃপক্ষও অনুমতি দিতে বাধ্য না। তবে রসুলের (সা) জমানায় চার্চের লোকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল মসজিদে। ইহুদি পণ্ডিতরা ধর্মীয় বিতর্কের জন্য মসজিদে নববিতে এসে রসুলের (সা) সাথে বিতর্ক করতেন। অনেক ধর্মই অনুদার না এই সব ব্যাপারে। রসুল (সা) ইহুদের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেছেন। অসুস্থ ইহুদিকে দেখতে গেছেন। ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা প্রয়োজন। উলু ধবনি, ঢাকের আওয়াজ শুনলেই ঈমান চলে যাবে না।

আমি এক পরিচিত হিন্দুর বাসায় গিয়েছিলাম। ওনার বাসার এক রুমে ছোট একটা মন্দির টাইপের আছে যেখানে মূর্তি রাখা ছিল। আমি ভিতরে ঢুকলাম। ঢোকার পর বললাম যে কোন সমস্যা নাই তো। সে বলল যে, কোন মূর্তি দয়া করে ধরবেন না। অন্য কোন সমস্যা নাই। ধর্মীয় সম্প্রীতি থাকতে হবে। সামান্য ব্যাপার নিয়ে হুলুস্থুল করা ঠিক না। ফেইসবুকে প্রচারের কারণে এইভাবে অনেক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হিন্দু ও বৌদ্ধদের মন্দির ভাঙ্গা হয়েছে। এগুলি উস্কানি মুলক। ঐ ইসলামের দাওয়াত গায়ের জোরের কোন ব্যাপার না। উনি আশা পোষণ করেছেন যে এই স্থানের মানুষ এক সময় ইসলাম গ্রহণ করবে। উনি কোন জোর জবরদস্তির কথা বলেন নাই। ইসলামের দাওয়াত দেয়া জরুরী। একটা দল অবশ্যই থাকতে হবে যারা মানুষকে ধর্মের দিকে ডাকবে। আমাদের রসুল (সা) সারাটা জীবন কাফের, ইহুদি, নাসারাদের দাওয়াত দিয়ে গিয়েছেন। তায়েফে ওনাকে রক্তাত্ত করা হয়েছে। ওনার রক্ত গড়িয়ে পায়ের কাছে জমাট বেধেছে। তারপরও উনি ওদের অভিশাপ দেননি। ফেরেশতা জিবরাঈল (আ) এসে বলেছেন যে আপনি বললে দুই পাহাড় সংকোচিত করে তায়েফবাসিকে ধ্বংস করে দেয়া হবে। উনি (সা) বলেছেন না। এদের মধ্যে থেকে, এদের বংশধরদের মধ্যে থেকে মুসলমান হতে পারে। এইভাবে নমনীয় ছিল ওনার দাওয়াত। ইসলামের দাওয়াত এখনও যারা দেন তারা অত্যন্ত নম্র ভাষা ব্যবহার করেন। গালি দিলেও ওনারা প্রতিবাদ করেন না। তাই আমি ঐ ব্যক্তির নিয়ত ভালো ছিল এইটাই আশা করি।

২০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫

গফুর ভাই বলেছেন: আর ভালো লাগে নাহ বোধহীন কর্মকান্ড

২১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @ সাড়ে চুয়াত্তর: আপনার সাথে এই বিষয়ে তর্ক করা বৃথা, কারনটি ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই।
ধন্যবাদ।

২২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মোনাজাত ও আজান নামাজের অংশ না ফরজ সুন্নত কোনটাই না। মোনাজাত ও আজান বাদেই নামাজ হবে ১০০% সহি।

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন - যে জায়গায় দাড়িয়ে আজান দিয়েছে তার মালিক তাকে বাঁধা দিতে পারে।

স্থানীয় বাসিন্দা সেই জায়গার মালিক। নতুবা খাস জমি, যার মালিক রাষ্ট্র।
স্থানীয় বাসিন্দা বা সরকার কখনো তার যায়গায় এধরনের ফাজলামি করার অনুমতি দিবে না।

২৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ কাল্পনিক ভালোবাসা- আপনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন আমাকে কথা বলার সুযোগ দেয়ার আগেই। এটা আপনার কাছে কাম্য না। কেউ অপরাধ করলে বা ভুল বললে তাকে তার অবস্থান পরিষ্কার করার সুযোগ না দিয়ে তাকে অভিযোগ করা ঠিক না। অন্যান্য সময় আপনি ব্যাখ্যা চান। আমার ক্ষেত্রে আপনি আমার দিকে অভিযোগ তুলেছেন। এখন আমার সাথে কথা বলতে চাচ্ছেন না। এটা আপনার দুর্বলতা বলে আমি মনে করি। পারলে আপনি তর্ক করেন। কিন্তু আপনি আমার সম্মান হানি আগেই করেছেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যেটা কাম্য না। আপনি কথা বলতে চান না এবং কারণ ব্যাখ্যাও করতে চান না। এটা স্বৈরাচারী মনভাবের মত। আপনার উচিত আমার কথার জবাব দেয়ার চেষ্টা করা। আপনি আমার সম্মানহানি কিন্তু করে ফেলেছেন। তাই আপনার উচিত ছিল আমি কিছু ভুল বললে সেটা নেই কথা বলা। কিন্তু আপনি বলতে চাচ্ছেন না।

২৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫২

নতুন বলেছেন: সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিয়েছে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে উসকানি মুলক কাজের জন্য।

২৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তরঃ আপনার কথা বলতে কোন মানা নেই। আপনি সারাদিন কথা বলেন, চন্দ্রনাথ পাহাড় গিয়ে আজানের স্বপক্ষে কথা বলে ইসলাম প্রচারে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখেন। সেটা আপনার নিতান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার।

কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনার সাথে এই বিষয়ে কোন আলাপ করতে চাই না। এমনটা নয় যে আমি ব্যক্তিগত জ্ঞান বা জানার অভাবে আপনার সাথে তর্কে যেতে চাইছি না। বিষয়টি হচ্ছে কুতর্ক আর বিতর্ক। আমি বিতর্ক করতে আগ্রহী, কুতর্কে নয়। পাশপাশি ধর্মের ব্যাপারে তালগাছবাদীদের আমি পছন্দ করি না।

আপনি বলেছেন, আপনাকে আমি সম্মানহানী করেছি। আমার মনে হয় না, আপনার কোন সম্মানহানী আমি করেছি। এই পোষ্টে অন্তত আপনি নিজেই যথেষ্ট। এখানে আমি বা অন্য কারো প্রয়োজন নেই। ইসলামকে বিতর্কিত করে এমন সব কর্মকান্ডের বৈধতা ব্যাখ্যা করার যোগ্যতা আপনার আরো বৃদ্ধি পাক।

আমার এই কমেন্ট ব্যক্তিগতভাবে একজন ব্লগার হিসাবে বললাম। ব্লগ টিমের সদস্য হিসাবে নয়।

২৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @নতুনঃ ভাই বলদে আকবার সম্প্রতি মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়েছে।

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা খুবই করুন। সকল সেক্টরেই অবস্থা খারাপ। মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কথা বলব না বা এই নিয়ে প্রশ্ন তুলব না। তাহলে সেই ক্ষেত্রে দেখা যাবে এটাও বৈধতা দানে নানা রকম আজগুবি ব্যাখ্যা শুরু হবে।

২৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ কাল্পনিক ভালোবাসা - এই বিষয়ে ইতিমধ্যে দুইটা দল হয়ে গেছে। পেপারে আসছে একদল গ্রেফতারের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আবার পেপারে প্রতিবাদও আসছে। ফেইসবুকেও হয়তো প্রতিবাদ হচ্ছে। আমি ফেসবুক ব্যবহার করি না, তাই জানি না। এই বিষয়টা আমরা এখন পর্যবেক্ষণ করি। আগেই কোন কথা আমি বলব না। আর সরকারের অনেক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও দেশে অনেক প্রতিবাদও হয়। তাই সরকারের সিদ্ধান্ত মানেই সঠিক এমন নাও হতে পারে। তবে ধর্মীয় সম্প্রীতির জন্য এবং অপর পক্ষকে ঠাণ্ডা করার জন্য হয়তো গ্রেফতার করা হয়েছে। আর পুরো বিষয় নির্ভর করে কি উদ্দেশ্যে ওরা এই কাজ করেছে। এটা জানার জন্য আমাদের দেরি করতে হবে। সঠিক কথা হয়তো আমরা জানতেও পারবো না। ফেইসবুকে অনেক তুচ্ছ বিষয়কে বাড়িয়ে বলা হয় এবং দুর্ঘটনা ঘটে। তবে আমি যেহেতু ওদের উদ্দেশ্য জানি না তাই ওদের ব্যাপারে পরিষ্কার কিছু বলা ঠিক হবে না। আমি যা বলেছি সাধারণভাবে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে। প্রত্যেকটা কেস আলাদা। ওদের কেসও আমাদের আলাদাভাবে বুঝতে হবে। এটা বোঝার পর্যাপ্ত তথ্য আমাদের কাছে এই মুহূর্তে নাই। তাই দেখি সঠিক বিচার হয় কি না। ওরা খারাপ উদ্দেশ্যে করেছে প্রমাণিত হলে ওদের কাজের সমর্থন আমি করি না। কিন্তু সরল মনে করে থাকলে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোন ভুল মনে হয় হয় নাই। ফেসবুকে ভাইরালের কারণে এমনটা ঘটেছে। তাৎক্ষনিকভাবে ওখানে কোন সমস্যা হয় নাই। সমস্যা সৃষ্টি করেছে ফেইসবুক ভাইরাল। সব কিছু নিয়তের উপর নির্ভর করে। ওদের নিয়ত কি ছিল আমি জানি না। খারাপ কিছু থাকলে সেটা আমি সমর্থন করি না।

অভিযোগ করে যান সমস্যা নাই। আপনি আমাকে বুঝতে পারছেন না। এটাই সমস্যা।

২৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৭

নতুন বলেছেন: আর পুরো বিষয় নির্ভর করে কি উদ্দেশ্যে ওরা এই কাজ করেছে। এটা জানার জন্য আমাদের দেরি করতে হবে। সঠিক কথা হয়তো আমরা জানতেও পারবো না। ফেইসবুকে অনেক তুচ্ছ বিষয়কে বাড়িয়ে বলা হয় এবং দুর্ঘটনা ঘটে। তবে আমি যেহেতু ওদের উদ্দেশ্য জানি না তাই ওদের ব্যাপারে পরিষ্কার কিছু বলা ঠিক হবে না। আমি যা বলেছি সাধারণভাবে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে।

@সাচু ভাই:- যে এই কাজটি করেছে তার উদ্দেশ্য আপনি কেন বুঝতে পারছেন না সেটা আমিও বুঝতে পারছিনা :|

উনি নিজে নামাজ আদায় করুক তার জন্য আজান দিক তাতে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু উনি বলেছেন যে যদি আল্লাহ চায় তবে অতি শীগ্রহী ঐখানে ইসলামের পতাকা উড়বে।

একটা অন্য র্ধমের পবিত্র স্থানে দাড়িয়ে আজান দিয়ে ভিডিও করে প্রচার করা যে আল্লাহ চাইলে সেখানে ইসলামের পতাকা উড়বে এটা কি উসকানি নয় কি?

