নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অশান্ত সাগরে একলা মাঝি

ফুলটাইম ক্রুয়েল জোকার, পার্ট টাইম সিরিয়াস

নূর-ই-আল-মামুন

যখন শান্তি বর্ষিত হচ্ছিল সৃষ্টিকুলের উপর, তখন আমার জন্মই হয়নি। যখন শান্তি কি জিনিস বুঝতে পারলাম, তখন আমি শান্তির পথ থেকে অনেক দূরে ... অশান্ত সাগরে একলা মাঝি

নূর-ই-আল-মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যৌন হয়রানি ... আমরা তবুও বেঘোরে ঘুমাবো X(X(

০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৫৪

শব্দটা আসলে মূলত যৌনহয়রানি। ইভটিজিং এর মতো হালকা শব্দ দিয়ে বিষয়টা ব্যখ্যা করতে চাচ্ছি না । যাইহোক মূল পোস্টে আসি।

গতকাল সন্ধ্যায় একটা ফাজলামি টাইপ স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম ফেবুতে। ব্যপারটা ফাজলামিতেই ছিলো । কিন্তু সেটার শেষ দিকে এসে অহনীল অবনির একটা কমেন্ট পড়ে মন খুব খারাপ হয়ে গেছে । অবনি আমার বড়পা । ও যখন বলল, "যারা ইভটিসিং করে, তাদের সম্পর্কে একটা কথাই মনে হয়ঃ তার কি কোনো বোন নাই। তার বোনটাকে যদি কেউ কিছু বলে সে তাকে খুন করতেও রাজি। আরেকজনের বোনকে কিভাবে বিরক্ত করে। হয়তো উত্তর আসতে পারে বোন নাই, তখন যে প্রশ্নটা আসে সেটা হইলো, তাইলে কি তুমি কোন নারীর গর্ভ থেকে জন্মগ্রহণ করো নি। বিতর্কের খাতিরে বলিনি। সেই ১১/ ১২ বছর থেকে সহ্য করতে করতে অসহ্য ।"



এবং



"আমার গায়ে লোম বেশি। কতো কথা যে শুনছি! কেউ ভাবে নি, এতে আমার কোনো হাত নেই। ভাবটা এমন, আমি ইচ্ছে করেই এমন হইছি। পুরুষ বলতেই যে খারাপ, তা না। বুক দিয়ে আগলে রাখতে পুরুষেরাও পারে। আবার এই পুরুষগুলাই পারে একটু ভীড়ের মধ্যে একটা বাচ্চা মেয়ের গায়ে হাত দিতে। মাঝে মাঝে কিছু কথা মনে হইলে কান্না পায় জানিস রে ভাইয়া। কিন্তু কাউকে বলতে পারি না।""""



তখন মনে হচ্ছিলো, এবার আমিও কিছু বলে ফেলি। আর চেপে রাখা যাবে না, কথা । অনেকদিন পর লিখতে বসলাম।



ভেজা ঋণ এর "কোনো কথা কমু না- আমার প্রাণের অর্ধেক বয়সে আমার তিন মাসের বড়ো, জীবনে আমার প্রথম এবং শেষ ফ্রেন্ড, আমার চাচাতো বোন, তারও গায়ে লোম ছিলো জংলি মানুষের মতো। কিছুটা সোনালী বর্ণের। তারে মিস করি। অনেকেই জানতো আমরা মায়ের পেটের ভাই বোন।"""

এই কমেন্ট টা আসলে ঘা দিলো আবার নতুন করে আমাকে । আমি বুঝতে পারলাম, ঘটনাগুলো পিনিং করে চলছে তাদেরকে প্রতিনিয়ত। এবার মনের মধ্যে যা জমা আছে, বের করে দেই । কালকে অবশ্য নোট হিসেবেই ফেবুতে লেখাটা দিয়েছিলাম। সবার মতামত জানতে চাচ্ছিলাম। অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে বলেছিলাম সবাইকে সেখানে । মতামত ও জানাতে বলেছিলাম। নোটটা এখানে হুবহু কপি পেস্ট করলাম। কয়েকজন ব্লগার ভাই বলল, তুমি লেখাটা সামুতে শেয়ার কর। আপনাদের মতামতও আশা করছি, আর অভিজ্ঞতাও।



ইভটিজারদের ঘৃণা করি আমরা । এগুলো নিয়ে বলতে গেলে অদ্ভূত অদ্ভূত সব কোয়েশ্চেন এর সম্মুখীন হই। তবে আমি বরাবর ই প্রশ্ন পছ্নদ করি । প্রশ্ন করলে, প্রশেনর উত্তর দেয়ার সময় নিজের কনফিউশন গুলোও দূর হয় । ভেজা ঋণের তিক্ত অভিজ্ঞতাও আমাকে আসলে অনেকদিন পর লেখার ইচ্ছেটাকে উসকে দিলো ।



অবনি আর ভেজা ঋণের কথার প্রেক্ষিতে আমি বললাম



""ইভ টিজারদের শুধু ঘৃণা করা তো ব্যপার না । এইবার তো তাহলে কয়েকটা পয়েন্টে কথা বলতে হচ্ছে



১. ইভ টিজারদের জন্যও সবচে বড় আশ্রয় কিন্তু তার পরিবার । সে টিজিং করে আসলেও , সব কিছুর পরেও তার পরিবার তাকে আশ্রয় দেবে । ভালোবাসা মানুষকে অনেকক্ষেত্রেই অন্যায়ের দিকে ঠেলে দেয়। এটা তার প্রমাণ । একটা মাত্র ছেলে । ইভটিজিং এ্‌ই বয়সে একাধটু করতেই পারে, এরকম ধারণা নিয়ে চলে, এমন পরিবারের সংখ্যা খুব কম না । একই পরিবারে কন্যার প্রতি বাবা মার যে দৃষ্টি ভংগি, এবং ছেলের প্রতি দৃষ্টিভংগি, এটা আগামি ৩০ বছরেও বদলাবে না। যত টি.আই.বি. এড মারুক, যতই প্রথম আলো হ্যান করুক , ত্যান করুক। ভুক্তভোগিরা ছাড়া কেউ একজোট হবে না ।



২. যারা বলে ঘরে মা আছে বোন আছে কিন্তু বউ নাই , দ্যাটস হোয়াই আই অ্যাম ইভটিজার । তাদের জন্য দুটো কোয়েশ্চেন আছে আমার ।



## ওদের যুক্তি থেকেই বলতেছি, নিজের মা আর বোন ছাড়া যদি দুনিয়ার সবাইরেই বউ বউ মনে হয়, তাহলে এই সংক্রান্ত বিরম্বনায় পড়ার পর , আমাকেও কি এই ডিসিশানে পৌছুতে হবে, যেহেতু আমার মা বোন কে আমি সেফটি দিতে পারছি না তোদের হাত থেকে , সো তোর মা বোনও আমার হাত থেকে নিরাপদ না । আমিও আজ থেকে বউ বউ লুক দিয়ে তাকাবো । খারাপ কাজ করিনা করিনা ঠিক আছে, করলে কিন্তু খারাপের শেষ নাই ।



আর বউ কি মাঠে ঘাটে সব খানে খুজে বেড়ানোর জিনিস ????



কেউ মাইন্ড করবেন না প্লিজ। অন্যায়ের জবাব পুতুপুতু টাইপ কথা দিয়ে হয় না। পিস্তলের মুখে দাড়িয়ে সাহিত্য চলে না .. ঐ সব ধ্যান ধারণা বাদ দিয়ে দেখতে হবে । মিষ্টি কথায় কি হয় তা তো দেখতেই পাচ্ছি ।



৩. ইভটিজারদের যদি এতো সাহস ই থাকে , আমি ওদের একটা কথা বলতে চাই। আমরা আমাদের সব অপরাধ আমাদের বাবা মার কাছে স্বীকার করতে পারি । পারলে ওরা গিয়ে ওদের জন্মদায়ীনিদের সামনে মাথা উচু করে বলুক



## """"মা, আমি আজ একটা মেয়েকে টিজিং করে আসছি । মেয়েটা আমার দিকে অসহায়ের মতো তাকিয়ে ঘৃণা করছিলো্। মা, আমার জন্য দিনের মধ্যেমিনিমাম দশবার যে গালিটা শোনো নর্মালি, সেটা হচ্ছে বেজন্মা আর কুত্তার বাচ্চা । মা, আমি অত্যন্ত গর্বিত যে, আমার কারণে লোকে তোমাকে ওতটা নিচে নামিয়ে দিচ্ছে । """ পারলে বলুক তারা । দেখবো কতখানি বুকের পাটা ।



