নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখি সবকিছিই স্বপ্নিল হবে।আমার ফেবু আইডি নাসির উদ্দীন বাকী

অর্কিড নীহারিকা

Nasir Uddin Baki

অর্কিড নীহারিকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হঠাৎ দেখা

১৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখ ।দিনটি ছিল
বৃহস্পতিবার। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে।
আবছা অন্ধকারে ছেয়ে যাচ্ছে দূর
গায়ের লোকালয়।।শহরের নিয়ন
বাতিগুলো জানিয়ে দিচ্ছে রাতের
আগমন। বাংলা একাডেমীরর
অপোজিটে সোহরোয়ার্দী উদ্যানের
গেইট দিয়ে ভিতরে ঢুকে হেটে হেটে
বইমেলার গেইটের দিকে যাচ্ছি।


বইমেলায় ঢুকেই তো আমি পুরা থ।
এ কি দেখছি আমি?
আমার সামনে বিশাল সাইজের একটা
বইয়ের উপর আরেকটা বই এমনভাবে
সাজিয়ে রাখা হয়েছে যেন একটা
ভাস্কর্য ।দেখে খুব ভাল লাগল।ভাবলাম
ঐখান গিয়া
একটা পিক তুলি।আমার আগেই একটি
তরুণী এসে সেল্ফি তুলতেছে।তরুণীর
চুলের কাটিংটা ছিল বব কাটিং
স্টাইল যার জন্য আবছা আলোতে তাকে
সুন্দর দেখাচ্ছিল। আমি সামনে এগুতেই
মনে হল আমি মেয়েটাকে চিনি।
দেখেছি কোথাও হয়তো?
অবশ্য সুন্দরী মেয়ে দেখলেই আমার
পরিচিত
পরিচিত মনে হয়।
এমনটা ভাবতেই দেখি মেয়েটাও
আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
কি অদ্ভুত?
তবে কি মেয়েটাও আমাকে চিনে?


যাইহোক সামনে এগুতেই মেয়েটা বলল,
ইউ?
UCC কোচিং সেন্টার। মোহাম্মদপুর।
নামটা যেন কি?
আমি বললাম, বাকী।
মেয়েটা হাতে তুরি বাজিয়ে
বলল,ইয়েস বাকী।
আমি লাবণী। মনে পড়েছে।আমি
বললাম হুম।মনে পড়েছে।
-তো কেমন আছ?
-আমি ,ভাল আছি।তুমি?
-আমিও ভালই আছি?
-এখন কোথায় আছ,বাকী?
-কুমিল্লায়। কুমিল্লা
ইউনিভারসিটিতে?
-ও আচ্ছা।
-তুমি কোথায়?
-ড্যাফোডিল এ।সিএসই।
আচ্ছা বাকী ,তুমি কি আমাকে
চিনতে পেরেছিলে প্রথম?
-না ঠিক চিনতে পারি নাই।তবে
দেখে পরিচিত মনে হচ্ছিল।
-তবে প্রথমে কথা বললে না কেন?
-না,ভাবলাম যদি আবার অপরিচিত হও।
তাই আর কি?আবার কি না কি ভাববে?
-ও আচ্ছা। তাই বলো। তোমার কি বইটই
কেনা হয়েছে?
-না।আমিতো মাত্র ঢুকলাম।
-ও,আমি অবশ্য দুই তিনটা কিনেছি।চল
হাটতে হাটতে কথা বলি।
-ওকে চল।
-আচ্ছ।বাকী,তুমি কিন্তু আগের মতোই
আছ।
-আমি আমার চিরায়ত সেই মুচকি হাসি
দিয়ে বললাম। যেমন?
-যেমন তুমি আগের মতোই চুপচাপ।
কথাবার্তা কম বলো।একটু লাজুক
টাইপের আর কি?
-কথা বলতে বলতে আমরা প্রথমে সময়
প্রকাশনীর সামনে চলে আসলাম।
লাবণী বলল,তোমার কি লিস্ট আছে
বইয়ের।
-হুম।আছে।সময় প্রকাশনী থেকে জাফর
ইকবাল স্যারের ‘সেরিনা'এবং
আয়েশা ফয়েজ এর ‘জীবন যে রকম' বইটা
নিলাম।তারপর আমরা প্রথমা প্রকাশনীর
দিকে হাটা দিলাম।আর টুকটাক কথা
বলে দুজন দুজনের খোঁজখবর নিচ্ছি।প্রথমা
প্রকাশনী থেকে আমি আনিসুল হকের
‘বিক্ষোভের দিনগুলোতে প্রেম' আর
লাবণী সেলিনা
হোসেনের‘দিনকালের
কাঠখোড়' বইটা নিল।তারপর হেটে
হেটে স্টলগুলো ঘুরছি।আর কথা বলছি।
-আচ্ছা বাকী,তোমার কি কোচিং এর
দিনগুলোর কথা মনে পড়ে।
-হ্যা, পড়ে মাঝে-মাঝেই।
-তুমি থাকতে মোহাম্মদপুর শেকেরটেক
১ এ আর আমাদের বাসা ছিল সূচনা
কমিনিউটি সেন্টারের পিছেনে।তখন
কিন্তু বাকী তোমার সাথে আমার
কথা বেশি একটা হত না।তুমি অবশ্য
একটা ভাব নিয়ে থাকতে।কথা কম
বলতে।এখনও অবশ্য ভাব কমে নি তোমার।
আমি এত এত কথা বলে যাচ্ছি আর তুমি
হু,হ্যা,হুম করেই কাটিয়ে দিচ্ছ।কোচিং
এর অন্য কারো কথা এখনও জিজ্ঞেস কর
নাই।তোমার কি আশিক,
মিলি,জেনিফার, রাতুল ওদের সাথে
কমিউনিকেশন আছে।
-না।কারো সাথেই যোগাযোগ নাই।
আশিকের সাথে প্রথম কিছুদিন ছিল।ও
সেকেন্ড টাইম দিয়ে জগন্নাথ এ আছে।
পরে অবশ্য আমি আর যোগাযোগ করি
নাই।এই আর কি?
-তুমি মিয়া বাকী মানুষটাই কেমন যেন
বিরক্তিকর?
-এত ইনট্রোবার্ট কেন?হোয়াই ম্যান?একটু
ইজি হতে পার না।আমি বুঝতে পারছি
তুমি আমার সাথে থাকতেও আনইজি
ফিল করতেছ।
-আমার সেই মুচকি হাসি।আমি এমনই।
কিছু মানুষ এমনই হয়।