এটা ছাত্রভাইদের কাজে অনুপ্রানিত হয়ে ও করতে পারে।

""" Mizanur Rahman Azhari
15 August at 18:07 ·
পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে আমাদের ভাইদের বিজয় মানে আমাদেরই বিজয়। কারণ— আমরা এক দেহ, এক প্রাণ।
ছাত্রভাইদের স্বাগতম। তাদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হোক।
দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা এবং উন্নয়ন অব্যাহত রাখাই হবে এখন তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দূরদর্শীতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে। আল্লাহ তা’আলা তাদের সহায় হোন।"""

২৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নতুন ভাই - যারা ইসলামে দাওয়াতের কাজ করে তারা সব সময় আশা করে যে বিধর্মীরা ইসলামের দিকে আসবে। দাওয়াত খুব বিনয়ের সাথে দেয়া হয়। ওরা হয়তো ভালো নিয়তে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছে যে এই স্থানে যারা আসে তারাও ইসলামে দিক্ষিত হবে। উসকানির উদ্দেশ্যে হয়তো বলেনি। ফেইসবুক ভাইরালের কারণ সামান্য বিষয় অনেক জটিল হয়ে যায় অনেক সময়। তবে আমি ওদের কি উদ্দেশ্য ছিল এটা জানি না। মানুষ ভালো উদ্দেশ্যে সরল মনেও তো বলতে পারে। তাদের খারাপ কিছু নিয়ত থাকলে তারা আল্লাহর কথা বলতো না। আল্লাহ চাইলে মানে ইনশাল্লাহ। আল্লাহ তো শান্তির মাধ্যমেও ঐ খানে যারা আসে তাদের ইসলামের দিকে আনতে পারেন। বহু বিধর্মী দাইইদের হাতেই মুসলমান হচ্ছে। এই দেশে কি জোর করে কি কাউকে মুসলমান বানানো হয়? তাদের খারাপ নিয়ত থাকলে তারা একজোট হয়ে এই কাজ করতো। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ওখানে একজন বা দুইজন গিয়েছিল। কাজেই খারাপটাই কেন আমরা আগে ভাবি। ভাইরালের কারণে অনেক তথ্য বিকৃত হওয়ার সম্ভবনা আছে। প্রতিদিন দাওয়াতের লোকের হাতে বহু লোক ইসলামে আসে সারা বিশ্বে। কাজেই আমরা ভালোটা ভাবি, খারাপটা না। ইসলামে অনেক জঙ্গি যেমন আছে তেমনি অনেক সরল মনের দাওয়াতি লোক আছে। জঙ্গিরা সদলবলে হুমকি দেয় রাখঢাক না করে। দাওয়াতিরা কখনও কাউকে হুমকি দেয় না। তবে আশা করে যে সারা পৃথিবীতে ইসলামের আবাদ হবে এবং তারা ইনশাল্লাহ বলে। অর্থাৎ আল্লাহ চাইলে। আপনি মধ্যপ্রাচ্চে আছেন আরবি আরও ভালো বুঝবেন।

৩০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮

রানার ব্লগ বলেছেন: য়ামার বড়ই হাসি পায় ১৪০০ বছর আগে যে ধর্ম প্রতিষ্ঠা পেয়েছে সেই ধর্মকে আজো প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ মারতে হয়, জায়গা বেজায়গায় গিয়ে আজান দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ পড়তে হয়, ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য একতা দেশ কে ধ্বংসের কিনারে নিয়ে যেতে হয় কি আজব রে ভাই।

আসলে ওই দুই যুবকের দোষ নাই এরা ওখানে কোন নামাজের জন্য আজান দিতে যায় নাই তারা গিয়েছিলো একটা ইস্যু বানাতে এবং তাদের পাঠানো হয়েছে। অধীতি ঠিকি বলেছেন বলদে আকবরে দেশ ছেয়ে গেছে এদের দিয়ে যা খুশি করানো বড্ড সহজ।

৩১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ভাই আপনি বলছেন ওদের উদ্দেশ্যে কি সেটা জানা নেই। জানতে হলে দেরি করতে হবে। কিন্তু আপনি দেরি না করেই ধর্মীয় মনোভাব থেকে তাদের পক্ষ নিয়ে নিলেন কেনো? আপনার আরো অপেক্ষা করে মন্তব্যে করাটাই কি যুক্তিযুক্ত হতো না!