###পারলে বলুক """" মা, আমি আজ একটা মেয়েকে রেপ করে আসছি । মা, আমার কারণে একটা মেয়ে আজ মৃত্যুর শিকার। এই দেখো, আমার মধ্যে কোনো বিকার নাই। আমি ব্যপারগুলো থেকে অপরিসীম আনন্দ পাই । আমি গর্বিত যে, আমি তোমাকে প্রতিনিয়ত অপমান করে চলি, প্রতিনিয়ত মানুষের কাছে নিজে ছোটো হই, আর তুমি কোনো অপরাধ না করেও আমার পাপের ভাগ বয়ে বেড়াও । আমার দৃষ্টিভংগির কারণে , আজ তোমরা অন্যদের সহজ লোলুপতার শিকার । মা, আমি খুব উল্লাসিত যে আমার মতো বিকৃত মস্তিষ্কের একটা কুকুরকে তুমি আদর করে বড় করছো, আজ আমি কামড়াই নিজেকে । হ্যা তোমাকেও । তোমাদের ইন্ডাইরেক্ট রেপ এর কারণ এই আমি নিজে """" .......... বলুক তারা পারলে ।



আমি ইভটিজিং ঘৃণা করি এইসব গালভরা শব্দে আমার পোষাবে না রে । আমি নিজেও যদি কখনো এমন ঘটনা ঘটাই, প্লিজ আমার বন্ধুদের বলছি, ডাইরেক্ট শুট করবি আমাকে । দুনিয়ায় অনেক সম্মানের মৃত্যু আছে । ইভটিজার খেতাব নিয়ে দুনিয়া ছাড়তে চাইনা। এমন ভাবে মানুষের ঘৃণা নিয়ে বাচতে চাই না, যেখানে কোনো বাবা আমাকে উল্লেখ করে বলে যে, তোমার কারণে আমার মেয়েটা আজ পুরুষজাতিকে ঘৃণা করে, তোমার কারণে আজ তোমার মতোই একটা মানুষ মৃত্যুর সাথে পানজা লড়ে । তোমার মতো ছেলেদের কারণেই , তোমাদের মা বোনরা প্রতিনিয়ত ভোগে, সেক্সুয়ালি হ্যারাসড অর অ্যাস্টল্ট এর শিকার হয় । ........ এতবড় পাপের ভার বইতে পারবো না আমি কোনোদিন ।



সুযোগ পেলেই মেয়েদের গায়ে হাত দেয়, হ্যা এইরকম স্বভাবের মানুষ কম দেখিনাই। আমি খুব জোর দিয়ে বলতে চাই এই স্বভাবটা বুড়োগুলোর মধ্যে বেশি । আই হেইট দোওজ ওল্ড পিপল । আর আমাদের মধ্যেও কমবেশি এরকম পোলাপান দেখছি ।কারো যদি নিতান্তই কাউকে হয়রানি করার মনোবৃত্তি থাকে, তাকে তুই আইন দিয়ে ঠ্যাকাতে পারবি না । বিবেক সবার থাকে না । সবার টা জাগানোও জায় না । এটার জন্য আর যাই হোক নিজেদের দোষী করা ঠিক না । কেউ না বুঝলে সব ক্ষেত্রে দয়া মায়া না দেখানোই ভালো । এটলিস্ট এতটুকু গ্যারান্টি দিতে পারি, আমার মা যদি কোনোদিন শোনে, আমার দ্বারা কোনো মেয়ের কোনো ক্ষতি হইছে , তাহলে কোনোদিনো আমাকে ছেলে হিসেবে ক্ষমা করবে না , ইভটিজার হিসেবেই কাউন্ট করবে । এবং এতটুকু নিশ্চিত জানি, আমাকে এই কথাটা বলবেই যে, "তুই মানুষ না, জন্তু; যতটুকু সেন্স থাকার কারণে জন্তু " জন্তু" হয় তোর ততটুকু সেন্স ও নাই। যেই মুখ দিয়ে একটা মেয়েকে বাজে কথা বলে কিমবা হ্যারাস করে আসছিস, সেই মুখ দিয়ে আর যাই হোক , আমারে মা ডাকিস না । আর যাই হোক আমি কোনো টিজার এর মা না । "



এরপরের ডিসকাশনগুলো প্রশ্নোত্তর আকারে দিলাম ।



১. মাইয়ারা যখন টপস আর স্কার্ট পইরা সামন দিয়া ঘোরাঘুরি করার সময় টিজিং উসকানিমুলক দৃষ্টি আমাগো উপর ফেলে তখন অসহায়ের মত তাদের দাবি মানতে গিয়া আমাগো টিজ এর মত জঘন্য কাজটি করতে হয়। সব মেয়েরাই কি টিজ এর কবলে পরছে????????



আমি বলেছি:



সব মেয়েরাই পড়বে ক্যান ? সব ছেলেরাই কি টিজ করে ?



এভাবে প্যাচায়ে তো লাভ নাই। যারা করে তাদের এগেইনেস্টে কি করা উচিত সেইটা বলা উচিত আমাদের । ২. একটু খেয়াল করে দেখলে মনে হয় টিজ এর কবলে পরা মেয়েদের আলাদা একটা গ্রুপে ফেলানো সম্ভব।



আমি বলেছি: ইংগিত টা কি পোষাকের দিকে দেয়া হলো ?পোষাকটা খুব বড় ব্যপার না । শহরের কথা না হয় বাদ ই দিলাম, গ্রামে যেসব ঘটনার শিকার হচ্ছে মেয়েরা , সেখানে কি পোশাক টা খুব জড়িত??? সবাই কি অশালিন পোশাক পড়ে ঘুড়ে বেড়ায় । শালিন পোশাক পড়ে ঘুড়ে বেড়ালেও তো তারা কমেন্ট শোনেই । হয় আড়ালে, নয সামনে। সো পোশাকের ব্যপারটা খুব ই ঠুনকো । কারণ, আমাদের ভার্সিটির গত ডিবেটিং সোসাইটির প্রোগ্রামে ড. জাফর ইকবাল এর পত্নি মিসেস ইকবাল (সরি ম্যাডামের নাম টা মনে করতে পারতেছি না ) একটা স্পিচ দিয়েছিলেন । । উনি সেখানে বলেছিলেন, পাশ্চাত্যের পোষাক তো আমরা দেখে অভ্যস্ত । এটলিস্ট এটার কারণে কেউ ইভটিজিংএর শিকার হয়েছে, এরকম কোনো ঘটনা এভেইলেবল না সেখানে । তারচেয়েও বড় কথা, যারা ইভটিজার , তারা ধরেই নেয় মেয়েরা দূর্বল, অরক্ষিত । আর যারা শিকার , তারও নিজেদের দূর্বল ই ভাবে । এটার জন্য কিছু আত্নরক্ষার স্কিল এর কথা তিনি বলেছিলেন। শাহজালাল উইনিভার্সিটিতে মেয়েদের জন্য স্বল্পপরিসরে হলেও জুডো ট্রেইনিং এর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি। একজন মানুষ যখন স্কিলড হয়, আত্নরক্ষাতে, তার সাথে এতো সহজে কেউ লাগতে আসে না। এটা একটা সত্য কথা। সো মেয়েদের এই দিকটাতেও গুরুত্ব দিতে বলেছেন। যে যত যাই বলুক, ইভটিজিং একটা টার্গেটেড অ্যাসল্ট । এবং এটা ইচ্ছাকৃত অপরাধ ।



৩. তিন নম্বর কোয়েশ্চেন টা ছিলো , উপরের প্রশ্নে একটু হলেও যুক্তি আছে । আফনে কি কখনো টিজ করছেন????আসলে টিজ কোনটা????আমি এখনো কাউকে টিজ করতে দেখি নি এবং আমি এখন পর্যন্ত যা করছি তাকেও টিজ বলবো না,একটা মেয়েকে ভালো লাগলো তাই তার দিকে এট্টু তাকায়া থাকলাম এবং এট্টু জমাবার ট্রাই নিলাম কিন্তু মাইয়া যদি সেইটা না বুইজা কুত্তা বইলা গালি দেয় তাহলে ছেলেরা তো কুত্তার মতো তার ওরনা ধইরা টানবই। আমার উত্তর ছিলো : প্রথম অংশের উত্তরে , একটু খানি যুক্তি দিয়ে পুরোটা দেখা যায় না । এটা নিজেদের অপকর্ম কে বৈধতা দেয়ার একটা প্রচেষ্টা । কয়েকটা ব্যতিক্রমী ঘটনা বাদ দিলে ওভারঅল শিকার টা হচ্ছে মেয়েরাই। আমরাই ঠিক করে দিচ্ছি একদল মেয়েকে , তারা কি ধরণের পোষাক পরবে,আমরা পুরুষকুল মনোরনজিত হবো। আবার আমরাই ঠিক করে দিচ্ছি , আমাদের ঘরে কি ধরণের পোষাক পড়া হবে । আমরা ক্যাটরিনার পোশাক নির্ধারণ করে দিচ্ছি, না হলে দর্শকরা ধর্ষকামী হবে কীভাবে। আবার আমরাই বলে দিচ্ছি, জরিনাদের পোশাক এমন হবে । হাস্যকর না ? আমিই এমটিভি দেখবো, আমিই হাদিস কোরানের ফতোয়া দেবো এটা তো ঠিক না ।



