নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাতির মামা আজ এসেছে ভাগ্নেকে উদ্ধার করতে । কিন্তু ভাগ্নে মামুর কথা শুনছে না ।

মামা ভাগ্নে যেখানে আপদ নাই সেখানে ।

জাতির মামু

আমি অনেক কিছু জানি তবে বলি কম ।

জাতির মামু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুজরাটের দাঙ্গায় মুসলমানদেরকে পুড়িয়ে মারার নায়ক এর বিস্ময়কর ভাবে ইসলাম গ্রহণ!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

২০০০ সালের দাঙ্গায় আমাদের আট বন্ধুর একটি দল ছিল যারাএ দাঙ্গায় অত্যন্ত উৎসাহ ভরে অংশ নিতাম। আমাদের এলাকায় পশুত্ব ও বর্বরতার উলঙ্গ নৃত্য চলছিল। আমাদের গ্রাম থেকে ১৫ কি.মি. দূরেসুন্দরপুর গ্রামে ৬০/৭০ জন লোককে জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। আমরাও তখন যৌবনের উন্মাদনায় বাহাদুরী ভেবে এতে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমাদের বাড়ির কাছেই গ্রামে একটি ছোট্ট মসজিদ ছিল। লোকে বলত এটি এক বিরাট ঐতিহাসিক মসজিদ। পীর হামদানী নামে একজন বড় পীর এটি নির্মাণ করেছিলেন। গুজরাটের লোকেরা তাঁর হাতে মুসলমান হয়েছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাদের গ্রামের এই মসজিদটি ধ্বসিয়ে দিতে হবে। আমরা আট বন্ধুএই উদ্দেশ্যে যাই। বহু চেষ্টা সত্ত্বেও আমরা মূল মসজিদ ধ্বসাতে পারলাম না। মনে হচ্ছিল আমাদের কোদাল লোহার নয়, কাঠের তৈরি। নিরুপায় হয়ে আমরা বাইরের দেয়াল ভাঙতে শুরু করলাম। যা মাত্র বছর কয়েক আগে গ্রামের লোকেরা গেঁথেছিল। এই দেয়াল ধ্বসিয়ে আমরা ভাবলাম যে, এইমসজিদজ্বালিয়ে দিতে হবে। পেট্রোল আনা হল। পুরনো কাপড়ে পেট্রোল ঢেলে মসজিদ জ্বালাবার জন্য আমাদের এক সাথী আগুন ধরালে সেই আগুন তার নিজের কাপড়েই লেগে যায় এবং সেখানেই পুড়ে মারা যায়। আমি এই দৃশ্যে দেখে ভয় পেয়ে যাই। আমরা সাথীরা চেষ্টা চালাই অন্তত কিছুটা হলেও মসজিদের ক্ষতি করতে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে আমার আরও চার বন্ধু আকস্মিকভাবে একের পর এক মারা যায়। তাদের মাথায় ব্যথা হত। এরপর সেই ব্যথায়ছটফট করে মারা গেল। আমি ছাড়া আর দুই বন্ধু পাগল হয়ে যায়। আমি ভীতহয়ে পড়ি। ভয়ে-আতংকে আমি পালিয়ে বেড়াতে থাকি। রাতের বেলায় আমি সেই ভগ্ন প্রায় মসজিদে গিয়ে কাঁদতাম যে, হে মুসলমানদের ভগবান! আমাকে ক্ষমা করে দাও। মসজিদের মেঝেয় মাথা ঠুকতাম আর কাঁদতাম। এ সময় আমি অনেক স্বপ্ন দেখি এবং স্বপ্নে স্বর্গ-নরক (জান্নাত ও জাহান্নাম) দু'টোই দেখতাম।

একবার দেখি, আমি নরকে। সেখানে একজন দারোগা আছে। সে আমার ঐ সব সাথীকে যারা মসজিদ ধ্বসাতে আমার সাথী ছিল তার জল্লাদদের দ্বারা শাস্তি দিচ্ছে। আর শাস্তি হল এই!লম্বা লম্বা লোহার কাঁটার জাল। এর ওপর ফেলে তাদেরকে টানা হচ্ছে।এতে করে তাদের শরীরের চামড়াও মাংস ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত খুলে যাচ্ছে। এরপর আবার ঠিক হয়ে যাচ্ছে। এরপর আবার তাদের উল্টো করে টাঙানো/ লটকানো হল এবং নিচে আগুন জ্বালানো হল, যা মুখ থেকে ওপর পর্যন্ত গ্রাস করল। দেখলাম, দু'জন জল্লাদ তাদেরকে হান্টার দিয়ে পিটাচ্ছে আর তারা কাঁদছে, চীৎকার করছে আর বলছে, আমাদের মাফ করে দাও। আমরা আর কোন মুসলমানকে মারব না, কোন মসজিদ ধ্বসাবো না। দারোগা তখন উত্তেজিত হয়ে বলছে, তওবার সুযোগ শেষ হয়ে গেছে। মৃত্যুর পর আর কোন তওবাহ নেই। এ ধরনের ভয়াবহ ওভীতিকর দৃশ্য প্রত্যেক দিন দেখতাম। ভয়ে ও আতংকে আমি তখন পাগলের মত হয়ে যেতাম।

