![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফারুক হুজুর নামেই তিনি এলাকায় পরিচিত। গত পাঁচ বছর থেকে বায়তুল আমান জামে মসজিদে একসাথে ইমামতি ও মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দীর্ঘদিন এক জায়গায় থাকার ফলে অনেকের সাথে তৈরি হয়েছে মধুর সম্পর্ক। মাঝে মাঝে ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে ঝগড়ার সুবাদে দুই-একজন আবার বিরাগভাজন ও হয়েছেন।
তবু ও এলাকায় হুজুরের দিনগুলো ভালই কাটছিল। সময় হলে আজান দেন, মানুষ মসজিদে আসে, তাদের নিয়ে জামাতে নামাজ পড়েন। রমজান আসলে তারাবীহ নামাজের দায়িত্ব ও তিনি পালন করেন। ভোর রাতে সবার আগে উঠে মসজিদের মাইকে দোয়া-দুরুদ পড়েন। সবাইকে সেহরি খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করেন। এই বছর রমজানের কয়েকদিন পুর্বে কমিটির সাথে কোন এক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ফারুক হুজুর এই মসজিদে আর থাকবেন না বলে সবাইকে জানিয়ে দেন। কিন্তু রমজান চলে আসায় এলাকার মানুষ উনাকে কমপক্ষে ঈদ পর্যন্ত থেকে যাওয়ার অনুরোধ করেন। অবশেষে তিনি সকলের আন্তরিকতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ঈদ পর্যন্ত থাকার ওয়াদা করেন।
সব কিছুই আগের নিয়মে ঠিকঠাক চলছিল। তারাবীহ নামাজ পড়িয়ে তিনি পালাক্রমে মুসুল্লীদের ঘরে গিয়ে খানা খেয়ে আসেন, আর আসার সময় টিফিন বাটিতে করে ভোর রাতের জন্য খানা নিয়ে আসেন। রাত আড়াইটা বাজলেই মসজিদের মাইক থেকে ভেসে আসে ফারুক হুজুরের সুমধুর আওয়াজ। সবাই ঘুম থেকে উঠে সাহরির জন্য প্রস্তুত হয়ে যান।
কিন্তু আজ রাত আড়াইটা বেজে আরো বিশ মিনিট চলে গেল অথচ মাইকে কোন আওয়াজ আসছেনা। সবাই ভাবল হয়ত আজ হুজুর সময়মত জাগতে পারেন নাই। এভাবে তিনটা পনের বেজে গেল। তবু ও মাইক বন্ধ। মুসুল্লীদের অনেকেই কৌতূহল বশত তাড়াতাড়ি সাহরি খেয়ে কিছুটা সময়ের আগেই মসজিদের উদ্দেশ্য রওয়ানা দেন।
এসে দেখেন মসজিদের দরজা বন্ধ। ঘড়িতে তখন রাত সাড়ে তিনটা।
আস্তে আস্তে সবাই হুজুরের রুমের দিকে এগিয়ে যান। একি! রুমের দরজা খোলা। ভিতরে বাতি জ্বলছে। কিন্তু হুজুর রুমে নেই। টিফিন বাটিটা রুমের এক কোনায় দাড়িয়ে আছে। অনেকেই মনে করলেন, হুজুর হয়ত কোন কাজে বাহিরে গেছেন। জামাতের সময় হলে চলে আসবেন। কেউকেউ হুজুরের তালাশে আশপাশ ঘুরে আসলেন। এদিকে জামাতের ও সময় হয়ে যায়। অনেকক্ষন অপেক্ষা করে মুসুল্লিরা নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে ইমাম বানিয়ে ফজরের নামাজ আদাত করে নেন। সবাই নিজ নিজ ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে।
দুই -একজনের ঘুম আসেনা। নাজানি কি হল হুজুরের? এভাবে না বলে তো চলে যাওয়ার কথা না। পরদিন জোহর-আসর-মাগরিব এভাবে তারাবীহ পর্যন্ত সবাই অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু হুজুর আর আসেন না। টফিন বাটিটা আগের জায়গায় পড়ে আছে। খাবার পচে দুর্গন্ধ বের হলে একজন বাটিটা ধুয়ে রুমে রেখে যান।
দশম রমজানে হঠাৎ হুজুরের বাড়ি থেকে একটা ফোন আসে। রিসিভ করার সাথে সাথেই ওপার থেকে কান্নাজড়িত কন্ঠে একজন মহিলার আওয়াজ শুনা যায়, "পুলিশের ক্রসফায়ারে মারা গেছেন আপনাদের ফারুক হুজুর"।
এলাকায় কান্নার রোল পড়ে যায়।
জংগী সন্দেহে এভাবে কত নিরাপরাধ ফারুক হুজুররা মারা যাচ্ছেন তার খবর আছে আমাদের?