এবং দ্বিতীয় অংশের উত্তরে: তুই এরকম করার কারণে কি কুত্তা বলে গালি খাইছোস ?? এটা তো সত্য কথা না । অযথা সাফাই দিয়ে লাভ নাই। তোরে যদি কোনো মাইয়ার ভালো লাগে, তাইলে কি সে তোর শার্ট ধইরা টানাটানি করবে ??? আজিব যুক্তি দিলি তো কুত্তা হওয়ার । দ্যাট মিন , কোনো মেয়ে যদি, না বুঝে চিল্লায় ও , আমরা ব্যপারটা বুঝাবো না , আমরা ওড়না ধরে টানাটানি করবো ?? ৪. প্রশ্ন: পোশাকের কথা বলি নাই,পোশাকের কারনে যদি টিজ হইতো তাইলে বসুন্ধরার লেভেল আট এর সব মাইয়ারাই টিজ এর শিকার হইতো কারন ওইখানেও আমি এইখানেও আমি মাগার হয় না কারন এটিচুড আর পরিবেশ। আমি এখন পর্যন্ত কাউকে টিজ করি নাই এবং কাউকে টিজ করতে দেখি নাই,আপনি কি টিজ করছেন????আমি এখন পর্যন্ত পত্রিকায় যেসব টিজিংএর শিকার হয়ে আত্নহত্যার খবর পড়ছি সব কয়টাই মনে হইছে এর আরও অন্যকোনও কারন থাকতে পারে,শুধু শুধু এই কারনে একটা মেয়ে অত্নহত্যা করতে পারে না। সেদিন বউবাজারে আমারা চারজন ছিলাম,দুইটা মেয়েকে পছন্দ হইলো মাথায় চাপলো চল গিয়া কতা কমু তারপর তাদের সাথে কথা বললাম নাম ঠিকানা শুনলাম তারপর গল্পকরতে করতে কলোনিতে আগায়া দিয়া আইলাম,এটাকে আপনি কি বলবেন????



আমি বললাম:



আমি কাউকে টিজ করি নাই। এবং আমি প্রচুর দেখছি টিজ করতে । তুই কাউকে দেখিস নাই, তারমানে তুই বাংলাদেশে ছিলি না। তোর নিজের বন্ধুদের মধ্যে এই গোত্রের এক জন ও নাই, এরকম কথা কইলেও বিশ্বাস করবো না । আমাদের মধ্যেই যখন আছে, তখন তোদের লেভেলেও ব্যতিক্রম হওয়ার কথা না । পেপারে তুই যা দেখছিস, ঠিক দেখছিস , কিন্তু বোঝায় একটু ভুল আছে। ।। অবশ্যই মানুষ এই কারণে আত্নহত্যা করতে পারে । এক ই ধরণের টিজিং বা বিরক্তি বার বার করলে মানুষ ঐ দিকে অগ্রসর হয় ।



শোন তোর রাগ হইলে, আছাড় দিয়ে দুইটা গ্লাস ভাংতে পারবি। একটা মেয়ে কিন্তু চামচটাও বাকাতে পারবে না । ওটার জন্য আরো একশটা কথা শুনতে হবে তাকে। ইভেন বাপ মার কাছ থেকেও। তোর রাগ হইলে তুই দুম করে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে পারবি রাত বিরাতে। চুপ করে থাকতে চাইলে তাও পারবি। কিন্তু একটা মেয়েকে তা করতে দেয়া হবে না । ....



তুই চাইলে আকাশ পাতাল এক করে, গালি দিতে পারবি, মেয়েটা তা পারবে না । জিভটা টেনে ছিড়ে ফেলা হবে। নিজের সিচুয়েশনটার সাথে , একটা মেয়ের সিচুয়েশন মেলা । উত্তর ক্লিয়ার হবে।



লাস্টের ব্যপার টা টিজিং এইটা কখন বললাম। তোর ধারণা সবাই গল্প করে আর চাল সহ আগায়া দেয় । এসিড মারে , তাইলে কোন শালা ?? কোনো মাইয়া ?



৫. এরপর অবনী আরেকটা ঘটনা বলে ।

ওর ভাষ্যমতে """" এই কথাগুলো ওই মানুষগুলোর মনে কক্ষোনো আসবে না। তারা তাদের কাজ করেই যাবে। কলেজে থাকতে একজন খুব জ্বালাইতো। গেট পর্যন্ত আব্বু দিয়ে আসতো, গেটের ভিতরে তন্ময়। তবু ফাঁক খুজে সে আমাকে জ্বালাইতো। কিছু বলতে পারিনি। বললে মারামারি হয়ে যাবে। এটা কি জানিস, ছেলেটার মা তাকে বলছিলো আমাকে জ্বালাইতে! যখন বোরকা পড়া শুরু করলাম, তারপর থেকে ভিন্ন মাত্রার জ্বালাতন। বুড়া মানুষ আছে। জোয়ানেরও অভাব নাই। ফোরে যখন পড়তাম, একদিন আযান পড়ার সময়, আমি আম্মু আর আব্বু মামার বাড়ি থেকে আসতেছিলাম। ভীড়ের মধ্যে কেউ আমার গায়ে হাত দেয়। চিত্‍কার করে উঠি। আব্বু আম্মু ভাবে পায়ের উপর রিক্সার চাকা উঠছে। আমার আম্মুটা বাসায় এসে বরফ পানি, গরম পানি কতো কিছু দেয়া শুরু করলো! বড় হবার পর আমার শরীরটা দেখে যা খুশি না হয় বললো, একটা নয় বছরের বাচ্চা মেয়ের অপরাধ কি! কি বলবি এইসব মানসিকতা কে?"""""""



বড়পার কথা শুনে মনে হচ্ছিলো, ওদের যদি পাইতাম, স্টেইট মুখটা রাস্তার সাথে কষে চেপে ধরে মিনিমাম একমাইল টেনে নিয়ে যেতাম , তারপর , জিভটা টেনে ছিড়ে ফেলতাম।



এটার এগেইনেস্টে আনসার আসে . "এই মাইন্ডের অনেক পুলাপাইন,ছেলে,বুড়া আছে।এদের সম্পর্কে বলার কিছুই নাই" ......



আমি উত্তর দিলাম: বলার কিছু নাই মানেই তো , আমরা সেটাই মেনে নিচ্ছি । তোর কি আপন বোন কেউ আছে ??? আমি অন্য কারণে কোয়েশ্চেনটা করলাম। থাকলে বুঝতি আসলে কি কি ধরণের প্রবলেম তাকে ফেস করতে হয় । এটা শুধু আলোচনা দিয়ে বোঝানোর জিনিস না । অবনিকে বললি না , এদের ব্যপারে কিছুই বলার নাই । তোর নিজের বোন হলে কি করতি ?



৬. আপনার ব্যাচে এমন পোলাপাইন আছে যে একটা মাইয়াকে এসিড মারতে পারবো???আসলেই আমার চোখের সামনে এরকম ঘটনা ঘটে নি যেটার কারনে কেউ আত্নহত্যা করতে পারে??



উত্তরে বলেছি:



আমি আমার ব্যাচে টিজার আছে বলছি, এসিড মারতে পারবে এরকম মানষিকতার পোলাও আছে । অবশ্যই তা এক বা দুজন । তবে মানষিক বিকৃতি কোন পর্যায়ের এইটা বোঝার জন্য, দুনিয়ার সব টাইপের মানুষের সাথে মিশতে হয় । তুই কয়জনরে চিনিস । তোর সাথে হাইসা কথা বলি দেখেই কি আমি ফেরেশতা, না দুনিয়ার ব্যাবাকতে ফেরেশতা হয়া গ্যাছে??? ক্লেইম টা অন্যভাবে দ্যাখ, তোর কাছে ভালো দেখে কি দুনিয়ার সবার কাছেই ভালো ????? সবাই কি সব জিনিস তোর সাথে শেয়ার করে। তুই ইভেন আমাদের ভার্সিটির কয়টা ঘটনা পুরোপুরি জানিস ??? আমি শুধু টিজিং দিয়ে বলতেছি না। এমন এমন মুখোশপড়া মানুষ আছে, যাদের সম্পর্কে বলতে গেলে তোর গা রি রি করে উঠবে । .............. প্রমাণ তো আমি হাতে নিয়ে ঘুরি না। উ্চ্চ পর্যায়ে যাবার পর, সবাই ব্যাকগ্রাউন্ড টা সাবান দিয়ে ঘষে ফেলে। আপাতত এরচে বেশি কিছু তোরে বলবো না। পারলে তুই নিজে খুজে বের কর।



