![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আইনস্টাইনের বিখ্যাত ভরশক্তি সুত্রের কথা কে না জানে। E=mc^2 এটাই সেই সুত্র। সুত্রটির দিকে লক্ষ করুন। বামে আছে E যা শক্তির প্রকাশ রুপ। আর ডানের m দ্বারা ভর এবং c দ্বারা আলোর বেগ বুঝায়।। তাহলে সুত্রানুসারে শক্তি হচ্ছে ভরের সমানুপাতিক। কারন আলোর বেগ নির্দিষ্ট। এর মানে হল ভর যত বাড়বে শক্তি ততই বৃদ্ধি পাবে। বিপরীতক্রমে শক্তি বৃদ্ধি পেলে ভরও বাড়বে। পাঠক লক্ষ করুনতো এখানে ভর ও শক্তি নিত্য কিনা। এক কেজি ভর ৭.৮৪*১০^১৬ জুল শক্তিতে পরিনত হয়। তাহলে দেখা গেল ভর শক্তিতে পরিনত হয়। এটা কিন্ত শক্তির রুপান্তর নয়। কারন ভর শক্তির কোন রুপ নয়। এখান থেকে দেখা গেল শক্তি সৃষ্টি হতে পারে ভর থেকে।। তাহলে কি শক্তির নিত্যতা অপরিবর্তিত থাকল?? না থাকেনি। আসলে বিজ্ঞানীদের মধ্যে একটা ভুল ধারনা প্রচলিত ছিল। আর তা হল ভরের নিত্যতা এবং শক্তির নিত্যতা। তবে আধুনিক বিজ্ঞান আমাদের এই নিত্যতা সুত্র সম্পর্কে অবহিত করছে এবং বলছে এটা সত্য নয়। অর্থাৎ ভর ও শক্তি অপরিবর্তনীয় নয়। এর সৃষ্টি হতে পারে। ভর থেকে সৃষ্টি হতে পারে শক্তির আবার শক্তি থেকে সৃষ্টি হতে পারে ভরের। Big Bang এর পূর্বে কি ছিল এমন ব্যাখায় কোয়ান্টাম ফিজিক্স ব্যবহার করে কিছু কিছু বিজ্ঞানী নতুন এক তত্ত্ব এনেছেন। তাদের মতে Big Bang এর পূর্বে যে শুন্যতা ছিল তা হল আপাত শুন্য। অর্থাৎ প্রকৃত শুন্য নয়। এখানে আপাত শূন্যকে ভ্যাকুয়াম শুন্যতা কিংবা কোয়ান্টাম ভ্যাকুয়াম বলা হয়। এই তত্ত্বানুসারে কোয়ান্টাম ভ্যাকুয়ামে নিহিত কিছু শক্তি ভরে পরিনত হয়। এখানেও শক্তির নিত্যতার ব্যাত্যায় ঘটছে। তাহলে শক্তির নিত্যতা কি সঠিক নয়?? মহাবিশ্বের মোট শক্তি যে অপরিবর্তনীয় এবং তার মোট পরিমান শুন্য__ এই তথ্য কি সত্য নয়?? সঠিক উত্তর হল, তা সত্য নয়। কারন হচ্ছে এই দুই তত্ত্ব, আপেক্ষিকতা ও কোয়ান্টাম শুন্যতা শক্তির নিত্যতা সুত্রকে ফেলে দিয়েছে চরম বিপর্যয়ের মুখে। আপাত শুন্যে কিভাবে শক্তি এল তার ব্যাখা দিতে পারেনি বিজ্ঞানীগন। কারন বিজ্ঞানীদের এক্ষেত্রে হাত পা বেধে রেখেছে হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা সুত্র। এ সুত্রমতে কোনবস্তুর ভরবেগ একত্রে নির্ণয় অসম্ভব। আর তাই আপাত শুন্যে কোন শক্তি বা ভরের motion শনাক্ত অসম্ভব। আর এজন্যই কেউ কেউ প্রস্তাব করেছেন এক অদৃশ্য শক্তির কথা। মুলত বিজ্ঞানীরা যাকে শক্তি বলেছেন ধার্মিকেরা তাকেই অদৃশ্য সত্তা বলে থাকে। এই অদৃশ্য শক্তি বা throw ton পাওয়ার যে বাস্তব জ্ঞানলব্ধ নয়-দশটি শক্তির রুপ নয় তা প্রায় সকলেই আন্দাজ করতে পেরেছেন। বাস্তব নয়টি রুপের মাত্রা না থাকলেও অনুভুতিটা আসে। যেমনঃ সুর্যের আলো না দেখলেও তাকে আমরা আলোক শক্তি বলি। সেই আলো গায়ে পরে গরম হলে তাকে আমরা তাপ শক্তি বলি। এখানে কিন্ত শক্তির ভর নেই, তার মাত্রাও নেই। তবে একটা অনুভুতি আছে মাত্র। এই অনুভুতিটা সঠিকভাবে আমরা প্রকাশও করতে পারিনা। কিন্ত throw ton power এই শক্তি থেকে আলাদা। তা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয়, তার অনুভুতিও আমরা জানিনা। সেই শক্তি বা সত্তার সঠিক অবস্থানও জানিনা। বরং এটুকু জানি এই শক্তির রুপগুলা সৃষ্টি করেছে সেই সত্তা। আর তিনিই আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুবহানুতায়ালা। বিজ্ঞান যে যায়গায় সীমাবদ্ধ ধর্ম সেখানেও পৌছে গেছে। এজন্যই বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্ব ব্যাখায় আপাত শুন্য কিংবা বিগ ব্যাং এর পূর্বাবস্থার সঠিক ব্যাখা না দিতে পেরে দ্বারস্থ হয়েছে এক অদৃশ্য সত্তা বা শক্তির পাওয়ার এর উপর।
©somewhere in net ltd.