-বইমেলা ঘুরে হাটতে হাটতে আমরা
শাহবাগের দিকে যাচ্ছি।এর ফাকে
ফেইচবুক আইডি ও ফোন নাম্বার
আদানপ্রদান হল।
শাহবাগে এসে লাবণী ফুচকার
দোকানে বসার জন্য বলল।আমরা ফুচকা
খাচ্ছি।
-ঢাকায়,কবে এসেছ বাকী?
-আজকেই।
-উঠেছ কোথায়?
ফার্মগেট, মামার বাসায়।
-থাকবে কতদিন?
পহেলা ফাল্গুন পর্যন্ত আছি।
-ও ,কেউ আছে নাকি?
-মানে!
-মানে বোকামানব। কেউ আছে নাকি
যার সাথে ফাল্গুনের প্রথম দিন
কাটাতে এসেছ?
-না।কেউ নেই।থাকলে আজকেই আমার
সাথে দেখতে।এখন অবশ্য তুমি আছ।
-এইতো বোকামানবের মুখে কথা
ফুটেছে।
আমি ফুচকার বিল দিতে গিয়েও ব্যার্থ
হলাম।
-বাকী তুমি কি কাল আসবে?
-হ্যা,কালও আসব পরশুও আসব।
-আচ্ছা, আমিও আসতে পারি ।
-আসলে ফোন দিও।
-ওকে ম্যান।


শাহবাগ মোর থেকে লাবণী বাসে
উঠে চলে গেল।কিন্তু কিছু একটা
রেখে গিয়েছিল। কিছু অনুভূতি। আরো
কিছু হয়তো। হয়তো না।
আমিও একটা বাসে উঠে মামার
বাসায় চলে আসলাম।
রাতে ওর সাথে অনলাইনে চ্যাট হলো।
অনুভূতিগুলো আকাশ ছুয়ে গেল।
নিয়নবাতির আলোতে আলোতে
মিশে রইল।

আমি অফলাইনে যতটা অপ্রতিভ।
অনলাইনে ঠিক ততটাই সপ্রতিভ।


পরেরদিন বইমেলায় যাওয়ার গল্প।
পহেলা ফাল্গনের গল্প।এবং UCC তে
কোচিং এর সময় মোহাম্মদপুর এর তাজমহল
রোড,কৃষিমার্কেট , জাপান গার্ডেন
সিটিতে ঘোরাঘুরির গল্প। রাজপথে
পাশাপাশি হাটার গল্প আরেকদিন
হবে।
কোচিং করার সময় লাবণী আমার বন্ধু
ছিল।
আর এখন?
বন্ধু থেকে যদি ধারুন কিছু হয়।তাহলে ,
হোক না।তাতে কি?হোয়াট এবার।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:১১

রূপা কর বলেছেন: এইটা কি কবিতা ভাইয়া ? ++++্

২| ১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

অর্কিড নীহারিকা বলেছেন: না! ভাইয়া,গল্প।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.