তোর চোখের সামনে ঘটেনি , ব্যস শুধু একারণেই ঘটনাটা আত্নহত্যার মতো না , এটা কি টাইপের লজিক আমি বুঝলাম না । একটু ক্লিয়ার করে বোঝা । সব কিছু কি র‍্যাবের ক্রসফায়ারের মতো ওত পেতে থাকা সন্ত্রাশী টাইপের গপ্পো মনে হয় নাকি তোর কাছে ?? আমি এটলিস্ট এরকম পাচ থেকে ছয় জন মানুষকে খুব কাছ থেকে চিনি, তাদের ঘটনা আমি দেখেছি, আমি তাদের ভাষ্যও শুনেছি। তোর কোনো কথাই এখানে ধোপে টেকে না । এখন কিভাবে একজন রেপড হইছে, সেটাও যদি তোর চোখের সামনে না ঘটার কারণে তুই অবিশ্বাস করিস, আমার আসলে কিছু বলার নাই। সেক্ষেত্রে , তালগাছ আমার টাইপের আলোচনা করে লাভ নাই।



এরপর আলোচনা শেষ হয়ে গিয়েছে । এখানে যদি অন্যরা তাদের মতামত গুলো আলোচনা করেন । তাহলে খুব ভালো হয়। তাদের দৃষ্টিভংগি। তাদের প্রশ্ন ইত্যাদি । আমার মনে স্পর্শকাতর বিষয় গুলো নিয়ে ওপেন ডিসকাসন হওয়া উচিত । ঘনঘন হওয়া উচিত । তাতে চারপাশের মানুষদের ভিউ গুলো জানা যায় , আর জানানোও যায় । যখন মানুষ তার ধ্যান ধারণা সম্পর্কে পরিষ্কার হবে, যখন তাদের বিবেক গুলো নাড়িয়ে যাবে , তখন একটা নীরব বিপ্লব আপনা থেকেই ঘটতে থাকে। মানুষের কাছে , এই ব্যপারগুলো পরিষ্কার করা উচিত আমাদের। বলে কয়ে পরিবর্তন আসে না। পরিবর্তন একটা তাগিদ। মানুষের মধ্যে যখন এই তাগিদ টা তৈরি হয়, মানুষ আপনা থেকেই পরিবর্তিত হয় । আমাদের ১০০% পরিবর্তন দরকার নাই। সেটা সমভব ও না। আমরা ৭৫-৮০% চেইন্জ করার চেষ্টা করি। বাকি ২০-২৫% তাহলে এমনিতেই দমিত হবে ।





মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:০৮

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: পোস্টের শেষে সবার কাছে থেকে,মন্তব্য,অভিজ্ঞতা চেয়েছিলাম। ওখানে থেকে বেশ কিছু কমেন্ট আর তার উত্তর এখানে কপিপেস্ট করছি ।

১. Ohonil Oboni: য়জনকে আনতে পারবি তোর এই প্রয়াসে!! মুখে বলবে, ফিরে যেয়ে আগের মত হবে না তা কে জানে! একটা ঘটনা বললাম তাতেই এতো খারাপ লাগলো রে ভাইয়া তোর? আরো কত্তো তো একনো বাকি রে! বেহালের একটা কথার উত্তর হইলো, সব মেয়েই এইতা ফেস করে, কম আর বেশি।

উত্তরে বলেছি: সব বলতে হবে নারে। চাইলেও হয়তো পারবি না । তবে হিন্টস দিলে আমি মোটামুটি বুঝে যাবো। কারণ , আমি অনেক ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী, কিন্তু বয়সটা বাধা দেবার ছিলোনা । কিছু বলতে পারিনি , কাউকে । এখন কোনো কিছুরেই কেয়ার করি না । বহুত দিন বেচে আছি। মরলেও আপত্তি নাই এখণ । একটা ঘটনা শুনেই এতো খারাপ লাগে নি । আমি শুধু আমার মেমোরিকে ফ্লাশব্যাক করাচ্ছিলাম। তারপর সবগুলোর ইন্টিগ্রেশন ই হলো আমার জেদ , আমার খারাপ লাগা । আমার আগুন ।

বেহাল দশা: অবনি আপুর কথা শুনে আমার এক খালাত বোনের কথা মনে পড়লো যাকে গ্রামের অনেক পুলাপাইন ঝালাইতো,আপু অনেক কাঁদতো,স্কুলে যেতো না।আপুর দোষ ছিলো আপু অনেক সুন্দরী।আসলে যারা এরকম ঝালাতো তাদের বোনকে আবার অন্য কেউ ঝালাইতো।আমার সহজ সরল কথায় এটা কি নিজের বোনকেই টিজ করা নয়????
অবনী:আমাকে তো খুব সুন্দর এর মধ্যে ফেলা যায় না রে দাদা তোর আপুটার মত
আমি বলেছি: সৌন্দর্য্য টা ইভটিজিং এর সংগায় পড়ছে না । হ্যারাসমেন্ট টা পড়ছে । সুন্দরি কাউকে উত্যক্ত করার নাম ইভটিজিং না। কোনো মেয়েকে আই রিপিট কোনো মেয়েকে সেক্সুয়ালি হ্যারাসমেন্ট করাটা, সেটা আচরণ, কথা , কাজ যেকোনো উপায়েই হোক , তার নাম ই ইভিটিজিং ।

২| ০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:২৫

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: কথোপকথন আকারেই বাকি মন্তব্যগুলো এখানে তুলে ধরছি ।
Apatoto Bekar: পোশাকের ব্যাপারটা আসলেই একটা বড় ফ্যাক্ট । সংস্কৃতি বলেও তো একটা কথা আছে । আমাগো দেশের পুলাপান তো মাইয়াদের ছোটখাট তথা অশ্লীল ড্রেসে দেইখা অভ্যস্ত না । এরকম দেখলে দুএকটা খারাপ কথা আসাটা অস্বাভাবিক না । তবে যারা ভালো মেয়েদের ক্ষেত্রেও ইভ টিজিং করে তাগো নিয়া একটাই কথা- তাদের জন্মের শুদ্ধতা নাই ।

##উত্তরে বলেছি: এ.বি.দা: একটা কথা আছে আমার ??? কাউকে যদি তার ভুল ধরাতে হয়, আমরা কি তাকে টিজিং করি, নাকি তাকে বুঝাই ? সব খানেই কি ছোটো পোশাক টা প্রবলেম??? দেইখা অভ্যস্ত না , এজন্য বাজে কথা বলে, এটা আসলে কেমন কথা ?? বললাম ই তো , আমাদের দেশের মেয়েদের মধ্যে যারা টিজিং এর শিকার খোজ নিয়ে দ্যাখ দাদা তাদের ৮০-৮৫% মার্জিত পোশাক পরে । তারা টিজড হয় ক্যানো?? ছোটো পোশাক? ছোটো পোশাকের ডেফিনেশন টা কি ? পোশাকটা আদপেই এখনো কোনো প্রবলেম না । আমি এটার ব্যপারে আমার নোটেই উত্তর দিয়ে দিছি । ভালো মেয়ে খারাপ মেয়ের বিচারকার্যের ভার টা আসলে কার উপর ন্যাস্ত ? যাস্ট আর কিছু না , কাপড় ধরে টানাটানির স্বভাবটা আমাদের জন্মগত রে দাদা। আমি ছেলে ভালো না খারাপ এটার বিচার কার্যের ভার কার উপর বর্তায় ? যারা ইভটিজিং করে , তাগো নিয়া একটাই কথা - তাদের জন্মের শুদ্ধতা নাই ।

Faij Uddin Shakil: জারা ইভ টিজার তারা ছোট বা লম্বা পোশাক দেখেনা, তবে মেয়েদের শারিরিক কাঠামগত কারনে খোলানেলা পোসাকে ছেলেদের মাথায় সেক্স্যয়ালি ক্যামিকেল রিয়েকশন সুরু হয় , ইভ টিজার রা এইটা কন্ট্রোল করতে পারেনা , তারা সেটা টিজ করে ইঞ্জয় করে, বিশ্বের সব দেশেই টিজ আছে, প্রাচ্যে কোন মেয়েকে সেক্সুয়ালি অফার করলে হয়তো সেটা যতটা খ্রাপ চোখে দেখা হয় কিন্তু আমাদের দেশে শেখানে ভালোবাআর অফার দিলে সেটা দেখা হয়। এখানে আমি বলতে চাচ্ছি মেয়েরা স্থান কাল পাত্র ভেদে ইভ টিজের সিকার নয়, সব খানেই এটা আছে। মেয়েদের প্রাকৃতিক ভাবে শারিরিক এটার্ক্টিভনেসের অধিকারি, তাই সেক্ষেত্রে তাদের শরির মার্জিত ভাবে চলাটাও তাদের নিজেদের জন্যে জরুরি।