এরপর স্বপ্নে আমাকে স্বর্গ (জান্নাত) দেখানো হত। দেখতাম, দুধের বড় পুকুর বরং তার চেয়েও প্রশস্ত বড় নদী। সেই নদী দিয়ে দুধের স্রোত বয়ে যাচ্ছে। সুদৃশ্য সেই স্রোত। একটি নদী মধুর। একটি ঠাণ্ডা পানির। এত স্বচ্ছ ও সুনির্মল যে, এতে আমি আমার ছবি দেখছি। আরেকটি নদী শরাবের। আমি বললাম, শরাব তো খারাপ জিনিস। আমাদের পরিবারে শরাব খুব খারাপ মনে করা হয়। উত্তর আসল, এ পাক-পবিত্র ও সুগন্ধিযুক্ত শরাব। এ পান করে কেউ উন্মত্ত হয় না, নেশাগ্রস্ত হয় না। একবার দেখলাম খুব সুন্দর গাছ। এত বিরাট ও বিশাল যে, হাজার হাজার লোক তার ছায়ায় স্থান পেতে পারে। কখনো খুব সুন্দর বাগান দেখতাম এবং সব সময় সেখান থেকে আল্লাহু আকবার! আল্লাহু আকবার! ধ্বনি তিনবার ভেসে আসত। আমার ভাললাগত না। আমি সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহু আকবার না বললে আমাকে তুলে স্বর্গ থেকে বাইরে ছুঁড়ে ফেলা হত। আমার ঘুম ভেঙে যেত। দেখতে পেতাম বিছানার নিচে পড়ে আছি।

একবার আমি স্বর্গ দেখলাম। আমি তখন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বললাম। সেখানে বহু বালক-বালিকা। তাঁরা আমার খেদমতে লেগে গেল। এভাবে অনেক দিন অতিবাহিত হয়। গুজরাটে দাঙ্গা হতে থাকে। কিন্তু এবার আমার ভেতর থেকে মনে হত যেন আমি মুসলমান। যখন মুসলমানদের এসব দাঙ্গায় মারা যাবার খবর পেতাম আমি মনে খুব দুঃখ পেতাম। মনটা খুব ব্যথিত হত। একবার বিজাপুর যাই। সেখানে একটি মসজিদ দেখতে পাই। সেখানকার ইমাম সাহেব ছিলেন সাহারনপুরের। তিনি মাওলানা কালীম সাহেবের সঙ্গে হরিয়ানা কাজ করেছেন। আমি তাঁকে আমার অবস্থা গোড়াটাই খুলে বলি। তিনি বলেন, আল্লাহ আপনাকে ভালবাসেন। তিনি যদি আপনাকে ভাল না বাসতেন তাহলে আপনার সাথীদের মত আপনাকেও জাহান্নামে জ্বালাতেন। আপনি তাঁর রহমতের মূল্য দিন, কদর করুন এবং ইসলাম কবুল করুন। তিনি বললেন, বাবরী মসজিদ শহীদ করতে সর্বপ্রথম যে দুই যুবক কোদাল চালিয়েছিল তারা আমাদের মাওলানা (কালীম সিদ্দিকী) সাহেবের হাতে মুসলমান হয়েছেন। সম্ভবত আপনাকেওআল্লাহপাক হেদায়াত দানপূর্বক সত্যিকারের পথের ওপর আনতে চান, এখন আর দেরি করা উচিত নয়। হরিয়ানার দুই-একজন ডাকাতের মুসলমান হবার কাহিনীও তিনি আমাকে শোনান। স্বপ্ন দেখার আগে ইসলামের কথা শুনলে ক্ষুদ্ধ ও উত্তেজিত হতাম। ঠাকুর কলেজে কোন মুসলমানকে ভর্তি হতে দিতাম না। কিন্তু জানি না কেন, ইসলামের সব কিছুই এখন ভাল লাগতে লাগল। বিজাপুর থেকে বাড়ি এলাম এবং সংকল্প নিলাম আমাকে মুসলমান হতে হবে, অন্যথায় আমার সাথীদের মত আমাকেও নরক যন্ত্রণায় শাস্তি ভুগতে হবে।

আমি আহমদাবাদ জামে মসজিদে যাই ও ইসলাম কবুল করি। আমিন

আরমুগান নামে একটি দাওয়াতী ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকারে গুজরাটের সুহায়ল সিদ্দিকী (যুবরাজ সিংহের)

ইসলাম গ্রহনের কাহিনী।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

আহলান বলেছেন: স্ট্রেঞ্জ! আমরা মুসলমানরাও তো এমন স্বপ্ন দেখি না ...

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

জাতির মামু বলেছেন: সবাই দেখলে ভালোই হত!!

