নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য খুজি

মাহমুদ ইউছুফী

ছাত্র হিযবুল্লাহর কর্মি

মাহমুদ ইউছুফী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নামাজ নিয়েও ভ্রান্তি?!!!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২১





নামাযে হাত বাধা নিয়ে আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানি (আফাল্লাহু আনহু) এর মিথ্যচার ও হ্বকের আদালতে গ্রেফতার:-
তিনি তার "ইরওয়াউল গালীল" নামক ফেৎনা সৃষ্টিকারি কিতাব যা মাকতাবাতুল ইসলামী, বৈরুত, লেবানন থেকে ১ম প্রকাশিত হয় ১৪০৫ হি. এর ২য় খন্ড ৭১পৃষ্ঠায় বলেন,
وأسعد الناس بهذ السنة الصيحة الإمام إسحاق بن راهوية، فقد ذكر المروزي في "المسائل" (ص ٢٢٢) : "كان إسحاق يوتر بنا ... ويرفع يديه في القنوت ويقنت قبل الركوع، ويضع يديه علي ثدييه، أو تحت الثديين".

অর্থাৎ, "এ সহিহ সুন্নাতটির (মানে নামাযে বুকের উপর হাত বাঁধা) বিষয়ে মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ইমাম ইসহাক ইবনে রাহাওয়াইহি। মারওয়াযী তাঁর মাসাইল গ্রন্থের ২২২ পৃষ্ঠায় লিখেছেন: "ইসহাক আমাদের নিয়ে বিতির পড়তেন।.... তিনি কুনূতের মধ্যে হস্তদ্বঢ তাঁর স্তনদ্বয়ের উপর অথবা স্নদ্বয়ের নিচে রাখতেন।"
আলবানীর বক্তব্য থেকে যাহা বুঝলাম:-

১ম কথা হলো তিনি বুকের উপর হাত বাঁধার মতের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে শুধু একক ইসহাক ইবনে রাহাওয়াইহি রহিমাহুল্লাহ কেই পেয়েছেন। না হলে তাকেই সৌভাগ্যবান বলতেন না। অথচ সাহাবা ও তাবয়েয়ী এবং তাবে তাবেয়ীগণের এক বিশাল জামাত ও ইমামদের সবার আমল ও মত এর বিরুদ্ধে।

২য় কথা হলো ইমাম রাহাওয়াইহি রহিমাহুল্লাহ এ আমল করতেন বলে ইমাম মারওয়াযী রহিমাহুল্লাহ'র কিতাবের দলিল দিয়েছেন, অথচ আমরা অনুসন্ধান করে তার কিতাবে এমন কোন কথা খুজে পাইনি। আলবানী যা উল্লেখ করেছেন তাও শুধু বিতির নামাযের বিষয়ে। বুঝতে পারলাম যা আলবানীর নিজস্ব খেয়ানতি।

অথচ, ইমাম রাহাওয়াইহি রহিমাহুল্লাহ (ওফাত.২৩৮ হি.) নাভির নিচে হাত বাঁধতেন বলে ইমাম নববী (ওফাত. ৬৭৬ হি.) এবং ইমাম মুনযির রহিমাহুলবারি (ওফাত. ৩১৯ হি.) তাদের কিতাবে বলেছেন। দেখুন ইমাম নববী রহিমাহুলবারির "শরহে সহীহ মুসলীম, ৪/১১৪পৃ:।

৩. এই মিথ্যাচার যদি সত্যও ধরি তথাপিও শায়েখ আলবানি বাঁচতে পারেন না কারন তিনি যে দলিল উপস্থাপ করেছেন তা কিন্তু শুধু বুকের উপর হাত বাঁধার নয় বরং বিতিরের নামাযে দুয়ায়ে কুনুত পড়ার সময় কখন এবং কোন অবস্থায় তাও এখানে বলে দেয়া। যদি এ দলিল থেকে হাত বাঁধার ব্যাপারটি নেওয়া হয় তবে ফেৎনাবাজ শায়েখের উচিৎ ছিল এটাও বুঝা যে এখানে কুনুতে হাত বাঁধার কথাও আছে অথচ আলবানীর কথা হল কুনুতে হাত বাঁধা নয় হাত উঠিয়ে দোয়া করা সুন্নাহ

৪র্থত সর্বশেষ কথা হোল এখানে কুনূত পড়ার সময় হাত যেহেতু বাঁধার কথা বলেছে তাহলে তা নিশ্চই রুকুর আগেই হবে। অথচ শায়েখ আলবানির কথা হোল রুকুর পরে কুনুত পড়তে হবে।

দেখুন ভাইয়েরা আল্লামা শায়েখ আলবানির জালিয়াতি।
আল্লাহ তায়ালা এমন বিদআ'তি শায়েখ থেকে ও তাদের বস্তা পঁচা তাহকিক থেকে আমাদের হেফজত করুক।
আর যদি এই শায়েখ না জেনে এমন ভুল করে থাকে তাহলে আল্লাহ তায়ালার কাছে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্টের বিষয় ভাল। পড়ে দেখতে হবে।

পোস্টদাতাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.