আমি বলেছি: আমাদের সমাজে শিক্ষিত মুর্খ ও অনেক । একমত । ১০০% একমত। আমরা মনে করি , একজন হাই প্রোফাইল পেশায় নিয়োজিত , সো সে ভালো। চশমা পড়া টিচার ভালো, দাড়ি রাখা মুরুব্বি ভালো, মিষ্টি কথার প্রতারক ভালো । বইয়ের পড়া মানুষের চরিত্র গঠন করতে পারে না । তাইলে বই পড়ে মানুষ ঘুষখোড় হইতো না। একটা রিকশাওয়ালা তোর বড় ক্ষতি করতে পারবে না । একটা তথাকথিত শিক্ষিত লোক, একটা কলমের খোচাতেই অনেক বড় সর্বনাশ করে দিতে পারবে... । চরিত্র আলাদা জিনিস। ওটা কথা দিয়ে কন্ট্রোলে আসে না । মানুষকে প্রয়োজন অনুসারে আদর এবং শাসন দুটোই দেয়া উচিত । কাউকে শিখায়া পড়ায়া দেয়া যায় না, যে এটাকে এভাবে দেখতে হবে , এটা এভাবে করাটা উচিত । এটা শোভন , এটা অশোভন। এগুলো সবাই জানে। একটা টিজার ও জানে, তার কাজটা খারাপ। সে বীরত্ব করে বেড়ায় । তাহলে তাকে এবাবে শেখানো যাবে না । নষ্ট জিনিস কে রিপেয়ার করলেও সেটা আবার নষ্টই হয় । ফ্যামিলির ও কিছু কিছু ব্যপারে শিক্ষা দেয়া উচিত। শাসন না করলে,ছেলে বাপের সম্পতি উড়াবে , এটাই
স্বাভাবিক। দুধ কলা দিয়া কালসাপ ই পুষতে হবে।

শাকিল , আমাদের কাছে মনে হয় একটুখানি বাড়িয়েই বলা হয়েছে। পাশ্চাত্যের কাহিনী আমাদের কাছে যেমনটা বলা হয় , মনে হয়না তার সত্যটা আছে । চিনি না জানি না, একজন কে যদি ডাইরেক্ট সেক্স অফার করা হয় , তাহলে তো তার বিরক্তই হওয়ার কথা ।
"মেয়েদের শারিরিক কাঠামগত কারনে খোলানেলা পোসাকে ছেলেদের মাথায় সেক্স্যয়ালি ক্যামিকেল রিয়েকশন সুরু হয় , ইভ টিজার রা এইটা কন্ট্রোল করতে পারেনা , তারা সেটা টিজ করে ইঞ্জয় করে" - দেন এটা তাদের অস্থিমজ্জায় মিশে গেছে । এদের আলাদা করতে হলে ডোজ দিতে হবে। পেইনটা বোঝাতে হয়। আফসোস যে নিজের ফ্যামিলিতে এটা ঘটার আগ পর্যন্ত তারা বুঝবেই না ।।


Ohonil Oboni: স্বস্তিক, আমার ছোত্ত একটা ভাই সেদিন বললো, "এখন তো ভাল মানুষের ভেক ধরে আছি। সময় এলে ঠিকই সাপের মত ফণা তুলব। পুরুষ জাত না? তদিন তারা নিজেগো খালি পুরুষ মনে করে আর নারীদের মেয়েছেলে মনে করে ততদিন তাদের থেকে খারাপ কেউ থাকে না। পুরুষ মানুষ হৈল প্রকৃতির একটা ভুল। নিতান্তই জৈবিক প্রয়োজনে একটা পশুর সৃষ্টি। আমি এদেরই একজন। সুতরাং আমি পশু হয়ে উঠতে বাধ্য।" ওরে বুঝানোর জন্য অনেক কিছু বলছিলাম। কিন্তু মনের মধ্যে আমিও এই কথাটা পোষন করি। দোষ কার? আমি বলছি, "পুরুষ বলতেই যে খারাপ, তা না। বুক দিয়ে আগলে রাখতে পুরুষেরাও পারে।"

আমি বলেছি: অবনি: স্বস্তিক কে বলিস, ঐটা কোনো যুক্তিই না । জৈবিক প্রয়োজনে পশুর সৃষ্টি , এইটা একটা অপপ্রচার বা প্রপাগান্ডা, মানুষ হয়ে ওঠার জন্য এইসব প্রোপাগানডায় কান দিতে নাই। কেউ যদি নিজে থেকে পশু হয়ে উঠতে চায়, তখন সে তার পশুবৃত্তির পক্ষে একটা যুক্তি দাড় করিয়ে নেবে । সে যুক্তিটা দিয়েই খালাস, নিজেকে প্রশ্ন করবে না কোনো?? সে পশু হয়ে উঠবেই এটা তার ইচ্ছা যদি হয়, তাহলে এসব যুক্তি টানার কোনো কারণ কারণ নাই। সুযোগ সবাই কখনো না কখনো পায় । তাই বলে সবাই এইটা ভাবে না , তাকে ফণা তুলতে হবে, বা পশুই হতে হবে । সুযোগ পেয়ে পশু হতে চাওয়ার ব্যপারটা আমার কাছে অদ্ভুত লাগলো । সুযোগ পেলে কেউ মানুষ হতে চায়
না ক্যান ?

৩| ০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৩৭

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: Faij Uddin Shakil: পুরুষ যখন তার সেক্সুয়ালি মোহ টা কে কন্ট্রল করতে পারবে তখন ই সে আসোল মানুষ হতে পারবে, নারিদের ক্ষত্রে সেক্সুয়ালি এগ্রেসিভ নেস কন্ট্রোল করতে পুরুষের মত এত সংযোমি হতে হয় না। পুরুষদের ব্রেইনের অনেক অংশ প্রাপ্ত বয়স্ক হবার পর থেকে সেক্স নিয়ে ভাবনা হয়ে থাকে, যেখানে তার মন ও মগজে একটা সেক্সুয়ালি এগ্রিসিভনেস ক্রিয়েট হইয়ে যায়। যা কন্ট্রোল করতে নৈতিক শিক্ষা অনেক জরুরি।

আমি বলেছি: হুম, তবে সেই বেইজটাও তৈরি করে দেয়া উচিত । দুনিয়ার সবাই রাস্তায় টাকা পড়ে থাকলে তুলে নেয়না। এটলিস্ট ১০% পিপল এইরকম আছে , যারা নিজেদের কন্ট্রোল করতে পারে। টাকা দেখেলেই তুলবে না । একজন কে তুই নীতি কথা শেখাতে পারবি , কিন্তু মানতে হলে, নিজের বেইজ টা তৈরি করতে হবে। নিজেকেই। সবাই তো জানি চুরি করা খারাপ। আমি বইয়ে পড়ার আগে থেকেই সেটা জানি। আমি সেটা করি না। কিন্তু বইয়ে শেখার পরেও অনেকে চুরি করে। নীতিটা কীভাবে এফেক্ট করে মানুষের উপর । ক্যামনে শিখাবি, নিজে না বুঝলে ?

Fahad Jackson: প্রথমেই বলে নিই যে আমি একটা পাগল। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, আমি যে পাগল এটা আমার ফ্রেন্ডলিস্টের অনেকেই জানেনা!

আচ্ছা মুন দাদা, গোপন জিনিসের প্রতি মানুষ বেশী আকর্ষণ বোধ করবে, খোলা জিনিসের প্রতি আকর্ষণ থাকবেনা, এটাই তো স্বাভাবিক তাইনা? বাংলাদেশের মতো একটা দেশ যেখানে ইসলামকে সর্বক্ষেত্রে প্রায়োরিটি দেয়া হয়, ইসলামকে মেনে চলা হয়, 'মুহাম্মদ বিলাই' নাম দিয়ে একটা সিম্পল কার্টুন বানালেই দেশের শীর্ষস্থানীয় এটা ফান ম্যাগাজিনকে ব্যান করে দেয়া হয় সেদেশে পর্দানশীল মেয়েরাই বেশী ইভ-টিজিং এর শিকার হয় এটা অস্বাভাবিক নয় কি? অথচ পাশ্চাত্য দেশগুলোতে যেখানে ইসলামের কোনো বালাই নেই; মেয়েরা স্বল্পবসনা হয়ে একা একা স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে... কই, সেখানে তো ইভ-টিজিং নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই। নুডিস্ট বিচগুলোর অবস্থা দেখেছেন? নারী-পুরুষেরা যেখানে অবলীলায় পরস্পরের সামনে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ায়... সেখানে কখনো ইভ-টিজিংএর ঘটনা ঘটতে শুনেছেন?

এর মানে কি এই না যে, যেদিন আমাদের দেশের মেয়েরা ধর্মের দোহায় দিয়ে চাপিয়ে দেয়া পর্দাপ্রথা নামক বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাবে সেদিন থেকেই ইভ-টিজিং নামক বিষবাষ্পের হাত থেকেও তারা রেহাই পাবে?