৩২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: যদি তারা সরল মনেও করে থাকে, এখন এদের এই পোস্টের কারনে যদি দাঁঙ্গা লেগে যেতো বা এখন এদের গ্রেফতারের কারনে লেগে যায় তাহলেও কি এদের দোষ দিবেন না! নাকি তাদের বীর উপাদি দিবেন? আর এটা কমন সেন্সর ব্যাপার যে এরা নামাজের জন্য আজান দেয়নি, ওরা বলেছে আলহামদুলিল্লাহ পাহাড়ের উপর উঠে আজান দিলাম। নামাজ পড়ার জন্য পাহাড়ের উপর উঠার কি দরকার? সেখানে কি কোনো সমতল জায়গা নেই নামাজ পড়ার জন্য!

৩৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নুর আলম হিরণ - জি আমি আরও অপেক্ষা করলেই ভালো করতাম। আমার কাছে মনে হয়েছে এগুলি ছোট ব্যাপারকে বড় করার চেষ্টা। ফেইসবুকে না দিলে এত কিছু হতো না। ফেইসবুকে কোন খবর গেলে সেটার আসল রুপ অনেক সময় আর খুঁজে পাওয়া যায় না। যাই হোক যে কোন কাজের ভালো মন্দ নির্ভর করে মানুষের নিয়তের উপর। নিয়ত খারাপ থাকলে তারা শাস্তি পাবে।

৩৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

এ আর ১৫ বলেছেন: চন্দ্রণাথ পাহাড়ের চূড়ায় উঠে আজান দিলাম ।
আলহামদুলিল্লাহ।
ইনশাআল্লাহ অতিশীঘ্রই সেখানে ইসলামের পতাকা উড়বে ।


এই বক্তব্যে মধ্যে প্রকাশ্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে । গোটা দেশের ভিতরেই ইসলামের পতাকা উড়ছে, সেখানে ছোট্ট একটা পাহাড় যেটা হিন্দুদের পবিত্র স্থান, সেখানে কি জন্য ইসলামের পতাকা উড়বে ?
এখানে উদ্দেশ্য পরিষ্কার , এটা বোঝার জন্য বড় পন্ডিত হতে হয় না । যে কোন জায়গায় যে কোন কাজ ইচ্ছে মত করা যায় না । ঐ পাহাড়ে যদি কেহ গরু জবাই করতে চায় , সেটা কি দন্ডনিয় অপরাধ নহে ?
আজানের দ্বিতীয় বাক্যটা নিয়ে ভারতে অনেক হিন্দু পন্ডিত ধর্ম গুরুরা অভিযোগ করেছে , তারা বলছে এই বাক্যে তাদের দেব দেবিদেরকে অপমান করা হচ্ছে ।
যেখানে বলা হচ্ছে আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ বা উপাস্য নেই অতচ হিন্দুদের ৩৩ কোটি উপাস্য আছে এবং এই
উপাস্যদের অপমান করা হচ্ছে এই বাক্যটা দিয়ে ।
এক ধর্মের কোন রিচুয়াল অন্য ধর্মের জন্য অবমাননার কারন হতে পারে ।
কিছু দিন আগে ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার নাসিরাবাদে -- আকবর নামে একজন বিএনপি নেতা একজন অশিক্ষিত হিন্দু জেলে রস রাজের নামে ফেসবুকে একটা ফেক পেজ খুলে ,ঐ পেজ থেকে একটা ছবি পেস্ট করে যেখানে দেখা যায় যে হিন্দুদের দেবতা শিব কাবা শরিফের উপর বসে আছে । তখন সত্য মিথ্যা যাচাই না করে গোটা হিন্দু গ্রামকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয় ,একটা ভূয়া অভিযোগের ভিত্তিতে ।
হিন্দুদের ধর্মীয় স্থানে গিয়ে গরু জবাই করা যেমন অপরাধ , ঠিক তেমন অন্য ধর্মের রিচুয়াল করা তেমনি অপরাধ ।
গোটা বাংলাদেশটাই মুসলমানদের দখলে , সেখানে একটা হিন্দুদের তীর্থ স্থানে কেন মুসলমানদের দখল করতে হবে পতাকা উড়িয়ে ।
ইসলামের দাওয়াত দিতে হলে অন্য ধর্মের মন্দিরে বা পবিত্র স্থানে গিয়ে আজান দিতে হবে এবং এই আজান শুনে সবাই মুসলমান হয়ে যাবে , এমন কিছু যারা মনে করে তারা মূর্খের রাজ্যে বাস করে ।

