মানুষ কেন এত অহংকার করে ?

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মানুষ কেন এত অহংকার করে ?
লেখাঃ-- মামুন
-
আমাদের দেশে দেখা যায় যে,
ছোট হোক কিংবা বড় হোক
প্রত্যেকের জীবনে এই অহংকার
জিনিসটা সারাজীবনের জন্য
অভিশাপ্ত হয়ে আছে ৷ কিন্তু
জানি না,
মানুষ কেন এত অহংকার করে?
আরে,
যার জন্মই এক ফোটা নাপাক
পানি থেকে সেও আবার অহংকার
করে কিভাবে ?
আমার বিশ্বাস করতে সমস্যায়
পড়তে হয় যে, ১০ তলা বিশিষ্ট
একটি দালান, ৫ লক্ষ টাকার
একটা ব্যাংক ব্লেন্স হলেই যে
একজন মানুষ অন্য একজন
মানুষকে খাটো করে দেখতে হবে!
এক মানুষ আরেক মানুষকে ছোট
করে দেখে,
এমন অনিয়ম আমাদের সমাজে
বিরল ৷
-
কি ১০ তলা বিশিষ্ট একটা দালান
আর ৫ লক্ষ টাকার একটা ব্যাংক
ব্লেন্সেই যতেষ্ট !
না অন্য কিছুর প্রয়োজন আছে ?
আমরা একটা জিনিস বার বার ভুল
করে থাকি ৷
সেটা হলো, এই দুই দিনের
পৃথিবীতে কয়দিন বা থাকব,
একদিন মরেই যেতে হবে ৷
আর
আমার এই অহংকার করাটা কয়
দিন বা থাকবে ?
হয়তো আমার শেষ নিঃশ্বাস
ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত এর পর
কি করবে ?
তার পর তো তোমার টাকা আর
দালানের অহংকারী চলবে না ৷
তখন কেউ কেউ জিজ্ঞেস করবে,
তোমাকে কখন দাফন করবে ?
তোমার কবরের উপরে ছাড়াল
দেয়ার জন্য বাঁশ কিনতে যাবে
কে ?
কেউ পানি গরম করতে যাবে
তোমাকে গোসল করার জন্য !!
আবার কেউ কেউ বলবে তোমার
জন্য কাফনের কাপড় কিনতে
গেছে কি না ?
সেই দিন কিন্তু তোমার একহাজার
টাকার শার্ট, দেড় হাজার টাকার
জিন্স পেন্ট, ৫ হাজার জুতা আর
পরিধান করা হবে না ,
পরিধান করাকবে মাত্র কয়েক'শ
টাকার তিন টুকরো কাপড় ৷
আর
সেখানে দেওয়া হবে না, বিদেশী
ওয়ান মেন শো (সেন্ট) ৷ সেই দিন
তোমার ১০ তলা বিশিষ্ট দালান
আর ৫ লক্ষ টাকার ব্যাংক ব্লেন্স
মূল্যহীন হবে যাবে ৷
সেই দিন ত অহংকার করার মত
সময় তোমার থাকবে না ৷ তোমার
হিসাব-নিকাস হবে দশ জনের মত ৷
-
তার পরেও কি তুমি অহংকার
করবে ?
-
আল্লাহ্ তোমাকে যে রকম এক
ফোটা নাপাক পানি থেকে সৃষ্টি
করেছে, আমাকেও সে রকম এক
ফোটা নাপাক পানি দিয়ে সৃষ্টি
করেছে ৷
-
আল্লাহ্ তোঅমাকে না হয় সুন্দর
করে সৃষ্টি করছে,
আমি না হয় কালো !
-
তুমি না হয় বিত্তবান,
আমারা না হয় ফরির ৷
তার পরেও তুমি অহংকার করতে
যাবে কেন ?
-
অহংকার করার ক্ষমতা তোমার
নেই ৷
অহংকার করতে পারবে,
স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা !!!!!
-
দুনিয়াতে যত দিন বেচে থাকবেন,
কোন মানুষকে তুচ্ছ করে দেখবেন
না,
তার মনে কষ্ট পাবে ৷

৩ টি +০/-০