, আমি আমার মন্তব্যের কোনো রিপ্লাই পাওয়ার আশা করছিনা। আবারো মনে করিয়ে দিচ্ছি আমি একটা পাগল; আর একটা পাগলের (কু)যুক্তি নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনোই যৌক্তিকতা নেই।

উত্তরে বলেছি : এটাকেই যদি খুব স্ট্রং কোনো কারণ বলিস, তাহলে ভুল হবে । ইভটিজিং এর সংজ্ঞাটা যদি দেখিস, তাহলে সেই টিজিং টা সবখানেই হয় । কম বেশি। তথাকথিত উন্নত দেশ বলে কিছু নাই এখানে। উন্নত দেশের মানুষগুলা সব সোনা দিয়ে মোড়ানো না। সবাই চিন্তা চেতনায় গৌতম বুদ্ধ বা দালাই লামা টাইপ কেউ হয়ে যায় নি। কারণ, আসল শব্দটা সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট অর অ্যাসল্ট । খুব কোমল করে আমরা শব্দটাকে ইভটিজিং বলি । এখন সবকিছুতে যদি কুমিরে খায় টাইপ চিন্তা ইনপুট করি , তাহলে তো সমস্যা। ধর্ম আসার আগেও এই প্রবৃত্তি ছিলো। একটা মানুষকে আস্তিক নাস্তিকতার ভিত্তিতে আমরা আমরা টিজার গ্রুপে ফেলতে পারিনা। খাইস্টা লোক প্রচুর আছে দুই খানেই। টিজিংটা মনোবিকার বা অসুস্থ মানষিকতার ফসল। আমি টিজিং করবো না, আমি এটাকে ঘৃনা করি, এটা জানার জন্য বা মানার জন্য, ধার্মিক বা নাস্তিক হওয়ার প্রয়োজন নাই । মানুষ হলেই চলবে । আর তুই যে পর্দাপ্রথার কথা বলতেছিস, সেটা এখন অনেকাংশেই বাতিল । এবং আস্তে ধীরে এমনিতেই বাতিল হবে। মেয়েদের অনেকটা বাধ্য হয়েই এভাবে চলতে হচ্ছে। সেটা ধর্ম মানার জন্য না, সেটা গুটিকতক পশুর হাত থেকে , নিজেকে রক্ষা করার জন্য, দূর্বল ঢাল হিসেবে ।

নূর এলাহী শিবলী: আপনি যেহেতু নিজের মতামতটুকু তুলে ধরতে বলছেন তাই তুলে ধরছি।

১. প্রথমেই খটকা লাগলো আপনার ইভ টিচিং এর জন্য জুডো কারাতের ব্যাপারটা। জুডো একটা শিল্প কোন অস্ত্র নয়। আর মারামারি করলে তো সেটা আরও খারাপ হয়ে যাবে। আর প্রতিবাত করার জন্য জুডোর ব্লক বেল্ট লাগে না। একটু সাহস লাগে। বেশীর ভাগ মেয়েদের টিচ করলে দেখি মুখ ঘুরিয়ে চলে যায়! এটাতে টিচারা আরও উৎসাহ পায় আর মেয়েরা মোটেও অসহায় নয়। তারা যদি গালি না দিয়ে সাথে সাথে বলে "আপনি এটা করলে কেন?" তাহলেই সবার নজরে পড়ে যাবে। আর পাবলিক তো পেটানোর জন্য সব সময় প্রস্তুত হয়ে থাকে। আসল সমস্যা হল অন্য মানুষদের বোঝাতে হবে যে, "আমদের (মেয়েদের) ইভ টিচিং করলে মজা পাই না, কষ্ট পাই।" তাই হলেই কাজ হবে আমার বিশ্বাস। বলে রাখি এই বিষয়ে আমার কিছু বাস্তব অবিজ্ঞতা আছে।
আর নাই কথাতেই "কুত্তার বাচ্চা" আর বড় কথাতেও চুপ থাকা কোন বুদ্ধি মানের কাজ নয়।

২. আমি তখন ক্লাস ৭ এ পড়ি! একটা বড় আপু আমাকে খুব পছন্দ করতো আমি তাকে ভীষণ পছন্দ করতাম। একটা বখাটে ছেলে তাকে টিচ করতো কিন্তু কাওকে বলতে পারতো না। আমি ঢিল মেরে ব্যাটার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলাম। পরে ঐটার জন্য কান খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বাড়ির লোক জেনে আমাকে সমস্যা গালা গালি করেছিল কিন্তু মি. টিচারকে সোজা করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বখাটে এবং ইভ টিচাররা মোটেও ক্ষমতাবান নয়। সংখ্যায় কম থাকলে আরও দুর্বল।

৩. আর ছোট ছোট কাপড়ে ক্যাটরিনাকেই ভালো লাগে কারণ ওর চারপাশে ৮ থেকে ১০টা বডি বিল্ডার থাকে। ভিড় বহুল বাস আর রাস্তার মোড়ে ছোট কাপড় মানায় না।

৪. আর জৈবিক তাড়না আসে মানসিক অবস্থা ও সম্পর্ক থেকে থেকে যাদের *** ক্ষমতা এতই প্রবল তারা কেন শুধু অন্য মেয়েদের দেখে গরম হয়? তাদের মা অথবা বোনদের দেখে কিছু নয় না।

৫. প্রথমেই বলেছি আবার একটু বলি কেউ প্রেমের প্রস্তাব দিলেই মেয়েরা (বিশেষ কিছু) একেবারে বেশী বেশী করতে থাকে। আবার কিছু টাইপ আছে যারা ঝুলিয়ে রাখে।
একবারে প্রত্যাখ্যান করা উচিৎ। তারপরও যদি প্রতিদিন রাস্তায় প্রতিদিন দাড় করিয়ে বিরক্ত করতে থাকে তালে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।

উপরের সবগুলিই আমার নিজের মতামত। আর ইভ টিচারদের সোজা করতে আমারা যারা ওদের বন্ধু আছি তাদের চেষ্টা নেয়া
উচিৎ।

আমি বলেছি: ওটা আমার সলুশ্যান না। মারপিট করার জন্যও না। সলুশ্যনটা কার আমি সেটা মেনশন করছি। জুডো একটা আর্ট, সেটা আত্নরক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয় । কেউ আত্নরক্ষাকারী কিছু কৌশল শিখলে, সেটা সে যেখানে সেখানে প্রয়োগ করার জন্য মুখিয়ে থাকেনা। তোমার উপর কেউ এটাক করলে ঐসব প্রতিবাদ ট্রতিবাদ দিয়ে কোনো কাজ হবে না । মারামারি করার জন্য তো ম্যাডাম সেটা শিখতে বলেনি। কখনো কেউ এটাক করার চেষ্টা করলে সেটার উত্তরটা দিয়ে দেয়ার জন্যই এটার শিক্ষা। প্রতিবাদ করার জন্য স্কিল লাগে । শুধু প্রতিবাদে কাজ হয় না। প্রতিবাদের সাথে প্রতিরোধ ও জড়িত। ফাকা প্রতিবাদে কি কাজ টা হইছে এই দেশে। প্রতিবাদ কি হয়নি এই দেশে ??? যতক্ষণ না সেটার এগেইনেস্টে দুই চারটা শাস্তি প্রয়োগ করা হয়েছে, তখন একটু হলেও কমে গিয়েছিলো সেটা । তোমার বাকি প্রশ্নগুলো নিচ্ছি না। ওগুলোর উত্তর আগেই দেয়া হয়ে গেছে। আমি বলছি, ক্যাটরিনাকেও আমরাই তৈরি করি, আর জরিনাকেও আমরাই তৈরি করি। সত্যটা স্বীকার করতে এতো কষ্ট হচ্ছে কেনো ??? মেয়েদের শালিন হওয়া জরুরী ?? আর ছেলেদের ??? গুতিকতকের উদাহরণ টেনে লাভ নাই। ব্যতিক্রম টা নিয়ে যদি মূল নিয়মের বিরোধিতায় নামো, তাহলে শুধু তর্কের খাতিরে তর্ক করে লাভ নেই। তোমার মত তোমার জন্যই শোভন । তুমি শুধু ঘটনাই দেখাচ্ছো। শিকার কারা হচ্ছে সেটা দেখতেছো না। মেয়েগুলা খামাখাই শিকার হচ্ছে , সব দোষ তাদের , কিমবা বেশি দোষ তাদের, তাদের পোশাক হ্যান করা উচিত ত্যান করা উচিত ।। কাপড় ধরে টানার অভ্যাস টা বাংগালিদের একটু বেশিই আগেই বলছি। ঠিক কত শতাংশ মেয়ে তোমার সামনে জামার বোতাম খুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে আমি জানি না । শারীরিক গঠন প্রদর্শন করার জন্য , নিতান্তই ডেসপারেট টাইপের লোক ছাড়া নিশ্চয় কেউ বসে নাই ??? আসলেই মেয়েদের সব দোষ । দোষ এইটা যে তারা মুখ বুজে সব সহ্য করে। একটা মা যেই পরিমাণ কষ্ট করে সংসার দেখে, সবাইকে সামলায় , আমরা তা বুঝি না । বাপকে ম্যানেজ করা, সন্তান কে দেখে রাখা, পরিবারের সবাইকে দেখে রাখা আরো একশ একটা দুশ্চিন্তা তাকে সামলাতে হয় । আমাদের কিছু চাইলে , কোনো আবদার থাকলে আগে আমরা মাকে বলি সচরাচর । ঠিক কিনা?? ঝাড়ি ঝাড়ার সময়, তেজ দেখানোর সময় ঐ মাকেই আগে অপমান করি। বাপের সামনে তো সাহস দেখানোর পোলা কম । বোন থাকলে, আগে নিজের টা সামলাই, তারপর বোন পায় কিনা , পরে দেখা যাবে । বেশিরভাগ ফ্যামিলীর এই এক ই অবস্থা । প্রতিনিয়ত, যেখানে নিগৃহীত করা সম্ভব সেখানেই আমরা তাদের ছোটো করি । শেষ বয়সে মা বুড়ি । হাহ .......... যাইহোক প্রসংগের বাইরে গিয়ে কথা বললাম, এ কারণে, যে ওভারওল সিচুয়েশন এটাই বলে যে, মেয়েরা এখনো নিগৃহীতই।