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

একরামুল হায়দার বলেছেন: দেখেন এই হলো ইসলাম ঃ দাঙ্গায় মুসলিমদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে ঃ আমাদের ঈমানদার ভায়েরা কিন্তু প্রতিশোধ নেননি, মুমিন এর পরিচয় দিয়েছেন ঃ মুসলিম আর অমুসলিম এর তফাথ দেখিয়েছেন ঃ তাই তো পুড়িয়ে মারার নায়ক এর বিস্ময়কর ভাবে ইসলাম গ্রহণ!
আসুন আমরা জামাতিদের আদর্শ বর্জন করে এই আদর্শে ফিরে আশি ঃ
ইসলাম কে ছরিয়া দেই

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

জাতির মামু বলেছেন: জামাতিদের আদর্শ কি??
আসুন ইসলামকে সব খানে সব জায়গায় ছড়িয়ে দিই । এমন কি রাজনীতিতেও । আবার বলবেন না রাজনীতিতে কিসের ইসলাম?

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

হাঁড় = ঘাঁড় বলেছেন: একরামুল হায়দার বলেছেন: দেখেন এই হলো ইসলাম ঃ দাঙ্গায় মুসলিমদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে ঃ আমাদের ঈমানদার ভায়েরা কিন্তু প্রতিশোধ নেননি, মুমিন এর পরিচয় দিয়েছেন ঃ মুসলিম আর অমুসলিম এর তফাথ দেখিয়েছেন ঃ তাই তো পুড়িয়ে মারার নায়ক এর বিস্ময়কর ভাবে ইসলাম গ্রহণ!
আসুন আমরা জামাতিদের আদর্শ বর্জন করে এই আদর্শে ফিরে আসি।
ইসলাম কে ছড়িয়ে দেই।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

হাঁড় = ঘাঁড় বলেছেন: একরামুল হায়দার বলেছেন: দেখেন এই হলো ইসলাম ঃ দাঙ্গায় মুসলিমদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে ঃ আমাদের ঈমানদার ভায়েরা কিন্তু প্রতিশোধ নেননি, মুমিন এর পরিচয় দিয়েছেন ঃ মুসলিম আর অমুসলিম এর তফাথ দেখিয়েছেন ঃ তাই তো পুড়িয়ে মারার নায়ক এর বিস্ময়কর ভাবে ইসলাম গ্রহণ!
আসুন আমরা জামাতিদের আদর্শ বর্জন করে এই আদর্শে ফিরে আসি।
ইসলাম কে ছড়িয়ে দেই।


আহলানের কাছে তো স্ট্রেঞ্চ লাগবই, জামাতি না?
আমাদের কাছে স্রেঞ্চ লাগে না। কারণ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হেদায়াত দিতে পারে। আল্লাহ চাইলে আহলানও সত্য পথে আসতে পারে।

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: আসুন আমরা জামাতিদের আদর্শ বর্জন করে এই আদর্শে ফিরে আসি।
ইসলাম কে ছড়িয়ে দেই।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

জাতির মামু বলেছেন: জামাত জামত করে আপনারা কান ঝালাপালা করে ফ্যালেন ।
ইসলাম কে ছড়িয়ে দেই শুনে খুব ভালো লাগলো । এজন্য ধন্যবাদ ।

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

আব্দুল মোমেন বলেছেন: আল্লাহ্ আমাদের কবুল করে নিন। আমিন।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

জাতির মামু বলেছেন: আমিন ।

৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১২

অদৃশ্য বলেছেন:




এরকম ঘটনার কথা শুনেছি আগেও... সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের বিষয় না, বিষয়টা হলো বিশ্বাসের...

এরকম নানান ঘটানার মধ্য দিয়ে ইসলাম গ্রহোনের কাহিনী শোনা যায়...

অনেকেই সুস্বপ্ন দেখে সত্য স্বপ্ন দেখে... তবে এখানে ঐ লোকের স্বপ্নগুলো আমাদের নিয়মিত শোনা ধর্মকাহিনীর প্রতিচ্ছবি...

ভাবছি কেন কিছুটা ভিন্নতা বা নতুনত্ব থাকলোনা স্বপ্নগুলোতে.....

তবে সত্য বলছি অনেক ভাববার পরেও ওরকম স্বপ্ন আমি কখনোই দেখতে পারিনি.... ওমন স্বপ্ন দেখবার জন্য হয়তো সৌভাগ্যের প্রয়োজন হয়...



শুভকামনা...

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

জাতির মামু বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

তুষার খান টাংগাইল বলেছেন: ভাল লাগলো আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে হেদায়েত দান করেন।আর অহংকারী দের কে ধ্বংশ করে দেন।

৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১২

আহলান বলেছেন: @ হাড়=ঘাড়, আপনার মন্তব্যে হাসি পেলো .... আমি কি সেটার প্রমাণ পেয়েই গেলেন? হুমম ... ল্যাঞ্জা ইস ভেরি টাফ টু হাইড!! :D :D :D :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.