৩৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১১

নতুন বলেছেন: পঞ্চগড়ের বাসিন্দা বলেছেন: চিহ্নিত কিছু নিকের পচ্চাদ্দেশে আগুন ধরে গেছে, অবিলম্বে প্রতিবাদের এই সুর শাহবাগের মোরে গিয়ে তিব্র আন্দোলনে রুপান্তর করা উচিত, যদিও তাদের বিরিয়ানির প্যাকেট পাবার ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই

ধর্ম আপনাকে খুবই সুন্দর ভাষা ব্যবহার করতে শিখিয়েছে দেখতেছি /:)

৩৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ কাল্পনিক_ ভালোবাসা - আপনি কখন ব্লগার হিসাবে বলেন আর কখন মডু হিসাবে বলেন সেটা বোঝা যায় না। তাই আপনার মন্তব্যের শুরুতেই আপনার সব সময় উল্লেখ করা উচিত আপনি কোন পক্ষ নিয়ে বলছেন। মডু ব্লগিং করলে স্বার্থের সঙ্ঘাত ঘটে। আপনার উচিত বেনামে ব্লগিং করা। এটা আমার ধারণা। আপনার ভিন্ন মত থাকতে পারে। আমার কাছে মনে হয়েছে অনেক সময় আপনি প্রথমে কড়া ভাষায় মডুর মতো বলেন পরে আবার বলেন যে আমি ব্লগার হিসাবে বলছি। এগুলি আমার ধারণা বা পরামর্শ, ভিন্ন মত থাকতেই পারে। ব্লগার হিসাবে বললে যা বলবেন তার পিছনে যুক্তি দিতে হবে। তা না হলে সেটা চাঁদগাজীর মতো বলা হয় যে অল রাবিশ। কেন রাবিশ উনি জীবনে কখনও বলবেন না। আশা করি আমি কি বলছি বুঝতে পারছেন।

৩৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্ম প্রতিষ্ঠা হয়েছে অন্য ধর্মের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে।মক্কায় তের বছরে একশ লোকও মুসলমান হয়নাই।কারন মক্কায় জোর খাটানোর পরিবেশ ছিল না,মদিনায় গিয়ে তালোয়ার হাতে নিয়ে দশ বছরে কয়েক হাজার গুন বেশি লোক মুসলমান হয়ে গেলো।এটা তলোয়ারের গুন।

৩৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২

এ আর ১৫ বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর সাহেব --- আপনি খুবই নেক্কারজনক কাজ করেছেন এবং বিটপির মত মোল্লা পন্থি ব্লগারের মন্তব্য আপনার বিপক্ষে গেছে --- ঐ লোক একটা খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে ঐখানে আজান দিয়েছে এবং সেই স্কিন সটের মধ্যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে চন্দ্রণাথ পাহাড়ে ইসলামের পতাকা উড়াতে ---- সেই কর্মটাকে জাস্টিফাই করতে চেয়েছেন ।
আপনার নাকি সাইন্সে পন্ডিতি আছে , এত শিক্ষা থাকার পর কাটমোল্লা আচরন বিস্ময়কর ।