আমি সিরাজগঞ্জ আর বগুড়াতে লেখাপড়া করছি । আসলে কি বলবো । এই ঘটনাগুলার অনেকগুলোই নিজের চোখে দেখা :'( । একজন রে ইচ্ছামতো পিটাইছিলাম একদিন । তার বাপের আবার ম্যালা ক্ষ্যামতা। যাইহোক শেষ পর্যন্ত হাজতের ভাত খাইতে হয়নি প্রতিবাদ করতে যায়া । শালারা আসলেই কুত্তা । কুত্তার বাচ্চা না বলে বরং বাচ্চা কুত্তা বলে গালি দেই কি বলো ?


৪| ০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৪৫

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন:
গোধুলি আপু বলেছেন: আমি আমার এক টিচার ( বুয়েট পাস ) বলসিলাম স্যার ছেলেদের মন মানসিকতার উন্নত না হইলে পর্দা করুক আর যেভাবেই চলুক টিজিং চলবে । স্যার বলসিলো --একজন মেয়ে নিজেকে অসম্মানিত না করলে কেউ তাকে অসম্মানিত করেনা -- হা হা হা সেই আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ থেকে আজ অব্দি -- বোরকা পরা মেয়েরা টিজিং এর শিকার হয় আর আমাদের দেশের বুয়েট পাশ মাথারা এই থিওরি দেয় , হা হা হা ।

Kazi Md Tareq Aziz: আমার আপন কোনো বোন নেই ।। তাই বলে আমি বোনের মর্যাদা না বুঝে কাউকে এ পর্যন্ত মনে হয় টিজ করি নি ।। "মনে হয়" এ জন্য বললাম যে, আমি যতটুকু করেছি সেটা আমার বিবেক বলছে "টিজ" নয় ।। আমি হয়তোবা যেটা করেছি সেটা হল কেউ সুন্দর হলে তাকিয়ে দেখেছি ।। তবে তাকিয়ে দেখা যদি টিজের আওতায় পড়ে তবে আমাকে সে শিক্ষা দিয়েছেন কবিগণ অথবা গায়কগণ ।। তাঁরাই লিখেছেন/গেয়েছেন, "তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি সেকি মোর অপরাধ", "আমি সৌন্দর্যের পূজারী", "পড়ে না চোখের পলক", "রিকশা যাচ্ছে হাওয়ার বেগে", "পলক তবু কেন পড়ে না" এই ধরণের অসংখ্য গান আর কবিতা !!
>আমি সাধারণত সব মেয়েকেই "বোন" বলে সম্বোধণ করে থাকি বা বোনের দৃষ্টিতে দেখি ।। কারণ, আমার পরিবারকে অসভ্য হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মত সাহস ("সাহস" বললাম এ জন্য যে ইভ-টিজাররা হয়তোবা নিজেদের সাহসী মনে করে) আমার নেই !! এ কারণে আমাকেও বন্ধু-বান্ধবদের টিজের শিকার হতে হয় ।। তারা অনেক কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আমাকে হেয় করার চেষ্টা করে ।। কাউকে বোন বলা কি অপরাধ ?? নাকি বোন বলে ডাকলে পুরুষত্ব শেষ হয়ে যায় ?? তারাই কি পুরুষ যারা আসহায় একটা মেয়েকে পেয়ে উত্যক্ত করে ?? প্রশ্ন সেই অভাগাদের কাছে ।।
>আমার মা আমার গ্রামে ইভটিজিং বিরোধী কমিটির সভাপতি ।। আমার মাকে গ্রামের প্রায় সবাই অনেক সম্মান করে ।। আমার মায়ের সম্মানে গ্রামের ইভ-টিজিং অনেকাংশেই কমে এসেছে ।। যাঁর সম্মানে ইভ-টিজাররা নিজেদেরকে সামলে নিচ্ছে আমি কি ইভ-টিজিং করে তাঁরই সম্মান ভূ-লন্ঠিত করব ?? কখনোই নয় ।। মাকে বড় ভালোবাসি ।।
Ohonil Oboni : @শিবলীঃ আমার ভাইটা বাজে অভ্যাসের শিকার হয় নি। সে এতটুকু বোঝে বলেই আর যাই হোক, তার দ্বারা কোন মেয়ের কিছু হবে না। মেয়েদের শরীরটাকে দেখছো কেনো? প্রাকৃতিকভাবেই তার সৃষ্টি। সমাজে মেয়েরে যেখানেই চলতে যায় সেখানেই ছেলেদের আধিক্য। এতো দেখছো, তবু চোখে এখনো সয় নি কেনো? মেয়েদের জন্য চুপ করে থাকার বহু কারন আছে। তোমাকে আর কিছু লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে না। তবে মন থেকে একটা দোয়া করি তোমার জন্য, সৃষ্টিকর্তা তোমাকে একটা ফুটফুটে মেয়ে দিন।
Ananya Raka Chakraborty: টানা ১২/১৩ ঘণ্টা ঘুমায়ে খুশি খুশি মনে ফেবু তে আসলাম, ফাইজলামির মুডে ছিলাম, তোর লেখাটা পড়ে ভাবতেই আছি... ফ্ল্যাশব্যাক খাইতেসি বসে বসে... লাইফ এর কিছু এক্সপেরিএন্স যেগুলো কোনদিন আর মনে করতে চাই না... সেগুল শেয়ার ও করছি না... (করতে পারব কিনা জানিও না) ...বাদ দেই, একটু অন্য কথা বলি, আমার মামনি আর বাবা যারা আমার দৃষ্টিতে সবচাইতে লিবারেল, এক মাত্র মেয়েটারে বিদেশে পাঠানোর পিছনে বাবা'র যুক্তি আমি একটা সুস্থ পরিবেশে উচ্চ শিক্ষা নিতে পারব, তুলনামুলক ভাবে একটা বেটার পরিবেশে... যেখানে বাধাটা কম। একবার বাবা মামনিকে সারপ্রাইজ দিতে বাসায় চলে গেছিলাম না জানায়ে, অনেক সারপ্রাইজড হয়েছিল, সাথে এও বলেছিল মামনি আর কখন ও এমন করিস না, আমি বলছিলাম, কেন? বিদেশে তো সব জায়গায় একা একা যাই, দেশে একা আসছি জন্য কি সমস্যা। মামনির উত্তর, সমস্যা তো তোর না মারে, যাদের সমস্যা তারা একা তোকে এয়ারপোর্ট থেকে বাসা পর্যন্ত সুস্থ ভাবে আসতে দিবে কিনা সেই চিন্তাই করি। মামনি এডভকেট হওয়ার কারনে অনেক কাহিনি শুনতে হয়েছে আমাকে, আর সাহস করিনি একা বাসায় যাওয়ার। ভিতু হয়ে গেছি আরও।
যে আমাকে বাইরে পরতে আসতে হেল্প করেছিল সেই ভাইয়া টার কাছ থেকে কিছু কমেন্ট শুনেছিলাম যেগুলো আমাকে এখন হাসায়, তখন যদিও কাঁদিয়েছিল। তিনি ১৭টার বেশি দেশ ঘুরেছেন, অনেক বড় মাইন্ড তার, তার ১০ বছরের মেয়েটাকে তিনি স্কার্ফ পরতে বাধ্য করেছেন। আমাকে তিনি বলেছিলেন, মেয়ে হয়ে আর্কিটেক্ট হয়ে কি করবা, হিউম্যান রিসরচ এ পড়, কাজে লাগবে... তিনি বাংলাদেশের ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট ইউনিভার্সিটি এর প্রোফেসর।
অনেক মানুষ(!) বাবা মাকে অনেক কথা শুনায়, একমাত্র মেয়েকে বিদেশে পাঠানোর কুফল সম্পরকে উদাহরন সহ ব্যাখ্যা করে, প্রাউড অফ মাই প্যারেন্টস, সঠিক উত্তর টা তারা দিয়ে দেয়... আমিও অনেক শুনেছি, এখন গাধা হয়ে গেছি, আমার উপর কাদা, মাটি ছুড়ে ফেলে, আমি গা টা ঝাড়া দিয়ে ওই মাটির ই উপর আর একটু উঠে দারাই।