২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১০
অভদ্র চিন্তাবিদ বলেছেন: আমাদের দেশে খুব আইনের শাসন চলছে।
২| ২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫
জুলহাস খান বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ চলছে। উন্নয়ন আর উন্নয়ন চলছে দেশে। ফারুক হুজুরদের অনাকাঙ্গিত মৃত্যু দেখার সময় কই??? চেতনা আর উন্নয়ন দেখছি। আবার আমরা ফতুয়াও জারি করছি। এই মৃত্যুর দায় আমরা কেউ এরাতে পারি না। কিয়ামতের দিন এর জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত হোন।
২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬
অভদ্র চিন্তাবিদ বলেছেন: জুলহাস ভাই, আপনার মুল্যবান মন্তব্য আমার পোস্টকে আরো অর্থবহ করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০
রশি বলেছেন: জুলহাস ভাইয়ের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করছি
২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭
অভদ্র চিন্তাবিদ বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ
৪| ২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩
আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: কি আর বলব ভাই বলেন? পত্রিকা, নিউজ উলটাইলে শুধু এগুলাই দেখে। দাড়ি, টুপি দেখলেই জঙ্গি বলে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, এইভাবে কত্ত নিরিহ হুজুররাই যে মারা যাচ্ছে।।
প্রকৃত জঙ্গি গুলা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাহির, আর অথচ নিরিহ মানুষ গুলাই এ রাজনীতি প্রতিহিংসার শিকার!!
২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২১
অভদ্র চিন্তাবিদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান মতামতের জন্য
৫| ২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২
রেগুলা বলেছেন: এটি যে দাদা আজ আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে।
২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২২
অভদ্র চিন্তাবিদ বলেছেন: হ্যা ভাই, ক্রসফায়ার এখন আমাদের সংস্কৃতি হয়ে গেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭
হাবিবুর রাহমান বাদল বলেছেন: ফারুক ও নাইম হুজুরেরা এভাবেই সত্যের পথে চলতে গিয়ে ও অত্যাচার- জুলুমের প্রতিবাদ করায় ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্বের নামে নিহত হবেন। আর আমরা যারা বুদ্বিমান বা সুশিল তারা দূরে অবস্হান করে বোকা ফারুক ও নাইম হুজুরদের বোকামীর কথা স্বরন করব এবং সুখ শান্তিতে দিন কাটাব।
২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪
অভদ্র চিন্তাবিদ বলেছেন: ভাইজান! আমরা বলদ বুদ্ধিমানের দলে আছি। যারা মারা যাচ্ছে তারাতো সফলকাম
৭| ২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: পুলিশ জনগনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাঁশ দিচ্ছে, আর জনগন তা সানন্দে গ্রহন করছে।
২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫
অভদ্র চিন্তাবিদ বলেছেন: এই আনন্দের বিস্ফোরণ যখন ঘটবে তখন কিন্তু কড়া গন্ডায় হিসাব নেওয়া হবে।
৮| ২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩
মিস্টার কিলবিল বলেছেন: প্রতিজন আলেম হত্যার বিচার হবেই হবে
২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯
অভদ্র চিন্তাবিদ বলেছেন: ইনশাআল্লাহ। এই জমিনে আলেম হত্যাকারীদের ঠাই হবে না।
৯| ২০ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭
রশি বলেছেন: মিস্টার কিলবিল বলেছেন: প্রতিজন আলেম হত্যার বিচার হবেই হবে
২০ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২
অভদ্র চিন্তাবিদ বলেছেন: ইনশাআল্লাহ
১০| ২১ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭
ইমরান আশফাক বলেছেন: পিপিলিকার পাখা গজায় মরিবার কালে।
২১ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭
অভদ্র চিন্তাবিদ বলেছেন: হ্যা ভাই, এদের পতন একেবারেই নিকটে
১১| ২১ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫
বাংলার জামিনদার বলেছেন: দেখেন কোথাও কোপাকুপি করতে গিয়া ধরা পড়ে কিনা। তার পরে না হয় গায়েবানা জানাজা পড়িয়েন।
২১ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮
অভদ্র চিন্তাবিদ বলেছেন: চাপাতি গ্রুপ এখন সবার কাছেই পরিচিত। হাম্বালীগ সরকার নিজেদের স্বার্থেই যে এই গ্রুপ বানাইছে তা এখন স্পষ্ট। তাই গায়েবানা জানাজার ব্যাপারে তাদের নছিহত করুন। এখানে না করলে ও চলবে।
১২| ২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫০
জুলহাস খান বলেছেন: দেশে যারা কোপাকুপি করে তাদের পুলিশ ধরে। ধরলে এতো কোপাকুপি হতো না। কোপাকুপি রা সরকারের স্বীকৃত মানুষ। বিভিন্ন স্থানে তারা কোপাকুপিতে লিপ্ত। তাদের যদি ক্রসফায়ার দেয়া যেত তাহলে কোপাকুপি বন্ধ হতো।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫
মিস্টার কিলবিল বলেছেন: জংগী সন্দেহে এভাবে কত নিরাপরাধ ফারুক হুজুররা মারা যাচ্ছেন তার খবর আছে আমাদের?