আপনারতো হয় মাপ চাওয়া উচিৎ ছিল অথবা চুপ থাকা উচিৎ ছিল কিন্তু-বড় বেশি লাউড ব্যবহার করছেন এখানে ,, অনেকটা চোরের মায়ে বড় গলার মত ।
যেখানে গোটা দেশটা মুসলমানদের সেখানে চিলতি একটা জমি তে ইসলামের নিশান উড়ানোর জন্য আজান দেওয়াকে সমর্থনকারি মানুষকে মানবিক মানুষ বলা যায় না ।
কয়েক দিন আগে একজন হিন্দু ব্যক্তির লাশ স্মশানে নিয়ে যাওয়ার সময়ে একটা মসজিদের সমানে দিয়ে লাশ বহন করে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের উপর আক্রমণ করা হয় যদিও সরকারি রাস্তা ।
আপনার আসল চেহারা আজকে আবার প্রকাশ পেল ।
আমাদের দেশে দেখা যায় কোন একটা সরকারি বা অমিমাংসিত জমি দখলের জন্য প্রথমে ওখানে মসজিদ বানান হয় আজান দেওয়া হয় ,
যে লোক আজকে আজান দিয়েছে , সেই লোক আগামি কাল ওখানে এসে ফাকা জমিতে মসজিদ বানিয়ে ইসলামি নিশান উড়াবেন --- আর আপনার মত লোকজান আছে মারহাবা মারহাবা করবেন , সেটা তো আমরা জানি ।
তাই একটা কথা আবার বলতে চাই --- বলদে আকবরে দেশ তো ভরে গেছেই -- ব্লগের ভিতরেও তাদের প্রজাতিদের দেখা যায় ।
বলদে আকবর !!!

৩৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তরঃ আপনার সাথে ভাই আমি কোন আলোচনায় যেতে চাইছি না এই পোস্টে। আপনি যা বলেছেন, ব্যাখ্যা দিয়েছেন সব সঠিক। ধন্যবাদ।

৪০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১০

নতুন বলেছেন: বিটপি বলেছেন: দুনিয়াতে এত জায়গা থাকতে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে ইসলামের পতাকা উড়ানোর এত দরকার পড়েছে কেন? ঐ লোকের বাবা মায়েরই তো ইসলামের শিক্ষা ভালোমত নাই - আগে তাদেরকে শিক্ষিত করতে হবে। আমার মনে হয় এই ঘোষণার সাথে তালিবানের সাম্প্রতিক উত্থানের কোন পরোক্ষ সম্পর্ক আছে


এরা এটা ছাত্রভাইদের কাজে অনুপ্রানিত হয়ে ও করতে পারে।

আমাদের দেশে বলদে আকবরেরা কোথায় পতাকা উড়ানো যায় সেটা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে।

""" Mizanur Rahman Azhari
15 August at 18:07 ·
পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে আমাদের ভাইদের বিজয় মানে আমাদেরই বিজয়। কারণ— আমরা এক দেহ, এক প্রাণ।
ছাত্রভাইদের স্বাগতম। তাদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হোক।
দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা এবং উন্নয়ন অব্যাহত রাখাই হবে এখন তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দূরদর্শীতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে। আল্লাহ তা’আলা তাদের সহায় হোন।"""

৪১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: এই ব্লগে এত হিন্দু?? জানা ছিল না। ৯৯% মুসলমানের দেশে আজান দিবে না তো কি দিবে?? ৭১-৭২ বইল্যা অনেকে কান্তাছে দেখছি। সবাই মিলে দেশ স্বাধীন করছে তো কি হইছে? তাতে কি ইসলাম মিথ্যা হয়ে যায়?? মুমিনদের একমাত্র কাজ ইসলাম কায়েম করার জন্য কেয়মত পর্যন্ত জিহাদ করা। যে কয় পারসেন্ট হিন্দু এখনো বাংলাদেশে আছে, তাদের বোঝা উচিত সত্য ধর্ম কোনটা? ইসলামের ছায়াতলেই বিশ্বশান্তি।

৪২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪

নতুন বলেছেন: অগ্নিবেশ বলেছেন: এই ব্লগে এত হিন্দু?? জানা ছিল না। ৯৯% মুসলমানের দেশে আজান দিবে না তো কি দিবে??

উপরে যারা কমেন্ট করেছেন তারা কেউই বলেন নাই যে আজান দেওয়া যাবেনা। যেই বলদে আকবার এই কাজটা করেছে তার উদ্দেশ উসকানি এবং নিজের প্রচারনা মাত্র। সেটা মুমিন রা বুঝতে পারছেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.