৫| ০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৪৮

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: post ta onek guruttoporno dada ,share e de.........:(

০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৫৭

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: শেয়ার এ তো দেয়াই আছে । আমি তো সবার জন্যই ওপেন করে দিছি :(

৬| ০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৪৯

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: তন্ময় তানিম: Click This Link
সামুতে ইভ টিজিং বিরোধী প্রচারণা অনেক দিন ধরেই। প্রথম পাতায় "ইভ টিজিং রুখে দিন, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলুন স্লোগানে একটা ব্যানার টানানো আছে।"
তুমিও পারলে মন্তব্য সহ লেখাটা সামুতে তুলে দাও।

লেখা পড়লাম..সবার মন্তব্যও মোটামুটি পড়েছি। নতুন করে কিছু বলার খুঁজে পাচ্ছি না। শুধু নিজের দেখা বছর দুয়েক আগের একটা ঘঠনা শেয়ার করি।

কোন এক শেষ বিকেলে ধানমন্ডিতে লেকের পাশ দিয়ে এক ছেলে তার মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে হেটে যাচ্ছে। হঠাৎ করে পেছন থেকে এক ছেলে এসে সেই মেয়েটিকে খামচি মেরে চলে যায়। মেয়েটি সাথে সাথে দৌড়ে গিয়ে ছেলেটির হাত ধরে ফেলে। তারপর পায়ের জুতা খুলে পিটানি শুরু করে। আর মুখে দুনিয়ার যত গালি গালাজ আছে বলতে থাকে। পরে আরো পাবলিক এসে মেয়েটির সাথে দলবেধে পিঠাতে থাকে। এই অবস্হা দেখে ঐ ইভ টিজারের সাথে আসা ছেলেগুলো আবার পালিয়ে যায়।
তবে মজার ব্যাপার হলো..মেয়েটির সাথে আসা ছেলেটি ছিলো চুপচাপ। বরং সে বারবার চেষ্টা করছিলো মেয়েটিকে সরিয়ে নিতে। একসময় মেয়েটি বিরক্ত হয়ে বলে.."তরে আমার আর লাগবে না। তুই যা..বাসায় গিয়ে চুড়ি পরে বসে থাক।"
এই ঘঠনা শেয়ার করার উদ্দেশ্য হল..যারা টিজিং এর টার্গটে/ শিকার হবে..প্রাইমারি প্রতিরোধ তাদের কাছ থেকেই আসতে হবে। তাদের কে অন্তঃত নিজেদেরকে সেভাবে তৈরি করে নিতে হবে যাতে এধরনের পরিস্হিতিতে ঘাবড়ে না গিয়ে বরং উপযুক্ত শাস্তি দিতে পারে..সেই সাহস এবং মানসিক শক্তি অর্জন করতে হবে। অনেকে লজ্জা পেয়ে চুপচাপ থাকে। অথচ লজ্জা পাওয়া উচিত সেই কুলাঙ্গারের যার মা একজন নারী হওয়া স্বত্তেও সে নারী জাতির অপমাণ করতে এতটুকু দ্বিধা করে না। তাই লজ্জা, ভয়, সংকোচ এগুলো আর নয় ..প্রয়োজন নিজের প্রতিরোধে নিজেকেই তৈরি করা।

৭| ০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:২৭

পাগলা সন্নাসী বলেছেন: পোস্টটা অনেক বড়। পুরোটা পড়ি নাই তবে যতদুর পড়ছি, অনেক ভালো লাগছে

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:০৪

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: পাগলা, সময় করে পুরোটা পড়ে দেখবেন। মতামত দরকার

৮| ০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৫৭

শাহেদ৬৯ বলেছেন: মূল কথা ঈভ টিজিং নির্মূলে আমাদের পুরূষদেরই আগায়ে আসতে হবে এবং অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে ... সাথে সাথে পশ্চিমা সংস্কৃতি পরিহার করে আমার নিজস্ব সংস্কৃতি ধারন করার অভ্যাস করতে হবে ... :| :| :| :| :| :| :| ... আর একটা কথা , মামুন ভাইছা বহুত খাটিছে ... :) :) :) ...

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:০৬

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: শাহেদ ভাই। কঠঠঠঠঠঠঠীন ভাবে সহমত । :) । তবে ... সবার সাহায্য ছাড়া সম্ভব না । তোমরা হেল্প না করলে পারতাম না । খালি খালি ক্রেডিট দিয়া লাভ নাই। সম্মিলিত জনগোষ্ঠীর অনেক ক্ষমতা। তারা চাইলে , আই মিন আমরা চাইলে বদলাবেই :)

৯| ০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৫৮

গ্যাঁড়াকল বলেছেন: জনগুরত্বপূর্ন পোস্ট..ধন্যবাদ এরকম একটা পোস্টের জন্য।

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:০৮

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই , পড়ার জন্য ।

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৩৪

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: ্ওরে রে ররে রে । দাদা এইটা তুই

১০| ১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:১১

বহুলুল পাগল বলেছেন: ইভটিজিং প্রতিরোধে আমরা যেন এখনই সচেষ্ট হই । এজন্য প্রয়োজন সকলের মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং সকল স্তরের মানুষের একান্ত সহযোগিতা

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:১৭

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: একমত । ১০০% একমত। এখন নয়তো কখনো না। সবার সাহায্যই লাগবে । একতরফা কাজ করে পরিবর্তন আসবে না ।

১১| ১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:২৫

নষ্টছেলে বলেছেন: আজকে সন্ধ্যার পর টি এস সি তে বন্ধু রুমি বলছিলো "আজকে এক মেয়েকে দেখলাম বাসের হেলপারকে হাতের ব্যাগ দিয়ে সেরাম বারি দিসে।মনে হয় কিছু বলসিলো কিংবা করসিলো।"-----অবাক লাগে বাসের হেলপাররা এ ব্যাপারে কারো চে কোনো অংশে কম না।আমাদের মানসিকতার অনেক পরিবর্তন দরকার।মেয়েদের শুধু শরীর দিয়ে চিন্তা করার আগে আমাদের উচিত একজন মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।

এতো সুন্দর গঠনমূলক পোস্টের জন্য মামুনকে লাল সালাম।

মাননীয় মডারেটর পোস্টটি কি জনস্বার্থে অন্তত একদিনের জন্য স্টিকি করা যায়!!!!??

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৩৯

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: বড়দা, বাসের হেল্পার ,এবং রিকশা ওয়ালা - বেশির ভাগ মেয়ের ভাষ্যমতে এরা বেয়াড়া টাইপের শয়তান । একটু আগে একজন আমাকে ইনবক্স করে জানিয়েছে, চোখ দিয়েই এরা যে পরিমাণ ইভটিজিং করতে পারে , ঘেন্নায় গা রিরি করে । কমেন্ট ও মাঝে মাঝে এমন করে, না পারা যায় বলতে , না পারা যায় সহ্য করতে । দাদা, আসলে কাজ করতে চাই আমি । এই বিষয়ে। ফ্রিল্যান্সার এর মতো। সুনির্দিষ্ট কোনো প্ল্যাটফর্ম থেকে না । যেখানে যখন সুযোগ পাবো । কাজ করবো । ...

১২| ১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৪৭

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: ছোটবেলা থেকে ভালো ছেলে(লুতুপুতু টাইপ না কিন্তু ইস্টুনকোল্ড) ছিলাম..কখনও মেয়েদের টিজ করেনি...

তারপরেও নিজেকে দোষী হিসাবে সাব্যস্ত করা যায় এ কারণেই যখন আমার পাশে দাড়িয়ে টিজিং করেছে তখন শুধু অক্ষমের (অক্ষম ই বলব) মত শুধু তাকিয়ে দেখেছি..

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১:১৭

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: এখন তো ছোটোটা নেই ।

১৩| ১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১:১৪

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: একত্রভাবে অনেক কিছু করা যায়। কিন্তু একত্র থাকার অভ্যাসটা দরকার।

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১:১৬

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: চেষ্টা করবো :)

১৪| ১৭ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৩৬

অযান্ত্রিক হৃদয় বলেছেন: পুরোটা পড়িনি, সময় করে পড়ব। আবার কমেন্ট দেব। আপাতত একটা দাবী

স্টিকি করা হউক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.